মনে হয়েছিল গন্তব্য খুব কাছেই। আমরা যখন সন্ধায়
রওনা দিয়েছিলাম, পাহাড়ের চুড়াটা মনে হয়েছিল
অনতিদূরেই। ওই চুড়াটা অতিক্রম করলেই
সবুজ শ্যামল দীঘল মাঠ, দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
আমরা হাটতে হাটতে অনেকদূর এগিয়ে গেলাম।
রক্তিম সন্ধা ঢুকে গেল রাতের কৃষ্ণ অন্ধকারে। সেই
অন্ধকারের ভেতর দিয়ে আমরা হাটছি তো হাটছিই।
পথ আর ফুরোয় না। কোথায় সে পাহাড়ের চুড়া?
কোথায় সবুজ গন্তব্য?
আমাদের পা-গুলো অবশ হয়ে গেল। ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায়
কাহিল হয়ে পড়লো শরীর। রাত এত দীর্ঘ আর কৃষ্ণ হয়?
কতদিন পেটে দানাপানি পড়ে না। অনিশ্চয়তার অন্ধকারে
এভাবে আর কতদিন হাটবো আমরা? দেখতে দেখতে
রওনা দিয়েছিলাম, পাহাড়ের চুড়াটা মনে হয়েছিল
অনতিদূরেই। ওই চুড়াটা অতিক্রম করলেই
সবুজ শ্যামল দীঘল মাঠ, দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
আমরা হাটতে হাটতে অনেকদূর এগিয়ে গেলাম।
রক্তিম সন্ধা ঢুকে গেল রাতের কৃষ্ণ অন্ধকারে। সেই
অন্ধকারের ভেতর দিয়ে আমরা হাটছি তো হাটছিই।
পথ আর ফুরোয় না। কোথায় সে পাহাড়ের চুড়া?
কোথায় সবুজ গন্তব্য?
আমাদের পা-গুলো অবশ হয়ে গেল। ক্ষুধা এবং তৃষ্ণায়
কাহিল হয়ে পড়লো শরীর। রাত এত দীর্ঘ আর কৃষ্ণ হয়?
কতদিন পেটে দানাপানি পড়ে না। অনিশ্চয়তার অন্ধকারে
এভাবে আর কতদিন হাটবো আমরা? দেখতে দেখতে
আমাদের শরীরগুলো ইথিওপিয়ার দুর্ভিক্ষ তাড়িত
কঙ্কালসার মানুষদেরও করুনার উদ্রেক করলো।
হায় সুফলা গন্তব্য। হায় আশার বিদুৎ। আমরা কি তবে
নিজের হাতে মৃত্যুর বিষবৃক্ষ বুনেছি? নিজের হাতে খুড়েছি
উপদ্রুত কবর? আমরা কি অনিশ্বিত গন্তব্যে আদৌ
কোনদিন পৌছতে পারবো? নাকি কৃষ্ণ আঁধারে হারিয়ে যাবে
সবুজ গন্তব্য আর আমরা আশার পেছনে ছুটতে গিয়ে
ভিটেমাটি হারা উদ্বাস্তু বাউলের নিরুদ্দেশ সঙ্গী হবো?
কঙ্কালসার মানুষদেরও করুনার উদ্রেক করলো।
হায় সুফলা গন্তব্য। হায় আশার বিদুৎ। আমরা কি তবে
নিজের হাতে মৃত্যুর বিষবৃক্ষ বুনেছি? নিজের হাতে খুড়েছি
উপদ্রুত কবর? আমরা কি অনিশ্বিত গন্তব্যে আদৌ
কোনদিন পৌছতে পারবো? নাকি কৃষ্ণ আঁধারে হারিয়ে যাবে
সবুজ গন্তব্য আর আমরা আশার পেছনে ছুটতে গিয়ে
ভিটেমাটি হারা উদ্বাস্তু বাউলের নিরুদ্দেশ সঙ্গী হবো?
-আসাদ-বিন-হাফিজ
0 comments: