নড়াইলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে স্কুলে হিন্দু শিক্ষিকার কটূক্তি

বাংলাদেশের নড়াইল জেলার সদর উপজেলার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করায় এক মহিলা শিক্ষিকাকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কটূক্তি করার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পরেই স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিক্ষোভ প্রতিবাদের মুখে জেলা প্রশাসন স্কুলটির শিক্ষিকা ‘নুপুর রায়'কে স্ট্যান্ডরিলিজ করে নড়াইল থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। নিন্দার ঝড় বইছে পুরো দেশেই।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিক এস এম মাহবুবুর রহমান লাবলু রেডিও তেহরানকে বলেছেন, নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ‘নুপুর রায়' ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্লাসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। পরে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি জানালে বিক্ষোভ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মাঝে।

এ প্রসঙ্গে নড়াইল জেলা প্রশাসক মো: জহুরুল হক রেডিও তেহরানকে বলেছেন, অভিযোগটি জানার পরেই তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ঐ শিক্ষিকাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এছাড়া, শিক্ষিকা নুপুর রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত বিভাগীয় শাস্তির আদেশ আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নড়াইল জেলা প্রশাসক।
নড়াইল ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ রেডিও তেহরানকে বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে একজন অমুসলিম শিক্ষিকার এ ধরনের মন্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের ধর্মপ্রাণ কোন মুসলমানই এ ধরনের অপরাধ মেনে নেবে না। ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তারা এর প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ করেছেন। মাওলানা আব্দুর রশিদ রেডিও তেহরানকে আরো বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষিকা নুপুর রায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় নড়াইলসহ পুরো দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। এরআগেও নানা স্থানে এধরনের কটূক্তির ঘটনার কোন বিচার হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, এবারও তেমন কিছু হলে নড়াইলের লোকজন কোনভাবেই তা মেনে নেবে না। সারা দেশের তৌহিদী মুসলামদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন নড়াইল ইমাম সমিতির সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আব্দুর রব রেডিও তেহরানকে বলেছেন, কোন ধর্মেরই ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্দে কোন ধরনের কটাক্ষ কিংবা কটূক্তি করা কোন ভাবেই উচিত নয়। এ ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। নইলে এ ঘটনার মাত্রা সমাজে বেড়ে যাবে। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেলেও কোনটারই কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। যা একটি সমাজকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আব্দুর রব।তিনি আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আদালত নিজেই স্বপ্রোনোদিত হয়ে রুল দেন, জামায়াতে ইসলামী শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কথিত ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত দেয়ার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয় না। এ ধরনের কার্যক্রমকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করেন এই ইসলামী চিন্তাবিদ। কিন্তু সমাজ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনার দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশের মুসলিম চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা।
Click This Link

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম