কোরআনে অনেক জায়গাতেই কাফেরদেরকে (যারা আল্লাহর বিধানকে অস্বীকার করে) অজ্ঞ বা নির্বোধ প্রকৃতির লোক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে এদের অন্তর অন্ধ। এরা সত্যকে চিনতে পারে না।
“আর যখন কোন সুরা নাযিল করা হয়, তখন তারা এক অপরের দিকে তাকাতে থাকে; (এবং বলে যে) তোমাদের কি কেউ দেখে না? অতঃপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কারণ তারা হচ্ছে নির্বোধ সমাজ মাত্র”। (তওবাঃ ১২৭)
“তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে তারা দু’শর মুকাবিলায় জয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে একশ’ লোক থাকে তারা হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে। কারণ তারা জ্ঞানহীন”। (আনফালঃ ৬৫)
“তারা কি এইজন্য যমীনে চলাফেরা করেনি যাতে তারা সমঝদার হৃদয় ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারে? বস্তুত, চক্ষুতো অন্ধ হয় না, কিন্তু বক্ষস্থিত অন্তরই অন্ধ হয়”। (আল-হজ্বঃ ৪৬)
আয়াতগুলো পড়লে পরিস্কার বোঝা যায় এসব লোকগুলোর আসলে বুদ্ধিসুদ্ধি নেই, নির্বোধ। বিষয়টা বড় ভাবনার। বাস্তবে আমরা এমন বহু মানুষকে দেখেছি যাঁদেরকে অনেক বেশি জ্ঞানী মনে হয় যদিও তাঁরা স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন। তাহলে কোরআনের বক্তব্যের সাথে মিলল?
আরও একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায় আসলেই তাঁরা মুর্খ। তারা জানেন বটে, তবে যা জানেন তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয়; কখনও কখনও বিপজ্জনক।
সমাজের নৈতিক ভিত্তির কথায় ধরুন। আপাত দৃষ্টিতে অনেক বড় বড় সমাজ বিজ্ঞানীর দেখা আমরা পেয়েছি। কিন্তু গীবত যে একটা সামাজিক অপরাধ- এই ধারণাটা কোন সমাজ বিজ্ঞানী দিয়েছেন বলে আমার জানা নাই। পরিবার, বিয়ে, বিয়ে বিচ্ছেদ (তালাক), পিতা-মাতা সম্পর্ক, ছোট-বড় সম্পর্ক, সম্ভাষণ (সালাম), পর্দা (এটা যে কল্যাণকর সেটাই তো উনাদের উপলব্ধিতে এলো না), নেতা-কর্মী সম্পর্ক, গণজমায়েত (ঈদ, জুমা), মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ে অনেক তত্ব বা মতবাদ এলেও কল্যাণকর এবং বেস্ট সল্যুশন তাঁরা দেখাতে পারেন নি। তবে এসব তথাকথিত পন্ডিতদের কোন যুক্তিতে জ্ঞানী বলা চলে!
অর্থনীতির কথা ধরুন। অনেক মত ও পথ এসেছে। সুদ যে একটা জুলুম, এই বোধটাই এখনও তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়নি। যাকাত যে অর্থনীতির ভিত্তি হতে পারে, এ জ্ঞানই তাদের নেই। যাকাত ও দানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা তো আরও অনেক পরের ব্যাপার।
মানবাধিকার নিয়ে ব্যপক হৈচৈ। এটা প্রতিষ্ঠিত করতে জাতিসংঘ তৈরি করা হলো। ফলাফল কারও অজানা নয়। ইরাকীদের মুক্ত করতে আমেরিকা শান্তির জন্য যুদ্ধ শুরু করল। বিশ্বে এত এত অস্ত্র তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে, কিন্তু যুদ্ধের সঠিক নীতি এইসব তথাকথিত পন্ডিতেরা দিতে পারল না। মুর্খতা আর কাহাকে বলে?
রাষ্ট্রব্যবস্থার কথায় আসি। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস বলে জনগণের সাথে আহম্মকি করা হয়। এত কিছু অবলম্বন করেও রাষ্ট্রকে দুর্ণীতিমুক্ত করা সম্ভব হয় না। এমন কিছুর জ্ঞান তাদের নেই যা দিয়ে জনগণের সার্বিক কল্যাণ করা সম্ভব হতে পারে। নইলে বড় বড় সুশীলরা ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া দুরের কথা অবনতি হয় কিভাবে?
ডিপ্রেসন দুরীকরণে এইসব তথাকথিতরা অব্যর্থ কোন ঔষধ দিতে পারেন নি, মানুষের সাস্টেইনেবিলিটির জন্য যা ভীষণ প্রয়োজনীয়।
আরও কিছু বিষয় যা তাদের উপলব্ধিতে আসে না। একটা মানুষের অন্যায়ভাবে এক হাজারটা খুনের শাস্তি এবং অপর মানুষের অন্যায়ভাবে একটা খুনের শাস্তি কখনও একই রকম হতে পারে না। নিজের জীবনের কি মানে থাকতে পারে তা তার নিজেরও জানা নেই।
“তাদের মধ্যে আর একটি দল আছে, যারা উম্মী। খোদার কিতাব সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞানই নাই। নিজেদের ভিত্তিহীন আশা-আকাঙ্খা ও ইচ্ছা-বাসনাই তাদের একমাত্র সম্বল, ও অমূলক ধারণা-বিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত হয়”। (বাকারাঃ ৭৮)
“তিনি যাকে চান, জ্ঞান ও সুবুদ্ধি দান করেন; আর যে ব্যক্তি এই জ্ঞান লাভ করল, প্রকৃতপক্ষে সে বিরাট সম্পদ লাভ করল। এইসব কথা থেকে তারাই শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করতে পারে যারা বুদ্ধিমান”। (বাকারাঃ ২৬৯)
“আর যখন কোন সুরা নাযিল করা হয়, তখন তারা এক অপরের দিকে তাকাতে থাকে; (এবং বলে যে) তোমাদের কি কেউ দেখে না? অতঃপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরগুলোকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কারণ তারা হচ্ছে নির্বোধ সমাজ মাত্র”। (তওবাঃ ১২৭)
“তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে তারা দু’শর মুকাবিলায় জয়ী হবে। আর যদি তোমাদের মধ্যে একশ’ লোক থাকে তারা হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে। কারণ তারা জ্ঞানহীন”। (আনফালঃ ৬৫)
“তারা কি এইজন্য যমীনে চলাফেরা করেনি যাতে তারা সমঝদার হৃদয় ও শ্রবণশক্তিসম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারে? বস্তুত, চক্ষুতো অন্ধ হয় না, কিন্তু বক্ষস্থিত অন্তরই অন্ধ হয়”। (আল-হজ্বঃ ৪৬)
আয়াতগুলো পড়লে পরিস্কার বোঝা যায় এসব লোকগুলোর আসলে বুদ্ধিসুদ্ধি নেই, নির্বোধ। বিষয়টা বড় ভাবনার। বাস্তবে আমরা এমন বহু মানুষকে দেখেছি যাঁদেরকে অনেক বেশি জ্ঞানী মনে হয় যদিও তাঁরা স্রষ্টায় বিশ্বাসী নন। তাহলে কোরআনের বক্তব্যের সাথে মিলল?
আরও একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায় আসলেই তাঁরা মুর্খ। তারা জানেন বটে, তবে যা জানেন তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অপ্রয়োজনীয়; কখনও কখনও বিপজ্জনক।
সমাজের নৈতিক ভিত্তির কথায় ধরুন। আপাত দৃষ্টিতে অনেক বড় বড় সমাজ বিজ্ঞানীর দেখা আমরা পেয়েছি। কিন্তু গীবত যে একটা সামাজিক অপরাধ- এই ধারণাটা কোন সমাজ বিজ্ঞানী দিয়েছেন বলে আমার জানা নাই। পরিবার, বিয়ে, বিয়ে বিচ্ছেদ (তালাক), পিতা-মাতা সম্পর্ক, ছোট-বড় সম্পর্ক, সম্ভাষণ (সালাম), পর্দা (এটা যে কল্যাণকর সেটাই তো উনাদের উপলব্ধিতে এলো না), নেতা-কর্মী সম্পর্ক, গণজমায়েত (ঈদ, জুমা), মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ে অনেক তত্ব বা মতবাদ এলেও কল্যাণকর এবং বেস্ট সল্যুশন তাঁরা দেখাতে পারেন নি। তবে এসব তথাকথিত পন্ডিতদের কোন যুক্তিতে জ্ঞানী বলা চলে!
অর্থনীতির কথা ধরুন। অনেক মত ও পথ এসেছে। সুদ যে একটা জুলুম, এই বোধটাই এখনও তাঁদের মধ্যে তৈরি হয়নি। যাকাত যে অর্থনীতির ভিত্তি হতে পারে, এ জ্ঞানই তাদের নেই। যাকাত ও দানের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারা তো আরও অনেক পরের ব্যাপার।
মানবাধিকার নিয়ে ব্যপক হৈচৈ। এটা প্রতিষ্ঠিত করতে জাতিসংঘ তৈরি করা হলো। ফলাফল কারও অজানা নয়। ইরাকীদের মুক্ত করতে আমেরিকা শান্তির জন্য যুদ্ধ শুরু করল। বিশ্বে এত এত অস্ত্র তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে, কিন্তু যুদ্ধের সঠিক নীতি এইসব তথাকথিত পন্ডিতেরা দিতে পারল না। মুর্খতা আর কাহাকে বলে?
রাষ্ট্রব্যবস্থার কথায় আসি। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস বলে জনগণের সাথে আহম্মকি করা হয়। এত কিছু অবলম্বন করেও রাষ্ট্রকে দুর্ণীতিমুক্ত করা সম্ভব হয় না। এমন কিছুর জ্ঞান তাদের নেই যা দিয়ে জনগণের সার্বিক কল্যাণ করা সম্ভব হতে পারে। নইলে বড় বড় সুশীলরা ক্ষমতায় আসার পরও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া দুরের কথা অবনতি হয় কিভাবে?
ডিপ্রেসন দুরীকরণে এইসব তথাকথিতরা অব্যর্থ কোন ঔষধ দিতে পারেন নি, মানুষের সাস্টেইনেবিলিটির জন্য যা ভীষণ প্রয়োজনীয়।
আরও কিছু বিষয় যা তাদের উপলব্ধিতে আসে না। একটা মানুষের অন্যায়ভাবে এক হাজারটা খুনের শাস্তি এবং অপর মানুষের অন্যায়ভাবে একটা খুনের শাস্তি কখনও একই রকম হতে পারে না। নিজের জীবনের কি মানে থাকতে পারে তা তার নিজেরও জানা নেই।
“তাদের মধ্যে আর একটি দল আছে, যারা উম্মী। খোদার কিতাব সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞানই নাই। নিজেদের ভিত্তিহীন আশা-আকাঙ্খা ও ইচ্ছা-বাসনাই তাদের একমাত্র সম্বল, ও অমূলক ধারণা-বিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত হয়”। (বাকারাঃ ৭৮)
“তিনি যাকে চান, জ্ঞান ও সুবুদ্ধি দান করেন; আর যে ব্যক্তি এই জ্ঞান লাভ করল, প্রকৃতপক্ষে সে বিরাট সম্পদ লাভ করল। এইসব কথা থেকে তারাই শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করতে পারে যারা বুদ্ধিমান”। (বাকারাঃ ২৬৯)
নির্বোধের সন্ধানে - মাহমুদ রহমান
1 comments:
very good.