শহীদ মো: ইয়াহিয়া

নাম: মো: ইয়াহিয়া
সাংগঠনিক মান: সাথী
শহীদ হওয়ার তারিখ: ১৪ জানুয়ারী ১৯৯৩ দুপুর ১টা।
পিতার নাম: মো: আমজাদ হোসাইন
সর্বশেষ পড়াশুনা: ১ম বর্ষ সম্মান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।
জীবনের লক্ষ্য: অধ্যাপনা।
আহত হওয়ার স্থান: সদর হাসপাতাল মোড়, রাজশাহী মহানগর।
আঘাতের ধরন: ছোরা, চাইনিজ কুড়াল, রড, রামদা।
কাদের আঘাতে শহীদ: ছাত্রদলের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য।
স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: হরিদাগাছি, ডাক: মোহনপুর, থানা: মোহনপুর, জেলা: রাজশাহী।
ভাইবোন : ৬ জন।
ভাই-বোনদের মাঝে অবস্থান: ১ম।
পরিবারের মোট সদস্য: ৮ জন।
পিতা: জীবিত, পেশা: কৃষি।
মাতা: জীবিত, পেশা: গৃহিণী।
শহীদ হওয়ার পূর্বে স্মরণীয় বাণী: “ইসলামী বিপ্ল্লবের মাধ্যমেই এ দেশে শানি- আসতে পারে। আর ছাত্রশিবিরই বাংলাদেশের শানি-র অন্বেষায় তৎপর।”
শাহাদতের পর শহীদের পিতা-মাতার প্রতিক্রিয়া: শহীদের মাতা বললেন, আমার ইয়াহিয়া এ বারে বাড়ি থেকে রাজশাহীতে যাবার পর বার বার দোয়া চেয়েছে। পাড়ার সকলকে বলে বিদায় নিয়ে চলে গেল। আর ফিরে এলো না! আমার ইয়াহিয়া আর ফিরে আসবে না!

শাহাদাতের প্রেক্ষাপট:

১৪ জানুয়ারী ’৯৩ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ইতিহাসে একটি মর্মানি-ক ঘটনা। সেদিন শিবির হারায় তার এক জানবাজ কর্মীকে। যিনি তেরখাদিয়ার ছাত্রনেতা ও প্রতি বাড়ীতে বাড়িতে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয় ছিলেন। শহীদ ইয়াহিয়ার শাহাদাতের খবর শুনে ঐ এলাকায় সাধারণ মানুষ যে ভাবে কান্নাকাটি করেছেন, তাতে মনে হয়েছে প্রতিটি বাড়ি এক একজন করে তাদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। আকাশও সেদিন সূর্যের আলোতে হাসেনি। পাখিরাও কিচির মিচির করেনি। প্রকৃতিতে ছিল একটা থমথমে ভাব, যে পরিবেশ বুঝতেও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
শহীদ ইয়াহিয়ার শাহাদাতের পূর্বে ১২ জানুয়ারী ’৯৩ চট্টগ্রাম কলেজে শিবির নেতা মোশাররফ হোসেনকে বাতিল শক্তি ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য নৃশংস ভাবে হত্যা করে। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানীতে সুপরিকল্পিত ভাবে অত্যন- ঠান্ডা মাথায় পৈচাশিক কায়দায় এ নারকীয় হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। ইসলামী ছাত্রশিবির এ নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সারাদেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবসের কর্মসূচী ঘোষণা করে। রাজশাহী মহানগরী শাখাও সারাদেশের কর্মসূচীর অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
অপর দিকে ২২ ডিসেম্বর ’৯২ শিবিরের ওপর সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য রাজশাহী কলেজে হামলা চালিয়ে শিবির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ ও রাজশাহী মহানগরীর সেক্রেটারী মাহাবুবুল আহসান বুলবুলকে মারাত্মক ভাবে আহত করার পর দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকে। কলেজের ক্লাশ বন্ধ থাকলেও ইন্টারমেডিয়েট ভর্তির কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন দলীয় কোটায় ক্যাডার ভর্তি করার পায়তারা চালাতে থাকে। দলীয় মাস-ান ও সন্ত্রাসীদের ভর্তি করে কলেজে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। অপর দিকে ছাত্রশিবির মেধার ভিত্তিতে ১ম বর্ষে ভর্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য সুযোগের অপেক্ষায় ছিল শিবিরের ওপর আক্রমণ পরিচালনার। রাজশাহী কলেজে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
চট্টগাম কলেজে শহীদ মোশাররফ হোসেনের নারকীয় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে শিবির রাজশাহী মহানগরীতে ১৪ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় বিক্ষোভ মিছিল আরম্ভ করে। মিছিল রাজশাহী কলেজের সামনে আসলেই ছাত্রঐক্য মিছিলের ওপর রাইফেল, কাটারাইফেল, পিস-লসহ ভয়ানক আগ্নেয়াস্ত্র সহযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক হামলায় ২০/২৫ জন শিবির নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। শিবির কর্মীরাও খুনীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করতে থাকলে পুলিশ শিবিরের মুখোমুখি অবস'ান নেয়। খুনীদের আড়াল করে পুলিশ সামনে এগিয়ে আসে ও সন্ত্রাসীদের পিছন থেকে শিবির কর্মীদের ওপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপের সুযোগ করে দেয়। এ ক্ষেত্রে শিবির কর্মীদের পিছনে হটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্র-সস্ত্র থাকার পরও পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে উল্টো শিবিরের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় শিবির কর্মীরা সদর হাসপাতাল ও হেতেম খাঁয় অবস'ান নেয়। শহীদ ইয়াহিয়াও সদর হাসপাতালে অবস'ান নেয়। সদর হাসপাতালে পুলিশের চোখের সামনে খুনীরা হত্যাকান্ডের নেশায় মত্ত হয়ে হাসপাতালে ঢুকে শিবির কর্মীদের হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। সন্ত্রাসীরা শহীদ ইয়াহিয়াকে পেয়ে উল্ল্লাস প্রকাশ করতে থাকে ও এলোপাথাড়ী চাইনিচ কুড়াল, হকিস্টিক ও রড দিয়ে আঘাত করে। এমনকি তাকে দোতলা থেকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে নিয়ে আনে। ইয়াহিয়ার আর্তচিৎকারে হাসপাতালের রোগী ও ডাক্তারদের মাঝে আতংক বিরাজ করছিল। কিন' হায়েনাদের হাত থেকে শহীদ ইয়াহিয়াকে বাঁচানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। মাত্র ২০ হাত দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও ইয়াহিয়ার আর্তচিৎকারে তারা সাড়া দেয়নি। রডের আঘাত, চাইনিচ কুড়ালের কোঁপে ইয়াহিয়ার মাথা থেতলে যায়। চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস'ায় তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর কর্তব্যরত ডাক্তার দুপুর ১-৪৫ মিঃ এ মৃত বলে ঘোষণা করেন।

যে মৃত্যু অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে


শিক্ষা আমার আজন্ম অধিকার। কিন' সে অধিকার বাংলাদেশে পাচ্ছে ক’জন? প্রাইমারীর আঙ্গিনা পেরিয়ে উঠার আগেই দেশের দারিদ্রপিষ্ঠ জনগণের ছেলেমেয়েরা বাধ্য হচ্ছে শিশুশ্রমের মত অমানবিক কাজে আত্মনিয়োগ করতে। দেশের বৃহৎ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পড়ার তাদের সুযোগ কোথায়? যারা দারিদ্রকে মাড়িয়ে অনেকটা কষ্টে প্রাইমারী, হাইস্কুল পেরিয়ে বড় বড় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছে তাতেও তারা শিকারে পরিণত হচ্ছে দূর্নীতির।
স্বাভাবিক মেধা বিকাশের উন্মুক্ত ক্ষেত্র হওয়া উচিৎ ছিল এদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের; বিশেষত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের। কিন' কোথায় মেধা চর্চা? কোথায় বিবেকবোধ? আমাদের মেধার মুখে লাথি মেরে বিবেকের অংকুর পায়ের তলায় পিষে এর বিপক্ষেই যেন বেশি ভূমিকা রাখছে। বলতে কষ্ট হয়, উত্তর বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কথা। এই কলেজের ছাত্র হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। সে সময় নিজেকে গর্ব করে বলতাম আমি রাজশাহী কলেজের ছাত্র। বর্তমানে ঘটা করে আর কাউকে বলতে ইচ্ছে হয় না আমার প্রাক্তন কলেজ রাজশাহী কলেজ। সেদিন ছিল ১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর। রাজশাহী কলেজের মত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতেই হবে ভর্তি এটাই প্রকৃতি। কিন' কী দেখলাম! মেধা চর্চার এই আঙ্গিনায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ও দলীয় ব্যানারে অবস'ানরত কিছু সংখ্যক বখাটে মাস-ানদের সন'ষ্টি বিধানের লক্ষ্যে নতজানু কলেজ প্রশাসন কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা নির্ধারণ করলেন। কলেজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান- কোন আদর্শবাদী বিবেকবান ব্যক্তি অথবা সংগঠনের মেনে নেয়ার কথা নয়। আর স্বভাবতই সেদিন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই অন্যায়কে মেনে নিতে পারেনি। পারবেই বা কোন মুখে? তাহলে বিবেকবান ছাত্র অভিভাবক মহলকে কি জবাব দেবে তারা? ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা তাই এই জুলুমের বিপক্ষে সেদিন সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। সাধারণ ছাত্র সমাজ ছিল শিবিরের পক্ষে। কলেজ প্রিন্সিপালের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও, মিছিল সমাবেশ, বিবৃতি ইত্যাদির মাধ্যমে আন্দোলন চালাতে থাকে। এতো
কিছুর পরেও প্রশাসনের কুম্ভকর্ণের মত ঘুম যেন ভাঙ্গার নয়। পরিশেষে ছাত্রশিবির ন্যায়সংগত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘটের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হয়। কয়েক দিন লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচীর শেষ পর্যায়ে যখন শিবির ক্যাম্পাসে মিছিল শেষে সমাবেশে মিলিত হয় প্রশাসন ভবনের সামনে ঠিক তখনই ছাত্র নামের কলঙ্ক, প্রশাসনের দালাল ও তৎকালীন সরকারী ছাত্র সংগঠন ছাত্র দলের নেতৃত্বে সকল বাম সংগঠনকে সাথে নিয়ে শিবিরের শানি-পূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা চালায়। এই হামলা এতটা বর্বর ছিল যা লেখনীর মাধ্যমে উপস'াপন করা সম্ভব নয়। হামলা নয়, যেন সত্যের বিপক্ষে মিথ্যার নির্মম ছুরিকাঘাত। দেখলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা ও কর্মীদের চারপার্শ্বে একটার পর একটা বোমা চার্জ করা হচ্ছে আর গুলির মুহুর্মুহ শব্দে রাজশাহী কলেজের আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে। ঘটনাস'লে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রসমাজ ও শিবিরের নেতা কর্মীরা একের পর এক আহত হতে থাকেন। আহতদের মধ্যে তৎকালীন কলেজ শাখার সভাপতি জনাব আব্দুল ওয়াহেদ, রাজশাহী কলেজের নির্বাচিত প্রো-ভিপি জনাব মাহবুবুল আহসান বুলবুল, সোহেল, ইব্রাহিম, খলিল মারাত্মক ভাবে আহত হয়। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই দিন আঃ ওয়াহেদ ভাই যে আমাদের মাঝে হাস্যেজ্জ্বল চেহারা নিয়ে বেঁচে আসতে পারবেন তা চিন-াও করতে পারিনি। আল্লাহর শুকরিয়া তিনি আজও আমাদের মাঝে রয়েছেন। উল্লেখিত আহত ভাইয়েরা ছাড়াও সেদিন ২০/৩০ জন ছাত্রও আহত হয়েছিল। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে কথা বলাই যেন ছিল তাদের অপরাধ, মেধাভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার কথা বলাই যেন ছিল তাদের দোষ। আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা আমাদের বিবেককে আহত না করে পারে না। দেখা গেল শিবিরের ছেলেরা মার খাচ্ছে সন্ত্রাসীদের হাতে আর বীর পুলিশেরা হা করে চাতক পাখির মতো দেখছে সে বিভৎস দৃশ্য! ভাবখানা এই যেন তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এই সব কান্ড কারখানা দেখার জন্য আর যারা পীড়িত হবে তাদের গ্রেফতার করার জন্য। জাতির জন্য এর চেয়ে হতভাগ্য বিষয় আর কি হতে পারে?
এইতো গেল ২২ ডিসেম্বর ১৯৯২ সালের কথা। কলেজ বন্ধের পর আবার যখন ১৯৯৩ সালের ১২ জানুয়ারী কলেজ খুললো তার মাত্র দু’দিনপরেই শিবিরের প্রতিবাদ মিছিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আবারও বোমা আর গুলি বর্ষণ করা হলো, কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতই।
প্রতিবাদ মিছিলের একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন শহীদ ইয়াহিয়া। বলিষ্ঠতা, সাহসিকতা আর সত্যের পক্ষে যার ছিল বজ্রকণ্ঠ শ্ল্লোগান ও বক্তব্য। হায়েনার দল সেদিন ইয়াহিয়া ভাইকে রাজশাহী সদর হাসপাতালের মধ্যে নির্দয় ও নির্মম ভাবে ড্যাগার বসিয়ে ছিল, বুক একটুও কাঁপলো না তাদের। মৃত মনে করে তারা পালিয়ে গেলে, এলাকার কিছু ব্যক্তি তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই তিনি শাহাদাতের অমিয় পেয়ালা পান করলেন। সেদিনও পুলিশ ছিল তবে ভূমিকা ছিল দর্শকের। হায়রে জাতি, হায়রে দেশ! এই যদি হয় আমাদের শৃংখলায় নিয়োজিত বাহিনীর অবস'া তবে জাতি কি নিয়ে আশায় বুক বাঁধবে? ধিক! এই সমস- পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রতি।
শহীদ ইয়াহিয়ার মৃত্যু আমাদের দেখিয়ে গেল অন্যায়ের কাছে কভু মাথা নোয়াবে না, প্রয়োজনে জীবন দেবে। হ্যাঁ আজও, আজও তার মৃত্যু, তার শাহাদাত সাধারণ ছাত্র সমাজসহ শিবির কর্মীদের অনুপ্রেরণা যোগায়। এটা প্রমাণিত, শিবির কর্মীরা জীবন দিতে জানে, রক্তের সাগরে সাঁতার কাটতে জানে, কিন' কোন অন্যায় আর জুলুমের কাছে মাথা নত করতে জানে না। বেশ কিছুদিন গত হলো শহীদ ইয়াহিয়া মৃত্যুর। কিন' আজও যখন শুনি ছাত্র সংগঠন গুলোকে অবৈধভাবে ভর্তির কোটা দেয়া হচ্ছে তখন মনে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করি। প্রতিবাদী হয়ে ওঠে কন্ঠ। শুধু কি আমরা? আমাদের সাথে সাথে শহীদ ইয়াহিয়ার আত্মাও এই নির্লজ্জ কলেজ প্রশাসন ও তাদের দোসরদের নেপথ্যে বলে যাচ্ছে এটা অন্যায়! এটা জুলুম! তার মৃত্যু যেন কথা বলে অন্যায়ের বিপক্ষে, জুলুমের বিপক্ষে। সে দিন বেশি দূরে নয়, সেদিন ঐ সমস- নির্লজ্জ প্রশাসনসহ সকল সন্ত্রাসীদের এদেশের ছাত্রসমাজ একযোগে বয়কট করবে। বিতাড়িত করবে সমাজের সমস- মানুষ। আমরা সবাই তার অপেক্ষায় প্রহর গুণ্যছি।
(লেখকঃ এ কে এম সরওয়ার জাহান প্রিন্স, সাবেক সভাপতি, রাজশাহী মহানগরী ও সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য)

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম