পিলখানা হত্যাকান্ড ► বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের ভারতীয় ষড়যন্ত্র

http://a8.sphotos.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-ash2/181985_203377396344938_169748906374454_855990_7473925_n.jpg

পিলখানা বিদ্রোহের সময় অর্ধশতাধিক সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়নি। দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি আওয়ামী লীগের বিদ্বেষের কারণেই যে এ মর্মান্তক ঘটনা ঘটেছে সেনাবাহিনীর তদন্ত রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের দুটি বাহিনীকে ধ্বংস করা জন্য যাদের ইন্ধনে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানরা এ হত্যাযজ্ঞ চালালো তাদের বিচার হবে কি ?

১.
২৫-২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলে সরকারের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি করা হয়। এরপর আবার সরকারের এক মন্ত্রীকে গঠিত কমিটিগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়, যার উদ্দেশ্য তদন্ত কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সত্যকে আড়াল করা ছাড়া আর কিছুই নয়।




২. ঘটনার বিশ্লেষণ - সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ভারত


২.১ ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

পিলখানা ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদঘাটন করতে হলে প্রথমে সমগ্র বিষয়টিকে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখতে হবে। দেশের অস্তিত্ব বিরোধী এতো বড় একটি ষড়যন্ত্রের পেছনে বাইরের শক্তির সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব সমপ্রতি বিশ্ব রাজনীতির স্পটলাইট মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরিয়ে দক্ষিণ এশিয়াতে স্থাপন করেছে। এজন্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ভারতের কাছে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত ও চীনের মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের গভীরে সামরিক ঘাঁটি তৈরী করতে (যাকে তারা এখন বলছে বঙ্গোপসাগরে নৌ-টহল দেয়া) সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি তাঁবেদার সরকার বসাতে চেষ্টা করছে, যে তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ইদানীং পরস্পরের মিত্রশক্তিতে পরিণত হলেও দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে ভারতের আছে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা। বস্তুতঃ ভারত এই উপমহাদেশে নিজেকে চালকের আসনে দেখতে চায়, আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে চায় এবং এ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যেই নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, মিয়ানমার কিংবা বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোকে ক্রমশঃ ভারতের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়ার রয়েছে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।

আধিপত্যবাদী এই নীতি থেকেই ভারত সবসময় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে অস্থিতিশীল দেখতে চায়, পরিণত করতে চায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে। যেন ভুটানের মতো বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও নেপালও রাষ্ট্র হিসাবে ব্যর্থতার গ−ানি কাঁধে নিয়ে একসময় ভারতের অর্ন্তভূক্ত হয়ে যায়। এ লক্ষ্যে ভারত সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অশান্ত করতে চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নানারকম অপতৎপরতা বা অপপ্রচার। বিগত বেশ ক’বছর যাবত বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসাবে ব্যর্থ প্রমাণ করতেও চলছে একই রকম অপতৎপরতা। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল করতে সেনাবাহিনীর ইমেজ নষ্ট করারও চেষ্টা চালানো হয়েছে বিভিন্নভাবে। এই প্রসঙ্গে গত ১৯নভেম্বর ২০০৮ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় ও কার্ল জে সিওভাক্কো কর্তৃক লিখিত ও Harvard International Review নামক পত্রিকায় প্রকাশিত Stemming the Rise of Islamic Extremism in Bangladesh শীর্ষক নিবন্ধের সারমর্ম উলে−খ করা যেতে পারে। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ এর নির্বাচনের পূর্বে লিখিত এই নিবন্ধে জয় বলেছে ÒThe Islamists cleverly began growing their numbers within the Army by training for the Army Entrance Exams at madrassas.Ó অর্থাৎ সেনাবাহিনীতে চালাকি করে মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢুকে পড়ছে; এটা হচ্ছে মাদ্রাসা পর্যায়ে সেনাবাহিনীর ভর্তি পরীক্ষার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। তিনি ঐ নিবন্ধে এ সম্পর্কে অসংখ্য তথ্য (তথাকথিত) উপস্থাপন করেছিলেন যার কোন সূত্র উলে−খ করা ছিল না। সেনাবাহিনীর ইসলামীকরণ ঠেকানোর জন্য তিনি Toward Renewal: A Secular Plan শিরোনামে অনেক কিছুর মাঝে সেনাবাহিনী পূনর্গঠনের পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেছিলেন। এছাড়াও ভারতের এ দেশীয় দালালরা বিভিন্ন টকশো বা সভা-সেমিনারে এ দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করেছে এবং জনগণ ও সেনাবাহিনীর মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
http://amarbornomala.com/uploadedimage/5916n1277846847_30077131_1436625.jpg
শক্তিশালী নেতৃত্ব, শাসনব্যবস্থা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশ যদি একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তবে তা হবে ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির জন্য হুমকি স্বরুপ কারণ, তাহলে অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং তারাও ভারতের প্রভাববলয় থেকে বের হয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। পরিণতিতে ভারতের ‘অখন্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাবে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পরক্ষণেই কংগ্রেস সভাপতি আচার্য কৃপানলি বলেছিলেন : Neither the Congress nor the nation has given up its claim of United India' -কংগ্রেস কিংবা জাতি অখন্ড ভারতের দাবি পরিত্যাগ করেনি। ভারতের তৎকালীন প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল−ভ ভাই প্যাটেল বলেছিলেন : 'Sooner than later, we shall again be united in common allegiance to our nation.' অর্থাৎ অতি সত্বর আমরা জাতি হিসেবে আবার একীভূত হব। ল্যাবি কলিন্স ও ডমিনিক লেপিয়ার লেখা বই মাউন্ট ব্যাটেন অ্যান্ড দ্য পার্টিশন অব ইন্ডিয়া-য় বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলার তখনকার দাবির বিরুদ্ধে হিন্দু মহাসভার আপত্তি সমর্থন করেছিলেন পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু। এ প্রসঙ্গে মাউন্ট ব্যাটেন উলে−খ করেন: Pundit Neheru has stated that he would not agree to Bengal being independent... In his opinion, East Bengal was likely to be a great embarrassment to Pakistan. Presumably, Pundit Neheru considered East Bengal was bound sooner or later to rejoin India.' অর্থাৎ পন্ডিত নেহেরু বলেছেন যে তিনি স্বাধীন বাংলা মেনে নেবেন না। ... তার মতে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। পন্ডিত নেহেরু মনে করতেন যে পূর্ব বাংলা এক সময় ভারতের সাথে যোগ দিবে। এখানে ইন্ডিয়া ডকট্রিনের প্রতিফলন রয়েছে। ইন্ডিয়া ডকট্রিনের সারকথা হচ্ছে - দক্ষিণ এশিয়া হচ্ছে একটা স্ট্র্যাটেজিক ইউনিট, যার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ভারতের হাতে; আর ভারতই এ অঞ্চলের জন্য একটি আঞ্চলিক নীতি প্রণয়নের অধিকার রাখে। আমরা শুনেছি গুজরাল ডকট্রিনের কথাও - ভারত তার স্বার্থের প্রতি আঘাত সৃষ্টিকারী যেকোনো দেশের ওপর আক্রমণ চালানোর অধিকারও রাখে।



২.২ বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ঐতিহাসিক আচরণ

এ দেশের বামঘরানা ও ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতির মানুষেরা কোন এক রহস্যজনক কারণে ভারতের ব্যাপারে অত্যন্ত রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই গত ৩৮ বছর যাবত বাংলাদেশের প্রতি ভারতের তীব্র শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব ও চরম বিমাতাসুলভ আচরণের পরও তারা সকল ক্ষেত্রে ভারতকে ষড়যন্ত্রকারীদের তালিকার বাইরে রাখেন। প্রয়োজনে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে হলেও তারা ভারতমাতার স্তুতি গাওয়াকেই অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করেন। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও ভারত প্রেমিক বুদ্ধিজীবি ভারতমাতার পায়ে জীবন উৎসর্গ করতে চান। মেনে নিতে চান ভারতের সকল অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবী-দাওয়া। কিংবা, ভারতের আধিপত্যবাদী ও আগ্রাসনমূলক কার্যকলাপকে দেখেন মাতৃসুলভ স্নেহের দৃষ্টিতে। গত ৩৮ বছরে বাংলাদেশের সাথে ভারত যে বন্ধুপ্রতিম (?) আচরণ করেছে তার সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ:



১.প্রায় ৪ হাজার কি.মি. দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের ভূমিকা আগ্রাসনমূলক। বিএসএফ গড়ে প্রতি তিনদিনে একজন করে বাংলাদেশী হত্যা করছে বলে তথ্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এদের বেশীর ভাগই নিরীহ গ্রামবাসী। এমনকি ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নিরীহ গ্রামবাসীদের সম্পদ লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদি জঘন্য কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।



২.আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত সীমান্তে দীর্ঘ কাঁটাতারের বেড়া তৈরী অব্যাহত রেখেছে।



৩.মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারতকে বেরুবাড়ি হস্তান্তর করলেও, বাংলাদেশ এখনো তিনবিঘা করিডোর ফেরত পায়নি। উপরন্তু, এ সব অঞ্চলের মানুষেরা স্বধীন দেশের নাগরিক হয়েও গত ৩৮ বছর যাবত উম্মুক্ত জেলখানায় বন্দী হিসাবে দিন কাটাচ্ছে।



৪.বাংলাদেশের সীমানায় জেগে উঠা তালপট্টি দ্বীপকে ভারত জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। নীলফামারী, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো এদেশের হাজার হাজার একর জমি ভারতের দখলে রয়েছে।



৫.আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ভারত আমাদেরকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা ফারাক্কা বাঁধ, টিপাইমুখী বাঁধসহ উজানে আরও ডজন খানেক বাঁধ দিয়ে এদেশকে পুরোপুরি মরুভূমি করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। ভারতের ‘আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হলে তা বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও অর্থনীতিতে ডেকে আনবে চরম বিপর্যয়। কমে যাবে নদীর নাব্যতা, মিঠা পানির মাছের উৎপাদন হ্রাস পাবে, আর্সেনিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করবে এবং ক্রমশ: বাংলাদেশের বিশাল এলাকা পরিণত হবে ধূ ধূ মরুভূমিতে।



৬.চোরাকারবারীদের মাধ্যমে ভারত এদেশে মাদক, জালমুদ্রাসহ ভারতীয় বিভিন্ন নিম্নমানের সামগ্রী ঠেলে দিচ্ছে। আর, অপরদিকে এদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে তেল ও সার। বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত রির্পোট থেকে জানা যায়, পিলখানা ট্রাজেডির পর সীমান্তে বিডিআরের অনুপস্থিতির সুযোগে এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল ও সার ভারত ও মিয়ানমারে পাচার হয়ে গেছে। আর দেশে প্রবেশ করেছে মাদকসহ বিভিন্ন নিম্নমানের ভারতীয় সামগ্রী।

৭.ভারত সবসময়ই এদেশীয় কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। নানাভাবে উস্‌কে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে। ২০০৭ সালের ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলার সাথেও ভারতের সংশি−ষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং সেইসাথে জেএমবি নেতাদের বহুবার ভারত যাওয়া আসার প্রমাণ মিলেছে।



৮.খোদ ভারতের মাটিতেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় ‘নিখিল বঙ্গ সংঙ্ঘের’ ব্যানারে চলছে বাংলাদেশকে বিভক্ত করার এক জঘন্য ষড়যন্ত্র। সমপ্রতি কলকাতার বঙ্গসেনারা এদেশের ১৯টি জেলা নিয়ে কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রিক একটি প্রবাসী বঙ্গভূমি সরকার গঠনের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাদের শে−াগান ছিল ‘বঙ্গভূমির দখল চাই’। তারা ভারত সরকারের চোখের সামনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই হীন অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

৯.বাংলাদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য ভারত দীর্ঘ এই সীমান্ত অঞ্চলে অসংখ্য ফেনসিডিলের কারখানা তৈরী করেছে এবং অবৈধ উপায়ে তা বাংলাদেশে পাচার করছে। ফলে মাদকের মরণনেশায় ধ্বংস হচ্ছে এ দেশের যুবসমাজ।



কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে এদেশের বিরুদ্ধে ভারতের এত ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার পরও বিগত ৩৮ বছর ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকার ভারতকে বন্ধুর মর্যাদায় আসীন করে তার প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি করেছে। শুধু তাই নয়, তারা বিভিন্ন সময় ভারতকে এদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপেরও সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে।


২.৩ সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ভারত কেন?



বর্তমান সরকার ও তাদের ভারতপন্থী বুদ্ধিজীবীরা যুক্তি দিচ্ছেন - ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে না, কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়; যারা বর্তমান সরকারকে হটাতে চায় তারাই এসব করেছে; এসবের পিছনে জঙ্গিরাও থাকতে পারে - তাদের এসব কথার কোন ভিত্তি নেই:


প্রথমত: বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করা ভারতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি। অতীতেও ভারত এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের ‘অখন্ড ভারত’ ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদা লাভের পথ সুগম হয়।


দ্বিতীয়ত: মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময়ই ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সবেচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী। এখানেও লাভবান একমাত্র ভারত। যেসব মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের মত সেনা কর্মকর্তা তৈরী করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। উপরন্তু এই সেনা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বিডিআর ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সন্দেহ এবং ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হবে, তার দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধাও যাবে ভারতের পকেটে।


তৃতীয়ত: দেশের সীমান্ত অরক্ষিত হলে সবচেয়ে সুবিধা হবে ভারতের। ভারত এ সুযোগে অনেক পুশ ইন করবে, যার মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, ভারতীয় মটর সাইকেল এবং কিছু মানুষ, যারা কোন ঘটনা ঘটাবার অপেক্ষায় থাকবে। অন্যদিকে বিডিআরের চেইন অব কমান্ড ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিডিআরকে তার পূর্বের শক্তিশালী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও দীর্ঘ সময় প্রয়োজন।
 http://www.thedailystar.net/magazine/2009/03/01/cover1.jpg

৩. ঘটনা-পরবর্তী ভারতীয় প্রতিক্রিয়া

বিডিআর হেডকোর্য়াটারে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পরপরই ভারতীয় রাষ্ট্র সংশি−ষ্ট ব্যক্তিবর্গের উক্তি থেকে শুরু করে, তাদের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি এবং সে দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রকাশিত খবরগুলো যে কোন ব্যক্তিকে উদ্বিগ্ন করার জন্য যথেষ্ট। নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়গুলো যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি রাখে।

৩.১ ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনোভাব বলে দেয় যে তারা এই ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে:



#ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে কোন ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বিডিআরকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।



#“...এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহায়তা দিতে ভারত প্রস্তুত। ... আমি তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর সতর্কবাণী পাঠাতে চাই, যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, তারা যদি একাজ অব্যাহত রাখে, ভারত হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, প্রয়োজনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে”। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী নয়া দিল্লীতে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে একথা বলেন, যা আউট লুক-এর একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়।



শেখ হাসিনার সরকারকে রক্ষা করার প্রয়োজন কেন ভারতের? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় ২৫ফেব্রুয়ারীর ঘটনার পর বিডিআর এর যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ভারত শেখ হাসিনার মাধ্যমে করাতে চায়। এমনকি সম্ভব হলে তারা নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সংস্কারও করতে চাইবে।



৩.২ ভারতের সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতি দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করেছে। এই প্রস্তুতি সম্পর্কে মিডিয়ায় যা প্রকাশিত হয়েছে তা নিম্নরূপ:



১.ভারতের প্রখ্যাত ইংরেজী দৈনিক Hindustan Times এ গত ২ মার্চ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের পরপরই বাংলাদেশে humanitarian intervention বা মানবিক হস্তক্ষেপের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। পত্রিকাটি জানায় যে, বিদ্রোহের দিন ভারতের বিমান বাহিনী (আইএএফ) IL-76 হেভি লিফ্‌ট এবং AN-32 মিডিয়াম লিফ্‌ট এয়ারক্রাফট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো। আসামের জোরহাটে অবস্থিত ভারতের সবচাইতে বড় বিমান ঘাটিকে এই সহায়তা মিশনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।



২.বিএসএফ এর একজন ডাইরেক্টর জেনারেলের উক্তি থেকেও ভারতের সামরিক প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। গত ৪ মার্চ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,“বাংলাদেশে এই সঙ্কট (শুরু) হবার পর, আমরা ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত আমাদের সকল সৈন্যদল ও অফিসারদের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছি।”



৩.বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে জানা যায় ঘটনার পরপরই সীমান্তে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বেনাপোলসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ বিপুলসংখ্যক বিএসএফ সদস্যের পাশাপাশি বিশেষ কমান্ডো বাহিনী ব্লাকক্যাট মোতায়েন করে। একই সাথে সমস্ত সীমান্ত জুড়ে রেডএলার্ট জারি করে।



৪.ভারতের প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায় ভারত সরকার মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার জন্য বিএসএফ-কে শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানোরও প্রস্তাব দিয়েছে।

স্বাভাবতই প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিডিআর বাহিনীর অভ্যন্তরীণ এই বিদ্রোহকে ঘিরে ভারতের মতো একটি বিশাল রাষ্ট্রের এতো প্রস্তুতি কেন। আর যাই হোক এই বিদ্রোহ কোনভাবেই ভারতের জন্য নিরাপত্তা হুমকি ছিলো না। আর তাছাড়া যে বিদ্রোহের গুরুত্ব ও ভয়াবহতা (প্রধানমন্ত্রীর সংসদে প্রদত্ত ভাষ্য অনুযায়ী) প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, যে জন্য তারা সেনা অফিসারদের রক্ষায় দ্রুত সামরিক অভিযানে না গিয়ে ৩৬ ঘন্টা যাবত হত্যাকারীদের সাথে একের পর এক বৈঠক করে ধীর স্থিরতার সাথে রাজনৈতিকভাবে সামরিক বিদ্রোহ দমন করলেন, সেই বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ভয়াবহতা ভারত সরকারই বা কিভাবে বুঝে ফেললো ? এছাড়া এ দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যকার যে কোন বিদ্রোহ দমনে এ দেশীয় দক্ষ সেনাবাহিনীই যথেষ্ট, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাহলে, ভারতের মিশন কী? বাংলাদেশের বর্তমান বন্ধু সরকারকে রক্ষা করা? বাংলাদেশের সরকারকে রক্ষা করবে ভারতীয় বাহিনী। কেন? আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নেই? নাকি প্রধানমন্ত্রী তাদের বিশ্বাস করেন না?



৩.৩ ভারতের মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া



২৭ ফেব্রুয়ারীর পূর্ব পর্যন্ত এদেশের জনগণও পুরোপুরিভাবে তথাকথিত এই বিদ্রোহের আসল রূপ বুঝতে পারেনি। অথচ পুরো সময়ে ভারতীয় মিডিয়া ছিল অত্যন্ত তৎপর:



১.বিডিআর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ আরও ১১ জন সেনা কর্মকর্তার নিহত হবার সংবাদ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল এনডিটিভিতেই সর্বপ্রথম প্রচার করা হয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা যেখানে দুই দিনেও শাকিল আহমেদের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি, সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ঘন ঘন বিডিআর হেডকোর্য়াটারে যাতায়াত করে হত্যাকারীদের সাথে দফায় দফায় দেনদরবার করেও যেখানে গণহত্যার খবর পায়নি, সেখানে সুদূর ভারতে বসে ভারতীয় মিডিয়া ১২ জন অফিসারের নিহত হবার বিষয়ে কি করে নিশ্চিত হলো? তাহলে কি তাদের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টরা বিডিআর হেডকোর্য়াটারের ভেতরে অবস্থান করছিলো?



২.ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বি. রমন ২৭ ফেব্রুয়ারী ভারতের বিখ্যাত ম্যাগাজিন আউটলুকে বলেন ভারতের প্রতি বিডিআর সদস্যদের বৈরী মনোভাব বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা।



৩.ঘটনার পরপরই ভারতের প্রিন্ট মিডিয়ায় বিডিআরকে একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বাহিনী হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।



৪.আর আনন্দবাজার, টেলিগ্রাফ এর মত পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আক্রমণ করে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রচার করেছে। এমনকি বিডিআর-এর ঘটনায় জঙ্গী কানেকশন ভারতীয় মিডিয়াই প্রথম আবিষ্কার করে। পরবর্তীতে একই ধরণের কথা আমরা এদেশের মন্ত্রীদের মুখে শুনতে পাই।





৪. সরকারের ভূমিকা

৪.১ ফেব্রুয়ারী ২৫-২৬



পরিস্থিতির বিশ্লে−ষণ থেকে বুঝা যায় ঘটনার শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছে। এতো বড় ঘটনার পরিকল্পনা চলছিল আর সরকার তা জানে না, একথা মেনে নেয়া যায় না। তাছাড়া জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সংশি−ষ্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে কেন শুরুতেই অনভিজ্ঞ প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে যারা কতিপয় বিদ্রোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে? অথচ তারা সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের জান-মাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই সরকার কি উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলো? যে ঘোষণার সুযোগ নিয়ে তারা দেড় দিন ধরে লাশ গুম, ব্যাপক লুটতরাজ ও সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গের উপর নির্যাতন করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে বিডিআর সদর দপ্তরের আশেপাশের লোকজনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে এবং বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রকৃতপক্ষে কি ঘাতকদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়নি? সাহারা খাতুন ২৫ ফেব্রুয়ারী অস্ত্র জমা নিলেন, তারপরও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাইরে গেল কিভাবে? যেসব বিদেশী নাগরিক আইডিসহ ধরা পড়েছিল, তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হল কেন? বিমানে করে কারা পালালো? দেশবাসী ও সেনা কর্মকর্তারা এই রকম অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। দেশবাসী ও সেনা কর্মকর্তাদের এই সব মৌলিক প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি।

সেক্টর কমান্ডার লে. জে. মীর শওকত এক টকশোত বললেন, “সেনাবাহিনী আসতে পনের মিনিট, বিদ্রোহ দমন করতে পাঁচ মিনিট...”। লে. জে. শওকত অনেকবার এর আগে সেনা বিদ্রোহ, বিমান বাহিনীর বিদ্রোহ দমন করেছেন। একই ধরণের কথা আরো অনেকেই বলেছেন। তাহলে আধা ঘন্টার সামরিক সমাধানের পরিবর্তে ৩৬ ঘন্টার তথাকথিত রাজনৈতিক সমাধান হলো কেন? এর আগে জনাবা সাহারা খাতুন ও নানক সাহেব কয়টি বিদ্রোহ দমন করেছেন? ধানমন্ডির এমপি তাপস সাহেব মিডিয়ায় বললেন, ‘চমক আছে’! কী চমক? বাষট্টি সেনা কর্মকর্তার লাশ? নাকি সকল হত্যাকারীর পলায়ন! এখানে আরো একটি প্রশ্ন থেকে যায়। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে বিদ্রোহের সংবাদ জানার পর তিনি সেনাপ্রধানকে প্রশ্ন করে জেনেছেন সেনাবাহিনী আসতে দুই ঘন্টা লাগবে? কোনটা সত্য? আধা ঘন্টা না দুই ঘন্টা? রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নাকি ‘গৃহযুদ্ধ’ ঠেকিয়েছেন। আসলে কি তাই? প্রধানমন্ত্রীর সাথে যে ১৪ জন মিটিং করেছিল, তারা সবাই কি গ্রেফতার হয়েছে? তাদের তালিকা কোথায়? অনেকে বলেছে সরকার দক্ষতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এর তুলনা করা যেতে পারে এভাবে - অপারেশন সাকসেস্‌ ফুল, কিন্তু রোগী মারা গিয়েছে। বাস্তবতা হলো বিদ্রোহ দমন করা যেত, দমন করা হয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের বাঁচানো যেত, বাঁচানো হয়নি।

http://hello-today.com/ht/content/archives/2011/07/20525_1.jpeg

আমরা বীর সেনা কর্মকর্তা হারালাম, বিডিআরের চেইন অব কমান্ড ধ্বংস হলো, হত্যাকারীরা পালালো -এইসব কারণেই সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

৪.২ ঘটনা পরবর্তী সরকারের ভূমিকা

যে মন্ত্রী তথাকথিত বিদ্রোহীদের সাথে দর কষাকষি করেছে সে জাতির সামনে বলেছেন যে, বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনার পিছনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র ছিল এবং এই ষড়যন্ত্র বাস্ত বায়নের জন্য লক্ষ-কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তিনি সকল তদন্ত শুরু হবার আগেই এবং ঘটনার দুই দিনের মাথায় প্রকাশ্য সমাবেশে এই বক্তব্য দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে তবে কি তিনি আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জানতেন। তার এই বক্তব্যের সূত্র ধরে এখন সরকার ক্রমাগত ষড়যন্ত্রের কথা বলে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদসহ বিভিন্ন জায়গায় বিডিআরের ঘটনায় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন যা অসংলগ্নতায় পরিপূর্ণ এবং বাস্তব ঘটনার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এসবের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করা। যেমন তিনি বলেছেন সরকারকে বিব্রত করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে অথচ জনগণের কাছে পরিষ্কার যে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দূর্বল করার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন যে, সকাল ১১টার মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এটা জেনে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে দু’দুবার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, বিডিআরের তথাকথিত বিদ্রোহের পিছনে বৈধ কারণ রয়েছে। যেভাবে তথাকথিত বিদ্রোহীরা প্রথম দিন টিভি ক্যামরার সামনে এসে তাদের দাবী দাওয়ার কথা বলে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছিল, একই প্রক্রিয়াই সজীব জয় দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

ঘটনা তদন্তের জন্য এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বাংলাদেশে এসেছে। অর্থাৎ আমেরিকা ও বৃটেন বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত করবে। অথচ এই মার্কিন-বৃটিশরা সারা বিশ্বে মুসলিম নিধনে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, এরা সবাই সরকারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে। উপরন্তু, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয় যে এই বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনার সাথে সংশি−ষ্ট ভারত ও ভারতের এদেশীয় দোসরদের ভূমিকার দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করতে পারে।

সরকার মিডিয়াকে দায়িত্বশীল আচরণের কথা বলে এখন সত্য প্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকের একটি অংশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌছে যাওয়ায় সরকার ঐ ওয়েব সাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। হিযবুত তাহ্‌রীর, বাংলাদেশ এই ঘটনার বিশে−ষণ করে ভারতকে দায়ী করায় ও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করায় সরকার ৩১ জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। জনগণ এমনকি সেনা অফিসারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে কিছুই হয়না আর রাষ্ট্র রক্ষার জন্য রাজপথে নামলে হয় মামলা আর হয়রানি!



সরকার জনগণের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলকে দায়িত্বশীল হতে বলছে, অথচ তারা অন্যের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা দেখেছি সরকারের স্তাবকেরা বাংলাদেশের মিডিয়ায় ভারতীয় মিডিয়ার বক্তব্য হুবহু তুলে ধরছে, জঙ্গিবাদকে দায়ী করার চেষ্টা করছে, এমনকি সরকারের বয়স মাত্র পঞ্চাশ দিন ইত্যাদি বলে ঘটনার দায়দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তদন্ত কমিটির কোন রিপোর্ট প্রকাশ না হতেই সরকারের মন্ত্রীবর্গ ও মিডিয়া জঙ্গী গোষ্ঠীদেরকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা শুরু করেছে। আবার একই মন্ত্রী পরবর্তীতে বলছে যে জঙ্গীরা ছাড়া অন্যান্য গোষ্ঠীও এই ঘটনার সাথে জড়িত।

যেখানে ভারতে কিছু ঘটলেই ভারত সরকার পাশ্ববর্তী দেশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে, সেখানে সরকার পরিকল্পনা করেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

বিশ্লেণের উপসংহারে এসে আমরা বলতে পারি যে এই তথাকথিত বিদ্রোহ একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ, যার সাথে ভারত এবং সরকারের ভিতরে ও বাইরের ভারতীয় দোসর শক্তিসমূহ সংশি−ষ্ট। সেনাবাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তাদের হত্যাযজ্ঞে লাভবান হবে মুশরিক শত্রু রাষ্ট্র ও তাদের দোসররা। বিভিন্ন দাবির আড়ালে বিডিআর এর চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর কমান্ড থেকে বিডিআরকে বিচ্ছিন্ন করার নীলনক্‌শা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা। এই দাবি বাস্তবায়িত হলে সামগ্রিকভাবে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়বে। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনা-বিডিআর এর যৌথ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অথবা বাংলাদেশ রাইফেল্‌স এর যে কোন দুর্বলতা অথবা এই দুই প্রতিরক্ষা বাহিনীর পারস্পরিক সম্পর্কের দুর্বলতার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী আমাদের শত্রু রাষ্ট্র ভারত।

2 comments:

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন...

২০০১ সালে বাংলাদেশের রৌমারীতে ফেয়ার যুদ্ধেই বিএসএফ হায়েনাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল। কারণ তারাই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চুপিসারে বিডিআর হতে আমাদের ভূখন্ড দখল করতে এসেছিল। পরিণামে হাসিনা তৎকালীন বিডিআর প্রধানকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে ফিরত পাঠায়। পরে সময় না থাকাতে এবং ২০০১-০৬ মেয়াদে জোট সরকার ক্ষমতায় থাকায় হিন্দুস্থান প্রতিশোধ নিতে পারেনি। আর জোট সরকারের মেয়াদে ২০০৫ সালে আগ্রাসী বিএসএফের হায়েনা জীবন কুমার নিহত হলে পরের দিন বাকশালী সাবের ও ফারুক চৌধুরী ঘেউ ঘেউ করে যে জো সরকার নাকি ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে। অথচ এদের ভারতীয় বাপেরা যে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গ্রামবাসীদের মারধর ও এক কিশোরীকে আগে হত্যা করে তা নিয়ে কিছু বলল না। তাই ২০০৯ সালের পিলখানার গণ-হত্যার পটভূমি একদিনে হয়নি। এর মূলেই আওয়ামী-বাকশালীদের ভারত বন্দনা ও প্রভুভক্তিই বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৭০ জন সেনা সদস্যকে খুন করে। এটা গভীর চক্রান্তের ফসল। তাই এই ঘটনাকে ভিত্তি করে ২০০১ সালে নিহত হায়েনা বিএসএফের সদস্যদের পরিবারগণ এই নিয়ে উৎসব করে;

http://www.weeklyblitz.net/2125/indian-bsf-cocktail-party-on-pilkhana-massacre-day

কাপুরুষ বলেই সম্মুখ ও বিনা যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে এভাবে হত্যা করে। বাংলাদেশ ছোট হলেও অসভ্য-বর্বর ভারতীয় বিএসএফকে সম্মুখ যুদ্ধে ভয় করে না। এই পিলখানা হত্যাকান্ডের পরেও সীমান্তে হত্যাকান্ড অব্যাহত রাখে বিএসএফ। ফেলানীর নিহত হওয়া, হাবিবকে অসভ্য-বর্বর কায়দায় নির্যাতন সহ বহু নৃশংস কান্ড ঘটাতে থাকে। এরই প্রতিবাদ স্বরুপ যখন আমাদের কিছু হ্যাকার ভাইয়েরা ভারতীয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে তখন ক্যানেইডিয়ান বুদ্ধির ঢেকি বলে;

সীমান্তে ভারতের গুলি করা বিষয়টা আজকের না। গত দশ বছরের হিসাব ১০০৬ জন নিহত হয়েছে। সরকার আসছে সরকার যাচ্ছে। আগে কখনও বিষয়টা নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য না হলেও আওয়ামী-ভারত সমীকরনের নামে সুবিধা নেওয়ার জন্যে একদল তখনই সক্রিয় হয় - যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকে।

বলাই বাহুল্য - সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হত্যাকান্ডের পরিমান কমেছে। কিন্তু দুঃখজনক ভারতে মন্ত্রী পর্যায়ের গুলি বন্ধের আশ্বাসের পরও তা বন্ধ হচ্ছে না।

গতকাল থেকে দেখলাম - সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে বাংলাদেশের হ্যাকাররা। অপেক্ষা করছিলাম দেখার জন্যে তাদের যুদ্ধের অস্ত্রগুলো কি রকমের ( জ্ঞান আর প্রোগ্রাম) - দেখলাম থ্রি নটা থ্রি রাইফেল নিয়ে নেমেছে হ্যাকারাগন। সাথে আবার পাকিস্থানীরা যোগ দিয়েছে।

ঢিল মারলে পাটকেলটি খেতে হয় - সুতরাং ভারতীয় হ্যাকারাও বসেনেই - তারাও হ্যাক করছে। বাংলাদেশের ক্ষতি পুরনের জন্যে ইউএনডিপি আর কানাডা সরকারের অনুদান নিশ্চয় সমস্যা হবে না।

মাছরাংগা নিউজে দেখলাম মারাত্বক গুরুত্ব দিচ্ছি নিউজে। হাস্যকর একটা প্রচেষ্টা।

একটা স্বাধীন দেশের মুখপাত্র হলো সেই দেশের সরকার - তার পরিচালনায় যে দলই থাকুক না কেন - সরকারই দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। সরকারকে এড়িয়ে বা বিব্রত করে কতগুলো হ্যাকার যখন বাংলাদেশের এজেন্ডা নিয়ে সামনে আগায় - তখন তাদেরকে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশ যেহেতু অফিসালী ভারতে হোস্টাইল ন্যাশন না - দুই দেশের মধ্যে প্রচুর সমঝোতা চুক্তি আছে। সেই সুবাদে ভারত যদি বাংলাদেশকে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যেতে অনুরোধ করে (এবং করবে) - বাংলাদেশ সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হবে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সুতরাং যারা সাময়িক উত্তেজনায় এই কাজটা করেছেন - তারা একটু সাবধান হবে - এইটা আমার পরামর্শ।

আর পাকিদের সাথে যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ করাকে ফরজ মনে করেছে - তাদের জন্যে রইল করুণা।

আর শেষ কথা হলো - অনেকে দেখছি কম্পিউটার অপারেশন এবং টুকটাক প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে নিজেদের বৈজ্ঞানিক ভাবা শুরু করছেনে - কথা কথায় বিজ্ঞান মনষ্ক হবার জন্যে জনগনকে উপদেশ বিতরন করেন - উনারা কিভাবে এই ছেলে খেলায় নিজেদের সম্পৃক্ত করলেন - ভেবে সত্যই অবাক হচ্ছি।

এইটা যদি বাংলাদেশের সার্বিক কম্পিউটার প্রযুক্তির জ্ঞান হয় - তাইলে হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে।

এই বলদ কি দেখেনা যে বিএসএফ প্রধান বলে যে গুলি বন্ধ হবে না। ভারত শান্তিবাহিনী লেলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করা, পানি বঞ্চিত করা ইত্যাদি অপকর্ম করলেও কোন দোষ নয় কিন্তু কেউ প্রতিশোধ নিতে গেলেই নানা আপত্তি! এই বলদ বলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত দরকার নেই। দেখা যায় ভারত সরাসরি যতনা বাংলাদেশের ক্ষতি করতে পারে এই বলদ ক্যানেইডিয়ানের মত হিন্দুস্থানী তাবেদারদের মাধ্যমে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি করে। ভারতের অন্যায় ও জুলুম রুখতে হলে এ দেশের ভারতীয় দালালদের সবার আগে প্রতিরোধ করতে হবে। নতুবা পিলখানার মত দেশে আরো ভিন্ন ভিন্ন ধরণের ক্ষতি হতেই থাকবে। প্রবাদ এমনি এমনি হয়নি "ঘরের শত্রু বিভীষণ!"।

জসিম। বলেছেন...

বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারী মাস ভাষা আন্দোলনের জন্য গুরত্বপূর্ন, কিন্তু এখন এটি জাতীয় ক্ষতি এবং শোকের মাস হিসাবে চিহ্নিত হবে। কারন এ মাসেই ইতিহাসের বর্বোচিত হত্যাকান্ডে জাতি তার অত্যন্ত মেধাবী এবং চৌকষ সামরীক কমকর্তাদের হারায়।

কর্নেল গুলজারঃ বাংলাদেশী জাতীয় জীবনে যে কয়জন লোক সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিতে পেরেছেন তাদের মধ্য অন্যতম একজন। কর্নেল গুলজার আমার হিরো, এতো বেশী কেনো ভালবাসতাম তাকে জানিনা। আমার দৃড় বিশ্বাস কর্নেল গুলজার আমাদের স্মৃতি থেকে কখনও মুছে যাবেন না। এতো সাহসী আর কর্মশীল একজন মানুষের এতো মর্মান্তিক মৃত্যু আমি কোনদিনও মেনে নিতে পারিনি পারবোওনা।

'Justice delyed is Justice denied'. অত্যন্ত সত্য একটা বাণী। আজ প্রায় বছর হয়ে আসলো অথচ বিচারের কোন কুলকিনারা নাই। নিরীহ বিডিআর সদস্যরা ট্রায়ালের মুখোমুখী হচ্ছে অথচ মাস্টারমাইন্ডরা বরাবরের মতো ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে। এই বর্বর হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার কি আদৌ হবে?আমার তো মনে হচ্ছে হবেনা। কারণ গতকাল থেকে আবার দুইদলের মধ্য কাঁদা ছুড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। আর এটা শুরু করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজে।


নয়ন সমুখে তুমি নেই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই...

আজকের লেখা শেষ করছি শহীদদের মর্যাদা সম্পর্কে নাজিলকৃত একটা গুরত্বপূর্ন আয়াত দিয়ে:-

"And reckon not those who r killed in Allah's way as dead; nay, they r alive (&) r provided sustenance from their Lord..." (Al-Imran, 3:169) Don't call him dead; indeed he's alive as the Almighty said. may Allah grant him the eternal peace! ameen...

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম