প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য ঘোষণার আর ৬০ দিনের মতো বাকি আছে। আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যেক অ্যাকাউন্টের ভোটের বলে বলীয়ান কক্সবাজার এখনো তার প্রথম স্থান টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি ইন্টারনেটে প্রকৃতির আশ্চর্য নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি যা পেলাম তাতে আমার সন্দেহ হতে শুরু করেছে আসলেই কি কক্সবাজার কোন আশ্চর্য? তবে এগুলো কি? এগুলো কি মহান সৃষ্টিকর্তার কোন মজার খেলা? আপনারাই ভেবে বার করুন------
রক্ত জোয়ার:
না, কোন নতুন বাংলা সামাজিক অ্যাকশন ছবির নাম নয় এটা। এটা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা কিনা বিশ্বের অনেকগুলো সমুদ্রেই প্রায়ই ঘটে থাকে। সমুদ্রের পানির উপরিতলের কাছাকাছি প্রচুর পরিমাণে ঘন সন্নিবিষ্ট ফাইটোপ্লাংকটন জড়ো হয়ে জন্ম দেয় এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের যার নাম রেড টাইড বা আমার ভাষায় রক্ত জোয়ার।
সুপারসেল:
ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে এর কাছে সিডর সুনামি শিশু ছাড়া আর কিছু নয়। সত্যি কথা বলতে কি সুপারসেল কিন্তু দেখতে যতটা ভয়ংকর বাস্তবে তত নয়। প্রচন্ড বজ্রবৃষ্টি বা মেসোসাইক্লোনের সময় যদি তীব্র ঘূর্ণায়মান বাতাস এয়ার পকেটে পড়ে হঠাৎ সোজা বজ্র মেঘের দিকে উঠতে থাকে তখন সুপারসেলের সৃষ্টি হয়। সুপারসেল এর কারণে তীব্র বৃষ্টি, শিরাপাত এমনকি টর্নেডোর সৃষ্টিও হতে পারে। বেশি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সমতলভূমিগুলোতে।
পাথর যেখানে হাঁটে
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালীর মরুভূমির এই চলন্ত পাথরের রহস্যের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা আজো পরিষ্কারভাবে দিতে ব্যর্থ। এখানে হঠাৎ হঠাৎই একশ টনের ওপরের ওজনের পাথরকেও একশ গজ পর্য়ন্ত এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা এর কারণ হল তীব্র বাতাস এবং মরুর কাদাময় বালির প্রবাহ। কিন্তু তাঁরা ব্যাখ্যা করতে পারেন নি যে কিভাবে পাশাপাশি থাকা দুটি প্রায় একই ওজনের পাথর ভিন্ন গতি এবং ভিন্ন দিকে সরে যেতে পারে। তাছাড়া হিসেবে বলে যে ঐ ওজনের একেকটি পাথর নড়াতে একশ মাইল গতির বায়ূপ্রবাহ দরকার যা ঐ মরুভূমিতে অনুপস্থিত। কাজেই এই ঘটনাটি এখনো প্রকৃতির এক অমিমাংসিত রহস্য হয়ে আছে।
অরোরা বোরিয়ালিস:
অরোরা বোরিয়ালিসের নামের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। পৃথিবীর দুই মেরুতেই কেবল দেখা যায় এই অপূর্ব দৃশ্য। সূর্য থেকে প্রায় ১২০০কিমি/সেকেন্ড বেগে ছুটে আসা প্লাজমা মেঘ পৃথিবীর কাছাকাছি আসলে দুই মেরুর শক্তিশালী চৌম্বকীয় আকর্ষণে আটকা পড়ে বায়ূমন্ডলের আয়নোস্ফিয়ার পর্যন্ত নেমে আসে এবং আয়নোস্ফিয়ারের গ্যাসের সাথে সংঘর্ষে তৈরী করে এই অপরূপ বর্ণিল খেলা যার নাম অরোরা বোরিয়ালিস।
ফায়ার টর্নেডো
আরেক ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্য। এই দুর্লভ প্রাকৃতিক দৃশ্যটি মাঝে মাঝে দাবানলের সময় দেখা যায়। বাতাসের তাপমাত্র এবং ঘূর্ণনের নিদিষ্ট গতির জন্য আগুন মাঝে মাঝে এরকম ঘূর্ণায়মান টর্নেডোর আকার ধারণ করে যা ২০০ ফূট পর্যন্ত উচ্চতার হতে পারে। তবে এই ফায়ার টর্নেডো খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।
ম্যামাটাস মেঘ:
মেঘের স্তরে বরফ জমা হয়ে মেঘের ঠিক নিচের সারফেসের কাছে এরকম ঝোলার সৃষ্টি হয় যাকে ম্যামাটাস মেঘ বলে। এই মেঘমালা একশ মাইল ব্যাসার্ধের জায়গা জুড়েও হতে পারে। ম্যামাটাস মেঘ ক্ষতিকর কিছু না হলেও এটা চরম প্রাকৃতিক দূর্যোগের এক অশনি সংকেত।
গ্র্যাভিটি মেঘ:
বজ্রবৃষ্টির সময় তীব্র গতির বায়ুপ্রবাহ এয়ার পকেটে পড়ে হঠাৎ উপরে উঠলে বা নিচে নেমে গেলে একটা শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি সেখানকার ফ্লুইড ডাইনামিক্সকে ব্যালেন্স করবার জন্য বাতাসকে অসিলেট করে ঠিক জায়গায় পৌছানোর চেষ্টা করে, এবং সেই বাতাসের ওয়েভ শেপ ফুটে ওঠে মেঘের গায়ে। প্রকৃতির নিজের হাতে আঁকা এক ওয়েভ শেপ।
রক্ত জোয়ার:
না, কোন নতুন বাংলা সামাজিক অ্যাকশন ছবির নাম নয় এটা। এটা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা কিনা বিশ্বের অনেকগুলো সমুদ্রেই প্রায়ই ঘটে থাকে। সমুদ্রের পানির উপরিতলের কাছাকাছি প্রচুর পরিমাণে ঘন সন্নিবিষ্ট ফাইটোপ্লাংকটন জড়ো হয়ে জন্ম দেয় এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের যার নাম রেড টাইড বা আমার ভাষায় রক্ত জোয়ার।
সুপারসেল:
ছবিটা দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে এর কাছে সিডর সুনামি শিশু ছাড়া আর কিছু নয়। সত্যি কথা বলতে কি সুপারসেল কিন্তু দেখতে যতটা ভয়ংকর বাস্তবে তত নয়। প্রচন্ড বজ্রবৃষ্টি বা মেসোসাইক্লোনের সময় যদি তীব্র ঘূর্ণায়মান বাতাস এয়ার পকেটে পড়ে হঠাৎ সোজা বজ্র মেঘের দিকে উঠতে থাকে তখন সুপারসেলের সৃষ্টি হয়। সুপারসেল এর কারণে তীব্র বৃষ্টি, শিরাপাত এমনকি টর্নেডোর সৃষ্টিও হতে পারে। বেশি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সমতলভূমিগুলোতে।
পাথর যেখানে হাঁটে
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালীর মরুভূমির এই চলন্ত পাথরের রহস্যের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা আজো পরিষ্কারভাবে দিতে ব্যর্থ। এখানে হঠাৎ হঠাৎই একশ টনের ওপরের ওজনের পাথরকেও একশ গজ পর্য়ন্ত এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা এর কারণ হল তীব্র বাতাস এবং মরুর কাদাময় বালির প্রবাহ। কিন্তু তাঁরা ব্যাখ্যা করতে পারেন নি যে কিভাবে পাশাপাশি থাকা দুটি প্রায় একই ওজনের পাথর ভিন্ন গতি এবং ভিন্ন দিকে সরে যেতে পারে। তাছাড়া হিসেবে বলে যে ঐ ওজনের একেকটি পাথর নড়াতে একশ মাইল গতির বায়ূপ্রবাহ দরকার যা ঐ মরুভূমিতে অনুপস্থিত। কাজেই এই ঘটনাটি এখনো প্রকৃতির এক অমিমাংসিত রহস্য হয়ে আছে।
অরোরা বোরিয়ালিস:
অরোরা বোরিয়ালিসের নামের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। পৃথিবীর দুই মেরুতেই কেবল দেখা যায় এই অপূর্ব দৃশ্য। সূর্য থেকে প্রায় ১২০০কিমি/সেকেন্ড বেগে ছুটে আসা প্লাজমা মেঘ পৃথিবীর কাছাকাছি আসলে দুই মেরুর শক্তিশালী চৌম্বকীয় আকর্ষণে আটকা পড়ে বায়ূমন্ডলের আয়নোস্ফিয়ার পর্যন্ত নেমে আসে এবং আয়নোস্ফিয়ারের গ্যাসের সাথে সংঘর্ষে তৈরী করে এই অপরূপ বর্ণিল খেলা যার নাম অরোরা বোরিয়ালিস।
ফায়ার টর্নেডো
আরেক ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্য। এই দুর্লভ প্রাকৃতিক দৃশ্যটি মাঝে মাঝে দাবানলের সময় দেখা যায়। বাতাসের তাপমাত্র এবং ঘূর্ণনের নিদিষ্ট গতির জন্য আগুন মাঝে মাঝে এরকম ঘূর্ণায়মান টর্নেডোর আকার ধারণ করে যা ২০০ ফূট পর্যন্ত উচ্চতার হতে পারে। তবে এই ফায়ার টর্নেডো খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।
ম্যামাটাস মেঘ:
মেঘের স্তরে বরফ জমা হয়ে মেঘের ঠিক নিচের সারফেসের কাছে এরকম ঝোলার সৃষ্টি হয় যাকে ম্যামাটাস মেঘ বলে। এই মেঘমালা একশ মাইল ব্যাসার্ধের জায়গা জুড়েও হতে পারে। ম্যামাটাস মেঘ ক্ষতিকর কিছু না হলেও এটা চরম প্রাকৃতিক দূর্যোগের এক অশনি সংকেত।
গ্র্যাভিটি মেঘ:
বজ্রবৃষ্টির সময় তীব্র গতির বায়ুপ্রবাহ এয়ার পকেটে পড়ে হঠাৎ উপরে উঠলে বা নিচে নেমে গেলে একটা শূন্যস্থানের সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি সেখানকার ফ্লুইড ডাইনামিক্সকে ব্যালেন্স করবার জন্য বাতাসকে অসিলেট করে ঠিক জায়গায় পৌছানোর চেষ্টা করে, এবং সেই বাতাসের ওয়েভ শেপ ফুটে ওঠে মেঘের গায়ে। প্রকৃতির নিজের হাতে আঁকা এক ওয়েভ শেপ।
0 comments: