সম্প্রতি সিরিয়ার শরনার্থীরা ইউরোপে যাচ্ছে বলে আমরা মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগে এক শিশুর লাশ ভেসে উঠলে সেটা নিয়েও অনেক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো কিছু বিষয় নির্দ্দিষ্ট করে জানা প্রয়োজন বলে মনে করি-
১) সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ লাগার পর রিফিউজি হয় প্রায় ৩৮ লক্ষ জনগণ। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ (৬ লক্ষ ৬৭ হাজার) লেবাননে নিরাপদে আশ্রয় পায়। বাকি অংশ চলে যায় জর্ডান, তুরষ্ক ও ইরাকে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তুরষ্ক সিরিয়ান রিফিউজি যায়গা দিয়েছে প্রায় ১৭ লক্ষ। এদের অর্ধেক তুরষ্কের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে যায় এবং বাকিদের ক্যাম্প করে রাখা হয়। অনেককে দেখলাম বলছে, ‘মুসলিমদেরকে মুসলিমরা আশ্রয় দিলো না, দিলো অমুসলিমরা’। বিষয়টি আসলে হাস্যকর। কেননা মোট শরনার্থী সংখ্যা ৩৮ লক্ষ যা ২০১১ সাল থেকে সৃষ্টি। সেখানে ব্রিটেন সবে আশ্রয় দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ১০ হাজার, আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে ৮ হাজার, জার্মানি ঘোষণা দিয়েছে১০ হাজার। মোট রিফিউজির তুলনায় এ রিফিউজি কিছুই নয়।
২) সিরিয়ায়ে গৃহযুদ্ধ বাধানোর জন্য ইউরোপ-আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো। যে ব্রিটেন আজ শরনার্থী গ্রহণ করে নিজেকে মানবতাবাদী সাজাচ্ছে, সেই ব্রিটেন কিন্তু বিদ্রোহীগ্রুপগুলোকে নিয়মিত অর্থ সহায়তা দিতো গৃহযুদ্ধ বড় করার জন্য। (http://goo.gl/AMTMrG) বিষয়টা অনেকটা এরকম, আপনি হেরোইন সরবরাহ করবেন এটাতেও লাভ, আবার আপনি নিরাময় কেন্দ্র খুলে নেশাগ্রস্তদের চিকিৎসা করাবেন, সেটাও লাভ।
৩) এখানে একটি বিষয় বুঝতে হবে, যে সকল সিরিয়ান শরনার্থী ইউরোপে প্রবেশ করছে তারা কিন্তু দরিদ্র নয় । জনপ্রতি সিরিয়ান রিফিউজিকে জার্মানিতে প্রবেশ করতে খরচ করতে হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ডলার (প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা)।
৪) জাতিসংঘ এই রিফিউজির নাম দিয়ে সব দেশে থেকে চাদা তোলা শুরু করেছে। তারা ১.২৬ বিলিয়ন ডলারের ( সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা) চাদা নির্ধারিত করে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে। এই ১.২৬ বিলিয়ন ডলারের মোটা টাকা কি আদৌ সিরিয়ান রিফিউজিদের নিকট পৌছাছে নাকি বিশ্বমোড়লদের পকেটে ঢুকছে সেটাও যাচাই করা উচিত। এছাড়া বিভিন্ন নামে-বেনাম মুসলিমদের থেকে রিফিউজি বাচ্চাদের লাশের ছবি দেখিয়ে চাদা তোলা হচ্ছে। সেটাও রিফিউজিদের কাছে পৌছাচ্ছে নাকি ইউরোপ-আমেরিকা সেই টাকা দিয়ে নিজেদের অর্থমন্দা ঘোচাচ্ছে সেটারও খবর নেওয়া জরুরী।
৫) সিরিয়াতে অস্থিতিশীলতা তৈরী হয়েছে ২০১১ সাল থেকে। সে সময় থেকে ঐ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মুসলমান রিফিউজিতে পরিণত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর পর (যখন যুদ্ধের গতি আগের থেকে অনেক কমে গেছে) হঠাৎ করেই কেন ইউরোপ যাওয়ার ঢল নামালো ? বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়। একটু ভেবে দেখবেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের অনেক মানুষের গণকবর থ্যাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে বাংলাদেশের মানুষকে শরনার্থীর মত নৌকায় ভেসে মালয়েশিয়া-থ্যাইলান্ডে আশ্রয় নিতে হবে। আসল খবর হলো, একটি গোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে, যারা বাংলাদেশের বোকা-সোকা মানুষগুলোকে বুঝিয়েছে, “চল মালয়েশিয়া-থ্যাইল্যান্ড যাই। সেখানে উন্নত জীবন পাওয়া যাবে”। গ্রামের বোকা-সোকা মানুষগুলো তাদের ফাদে পা দিয়েছে। এই নিরীহ লোকগুলোকে নিয়ে মাঝ পথে হয় নৌকা ডুবিয়ে দিযেছে, নয়ত না খেতে দিয়ে মেরে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষের সেই মৃত্যু কিংবা বর্তমান সিরিয়ান শরনার্থীদের বিষয়গুলো যদি স্বাভাবিকভাবে দেখেন তবে ভুল করবেন । এগুলো সাধারণ কোন মৃত্যু নয়। এগুলো গণহত্যা। এই গণহত্যা কয়েকভাবে হয়--
ক) ভারতের উগ্রহিন্দুরা ডাইরেক্ট বলে মুসলিমদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন করতে হবে।
খ) বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইউরোপীয় এনজিওগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে । তারা কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে শুধু বাংলাদেশের জন্মনিয়ন্ত্রণ তথা জনসংখ্যা হ্রাস করার জন্য। এটা কিন্তু সেই গণহত্যার অংশ।
গ) আর শরনার্থী হত্যাও একই ধরনের কাজ। নিরীহ মানুষকে ডেকে উন্নত জীবনের কথা বলে সমুদ্র পথে এনে দম বদ্ধ কিংবা পানিতে ডুবিযে হত্যা করা। এ বছরেই ইউরোপে সমুদ্র পথে প্রবেশের নাম ৩ হাজার সিরীয় নিহত হয়েছে। এরা তো দরিদ্র ছিলো না, এরা তো তুরষ্ক-জর্ডানে ভালোই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে কি শুরু হলো ? তাদেরকে নিশ্চয় বাংলাদেশীদের মত উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে সমুদ্রে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকের থেকে নেওয়া হয়েছে মোটা টাকা। কিন্তু তাদেরকেই মাঝপথে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাউকে দম বন্ধ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ঐ একটাই, গণহত্যা। এজনই মুসলমানদের উচিত স্পেনের গ্রানাডার এপ্রিল ফুলের ঘটনা বার বার স্মরণ করা। উপর দিয়ে তারা পশ্চিমা খ্রিস্টানদের যত ভালো চোখেই দেখুক, সুযোগ পেলেই তারা মুসলমানদের ফাদে ফেলে মারবে, আবার মিডিয়ার জোরে সাজবে মানবতাবাদী। এ জন্যই বলি- মুসলমানরা ইতিহাস থেকে কখনই শিক্ষা নেয় না।
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত লেখালেখি করবো সামনে। সবাইকে ধন্যবাদ।
প্রয়োজনীয় সূত্র:
১) https://en.wikipedia.org/
২) http://
৩) http://goo.gl/02VhC3
৪) http://goo.gl/t6pll6
৫) http://goo.gl/gGXkYY
- নয়ন চ্যাটার্যি
[ব্যাপারটা সংক্ষেপে এমনঃ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিবেশীর নিরীহ নিরপরাধ ছেলেটাকে পিটিয়ে রাতের বেলা এক গ্লাস পানি খাইয়ে ফটো তুলে গ্রামের মোড়ল মানবদরদী সাজলো!! বাংলাদেশের শাহাবাগী নাস্তিককুল খুশিতে আত্মহারা, তাদের এসাইলাম দেয় যে বাবারা - তারা এক গ্লাস পানি খাইয়েছে তাকেই যার পানির নল্কূপটিও ওই মোড়লই উপড়ে ফেলেছে দুপুরবেলা!!!]
↓↓↓↓সৌদী আরবের ভূমিকা↓↓↓↓
These Muslims countries have taken in the refugees according to Amnesty International: • #Lebanon hosts 1.1 million refugees registered with UNHCR, which amounts to around 26 per cent of the country’s population. • #Jordan hosts 618,615 registered refugees, which amounts to 9.8 per cent of the population. • #Turkey hosts 1.6 million refugees, which amounts to 2.4 per cent of the population. • #Iraq hosts 225,373 registered refugees, which amounts to 0.67 per cent of the population. • #Egypt 142,543 registered refugees, which amounts to 0.17 per cent of the population. https://www.amnesty.org/ |
Highlighted are the areas where Saudi has helped Syrian refugees. Taken from The Royal Embassy of Saudi Arabia https:// |
How CNN Shows Saudi Funded Refugee Camps: http://arabic.cnn.com/ This image was used on CNN including CNN Arabia and several other media outlets. None of those articles mentioned Saudi Arabian funding. When I found the original image something was missing from those pictures. An image can be a powerful thing, we witness that power through social media. The absence of symbols can be equally as effective. Very few media outlets if any at all have shown the Saudi tents that were built. Powerful people want the Middle East destabilised for their own agendas and they also want Muslims to be disunited. So all the anti-Arab, Gulf hate that has been spread and deeply imbedded inside the hearts of the Muslims goes well with their plans and helps them achieve that end. They want nothing more than this disunity. If you call for unity, and wish the Ummah to be united, how can you harbour these feelings in your hearts? The reason people don’t hear about the efforts of the Middle East is because people like you do not spread it. You simply spread hatred and disunity. |
Medical Care for the Syrian refugees at the Zaatari Camp in Jordan provided by The Saudi National Campaign |
WESTERN REFUGEE CAMPS ARE BETTER! ✘ Not quite. Let’s compare a #Saudi & #Turkish funded #refugee camp vs. a #French camp: "One is a camp in Calais, derogatorily called "the Jungle", where migrants and refugees fleeing impoverished and war-torn countries are being treated like animals, live in dire circumstances and nobody wants to take responsibility for, while the authorities are trying to get rid of them (France) or preventing them by any means from coming (UK). The other is a camp which Saudi helped fund is in Southern Turkey, where 2 million refugees have already been hosted, welcomed and placed in well-organized camps with schools, playgrounds for children and social amenities. Turkey has spent nearly 5 billion euros on its refugee programs, while assistance from EU countries was around a meager 400 million euros. And people still talk in terms of the "civilized" west vs. the "barbaric" east..." |
Highlighted are the areas where Saudi has helped Syrian refugees. Taken from The Royal Embassy of Saudi Arabia https:// |
Highlighted are the areas where Saudi has helped Syrian refugees. Taken from The Royal Embassy of Saudi Arabia https:// |
Saudi Arabia pledged $10 billion to aid the refugees in Jordan where Saudi has funded the building of refugees camps. http://www.jpost.com/ UNHCR has expressed its thanks to Saudi National Campaign for Syrian refugees for the provision of dates for more than 20,000 families in the Al-Zaatari refugee camp in northern Jordan. http://www.arabnews.com/news/794526 The Saudi National Campaign is working through its food program to provide proper food for the Syrians in all the host countries including Jordan, Lebanon, and Turkey. Last month, the Saudi national campaign to support the brothers in Syria completed the third phase of its project “My brother your dwelling is your reassurance” providing accommodation to 3,202 Syrian refugee families in Lebanon. |
আজকাল অনেককেই দেখি,
ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্যের শরনার্থী নিচ্ছে বলে, ইউরোপীয়ানদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হচ্ছে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে-- মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর জনগণ আজকে শরনার্থী হলো কেন ??
এর পেছনে মূল কারণ ছিলো মন্দায় আক্রান্ত পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের অস্ত্র ব্যবসা। নিজেদের আর্থিক মন্দা দূরীকরণে তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছিলো, যুদ্ধ বাধিয়ে দিয়েছিলো মুসলমানদের মধ্যে, সৃষ্টি করেছিলো বিশাল অস্ত্রের বাজার, মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তারা মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি করতে সমর্থ হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করার কারণে
১) মিশর অস্ত্র ক্রয় করে চীন, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, ইতালি, জার্মানি, সাউথ আফ্রিকা ও স্পেন থেকে।
২) সিরিয়া অস্ত্র কয় করে রাশিয়ার থেকে।
৩) ইরাক অস্ত্র ক্রয় করে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চেক রিপাবলিক, জার্মানি, সাউথ কোরিয়া থেকে।
৪) সউদী আরব ক্রয় করে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যন্ড থেকে।
৫) ইরান ক্রয় করে রাশিয়া থেকে।
৬) আরব আমিরাত ক্রয় করে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও সিঙ্গারপুর থেকে।
উল্লেখ্য সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে ২০১১ সাল থেকে শরনার্থীর সৃষ্টি হয়, যার সংখ্যা প্রায় ৩৮ লক্ষ। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৫-তে শরনার্থীরা কেন ইউরোপ মুখী হবে ? যেখানে ইউরোপেই চলছে বড় ধরনের মন্দা, চাকুরীর অভাবে ইউরোপের অধিবাসীররাই মারামারি-কাটাকাটি করছে। আসলে এর কারণগুলো হতে পারে-
১) ইউরোপের সরকারগুলোই মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ দেশগুলোতে মানবপাচারকারী পাঠিয়েছে। তারা উন্নত জীবনের লোভ দেখিয়ে শরনার্থীদের ইউরোপের আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
২) ইউরোপে আসার নাম দিয়ে যুদ্ধাক্রান্ত মুসলমানদের সারা জীবনের জমানো টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে মানবপাচারকারীরা। গার্ডিয়ান বলছে, জার্মানিতে প্রবেশ করতে শুধু খরচ হচ্ছে আড়াই লক্ষ টাকা, হিসেবের বাইরে খরচ তো রয়েছেই।
৩) ‘কয়েক হাজার লোক ইউরোপে প্রবেশ করেছে’ মিডিয়ার সামনে এটা খুব ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু কত লক্ষ শরনার্থীকে ইউরোপে ডেকে আনা হয়েছে এবং কত লক্ষকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার কোন হিসেব আসছে না্। খবর নিলে দেখা যাবে, থ্যাইলান্ড-মালয়েশিয়ায় যেমন বাংলাদেশীদের গণকবর পাওয়া গিয়েছিলো, একইভাবে ইউরোপের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলোতেও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের গণকবর পাওয়া যাবে।
৪) মুসলমানদের প্রতি মুসলমানদের সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ধনী মুসলমানদের থেকে বিপুল পরিমাণে চাদা সংগ্রহ করছে জাতিসংঘসহ নানার পশ্চিমাপন্থী সংগঠনসমূহ।
মুসলমানদের একটা স্বভাব হচ্ছে, তারা তাদের শত্রু সম্পর্কে অবগত নয় এবং তারা ইতিহাস থেকেও শিক্ষা নেয় না। ফলে একই গর্তে বার বার পড়ে তারা । যে পশ্চিমারা সামান্য অস্ত্র ব্যবসার জন্য তাদের মধ্য কলহ বাধিয়ে ছিলো, সেই পশ্চিমারা তাদের আদর করে আশ্রয় দান করছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। শরনার্থী আশ্রয়দানের পেছনে অবশ্যই ‘এপ্রিল ফুলের মত’ কোন না কোন সত্য লুকিয়ে আছে, যা পরে মিডিয়ায় ফাঁস হবেই হবে (মিডিয়ার দেয়া তথ্য মোতাবেক ইতিমধ্যে ৩৪০০ মারা গেছে)।
লেখার জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র:
১) http://goo.gl/WTjM8g
২) http://goo.gl/tqrmYQ
৩) http://goo.gl/nBR5U9
৪) https://goo.gl/32FrZe
৫) http://goo.gl/culyO2
২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছি: সৌদি আরব
সিরীয় শরণার্থীদের মানবিক সহায়তার জন্য কিছুই করছে না সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় আরব দেশগুলো এমন অভিযোগের মুখে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তারা তাদের দেশে অন্ততঃ ২৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন।
সম্প্রতি ইউরোপ অভিমুখে সিরীয় শরণার্থীদের ঢল নামার পর এই অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি অভিযোগ করেছে গত চার বছর ধরে সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ। কিন্তু সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় ধনী আরব দেশগুলো সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের জন্য যথেষ্ট মানবিক সহায়তা সরবরাহ করেনি।
শুক্রবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সিরীয় শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা না দেওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল এর ছয় সদস্য দেশ- সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতার- এর কোনোটিই জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক কনভেনশনে সাক্ষর করেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ওই কনভেনশনটিই বিশ্বব্যাপী শরণার্থীদের আশ্রয়দান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছে।
তবে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো বলছে ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা অসংখ্য সিরীয় নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে।
সৌদি আরব বলেছে, তারা প্রায় ২৫ লাখ সিরীয় নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি সৌদি আরব তাদেরকে শুধু উদ্বাস্তু হিসেবে কোনো রিফিউজি ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়নি। বরং তাদেরকে সৌদি আরবের নাগরিকদের মতোই পূর্ণ মানবিক মর্যাদা, নিরাপত্তা ও চলাচলের স্বাধীনতা দিয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এমনকি তাদের জন্য যথাযথ আবাসস্থল, বিনামূল্যে স্বাস্থসেবা, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের জন্য ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন উদ্বাস্তু ক্যাম্পে ক্লিনিকও নির্মাণ করে দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরো জানান, সৌদি আরবের বিদ্যালয়গুলোতে অন্তত ১০ লাখ সিরীয় শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব দেশে সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেসব দেশ এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলোর মাধ্যমেও সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তা করছে সৌদি আরব।
0 comments: