সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা
কোন পরিকল্পনা , তা যতই সুন্দর হোক না কেন , ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষণ না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা । নবুয়ত পাওয়ার পরপরই যখন রাসূল (সাঃ) -এর ওপর নেমে এলো বিপদের র্পবত ; এমনকি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ জোটবেঁধে দাঁড়িয়ে গেল বাধার পাহাড় হয়ে । এমনি সময়ে , সিংহপুরুষ আবু তালিবও ঘাবড়ে গিয়ে ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বললো , কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সাথে একটি আপোসরফা করে চলার জন্যে । তখন ,তখন কি হলো? আমাদের প্রিয় নবী কি ঘাবড়ে গেলেন ? না , মোটেই না ।বরং দ্বিগুণ তেজে বললেন ,“ওরা আমার এক হাতে যদি চন্দ্র এবং আরেক হাতে সূর্যকেও এনে দেয় তবু আমার পথ থেকে আমি এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবোনা ।” জীবনে এমন কঠিন অঙ্গীকার ছিল বলেই মক্কার সেই কিশোর রাখাল বালকটি বড় হয়ে সমগ্র জাহানের অধিপতি হয়েছিলেন। যার জীবন অধ্যয়ণ করে নেপোলিয়নের মত; বিশ্ববিখ্যাত সেনাপতিও আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন ,“মুহাম্মদের যুদ্ধবিজয়ের ঘটনাগুলি দেখলে মনে হয় তিনি কোন মানুষ নন ;বরং স্বয়ং খোদা ! কিন্তু আবার তাকে খোদাও বলা যায়না কারণ তিনি যুদ্ধে নিজে আহত হয়েছেন তার সৈন্যরা মারা গেছে; তাই কোন মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে তার এই অত্যাশ্চর্য বিজয়কে বিশ্লেষণ করা যায়না ।”এত অল্প সময়ে রাসূল (সাঃ) এর অবিস্মরনীয় সাফল্যের পেছনে
শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই নয় বরং তার সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনাও মূল কার্যকারণ হিসেবে কাজ করেছে। আর তাইতো আমেরিকার সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন ,“ যদি কেউ গভীরভাবে উকিল হওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্ধেক ওকালতি পড়া হয়ে যায় , আর বাকি অর্ধেকটা তাকে বই পড়ে শিখতে হয় ।” ঠিক তেমনি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে সবার আগে উড়ে যাওয়া এমেলিয়া আরহার্ট বলেছেন,“ আমি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি উড়তে ইচ্ছা করেছিলাম ।” ব্রিটেনের টাউনশেন্ড অফিসের এক ক্যাশিয়ার , কলম পিষতে পিষতে হঠাৎ ভাবলেন ,হায় ! এভাবেই কি জীবনটা শেষ হয়ে যাবে ? যেই ভাবা সেই কাজ , চাকুরি ছেড়ে দিলেন তিনি । যাত্রা হলো শুরু। শেক্সপীয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন নিজকে এবং ভাবীকালে সত্যিই তিনি শেক্সপীয়ারের সমকক্ষ, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী র্জজ বার্নার্ড শ হয়েছিলেন । সুতরাং বলা যায় , সুদৃঢ় ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সফলতার পূর্বশর্ত । আল্লাহ পাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, “যারা সুদৃঢ় প্রত্যয়ী তারাই সফলকাম”।
পেজ-ভিউ
কোন পরিকল্পনা , তা যতই সুন্দর হোক না কেন , ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষণ না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা । নবুয়ত পাওয়ার পরপরই যখন রাসূল (সাঃ) -এর ওপর নেমে এলো বিপদের র্পবত ; এমনকি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ জোটবেঁধে দাঁড়িয়ে গেল বাধার পাহাড় হয়ে । এমনি সময়ে , সিংহপুরুষ আবু তালিবও ঘাবড়ে গিয়ে ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বললো , কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সাথে একটি আপোসরফা করে চলার জন্যে । তখন ,তখন কি হলো? আমাদের প্রিয় নবী কি ঘাবড়ে গেলেন ? না , মোটেই না ।বরং দ্বিগুণ তেজে বললেন ,“ওরা আমার এক হাতে যদি চন্দ্র এবং আরেক হাতে সূর্যকেও এনে দেয় তবু আমার পথ থেকে আমি এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবোনা ।” জীবনে এমন কঠিন অঙ্গীকার ছিল বলেই মক্কার সেই কিশোর রাখাল বালকটি বড় হয়ে সমগ্র জাহানের অধিপতি হয়েছিলেন। যার জীবন অধ্যয়ণ করে নেপোলিয়নের মত; বিশ্ববিখ্যাত সেনাপতিও আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন ,“মুহাম্মদের যুদ্ধবিজয়ের ঘটনাগুলি দেখলে মনে হয় তিনি কোন মানুষ নন ;বরং স্বয়ং খোদা ! কিন্তু আবার তাকে খোদাও বলা যায়না কারণ তিনি যুদ্ধে নিজে আহত হয়েছেন তার সৈন্যরা মারা গেছে; তাই কোন মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে তার এই অত্যাশ্চর্য বিজয়কে বিশ্লেষণ করা যায়না ।”এত অল্প সময়ে রাসূল (সাঃ) এর অবিস্মরনীয় সাফল্যের পেছনে
শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই নয় বরং তার সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনাও মূল কার্যকারণ হিসেবে কাজ করেছে। আর তাইতো আমেরিকার সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন ,“ যদি কেউ গভীরভাবে উকিল হওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্ধেক ওকালতি পড়া হয়ে যায় , আর বাকি অর্ধেকটা তাকে বই পড়ে শিখতে হয় ।” ঠিক তেমনি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে সবার আগে উড়ে যাওয়া এমেলিয়া আরহার্ট বলেছেন,“ আমি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি উড়তে ইচ্ছা করেছিলাম ।” ব্রিটেনের টাউনশেন্ড অফিসের এক ক্যাশিয়ার , কলম পিষতে পিষতে হঠাৎ ভাবলেন ,হায় ! এভাবেই কি জীবনটা শেষ হয়ে যাবে ? যেই ভাবা সেই কাজ , চাকুরি ছেড়ে দিলেন তিনি । যাত্রা হলো শুরু। শেক্সপীয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন নিজকে এবং ভাবীকালে সত্যিই তিনি শেক্সপীয়ারের সমকক্ষ, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী র্জজ বার্নার্ড শ হয়েছিলেন । সুতরাং বলা যায় , সুদৃঢ় ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সফলতার পূর্বশর্ত । আল্লাহ পাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, “যারা সুদৃঢ় প্রত্যয়ী তারাই সফলকাম”।
- মোরা বড় হতে চাই - প্রথম খন্ড
- মোরা বড় হতে চাই - দ্বিতীয় খন্ড
- মোরা বড় হতে চাই - তৃতীয় খন্ড
- মোরা বড় হতে চাই - চতুর্থ খন্ড
|
পেজ-ভিউ
2 comments:
টাঙ্গাইলে স্কুলে অগ্নিসংযোগ লুটপাট
ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ৩০
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের করটিয়ায় জমিদারবাড়ির ভেতর অবসি'ত লাইট হাউস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা হয়েছে। করটিয়া ওয়াজেদ আলী ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি ওয়াজিদ আলী খান পন্নী ওরফে বান্টিং খান পন্নীর পক্ষে মোহাম্মদ কাজল মিয়া বুধবার রাতে থানায় হাজির হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে বান্টিং খান পন্নীর ছোট ভাই স'ানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলী খান পন্নী ওরফে টিপু খান পন্নীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার করটিয়ার কায়েস চৌধুরী, সৈয়দ এজাজ, সৈয়দ মাসুম, খুদিরামপুরের আকবর আলী খান ও বাসাইলের সোনালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এই ছয়জনসহ ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী জমিদারবাড়ির প্রাচীরের পশ্চিম পাশের দেয়ালের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাইট হাউস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং ১০টি কম্পিউটার লুট করে নিয়ে যায় তারা। সব মিলিয়ে ক্ষতি দেখানো হয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে এবং সে অনুযায়ীই ব্যবস'া নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আহসান হাবীব ইমরোজ ২০০০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই লাইট হাউস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল। বর্তমানে স্কুলে ছাত্রছাত্রী রয়েছে অন্তত সাড়ে পাঁচ শ’ জন। একসময় ড. আহসান হাবীব ইমরোজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গত ৮ জানুয়ারি করটিয়ার নিজ বাসা থেকে ইমরোজ ও তার ভাই ফিরোজ চৌধুরীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নাশকতামূলক কাজ করতে পারে এই অভিযোগে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের টাঙ্গাইল কোর্টে চালান দেয়া হয়। জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের জেলহাজাতে পাঠিয়ে দেন।
http://www.dailynayadiganta.com/details/24063
Allah apnader procestake kobul koruk.Ameen.