বাংলাদেশ মুসলমানের দেশ। এখানকার ৮৭% জন নাগরিক মুসলিম। এদেশের মুসলিমরা তুলনামূলকভাবে অধিকতর ইসলাম প্রিয়। এখানকার মুসল-মানরা আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল এবং ইসলামের নিদর্শনাবলীর জন্যে প্রাণ দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেনা। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা এদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। ইসলামী শিক্ষানীতি চালু করার ক্ষেত্রে এখানে কোনো সমস্যাও নেই। কারণ:
১. বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম।
২. বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ (১ক) অনুচ্ছেদ সুস্পষ্টভাবে ঘোষিত হয়েছেঃ সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে যাবতীয় কার্যাবলীর ভিত্তি।
৩. এদেশের মুসলমানরা কাজেও ইসলামের ভক্ত অনুরক্ত এবং ইসলামের জন্যে জান দিতোও প্রস্তুত।
৪. এদেশের ৮৭% জন নাগরিক মুসলমান।
৫. এদেশের মানুষ ইসলামের অবমাননা বরদাশত করেনা।
৬. এদেশের রাষ্ট্র প্রধান, সরকার ও সরকার প্রধান সকলেই মুসলমান।
৭. প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরাই মুসলমান।
৮. মানুষের বস্তুগত ও আত্মিক মুক্তি ও উন্নতির ক্ষেত্রে যে ধর্মৈর বিকল্প নেই, একথা আজ প্রকৃতি বিজ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানি এবং অনেকে এবং অনেক রাষ্ট্র নায়ক কর্তৃক স্বিকৃত হয়েছে। আর ধর্মের ইসলামই যে সর্বাধিক উদার, বাস্তব, পূর্ণাংগ ও প্রগতিশীল একথাও স্বীকৃত হয়েছে।
৯. তাছাড়া যেহেতু, মূলতই ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের সকল দিক ও বিভাগের মূলনীতি ও নির্দেশনা এতে রয়েছে এবং এটি একটি উদার ও সার্বজনীন ব্যবস্থা।
১০. এটি স্বয়ং মানুষের স্রষ্টা মহান আল্লাহ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা এবং
১১. ইসলামী শিক্ষানীতি অবশ্যি ইসলামের নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে প্রণীত হওয়া একান্ত জরুরি।
ক. ইসলামী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী
ইসলামী শিক্ষানীতিতে শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যাবলী কি হবে, সে সম্পর্কে একটু আগেই আমরা কুরআন হাদীসের নির্দেশনা উল্লেখ করে এসেছি। তার আলোকেই আমরা এখানে ইসলামী শিক্ষার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও বৈশিষ্টাবলীর বর্ণনা লিপিবদ্ধ করছি। অর্থাৎ ইসলামী শিক্ষানীতিতে শিক্ষার উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও বৈশিষ্টসমূহ হবে নিম্নরূপ:
১. শিক্ষার্থীদেরকে মানুষ ও এই বিশ্বজগতের সর্বশক্তিমান স্রষ্টা, প্রতিপালক, পরিচালক, মালিক, শাসক মাবুদ সার্বভৌম ও সর্বময় কর্তৃত্বশীল মহান আল্লাহর প্রতি ঈমানদার, আস্থাশীল, অনুগত ও বিনীতি করে তোলা তথা তাদেরকে এক আল্লাহমুখী করে গড়ে তোলা।
২. শিক্ষার্থীদেরকে রিসালাতে বিশ্বাসী করে তোলা এবং তাদের মাঝে মুহাম্মদ (সা) কে সর্বশেষ নবী ও রসূল হিসেবে মানার এবং তাঁকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার মানসিকতা সৃষ্টি করা।
৩. শিক্ষার্থীদের পরকালের জীবনের প্রতি বিশ্বাসী করে তোলা এবং তাদের মধ্যে পরকালের সাফল্য ও ব্যর্থতাকেই প্রকৃত সাফল্য ও ব্যর্থতা হিসেবে গ্রহণ করার স্বচ্ছ জ্ঞান ও বুঝ সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যে পরকালের মুক্তির আকাংখা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করা।
৪. আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে শিক্ষার্থীদের দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক পূর্ণ বিকাশ সাধন করা।
৫. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আল্লাহর দাস (আবদ) ও প্রতিনিধি (খলিফা) হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রেরণা ও যোগ্যতা সৃষ্টি করা।
৬. শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বিবেকবোধ ও বলিষ্ঠ নৈতিক চেতনা জাগ্রত করে দেয়া।
৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মচেতনা, আত্মপোলব্ধি, আত্মসম্মানবোধ ও আত্মপর্যালোচনার ভাবধারা সৃষ্টি করা।
৮. সময় ও সমাজ চাহিদার প্রেক্ষিতে দক্ষ, জীবন ও কর্মমূখী, সৎ, চরিত্রবান, ন্যায়পরায়ণ, বিশ্বস্ত, উদ্যমী ও সাহসী মানুষ সৃষ্টি করা।
৯. সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার যথাযোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টি করা।
১০. শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ সৃষ্টি করা এবং তাদের মানবতার কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করা।
১১. জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করা।
১২. সময় ও যুগের চাহিদা মাফিক দক্ষ ও যোগ্য গবেষক, আবিষ্কারক, চিন্তাবিদ, লেখক, বিচারক, শিক্ষক, সৈনিক, সমাজকর্মী, প্রশাসক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নতি এবং সকল ক্ষেত্রে ও বিভাগ পরিচালার উপযুক্ত লোক তৈরি করা।
১৩. সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীর মেধা ও প্রবণতা বিকাশের পূর্ণ সুযোগ নিশ্চিত করা।
১৪. শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকশিত করা। তাদের মধ্যে ইজতেহাদী যোগ্যতা সৃষ্টি করা।
১৫. সৎ,চরিত্রবান, নীতিবান ধার্মিক ও বিবেকবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরি করা। উৎপাদন ও কর্মমুখী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা।
১৬. আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে জীবন, জগত ও পরকালীন মুক্তি লক্ষ্যের মাঝে সমন্বয়ে সাধনের যোগ্যতা অর্জন, জীবনের পূর্ণত্ব অর্জন এবং জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন।
১৭. নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিক জানা এবং তা সংরক্ষণ ও বিকাশের যোগ্যতা ও প্রেরণা লাভ করা।
১৮. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নিজস্ব বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির আলোকে বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা অর্জন করা।
১৯. ইন্দ্রিয় শক্তি নিচয়ের বিকাশ সাধন: ইন্দ্রিয় শক্তিসমূহ মানুষের মাধ্যে সুপ্ত থাকে। এগুলোই মানুষের সকল কাজের পরিচালক। আসলে জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রেও মানুষকে সাহায্য করে তার ইন্দ্রিয় শক্তিসমূহ। তার:
১. মন
২. মস্তিষ্ক,
৩. দৃষ্টি শক্তি,
৪. শ্রবণ শক্তি,
৫. ঘ্রাণ শক্তি,
৬. স্পর্শানুভূতি,
৭. বাক শক্তি।
এগুলোর সাহায্য মানুষ-
১. অনুভব করে,
২. চিন্তা করে,
৩. বিবেচনা করে,
৪. অনুধাবন করে,
৫. অনুসন্ধান করে,
৬. মর্ম উপলব্ধি করে,
৭. উদ্ভাবন করে,
৮.সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে,
৯. প্রকাশ করে,
১০. ধারণ বা সংরক্ষণ করে।
ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের এসব সুপ্ত শক্তি বিকশিত, প্রস্ফুটিত ও সংহত করে দিতে চায়।
খ. ইসলামী শিক্ষানীতির মৌলিক বৈশিষ্ট
এখানে আমরা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক বৈশিষ্টসমূহ উল্লেখ করার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলাম করণের একটি রূপরেখা পেশ করতে চাই। এ রূপরেখা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত, তবে মৌলিক নির্দেশনামূলক। ভবিষ্যতে যারা আমাদের দেশে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের দায়িত্ব লাভ করবেন, এটি তাদের খানিকটা হলেও সহায়তা করবে বলে আশা করি।
১. জ্ঞানের মূল উৎস ওহীর জ্ঞান: ওহী খোদায়ী জ্ঞান লাভের মাধ্যমে। বাংলা ভাষার জ্ঞানের বাহক বই। বই শব্দটিও এসেছে ওহী থেকে। মূলত বই ওহীর রূপান্তর। এভাবে : ওহী > বহি > বই।
এই ওহীই জ্ঞানের মূল উৎস। ওহী হলো, মানব জাতির ইহ ও পারলৌকিক সর্বাংগীন উন্নতি, কল্যাণ ও সাফল্যের উদ্দেশ্যে নবী রসূলদের মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নির্দেশনা বা হিদায়াত।
আল কুরআন আল্লাহর প্রত্যক্ষ ওহী। এ গ্রন্থ সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং সর্বপ্রকার সন্দেহ সংশয়ের ঊর্ধ্বে। সুতরাং আল কুরআনই মানবজাতির জন্যে জ্ঞানের মূল সূত্র, মূল উৎস। আল কুরআনকেই শিক্ষাও জ্ঞান বিজ্ঞানের ভিত্তি এবং মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। অতপর গোটা শিক্ষানীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাক্রমকে এ মানদন্ডের ভিত্তিতে সাজাতে হবে, প্রতিষ্ঠা করতে হবে এ নির্ভুল ভিত্তির উপর। রাসূলের (সা) সুন্নাহ আল কুরআনেরই ব্যাখ্যা। তিনিও সে ব্যাখ্যা করেছেন ওহীর ভিত্তিতে, নিজের খেয়াল খুশিমতো নয়। সুতরাং রসূলের (সা) সুন্নাহকে শিক্ষা ও জ্ঞানের দ্বিতীয় উৎস ও মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
কুরআন সুন্নাহর মূলনীতি ও মানদন্ডের ভিত্তিতে সাজানো শিক্ষা ব্যবস্থাই কেবল মানবতার জন্যে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। কারণ তা জ্ঞানের মূল সূত্র থেকে উৎসারিত হয়। আর এটাই ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার গোড়ার কথা।
আল কুরআনকে আল্লাহ তাআলা হুদাল্লিন্নাস মানুষের জীবন যাপনের সঠিক পথনির্দেশ বলে ঘোষনা করেছেন। সুতরাং মানুষকে তার জীবন যাপনের সঠিক পথ জানতে হলে কুরআনের দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। কুরআনের জ্ঞানার্জনকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। আর হাদীস ও সু্ন্নাতে রসূল যেহেতু কুরআনেরই প্রাসংগিক জিনিস, তাই কুরআনের সাথে সুন্নাহকেও অপরিহার্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
২. শিক্ষার মাধ্যম হবে মাতৃভাষা: মাতৃভাষা তথা জাতীয় ভাষা শিক্ষাদানের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। জ্ঞানের সকল উৎস এবং সব ভাষা থেকেই জ্ঞানার্জন করতে হবে। তবে তা বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে জাতীয় ভাষায়। নবী রসূলরা প্রত্যেকেই জাতির জনগণের ভাষায় শিক্ষাদান করেছেন:
আমি যখনই কোনো রাসূল পাঠিয়েছি সে রিসালাতের দায়িত্ব পালন করেছে স্বজাতির ভাষায়, যেনো সে সমস্ত উপদেশ আহ্বান তাদের খুলে বলতে পারে। (সূরা ইব্রাহীম: ৪)
৩. যেহেতু জ্ঞানের মূল উৎস আল কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ ও সংরক্ষিত হয়েছে, তাই আরবি ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিক্ষাদান করতে হবে। প্রথমিক স্তরেই আল কুরআন পড়তে শিখাতে হবে।
৪. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সরাসরি দীনের মৌলিক বিষয়সমূহ শিক্ষা দান করতে হবে।
৫. উচ্চতর শ্রেণীসমূহে এবং উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল বিষয় ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গিতে বিশ্লেষিত হবে। তাছাড়া কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামী আইনের বিশেষজ্ঞ তৈরীর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৬. দীনি ও জাগতিক শিক্ষার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে।
৭. শিক্ষা হবে সার্বজনীন, সহজলভ্য ও উন্মুক্ত।
৮. প্রাথমিক শিক্ষা হবে বাধ্যতামূলক।
৯. শিক্ষা হবে প্রয়োগমুখী, জীবনমুখী ও কর্মমুখী।
১০. শিক্ষকতার পেশা হবে সবচে সম্মানীয়। শিক্ষকরা হবেন সত্যের সাক্ষ্য।
১১. শিক্ষকদের নৈতিক ও প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ হবে বাধ্যতামূলক।
১২. পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচিতে সমকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তথ্য সম্ভার ও বিশ্ব দৃষ্টিভংগি World outlook) সৃষ্টির সহায়ক বিষয়াবলী অন্তরভুক্ত করতে হবে।
১৩. প্রাথমিক স্তর থেকেই সুন্দর আচার আচরণ তথা শিষ্টাচার শিক্ষাদানের ব্যবস্থা থাকবে।
১৪. পাঠ্যসূচিত ইসলামকে পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে রূপায়িত করতে হবে।
১৫. প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে স্বাস্থ্য ও সামরিক শিক্ষা অন্তরভূক্ত হবে।
১৬. পুরুষদের মতো নারীদের শিক্ষাও হবে বাধ্যতামূলক।
১৭. অবাধ সহশিক্ষা থাকবেনা।
১৮. মসজিদসমূহকেও শিক্ষায়তনে পরিণত করা হবে।
১৯. শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হবে চিরন্তন। তবে শিক্ষা ব্যবস্থা হবে গতিশীল (Dynamic)। শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন অন্তর্গত (in built) ব্যবস্থা থাকবে, যাতে করে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রয়োজনের সাথে খাপ খাইয়ে শিক্ষার পদ্ধতি, পাঠক্রম, পরিসর, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনের পূর্ণবিন্যাস অনায়সেই করা সম্ভব হয়।
২০. শিক্ষার মাধ্যমে জাতীয় চরিত্র গঠনের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে ঈমান ও আদর্শিক মূল্যবোধ তথা তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত বিশ্বাসের চেতনাকে।
২১. শিক্ষাগ্রহণ এবং শিক্ষাদান উভয়টাই সমগুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য।
২২. শিক্ষাদান পেশা নয়, মিশন।
২৩. অর্জিত জ্ঞান অবশ্যি চরিত্র ও কর্মে প্রয়োগ করতে হবে।
২৪. ইসলাম আনুষ্ঠানিক, উপানুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সকল প্রকার শিক্ষাকেই উৎসাহিত করে।
২৫. শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষাদান উভয়টাই ইবাদত।
২৬. সর্বোচ্চ শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিভাগের ছাত্রদের জন্যে তফসীরসহ আল কুরআন (বা আল কুরআনের নির্দিষ্ট অংশ) এবং নির্বাচিত সংখ্যক হাদীস শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকবে।
২৭. উচ্চ শিক্ষা হবে গভেষণা ও ইজতিহাদমুখী।
২৮. সকল বিভাগের ছাত্রদেরকে ইসলামের মৌলিক ইবাদতসমূহ অনুশীলন করে শিখাবার ব্যবস্থা থাকবে।
২৯. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে পাশাপাশি।
৩০. ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রশাসনের মধ্যে থাকবে সমন্বয়,যোগসূত্র ও সুসম্পর্ক।
৩১. ছাত্রদের গড়ে উঠানো হবে স্বাধীনতা রক্ষার সৈনিক, আদর্শের প্রচারক ও সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে।
৩২. শিক্ষা প্রশাসন হবে দুর্নীতিমুক্ত, সহজ, গতিশীল ও শিক্ষা উন্নয়নের সহায়ক।
৩৩. শিক্ষানীতি হবে ইসলামী সংস্কৃতির উৎসস্থল। শিক্ষার সকল স্তরে ও সকল বিভাগে ইসলামী সংস্কৃতির ব্যাপক চর্চা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
0 comments: