শহীদ আবু যর গিফারী ও শহীদ শামীম হোসেন (ঝিনাইদহ-১৩.০৪.১৬)


ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পৌরসভা শিবিরের সভাপতি আবুজর গিফারি (শহীদের ফেসবুক প্রোফাইল)ও জেলার কে সি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীমকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২৫ দিন পর তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।



শহীদ আবু যর গিফারী
শহীদ ক্রম: ২২৭
সাংগঠনিক মান: সদস্য
জেলা: ঝিনাইদহ
হত্যাকারী: পুলিশ

জীবনের সব স্বপ্নকে ওরা কিনেছে খুবই অল্প দামে,
হাসিমুখে প্রাণ দিয়েছে বিলিয়ে মহান প্রভুর নামে।



শহীদ শামীম হোসেন
শহীদ ক্রম: ২২৮
সাংগঠনিক মান: সাথী
জেলা: ঝিনাইদহ
হত্যাকারী: পুলিশ




ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ পৌরসভা শিবিরের সভাপতি আবুজর গিফারি (২২) ও কে সি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীম (২০) কে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে যশোরের হৈবতপুর মৌজার বিরামপুর শ্বশান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে যশোর কতোয়ালি থানার পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নিহত আবুজর গিফারীর চাচাতো ভাই পাননু মিয়া ও শামিমের ভাই তাজনিম হুসাইন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুইটি আবুজর ও শামিমের বলে সনাক্ত করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার চাপালী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র আবুজর গিফারিকে গত ১৮ মার্চ জুম্মার পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

নিখোঁজ সন্তানের উদ্ধারের দাবিতে আবুজরের বাবা সেলুনকর্মী নুর ইসলাম গত ২৪ মার্চ ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তার ছেলেকে নিয়ে গেছে। ২৫ দিন পর আজ বুধবার তার গুলিবিদ্ধ লাশ পায় যায়।

এদিকে ২৪ মার্চ বিকেলে একই উপজেলার বাকুলিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের অনার্সের ছাত্র ও শিবির নেতা শামীম হোসেন (২০) কে একই ভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯ দিন পর তার লাশও আবুজর গিফারির সঙ্গে পাওয়া যায়।

এ নিয়ে শিবির ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এবং বিবৃতির মাধ্যমে দুই নেতার সন্ধান দাবি করা হলেও বিষয়টি পুলিশ আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ করেছিল ছাত্রশিবির। গণমাধ্যমে পাঠানো ছাত্রশিবির ও নিহত দুইজনের পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিক বিবৃতির মাধ্যমে দুই জনের জীবন নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল। অবশেষে আজ বুধবার যশোরে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।




kjkjkj

ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া শিবির নেতার সন্ধান দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শীর্ষ নিউজ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রাম থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া শিবির নেতা আবুজার গিফারীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিননাইদহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে করে শিবির নেতা আবুজার গিফারীর বাবা মোঃ নুর ইসলাম এ দাবি জানান। এ সময় তার মা কুলসুম বেগম, ফুফু নুরজাহান খাতুন, মামা ফজলু সরদার, চাচাতো ভাই পাননু রাহমান ও মামাতো ভাই রিপন মিয়া উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে নুর ইসলাম বলেন, আমি পেশায় একজন সেলুন কর্মী। আমার অভাবের সংসারে অনেক কষ্ট করে দুই সন্তান আবুজার গিফারী ও মেয়ে ফারজানা খাতুন পপিকে লেখাপড়া শিখিয়ে কলেজ- ভার্সিটি পর্যন্ত নিয়ে গেছি। গত ১৮ মার্চ জুম্মার নামাজ পড়ে যখন আবুজার গিফারী বাড়ি ঢুকছিলো, তখন ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়ির সামনে অপেক্ষমান দুটি মটরসাইকেলে ৪ জন লোক গিফারীকে জোর করে তুলে নিয়ে গান্না বাজারের দিকে চলে যায়। এ সময় তাদের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা ছিল। মাজায় পিস্তল ও হ্যান্ডকাপ ছিল। বুকে ঝুলানো ছিল পরিচয়পত্র। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আবুজার গিফারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা নুর ইসলামের দাবি তার ছেলে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন মিছিল মিটিংয়ে যেত না। নিয়মিত নামাজ, রোজা, গ্রামের লাইব্রেরিতে পড়া ও খেলাধুলা ছাড়া কোন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার জন্য আবেদন করেছি। পুলিশ আবেদনটি নিয়ে রেখে দিয়েছে। জিডি এন্ট্রি করেছে কিনা জানা নেই। তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেছি। তিনি আমাদের কথা গুরুত্বের সাথে শুনে বিষয়টি জরুরি ভাবে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুজার গিফরীর মা কুলসুম বেগম কলেন, যে সময় চারজন লোক আমার ছেলেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে রক্ষার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাকে ধাক্ক দিয়ে সরে যেতে বলেন। আবুজার গিফরীর বাবা- মায়ের ধারণা ডিবি পুলিশের লোকজনই তার ছেলেকে নিয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিক সম্মেলনের সময় আবুজার গিফারীর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা একমাত্র সন্তানকে খুজে না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা অক্ষত অবস্থায় আবুজার গিফারীকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানান। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ বা ডিবির পক্ষ থেকে আবুজার গিফারী নামে কাউকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তিনি জানান, ডিবির সদস্যরা গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখে না। তবে তার কাছে পরিবারটির পক্ষ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।




এই মসজিদ থেকে গত কয়েকদিন আগে জুম্মার নামাজ পড়ে ফেরার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়।






0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম