স্টোরী অব বাংলাদেশ (১৯৭১ নিয়ে ৬ টা বই)

আলবদর নেতার জবানী : জামাত-আ'লীগ এর সমালোচনা : মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সাড়ে ৩ বছরের অজ্ঞাত ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ইতিহাস


আমি আলবদর ছিলাম। একাত্তরের সিদ্ধান্ত আমার নিজস্ব। আমার বিবেকের সাথে পরামর্শ করে এ সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছিলাম। কোন দল কোন গোষ্ঠী অথবা কোনব্যক্তি এ সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেয়নি। আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে অথবা কোন কিছুতে প্রলুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একথা সত্য নয়। বন্দুকের নলেরমুখে এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি তাও নয়। ২শ’ বছরের গোলামীর ইতিহাস, সমসাময়িক হিন্দু চক্রান্ত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের অতীত কার্যকলাপ, তথাকথিত সমাজতন্ত্রীদের দুরভিসন্ধি সব মিলে ২৫ শে মার্চের পর আমার বিবেকে একটা ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। আমার তারুণ্যকে পরিস্থিতির সুলভ শিকারে পরিণত হতে মন সায় দেয়নি। বার বার মনকে প্রশ্নক রেছি: এদেশে ইট কাঠ দালানগুলো ও অন্যান্য জড় পদার্থের মত আমি নীরবদর্শক হয়ে বোবার মত দাঁড়িয়ে থাকব? এই আত্মঘাতী ষড়যন্ত্রের শেষ কোথায়? যে হিন্দুস্তান তার নিজের দেশে হাজার হাজার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করে মুসলমানদের নিধন করছে, সেই ভারত কী স্বার্থে পূর্ব-পাকিস্তানের আট কোটিমুসলমানদের জন্য দরদে উচ্ছসিত হয়ে উঠল?


১৭ ডিসেম্বর-১৯৭১


একাত্তরের ১৭ ডিসেম্বর। কিশোরগঞ্জে মুক্তিবাহিনী ও হিন্দুস্তানী সেনার সম্মিলিত মুজাহিদ ও পুলিশের মৃত্যুকামী সদস্যরা। ১৬ ডিসেম্বরে হিন্দুস্তানের হাতে পাকিস্তানীবাহিনী অস্ত্র সমর্পনের পর যে বিজয় সূচিত হয়েছে, কিশোরগঞ্জের প্রতিরোধ যেন তার কলঙ্কের তিলক। অসংখ্য সেল প্রতিনিয়ত এসে পড়ছে শহরের বিভিন্ন অবস্থানে। দালানগুলোর ইট খসে খসে পড়ছে। হতাহতের খবরও আসছে বিভিন্নদিক থেকে। গুলী, অজস্র গুলী, বৃষ্টির মত গুলী, তবু কারো দুঃসাহসে চিড় ধরেছেবলে মনে হয় না। প্রতিরোধের প্রচণ্ড নেশায় উন্মত্ত সকলে। কিশোরগঞ্জের এই প্রতিরোধকে বিশাল সমুদ্রের ছোট একটি ঢেউ অথবা বুদ বুদ কোনটি বলব সেটাআমার জানা নেই। ঝঞ্ঝা অথবা ঝড়ো হাওয়ার উন্মত্ততা শেষ হয়েছে নিয়াজীরআত্মসমর্পণের পরেই, অর্থাৎ আগের দিন। কিন্তু কিশোরগঞ্জের ঝড় তখনও....

আত্মসমর্পনের পর


আছরের সময় ন্যাপের একটা দলকে আমাদের অবস্থানের দিকে আসতে দেখলাম। এরা প্রত্যেকেই চাদর গায়ে দেয়া। কাছাকাছি এসে জিজ্ঞেস করল,“আলবদর কমাণ্ডার কোথায়?” আমি বেরিয়ে এলাম। আমার বাহিনীর গ্রুপকমাণ্ডার জাকির ভাইকে ডেকে বাইরে আনা হল। প্রত্যেকের চাদরের মধ্য থেকে লোহার রড বেরিয়ে এলো। শুরু হল লোহার রড দিয়ে নির্যাতন। জাকিরভাইয়ের মাথা ফেটে দর দর করে রক্ত গড়িয়ে পড়ল। রক্তস্নাত হয়ে উঠলেন...

জেরার শুরু



এরপর কামাল সাহেব বললেন, ‘গণবিরোধী ভূমিকা নেয়ার জন্যআপনার সমস্ত পরিবারকে বিরাট মূল্য দিতে হয়েছে। হয়তো বা আপনাকেও আপনার জীবন দিয়ে তার মূল্য দিতে হবে। আপনার কি মনে হয় না যে আপনি একটা বিরাট ভুল করেছেন?’আমি বললাম ‘আবেগ-তাড়িত হয়ে আমি কিছু করেছি বলে মনে হয় না। আমি যা করেছি অনেক চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়েই। আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক কি বেঠিক এটা নিরূপনের সময় এখনও আসেনি, আগামী দিনের ইতিহাস আমাদের ভূমিকা কিভাবে নিবে সেটাই বড় কথা। তবে এটা ঠিক, মুসলমান হিসেবে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার সামনে দ্বিতীয় কোন পথ খোলা ছিল না। নীরবদর্শকের ভূমিকা নেয়ার পথও ছিল বন্ধ। একটা পথ খোলা ছিল, ভারতে পাড়ি জমানো। হ্যাঁ সেখানে গিয়েও আমরা বিরাট দায়িত্ব পালন করতে পারতাম। কিন্তু সেটা আমার পক্ষে কোনদিন সম্ভব হতো না। কেননা হিন্দুস্তানী সাহায্যকে আমি ঘৃণা করি। মুসলমানদের সাথে তাদের হাজার বছরের বৈরী মানসিকতার আকস্মিক পরিবর্তন মোটেও শুভ মনে করতে পারি না। ভারত উপমহাদেশে মুসলমানদের দুর্বল করাই তাদের লক্ষ্য। মীরজাফর ইংরেজদের সহযোগিতায় সিরাজের পতন ঘটিয়ে নিশ্চয় মুসলমানদের জন্য, এমনকি তার জন্যও কোন কল্যাণ ডেকে আনেনি। ইতিহাসের একই ভুলের আবর্তে আমি পা রাখতেচাইনি।’...

পেছনের কথা



...৭০ এর নির্বাচনে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগের পোষা গুণ্ডাদের দ্বারা আমাদের সহকর্মী বহু পোলিং এজেন্টকে পোলিং বুথ থেকে লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানের দৃশ্য এর চেয়ে ভিন্ন কিছু ছিল বলে আমার জানা নেই। এমনটি হবে এটা অনেকেই আঁচ করেছিল অনেক আগে থেকে। ঢালাও পয়সার বিনিময়ে এবং পোষা গুণ্ডাদের উগ্র মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়ে জাতির বিবেককে কেনার সামর্থ্য আওয়ামী লীগ অর্জন করেছিল। বেশ কিছু আগে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব ভাষণ দেয়ার সময় টাকা সংগ্রহের জন্য শত শত ড্রাম বসান হয়েছিল। এ থেকে কত টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। সেটা বলা হয়নি। তবে এর অছিলায় কোটি কোটি টাকার হিন্দুস্তানী মদদ জাতীয়তাবাদী নেতা শেখ মুজিবের হাতের মুঠোর মধ্যে এসেছিল পাকিস্তান ভাঙ্গার জন্য। এটা অনেকেই টের পেয়েছিলেন। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কিছু বলবার হিম্মত ছিল না অনেকের....

জাতির প্রতি বিপদ সংকেত


.....নাহলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে মালেক ভাইয়ের মত চরিত্রবান ও সেরা ছাত্রের শাহাদাত সে সময় হল কেন? অথচ এই আসন্ন ঝড়ের সংকেত বুঝল না ইসলামপন্থীরা। তারা সংঘবন্ধভাবে বাতিলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ব্যর্থ হল। সত্তরের ১৮ জানুয়ারী পল্টন ময়দানে ইসলামী জনতার রক্ত ঝরার পরও ইসলামপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারল না। ওটাও ছিল আসন্ন ঝড়ের সংকেত। আমি পল্টনে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছি কি ভয়াবহ দৃশ্য! একটা কারবালা যেন। শতশত মানুষকে রক্তাক্ত হতে দেখেছি। শহীদও হয়েছে কয়েক জন। অথচষড়যন্ত্রকারীরা রাত্রে মাইক যোগে প্রচার করেছে, ‘নিরস্ত্র জনতার ওপর জামায়াতেইসলামী গুণ্ডাদের নির্লজ্জ হামলা।’ কি বিচিত্র এদেশ সেলুকাস!...

সিদ্ধান্ত নেবার দিন

...বুঝলাম আমি আমার অজান্তে শত্রুর বেষ্টনীর মধ্যে এসে পড়েছি। ঘটনার আকস্মিকতায় একটা তাৎক্ষণিক বিহবলতা আমার মধ্যে এলেও আমি নিজেকে সামলে নিয়ে একটুখানি চাতুরির আশ্রয় নিলাম। বললাম, ‘বারী ভাই যে’। চায়ের দোকানীর উদ্দেশ্যে বললাম ‘বারী ভাই আর আমার জন্য লাগান ২ কাপ চা। বিস্কুটও দেন, আমি এক্ষুণি আসছি।’ কাজী বারী আমার মধ্যে কোন কৃত্রিমতা আঁচ করতে পারল না। আমি কেটে পড়লাম। কিন্তু সমস্ত বাজারটা আমার কাছে মনে হতে লাগলো আমার শত্র“। মনে হচ্ছিল সবাই যেন আমার পিছে ধাওয়া করছে। আমি ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে চলছি। চলার পথে দেখলাম হাফেজ আবদুল হাইও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চাপা কণ্ঠে বললেন ‘এখানে কেন। তাড়াতাড়ি সরে যান। ইপিআর, আওয়ামী লীগ আর কমিউনিস্টরা বাজারে ক্যাম্প করেছে। মওলানা আব্দুল গণি খান সাহেবের বাড়ীর সকলকে হত্যা করেছে। এদের টার্গেটে আপনিও আছেন। বাড়ীতেও থাকবেন না।’ বাজার একটু আড়াল হলে আমি দৌড় দিলাম আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে। বাড়ী এসেই বাবা-মাকে নিয়ে বসলাম। পরিস্থিতির সমস্ত বললাম ‘আমি নীরব দর্শকের ভূমিকা নিলেও এরা আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে না। এঅবস্থায় আমি কী করতে পারি? ....

জামায়াত-শিবিরে (....) আজ-ও সেই আগের মতই "বেঈমান"দের ষড়যন্ত্র


.....বাইরে থেকে নতুন যারা আমদানী হয় তাদের তদারকীর দায়িত্বে ছিলেন কিশোরগণ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জনাব মোশাররফ সাহেব। আপাতত আমি তার হেফাজতে। আমি ভাবলাম মোটামুটি সময় আমার ভালই কাটবে। এখন আমি আমদানী খাতায় রয়েছি। নবাগতদের স্কুলে রাখাহত। স্কুল কেন বলা হত আমার জানা নেই। সেসব জানবার আগ্রহও আমার ছিলনা। দুই রাত্রি আমাদেরকে সেখানে থাকতে হয়। মোশাররফ সাহেবের ওপর সবাই বিরূপ। বিরূপ হওয়া স্বাভাবিক। যা দেখলাম তাতে আমিও সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারাগারে যে খাদ্য সরবরাহ করা হত সেটা একে তো নিম্নমানের এবং পরিমাণে কম। তা সত্ত্বেও সেই স্বল্প পরিমাণ খাদ্যে কর্তা অর্থাৎ মোশাররফ সাহেব নিজের অতিরিক্ত ভাগ বসাতেন। এছাড়া স্বল্প পরিসর একটি কক্ষ। সেখানে প্রায় ২শ’ লোক। পালা করে শোয়ার জায়গাও মেলে না। এতদসত্ত্বেও তাকে আমি দেখেছি, একটা বিরাট স্থান দখল করে তিনি রয়েছেন তার একার জন্য। আমি অবাক হলাম। জামায়াতে ইসলামীর মত আদর্শবাদী সংগঠনের নেতৃপর্যায়ের হয়েও তিনি কিভাবে এমন নির্মম, এমন নিষ্ঠুর হতে পারলেন? আমার সেদিনই মনে হলো, খোদার তরফ থেকে আমাদের এমন জিল্লতি নির্ধারিত হবার এসবই কারণ। কতিপয় স্বার্থাশ্বেষী মানুষের তৎপরতা খোদার নিশ্চয়ই পছন্দ হয়নি। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ ইসলামের আবেগ-তাড়িত হয়ে, জীবনের সমস্ত কিছু কোরবানী দিয়েও দেশটাকে টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে অনেক অমানুষ এসেও মানুষের সাথে মানবিক আচরণ করতে থাকে। তার কারণ,সবার ভাগ্য এখানে এক সূত্রে গাঁথা। এমন এক স্থানে এসে মোশাররফ সাহেব যে আচরণের প্রদর্শনী করেছেন তাতে তার মত লোকেরা ক্ষমতাসীন হলে জাতির ভাগ্যে দুর্বিপাক ছাড়া কিছুই মিলবে না। তার সাথে এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে আমার মন চাইল না। জেল থেকে বেরিয়ে এসে তার ব্যাপারে আমি জামায়াত কর্তৃপকে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও তিনি এখন কিশোরগঞ্জ জামায়াতে ইসলামীর নেতা। এ দেখে মনে হল, আমীর মোয়াবিয়া যেন আমীরুল মোমিনীনের সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন...

কারাসঙ্গী আল্লামা সাঈদী সাহেব



....বিরুদ্ধে রাষ্ট্র দ্রোহিতার অভিযোগ। খুলনার কোন এক জলসায় তার মুনাজাতকে কেন্দ্র করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাবনার মনসুর আলী তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাবনা সবসময় ছিল আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। অনেক দেশপ্রেমিক মুসলমানের রক্তে পাবনা আওয়ামী লীগ কর্মীদের হাত রাঙা। সেই সন্ত্রাসী পাবনায় আওয়ামী লীগের আধিপত্যের ভিতকে নাড়াতে সক্ষম হন দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। এজন্য তাঁকে তাঁর জীবনের মারাত্মক ঝুঁকি নিতে হয়। তাঁর আগুনঝরা বিপ্লবী তাফসীর আওয়ামী লীগ বিরোধী চেতনার লাভা ঢালতে সক্ষম হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর ক্যাপটেন মনসুর সেই সুযোগটা নিতে ভুল করেননি...

....পাকিস্তান আমলে আমরা তাকে কেউ জানতাম না। বায়াত্তরের জাহেলিয়াতের অন্ধতমসায় গোটা দেশ ছেয়ে গেলে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ইসলামের মশাল হাতে নিয়ে দেশের এক প্রান্ত হতে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত উল্কার মত ছুটে বেড়িয়েছেন। বন্দুকের নলের মুখে ইসলামের আওয়াজ বুলন্দ করেছেন। ঝঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ মহাসমুদ্রে ভাসছিল কেবল মাত্র সাঈদীর ছোট্ট একটি ডিঙ্গা, বৈঠা হাতে তিনি উত্তাল তরঙ্গ ভেদ করে ইসলামের ছোট্ট কিস্তী নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন। মিনারে মিনারে আযান দিয়ে সম্মোহিত জাতির চেতনা ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু যখন ....

প্রজন্ম একাত্তর



...আমরা পুলিশদের বললাম, ‘আমাদের হাতের বেড়ী পড়িয়ে দিন। তা না হলে আপনাদেরকে কৈফিয়তের সম্মুখীন হতে হবে।’ তারা ইতস্ততঃ করলেও শেষ পর্যন্ত আমাদের কথা মত কাজ করল। হাঁটছি। কিছু কিছু মাসুম বাচ্চা বই নিয়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বুঝলাম মক্তবে কোরআন পাঠ করতে যাচ্ছে। আমার মনে হ’ল এসব ছোট্ট শিশুদের বুকে টেনে নিয়ে বলি ‘আমরা আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করে তোমাদের জন্য এক নিরাপদ ভবিষ্যত রচনা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। তোমরা তোমাদের সামর্থ্য দিয়ে জাতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে এনো।’ ...

...নোয়াখালীর রব সাহেবের বাসায় নিয়ে এলেন। সেখানে খাওয়া দাওয়া করলাম,খোলামেলা অনেক আলাপ আলোচনা হল। জানলাম মুজিবের বেসামাল অবস্থা। গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভীতি সঞ্চারকরে যতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে। একাত্তরে যে হাতগুলো মুজিবকে জীবন্ত ফিরে পাওয়ার জন্য দোয়া করেছিল সেই হাতগুলো খোদার কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছে, অভিসম্পাত দিচ্ছে । বিকেলে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হলাম। ট্রেন আসতে তখনও দেরী। অনেক পরিচিত মানুষ অনেক চেনামুখ চোখে পড়ছে। ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছিলাম। পুলিশরা আমার পাশেই বসা। দেখলাম একটা তরুণ ছেলে আমার দিকে এগিয়েএল। এসে জিজ্ঞেস করল ‘আমিন দা, আমাকে চিনছেন?’ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে....


315 পৃষ্ঠার এই বইটিতে ৭১ এর পূর্ব ও পরবর্তী অসংখ্য চেপে যাওয়া ঘটনাপন্জী ও ইতিহাস লিপিবদ্ধ রয়েছে । এখানে মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার একটা রিভিউ দেবার চেষ্টা করা হলো । বইটা ধৈর্য্য ধরে পড়তে পারলে অনেক না জানা সত্যের সম্মুখীন হওয়া যাবে । অন্য পাঁচটি বইও একই ধাঁচের। ৭১ এর ইতিহাস আমরা সবসময়ে জেনে এসেছি যুদ্ধবিজয়ীদের কাছ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ইতিহাসে চেপে যাওয়া হয়েছে ইতিহাসের দুটা দিকের একটা দিক। সেই অচেনা দিকটির সাথে পরিচিত হতে বইগুলো লিখেছে ১ এর আলবদর কমান্ডার, পাকিস্তানপন্থী ইউনিভার্সিটি ভিসি ও তৎকালীন সাহিত্যিক অথবা ৪৭ এর বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের কোন অগ্রসৈনি। বইগুলো পড়ে আর কিছু না হোক, মজা পাবেন, এটা নিশ্চিৎ..



ডাউনলোড করুন নিচের বইগুলো


আমি আলবদর বলছি

একাত্তরের আত্মঘাতের ইতিহাস

5 comments:

Unknown বলেছেন...

Boi tar font gulo elo melo symbol er moto dekha jacche. Maje modde 1,2 line bangla clear dekha jacche.

নামহীন বলেছেন...

ভালো লাখলো

LuckyBoy বলেছেন...

অন্ধভাবে নয়,নিরপেক্ষ মতামতই সবসময় সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়। আশাকরি একপেশে মন্তব্য করে পরিবেশ নষ্ট না করে ভদ্রাচিত জবাব দেয়ার মাধ্যমে তর্ক করুন। এতে আমাদের সকলেরই মঙ্গল। আল্লাহ্‌ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।আমিন।

Unknown বলেছেন...

আমার ভাল লেগেছে কে,এম আমিনুল ইসলাম ভাইয়ের বইটি।

Unknown বলেছেন...

জাজাখাললাহ

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম