প্রোটিনের গঠনে আল্লাহর নিদর্শন

দুটো এমাইনো এসিড একটি দ্রবণে একত্রিত হলে পেপটাইড বন্ড তৈরী করে না বরং আয়োনিক বন্ধন তৈরী করতে চেষ্টা করে। কারন কোন দ্রবণে এমাইনো এসিডের কার্বক্সিল গ্রুপ হাইড্রোজেন আয়ন ছেড়ে দেয় এবং এমাইনো গ্রুপ সেটা গ্রহন করে। ফলে তৈরী হয় জুইটার আয়ন। এছাড়াও একটি রেসেমিক দ্রবণে অ্যামাইনো এসিডের ডান হাতি ও বাহাতি দুটো এনানসিওমার-ই সম পরিমাণে থাকবে । অর্থাৎ উভয়টির ৫০ শতাংশ। তত্ত্বমতে, প্রকৃতিতে প্রায় ২০০ অ্যামাইনো এসিড পাওয়ার কথা। এমনকি জীবদেহেও এমন অ্যামাইনো এসিড আছে যেটা প্রোটিন গঠনে ব্যাবহৃত হয় না।


অথচ জীবদেহের প্রোটিন তৈরীতে ব্যবহৃত এমাইনো এসিডের সংখ্যা ২০, এমাইনো এসিডগুলোর মধ্যে বন্ধন গঠিত হয় পেপটাইড বন্ড দিয়ে। তাও আবার আলফা কাবক্সিলিক গ্রুপের সাথে আলফা এমাইনো গ্রুপের। অথচ এসপারটিক এসিড ও গ্লুটামিক এসিডে যে সাইড চেইনেও কার্বক্সিলিক এসিড আছে। আবার লাইসিন, হিসটিডিনের সাইড চেইনে আছে এমাইনো ও ইমিনো গ্রুপ। পোলার সাইড চেইন যুক্ত এমাইনো এসিড হাইড্রোফিলিক ও ননপোলার সাইডেচেইনযুক্ত এমাইনো এসিড হাইড্রোফোবিক। ফলে একটি প্রোটিনে ননপোলার সাইডচেইনগুলো জড়াজড়ি করে মাঝামাঝি একত্রিত হতে চেষ্টা করে। আর পোলার সাইড চেইনযু্‌ক্ত এমাইনো এসিড গুলোকে বাইরের দিকে বিকর্ষণ করতে চায়।

(লুসিফেরিন প্রোটিন)

প্রোটিনে ব্যাবহৃত হয় কেবল বা-হাতি এমাইনো এসিড। আবার দুটো এমাইনো এসিডের মধ্যে বন্ধন তৈরী হলে এরা তাদের আলফা কার্বনের এক্সিসে রোটেট করতে পারে। কিন্তু প্রোটিনের ফাংশনাল হওয়ার জন্য দরকার হাইলি স্পেসিফিক ত্রিমাত্রিক গঠন। এ কারনে প্রোটিন গঠন হওয়ার জন্য এমাইনো এসিড চেইন হতে হবে খুবই স্পেসিফিক। তাদের মেইনটেইন করতে হবে, এনফিনসেন’স ডগমা অর্থাৎ হতে হবে স্ট্যাবল, ইউনিক ও কাইনেটিকেলি এক্সেসেবল। ফলে জন্ম নেয় লেভিনথাল প্যারাডক্স এর। কেননা এমনকি ১০০ এমাইনো এসিডের একটি প্রোটিনে যে সংখ্যক সম্ভাব্য কনফরমেশন হতে পারে, তা এক্সপ্লোর করতে গেলে পৃথিবীর বয়স ১০^২৬ সেকেন্ড কে ছাড়িয়ে যাবে। লক্ষ্য করুন, কোষের শুধুমাত্র ডি এন এ পলিমারেজ এনজাইমেই আছে ৯০০ থেকে ১০০০ এমাইনো এসিড।

অথচ কিছু বানরের বংশধর এসে বলা শুরু করেছে শত শত প্রোটিন, আর এন এ, রাইবোজম, ডি এন এ এবং ডি এন এ তে ইনস্টলড প্রোগ্রাম সহ একটি কোষ নাকি পৃথিবীর আদি সময়ে একা একা এমনি এমনি বাই চান্স তৈরী হয়ে গেছে?!? আর এই ধরণের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বৈচিত্রময় কোষের সমন্বয়ে গঠিত লক্ষ লক্ষ বিচিত্র প্রজাতি না কি র‍্যানডম মিউটেশনের মধ্যে দিয়ে আবির্ভূত হয়েছে!!!!!????!!!! আরে গাধা, তোমরা যাও তোমাদের পূর্ব পুরুষ শিম্পাঞ্জির(Pan troglodytes) সাথে আফ্রিকার বনে গিয়ে বসবাস কর। সভ্য মানুষের জগতে এসে ভাব ফলানোর প্রয়োজন নেই।

প্রোটিনের গঠন জানার পরও যদি কেউ পরম করুণাময়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে ব্যার্থ হয় তার সন্মন্ধে একটি ধারণাই মনে জন্মাবে, আর তা হল সে একজন সাটানিস্ট, দাজ্জালের চর, পৃথিবীর মানুষকে স্রষ্টার স্মরণ থেকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্যই তার সকল প্রচেষ্টা।   

-Abdullah Saeed Khan

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম