সোনালী কাবিন
সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়না হরিণী
যদি নাও দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দুটি,
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ন কোনোকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;
ভালবাসা দাও যদি আমি দেব আমার চুম্বন,
ছলনা জানিনা বলে আর কোনো ব্যাবসা শিখিনি
দেহ দিলে দেহ পাবে দেহের অধিক মূলধন
আমারতো নেই শখি, যেই পণ্যে অলংকার কিনি।
বিবসন হও যদি দেখতে পাবে আমাকে সরল
পৌরষ আবৃত করে জলপাই পাতাও থাকবেনা,
তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিও সেই ফল
জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরষ্পর হব চিরচেনা
পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয়না কবিরা;
দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা- উপশিরা।...
আমাদের মিছিল
আমাদের এ মিছিল নিকট অতীত থেকে অনন্ত কালের দিকে ।
আমরা বদর থেকে ওহুদ হয়ে এখানে,
শত সংঘাতের মধ্যে এ শিবিরে এসে দাঁড়িয়েছি।
কে জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাব?
আমরা তো বলেছি আমাদের যাত্রা অনন্ত কালের।
উদয় ও অস্তের ক্লান্তি আমাদের কোনদিন ও বিহবল করতে পারেনি।
আমাদের দেহ ক্ষতবিক্ষত।
আমাদের রক্তে সবুজ হয়ে উঠেছিল মোতার প্রান্তর।
পৃথিবীতে যত গোলাপ ফুল ফোটে তার লাল বর্ণ আমাদের রক্ত।
তার সুগন্ধ আমাদের নিশ্বাস বায়ু
আমাদের হাতে একটি মাত্র গ্রন্ত আল কোরআন ।
এই পবিত্র গ্রন্ত কোনদিন, কোন অবস্থায়,কোন তৌহিদবাদিকে থামতে দেয়নি
আমরা কি করে থামি ?
আমাদের গন্তব্য তো এক সোনার তোরণের দিকে, যা এই ভুপৃষ্ঠে নেই।
আমরা আমাদের সঙ্গীদের ছেহারার বিভিন্নতাকে গ্রাহ্যের মধ্যে আনিনা ।
কারন আমাদের আত্মার গুঞ্জন হু হু করে বলে,
আমরা এক আত্মা, এক প্রান ।
শহীদের চেহারার কোন ভিন্নতা নেই ।
আমরাতো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর থেকে পৃথিবিতে পা রেখেছি ।
কেউ পাথরে, কেউ তাবুর ছায়ায়,কেউ মরুভুমির উষ্ণবালু কিংবা সবুজ কোন ঘাসের দেশে ।
আমরা আজন্ম এই মিছিলেই আছি ।
এর আদি বা অন্ত নেই।
পনের শতো বছর ধরে সভ্যতাগুলোর উত্থান পতনে আমাদের পদশব্দ থামেনি ।
আমাদের কত সাথীকে আমরা এই ভূপৃষ্ঠের কন্দরে কন্দরে রেখে এসেছি ।
তাদের কবরে ভবিষ্যতের গুঞ্জন একদিন মধুমক্ষিকার মত গুঞ্জন তুলবে ।
আমরা জানি ।
আমাদের ভয় দেখিয়ে শয়তান নিজেই অন্ধকারে পালিয়ে যায় ।
আমদের মুখায়বে আগামি ঊষার উদয় কালের নরম আলর ঝলকানি ।
আমদের মিছিল ভয় ও ধ্বংসের মাঝে বিশ্রাম নেইনি,নেবেনা।
আমাদের পতাকায় কালেমা এ তাইয়েবা
আমাদের এই বানী কাউকে কোনদিন থামতে দেইনি
আমরাও থামবোনা।
উপন্যাস
এক বেজা বিড়ালীর বিবর্তন - ডাউনলোড
আলোক পুলক শিহরণ - ডাউনলোড
কবিতা
সোনালি কাবিন - ডাউনলোড
উড়ালকাব্য - ডাউনলোড
সঙ্কলিত কিছু কবিতা - ডাউনলোড
ইংরেজী অনুবাদ - ডাউনলোড
অন্যান্য
কবির সাক্ষাৎকার -ডাউনলোড
সবগুলো একসাথে -ডাউনলোড
বখতিয়ারের ঘোড়া
মাঝে মাঝে হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করে ওঠে
মনে হয় রক্তই সমাধান, বারুদই অন্তিম তৃপ্তি;
আমি তখন স্বপ্নের ভেতর জেহাদ, জেহাদ বলে জেগে উঠি।
জেগেই দেখি কৈশোর আমাকে ঘিরে ধরেছে।
যেন বালিশে মাথা রাখতে চায় না এ বালক,
যেন ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে মশারি,
মাতৃস্তনের পাশে দু'চোখ কচলে উঠে দাঁড়াবে এখুনি;
বাইরে তার ঘোড়া অস্থির, বাতাসে কেশর কাঁপছে।
আর সময়ের গতির ওপর লাফিয়ে উঠেছে সে।
না, এখনও সে শিশু। মা তাকে ছেলে ভোলানো ছড়া শোনায়।
বলে, বালিশে মাথা রাখো তো বেটা। শোনো
বখতিয়ারের ঘোড়া আসছে।
আসছে আমাদের সতেরো সোয়ারি
হাতে নাংগা তলোয়ার।
মায়ের ছড়াগানে কৌতূহলী কানপাতে বালিশে
নিজের দিলের শব্দ বালিশের সিনার ভিতর।
সে ভাবে সে শুনতে পাচ্ছে ঘোড়দৌড়। বলে, কে মা বখতিয়ার?
আমি বখতিয়ারের ঘোড়া দেখবো।
মা পাখা ঘোরাতে ঘোরাতে হাসেন,
আল্লার সেপাই তিনি, দুঃখীদের রাজা।
যেখানে আজান দিতে ভয় পান মোমেনেরা,
আর মানুষ করে মানুষের পূজা,
সেখানেই আসেন তিনি। খিলজীদের শাদা ঘোড়ার সোয়ারি।
দ্যাখো দ্যাখো জালিম পালায় খিড়কি দিয়ে
দ্যাখো, দ্যাখো।
মায়ের কেচ্ছায় ঘুমিয়ে পড়ে বালক
তুলোর ভেতর অশ্বখুরের শব্দে স্বপ্ন তার
নিশেন ওড়ায়।
কোথায় সে বালক?
আজ আবার হৃদয়ে কেবল যুদ্ধের দামামা
মনে হয় রক্তেই ফয়সালা।
বারুদই বিচারক। আর
স্বপ্নের ভেতর জেহাদ জেহাদ বলে জেগে ওঠা।
প্রিয়বই ওয়েব সংগ্রহ (চলমান)
15 comments:
অামার প্রিয় একজন কবি।
আল মাহমুদ এর ছোটদের বই ~পাখির কাছে ফুলের কাছে বইটির Pdf কেউ দিতে পারলে ভীষণ উপকৃতো হতাম।
ভালো উদ্যোগ। ভালোবাসা ও দোয়া রইল। অভিনন্দন।
কাবিলের বোন পাওয়া যাবে…???
আত্মজীবনীগুলো কই
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা প্রিয় কবির বইগুলো শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে আছে ইমেইল দিন
hafizrahamansk@gmail.com
উপমহাদেশ উপন্যাসের pdf হবে?
উপমহাদেশে এবং আল মাহমুদ রচনাবলি যদি কারো কাছে pdf থাকে তাহলে দিলে উপক্রিত হতাম..
কাবিলের বোন এর পিডিএফ কারো কাছে যদি থাকে দিয়েন প্লীজ।
itzkhadeeza@gmail.com
sarkerismail2323@gmail.com
manushhobd@gmail.com
কাবিলের বোন পিডিএফ দিয়েন। minhazz.ce@gmail.com
কাবিলের বোন pdf থাকলে দিয়েন প্লীজ amranrahman4372@gmail.com