সিরাজগঞ্জ শহর শাখার শিবিরের সাথী HSC পরীক্ষার্থী আনিসুর রহমান ভাই কে গতকাল ছাত্রাবাস থেকে তুলে নেয় পুলিশ।সকালে তার নিথর দেহ পাওয়া যায়।
রাতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং রাতেই বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করে!! গতবার এস এস সি দিয়ে আমাদের শাখা থেকে বিদায় নিয়ে ভাসানী কলেজ শাখায় কাজ শুরু করেছিল ভাইটি!
গ্রেপ্তারের পর গভীর রাতে গুলি চালিয়ে শিবির কর্মী আনিসুর রহমানকে হত্যা করেছে আওয়ামী পুলিশ। গত ১২ই এপ্রিল রাতে কোন কারণ ছাড়াই উল্লাপাড়া উপজেলার গয়াহাট্টা গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের ছেলে, ভাষানী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্র ও শিবির কর্মী আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গভীর রাতে ঠান্ডা মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে সকালে তাকে হাসপাতালে রেখে আসে।
অবৈধ সরকারের বেআইনি নির্দেশে নরঘাতকের বিকৃত রুপ ধারণ করেছে পুলিশ-ছাত্রশিবির
সিরাজগঞ্জে গ্রেপ্তারের পর গভীর রাতে গুলি চালিয়ে শিবির কর্মী আনিসুর রহমানকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, গত ১২ই এপ্রিল রাতে কোন কারণ ছাড়াই উল্লাপাড়া উপজেলার গয়াহাট্টা গ্রামের জাহাঙ্গির আলমের ছেলে, ভাষানী ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্র ও শিবির কর্মী আনিসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন মেসে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে গভীর রাতে ঠান্ডা মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে সকালে তাকে হাসপাতালে রেখে আসে। কোন কারণ ছাড়াই ডাকাতের মত রাতে ঘুমন্ত অবস্থা থেকে ধরে এনে একজন তরুণ ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা কোন দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ হতে পারেনা। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই হত্যাকান্ড কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং অবৈধ সরকারের মেধাবী ছাত্র হত্যা মিশনেরই অংশ। পুলিশ অবৈধ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন করতে একের পর এক নরঘাতকতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করে চলেছে। এমন অমানবিক ও দায়িত্বহীন কাজ তাদের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাটি ঘৃণায় ভরে গেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে একদিকে সন্তানকে লালন করে তাদের ভবিষ্যতের জন্য অন্যদিকে পুলিশকে লালন করে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু জনগণের টাকায় পরিপালিত হয়ে অবৈধ সরকারের ইশারায় একের পর এক মায়ের বুক খালি করে চলেছে পুলিশ। এই বর্বরতা যেমন নরঘাতকতা তেমনি বিশ্বাস ঘাতকতা। পুলিশ দায়িত্ব পালনের বদলে রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তারা যদি রাজনৈতিক অবস্থানকে বড় করে দেখে তাহলে তাদের উচিৎ পবিত্র দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে আসা। পুলিশের পবিত্র অবস্থানে থেকে রাজনৈতিক গোলামী ও নরঘাতকতা করা কাপুরুষতার নামান্তর। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, অবিলম্বে বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করুন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির কর্মী হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনুন। অন্যথায় জনগণের অবস্থান দূর্বল নয়। প্রয়োজনে এই রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে যাবে জনগণ। যা দেশ বিদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানকে আরও লজ্জাজনক অবস্থানে নিয়ে যাবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শিবির কর্মী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সকল আচরণ পরিহার করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
(মো. জামাল উদ্দিন)
সহকারী প্রচার সম্পাদক
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
সিরাজগঞ্জ শহরের মওলানাভাসানী ডিগ্রী কলেজেরএকাদশ শ্রেণীর ছাত্র। রোববার রাত ৯টার দিকেসিরাজগঞ্জ পৌর এলাকারধানবান্ধি এলাকায় এ ঘটনাঘটে।
0 comments: