কিতাল কি?
কিতালের বিধান কি?
------------------------------
আবদুস শহীদ নাসিম
----------------------
প্রশ্নঃ আস্সালামু আলাইকুম। কিতাল কি? কিতালের বিধান কি? কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের পক্ষে কি এর ঘোষণা দেয়া জায়েয?
জবাবঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। 'কিতাল' মানে-যুদ্ধ। 'কিতাল ফি
সাবিলিল্লাহ' মানে-আল্লাহর পথে যুদ্ধ। কিতাল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কথা হলো:
০১. রসূলুল্লাহ সা. যতোদিন রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব লাভ করেননি, ততোদিন, তাঁকে
কিতাল করার নির্দেশ দেয়া হয়নি। বরং নির্যাতিত হবার পরও সাহাবিগণকে 'হাত
গুটিয়ে রাখতে' বলা হয়েছে।
০২. রসূল সা. এবং সাহাবিগণ হিজরত করে মদিনায় আসার পর যখন রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব লাভ করেন, কেবল তখনই আল্লাহ পাক কিতালের অনুমতি ও নির্দেশ প্রদান করেন।
০৩. খন্দকের যুদ্ধ পর্যন্ত রসূল সা.-এর যুদ্ধগুলো ছিলো ডিফেন্সিভ। পরবর্তী যুদ্ধগুলো ছিলো আগ্রাসন বিরোধী।
০৪. কিতালের প্রয়োজন দেখা দিলে কিতালের সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের।
০৫. রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ববিহীন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন কর্তৃক কিতালের ঘোষণা দেয়ার সুযোগ নেই। যেমন, চরম নির্যার্তিত হবার পরও রসূল সা. মক্কায় কিতালের ঘোষণা দেননি।
০৬. প্রয়োজন দেখা দিলে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর ফরযিয়াত বর্তায় রাষ্ট্রের উপর। রাষ্ট্র কিতালের ঘোষণা দেয়ার পর এ সম্পর্কে তার নাগরিকদেরও কর্তব্য নির্ধারণ করে দেবে।
-----------------------
০৮/০৮/২০১৫ খ্রি.
০২. রসূল সা. এবং সাহাবিগণ হিজরত করে মদিনায় আসার পর যখন রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব লাভ করেন, কেবল তখনই আল্লাহ পাক কিতালের অনুমতি ও নির্দেশ প্রদান করেন।
০৩. খন্দকের যুদ্ধ পর্যন্ত রসূল সা.-এর যুদ্ধগুলো ছিলো ডিফেন্সিভ। পরবর্তী যুদ্ধগুলো ছিলো আগ্রাসন বিরোধী।
০৪. কিতালের প্রয়োজন দেখা দিলে কিতালের সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের।
০৫. রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ববিহীন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন কর্তৃক কিতালের ঘোষণা দেয়ার সুযোগ নেই। যেমন, চরম নির্যার্তিত হবার পরও রসূল সা. মক্কায় কিতালের ঘোষণা দেননি।
০৬. প্রয়োজন দেখা দিলে কিতাল ফি সাবিলিল্লাহর ফরযিয়াত বর্তায় রাষ্ট্রের উপর। রাষ্ট্র কিতালের ঘোষণা দেয়ার পর এ সম্পর্কে তার নাগরিকদেরও কর্তব্য নির্ধারণ করে দেবে।
-----------------------
০৮/০৮/২০১৫ খ্রি.
0 comments: