ছাত্রশিবিরের রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারী জসিম উদ্দিন ভাইয়ের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ভাইকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।
ভাইটির বয়স ২৬। জামায়াত কর্মী। ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠানের গার্ড। বেতন পাচ হাজার। তার নামে মামলা হওয়ার পর থেকে গত তিন মাস থেকে ছিলেন রাজশাহীর বাইরে। বাস্তবতার সম্মুখীন প্রতিষ্ঠানটি এই তিন মাস তার বেতন আটকে দেয়। পরিবারের উপার্জনকম একমাত্র ব্যাক্তি। সব বিপদ উপেক্ষা করে কাজে যোগদান করার জন্য শনিবার রাতে আসেন প্রতিষ্ঠানে। পুলিশ জানতে পারে। পুরো এলাকা ঘিরে ভাইটিকে গ্রেফতার করে। একদিন পর গতকাল রাতে উনার হাত-পা বাধা বুকে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশটি পাওয়া গেছে।
আল্লাহ যেন ভাইটিকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতে এই হত্যার বিচার করেন।
জামায়াত কর্মী শহীদুল ইসলাম ভাই কে(রাজশাহী মহানগরী সেক্রেটারীর ভাই)গতকাল রাত ১২টার সময় তার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।যাওয়ার সময় বলেছিলো "আসল মাল"কে পেয়েছি(?) তখনই মনে হয়েছিলো শহীদুল ভায়ের বাচার আশা খুবই কম৷
অবশেষে প্রচন্ড নির্যাতন করে ক্রসফায়ারে তাকে শহীদ ই করে দেওয়া হলো!!!
ভাইটির সাথে সেভাবে সম্পর্ক না থাকলেও কয়েক বছর আগে তৎকালিন শাহমাখদুম থানা সাভাপতি জসিম ভাই থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে ওনাদের বাসায় যাবার প্রয়োজন হতো।
বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষ্যে ওনাদের বাসায় ঈদের দিন মাগরিবের পরে বসতো মিলনমেলা। সবাই মিলে ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতাম।
সবার সাথে আমাদের শহীদ (ইনশাআল্লাহ) শহিদুল ভাই ও যোগ দিতেন। সেইদিনগুলোর স্মৃতি ভাবতে ভাবতে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
শহিদুল ভাইয়ের এক ছোট্ট সন্তান রয়েছে। নাম তার সাদিয়া। বয়স সাড়ে তিন বছর। এই মেয়েটা তো তার বাবাকে আর ফিরে পাবেনা !!
ক্রসফায়ার এর ছোবল থেকে কবে মুক্তি পাবে এই জাতি ??
আমার প্রিয় মাতৃভূমি ??
আল্লাহ ওনাকে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন, আমিন... (KN)
ভিডিও
0 comments: