১৬০. শহীদ আকমল হোসেন (০২.০৩.২০১৩-)

২ মার্চ ২০১৩, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ ও পুলিশ হায়েনার মত দেশী অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মারাত্মক আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জ্ঞানগঞ্জ ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ও সংগঠনের কর্মী আকমল হোসেন শাহাদাত বরণ করেন। পিতা মুহা. মোশাররফ হোসেন ও মাতা আফরোজা বেগম এর চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে আকমল। তাঁর বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার জিগাবাড়ি গ্রামে।






শহীদ আকমল হোসেন।সপ্তম শ্রেনী শেষ করে অষ্টমশ্রেনীতে উঠেছেন মাত্র। দুই ভাই দুই বোনেরমধ্য বড়। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলারপীরগাছা থানার পাওটানার জ্ঞানগঞ্জে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে সরাসরি জড়িত না হলেও সমর্থন করতেন। অনেক ছোট থেকে আল্লামা সাঈদী সাহেবের ওয়াজ শুনতেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে সারাদেশের তৌহিদী জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। শহীদ আকমলও তাঁর হ্নদয়ের স্পন্দন আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদি, খোদার দুশমন, নাস্তিক সরকারের এই অন্যায় রায় মেনে নিতে পারেননি। শহীদী মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য ছুটছেন। প্রিয় মা তাঁর ছোট্টছেলের পথ রুদ্ধ করে দাড়ান। কোথায় যাচ্ছ বাবা। মা, সাঈদী সাহেবের ফাঁসির রায় হয়েছে, তাই মিছিলে যাচ্ছি। মা বলেন,বাবা তুমি ছোট ছেলে তুমি যেও না, তোমার কোন ক্ষতি হতে পারে। প্রিয় ভাই বললেন, মা সাঈদী সাহেবের ফাঁসির রায় হয়েছে, আমি কি বসে থাকতে পারি, মা আমি যদি এই মিছিলে মারা যাই, তাহলে আমি শহীদ হবো মা।

মায়ের অন্তর কেঁদে উঠে, পথ ছেড়ে দিলেন। সরকারের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ইটের আঘাতে গুরুতর আহত আকমল ভাইকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ মার্চ তিনি শাহাদাতবরন করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)

হে আল্লাহ আমাদের এই ছোট্ট ভাইকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দানকরুন। আমীন।।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম