সাই ফাই ছবি দেখি আর ডিরেক্টরদের কারুকাজ দেখে অবাক হই। কিভাবে তারা এরকম দৃশ্যপট কল্পনা করেন? অন্যগ্রহের এতো বিশ্বাসযোগ্য ছবি কিভাবে ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা ? কিন্তু এখন দেখলাম যে খুব বেশি দূরে নয়, এই পৃথিবীর বুকেই এমন জায়গা আছে যার ছবি দেখলে আপনি এক বাক্যে বলবেন এটা এ ধরার ছবি নয়, এটা অন্য জগতের ছবি বা ফটোশপের কারসাজি। কিন্তু বিশ্বাস করুন এটা সত্যি, খুব সত্যি ... আর এরকম ছবি কয়েকটি নিয়ে আজকের আয়োজন।
সকোটরা দ্বীপ:
ভারতীয় মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি চিরতরে "স্বাভাবিক" শব্দটির অর্থটিই পাল্টে দিয়েছে। এই দ্বীপ সহ আরো তিনটি দ্বীপ আফ্রিকার মেইনল্যান্ড থেকে প্রায় ৭ মিলিয়ন বছর ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল, ঠিক ডারউইনের গালাপাগোস দ্বীপের মতোই। সোমালিয়া আর ইয়েমেনের কাছাকাছি অবস্থিত এই দ্বীপটি এই বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রায় ৭০০ অতি দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করতে পেরেছে। যার মাঝে ১০টি এন্ডেমিক প্রজাতিও রয়েছে।
ক্লিলুকের স্পটেড লেক:
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় অবস্থিত ক্লিলুকের স্পটেড লেকের পানি গ্রীষ্মের প্রচন্ড লোকে শুকিয়ে যায় এবং পানিতে অবস্থিত খনিজ পদার্থগুলোকে ক্রিস্টালাইজ করে ফেলে। ঐ লেকের পানিতে বিভিন্ন খনিজের পরিমাণ ঘনত্বের হারে বিশ্বের সর্বোচ্চ, এরমাঝে আছে - ইপসম লবণ, ক্যালসিয়াম আর সোডিয়াম সালফেট, আটটা আরো খনিজ লবণ যার মাঝে রূপা এবং টাইটানিয়ামও রয়েছে। কাজেই ক্রিস্টালাইজ হওয়ার পর খনিজগুলো নিজস্ব ধাতবের রং ধারণ করে। কেউ সবুজ, কেউ নীলাভ আবার কেউ বেগুণী - আর সৃষ্টি হয় এক অন্য ভুবনের দৃশ্য।
রিশাত বলয়
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণ পশ্চিমে মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত রিশাত বলয় বিজ্ঞানীদের জন্য একটা বিস্ময়। বলয়গুলোর ব্যাস প্রায় ৩০ মাইলের মতো যা কিনা মহাশূণ্য থেকেও দৃশ্যমান। অনেকে মনে করেন বলয়গুলো উল্কাপাতের ফলে সৃষ্টি, তবে এতো বড় উল্কাপাতের কথা কেউ প্রমাণ করতে পারেন নি। এবং ভূতত্ত্ববিদদদের ধারণা ভূমিধ্বস এবং টেকটোনিক প্লেটের ক্রমশ ঘূর্ণনই রিশাত বলয় সৃষ্টির কারণ। তবে এটি বৃত্তাকার হলো কেন সেটা আজো বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যই থেকে গেছে।
শুকনো উপত্যকা
অ্যান্টার্কটিকার ড্রাই ভ্যালী বা শূকনো উপত্যকাকে বলা হয় পৃথিবীতে মঙ্গল গ্রহের সাথে সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ স্থান। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো আস্টার্কটিকায় অবস্থিত হওয়ার পরও এই অংশটা একেবারে শূষ্ক এমনকি এখানে বরফও পড়ে না। আর যাইহোক জায়গাটাকে কোনমতেই এ বিশ্বের বলা যায় না। অনেকসময় উপত্যকার ছোট লেকটির পানি জমে চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি পুরু বরফের আস্তরণ সৃষ্টি করে এবং সেই জমাট বরফের নিচে ঘুরে বেড়ায় অদ্ভুত ধরনের কিছু জীব। এ জায়গা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
রিও টিন্টো
স্পেনের রিও টিন্টো খনিকে এক নজর দেখলে যে কেউ এক চাঁদ বলে ভুল করবে। রিও টিন্টো খনির বলয়টার ব্যাস দিনে দিনে বাড়ছে এবং একটা বিশাল এলাকা দখল করে নিচ্ছে। এখান থেকে যে লাভার মতো নদী বের হতে দেখা যাচ্ছে সেটার পানির পিএইচ প্রায় ১.৭, খুবই আম্লিক এবং ভারী ধাতুতে পূর্ণ।
রক্ত পুকুর
জাপানের বেপুতে অবস্থিত রক্তপুকুরকে এলাকাবাসীরা জিগোকু(নরককুন্ড) বলে। কাছাকাছি হট স্প্রিংস বা উষ্ণ প্রস্রবণের পানি আয়রনের অতি আধিক্যের কারণে জন্ম দিয়েছে এই অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য।
সালার ডি উয়ুনি
বলিভিয়ার সালার ডি উয়ুনির ল্যান্ডস্কেপকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে হতবিহবলকর দৃশ্য। এটি হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় লবণ মরুভূমি, আর সেই সঙ্গে আছে অনেকগুলো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, উষ্ণ প্রস্রবণ এবং ক্যকটাস দ্বীপ - সবমিলিয়ে জায়গাটাকে ভিনগ্রহের মনে হতে বাধ্য।
সকোটরা দ্বীপ:
ভারতীয় মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি চিরতরে "স্বাভাবিক" শব্দটির অর্থটিই পাল্টে দিয়েছে। এই দ্বীপ সহ আরো তিনটি দ্বীপ আফ্রিকার মেইনল্যান্ড থেকে প্রায় ৭ মিলিয়ন বছর ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল, ঠিক ডারউইনের গালাপাগোস দ্বীপের মতোই। সোমালিয়া আর ইয়েমেনের কাছাকাছি অবস্থিত এই দ্বীপটি এই বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রায় ৭০০ অতি দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ করতে পেরেছে। যার মাঝে ১০টি এন্ডেমিক প্রজাতিও রয়েছে।
ক্লিলুকের স্পটেড লেক:
ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় অবস্থিত ক্লিলুকের স্পটেড লেকের পানি গ্রীষ্মের প্রচন্ড লোকে শুকিয়ে যায় এবং পানিতে অবস্থিত খনিজ পদার্থগুলোকে ক্রিস্টালাইজ করে ফেলে। ঐ লেকের পানিতে বিভিন্ন খনিজের পরিমাণ ঘনত্বের হারে বিশ্বের সর্বোচ্চ, এরমাঝে আছে - ইপসম লবণ, ক্যালসিয়াম আর সোডিয়াম সালফেট, আটটা আরো খনিজ লবণ যার মাঝে রূপা এবং টাইটানিয়ামও রয়েছে। কাজেই ক্রিস্টালাইজ হওয়ার পর খনিজগুলো নিজস্ব ধাতবের রং ধারণ করে। কেউ সবুজ, কেউ নীলাভ আবার কেউ বেগুণী - আর সৃষ্টি হয় এক অন্য ভুবনের দৃশ্য।
রিশাত বলয়
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণ পশ্চিমে মৌরিতানিয়ায় অবস্থিত রিশাত বলয় বিজ্ঞানীদের জন্য একটা বিস্ময়। বলয়গুলোর ব্যাস প্রায় ৩০ মাইলের মতো যা কিনা মহাশূণ্য থেকেও দৃশ্যমান। অনেকে মনে করেন বলয়গুলো উল্কাপাতের ফলে সৃষ্টি, তবে এতো বড় উল্কাপাতের কথা কেউ প্রমাণ করতে পারেন নি। এবং ভূতত্ত্ববিদদদের ধারণা ভূমিধ্বস এবং টেকটোনিক প্লেটের ক্রমশ ঘূর্ণনই রিশাত বলয় সৃষ্টির কারণ। তবে এটি বৃত্তাকার হলো কেন সেটা আজো বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যই থেকে গেছে।
শুকনো উপত্যকা
অ্যান্টার্কটিকার ড্রাই ভ্যালী বা শূকনো উপত্যকাকে বলা হয় পৃথিবীতে মঙ্গল গ্রহের সাথে সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ স্থান। সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার হলো আস্টার্কটিকায় অবস্থিত হওয়ার পরও এই অংশটা একেবারে শূষ্ক এমনকি এখানে বরফও পড়ে না। আর যাইহোক জায়গাটাকে কোনমতেই এ বিশ্বের বলা যায় না। অনেকসময় উপত্যকার ছোট লেকটির পানি জমে চার থেকে পাঁচ ইঞ্চি পুরু বরফের আস্তরণ সৃষ্টি করে এবং সেই জমাট বরফের নিচে ঘুরে বেড়ায় অদ্ভুত ধরনের কিছু জীব। এ জায়গা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
রিও টিন্টো
স্পেনের রিও টিন্টো খনিকে এক নজর দেখলে যে কেউ এক চাঁদ বলে ভুল করবে। রিও টিন্টো খনির বলয়টার ব্যাস দিনে দিনে বাড়ছে এবং একটা বিশাল এলাকা দখল করে নিচ্ছে। এখান থেকে যে লাভার মতো নদী বের হতে দেখা যাচ্ছে সেটার পানির পিএইচ প্রায় ১.৭, খুবই আম্লিক এবং ভারী ধাতুতে পূর্ণ।
রক্ত পুকুর
জাপানের বেপুতে অবস্থিত রক্তপুকুরকে এলাকাবাসীরা জিগোকু(নরককুন্ড) বলে। কাছাকাছি হট স্প্রিংস বা উষ্ণ প্রস্রবণের পানি আয়রনের অতি আধিক্যের কারণে জন্ম দিয়েছে এই অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য।
সালার ডি উয়ুনি
বলিভিয়ার সালার ডি উয়ুনির ল্যান্ডস্কেপকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে হতবিহবলকর দৃশ্য। এটি হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় লবণ মরুভূমি, আর সেই সঙ্গে আছে অনেকগুলো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, উষ্ণ প্রস্রবণ এবং ক্যকটাস দ্বীপ - সবমিলিয়ে জায়গাটাকে ভিনগ্রহের মনে হতে বাধ্য।
লেখক :অপরিচিত_আবির
0 comments: