মুসলমানদের অসীম ধৈর্য্য আল্লাহ কঠিন দাঙ্গা থেকে রক্ষা করলো চট্টগ্রামকে

মসজিদে অবরুদ্ধ ইমাম
হিন্দুদের পোইশাচিক আক্রমনে লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় যুবক আব্দুস সবুরের


সিলেটে নেত্রীর রোডমার্চ শেষ করে রাতে ঢাকায় ফিরছিলাম। এমন সময় চট্টগ্রাম থেকে এক ছোট ভাইয়ের ফোন। সে জানালো চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় হিন্দু অধ্যুষিত বংশাল রোড এলাকায় শত শত হিন্দু মসজিদ আক্রমণ করেছে এবং ইমামকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। তার এই সময় মসজিদে বোতল এবং ডিল ছুঁড়ে মারে। এতে মসজিদের জানালার কাছ ভেঙ্গে যায়। পরে লোকজন অবরুদ্ধ ইমামকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপর দা-কিরিচ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিবসেনা জঙ্গিরা। এ সময় তাদের লাঠির আঘাতে স্থানীয় যুবক আব্দুস সবুরের মাথা ফেটে যায়। অল্প সংখ্যক পুলিশ এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে তারাও আহত হয়। তাদের সাথে আশেপাশের এলাকা থেকে আরো প্রচুর হিন্দু যুক্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পরে মুসলমানদের এবং তাদের স্থাপনার উপর। চট্টগ্রাম যাদের পরিচিত তারা জানেন যে, পাথরঘাটা,আলকরন,ফিরিঙ্গীবাজার এসব এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত এবং প্রায়শই তারা মুসলমানদের সেখানে চাপে রাখে। গতকাল সেখানে উপস্থিত অল্প সংখ্যক মুসলমান তাদের ধৈর্য্যর পরিচয় দিয়ে শান্ত থাকেন। না হলে কি হত আপনারা একবার ভাবুন। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) আমেনা বেগম সেখানে অতিরিকত পুলিশ পাঠালে তারা উন্মত্ত হিন্দুদের নিবৃত্ত করে। রাত ১২ টায় শান্ত হয়ে আসে হিন্দুদের উন্মততার। কিন্তু মুসলিমদের মধ্য চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এখন সারা এলাকা র‍্যাব-আর্মড ফুলিশ টহল দিচ্ছে। মুসলমান লোকজন খুব আতংকে সময় পার করছে, কারন তারা আশংকা করছে যে কোন সময় আবার হিন্দুরা গুজরাটের মত মুসলমানদের উপর গতরাতের মত ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।


**এখানে কোন মিথ্যা তথ্য দিলে আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। 
রামদা(গোল চিহ্নিত) হাতে এক হিন্দু ক্যাডার

এ সময় হিন্দু নারীরাও যোগ দেয় সশস্ত্র যুবকদের সাথে (হ্যালমেট পড়া যুবকের হাতে নাকি অস্ত্র ছিল)

পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মুসলমানদের আক্রমন করতে উদ্যত হিন্দুরা
ছবি কথা বলে। এসব ছবি ঘটনাস্থল থেকে গতারাতে তুলেছে আমার সেই ছোট ভাইটি। 



সোর্স : ব্লগার ভূদাই 




কিসের মোকাবেলা আহবান করা হচ্ছে হিন্দু ব্লগ থেকে?এটা কোন দেশী ব্লগ??

দেখুন সকালে এক লোক যে পোস্ট করেছিল হিন্দু ব্লগের রেফারেন্স দিয়ে সে ব্লগে হৃদয় নামে এক ব্লগার কি আহবান করেছে দেখেন-

হৃদয়
: হ্যাঁ, এখন আমাদের এক হওয়ার সময়। আলাদা আলাদা হয়ে যাওয়া মানে আমাদের পায়ের তলার মাটিটা আলগা করে দেওয়া। আসুন সবাই একসাথে শক্ত ভিত গড়ে তুলি। হিন্দু ধর্মের মানুষদের উপর পলে পলে অবিচার হচ্ছে। একত্র না হলে কিভাবে আমরা এর মোকাবিলা করব?

আর তার ইউজার প্রোফাইল দেখে তাজ্জব-


প্রশ্ন এই
হিন্দু ব্লগের ঠিকানা নাই কেন? ইউজার হৃদয়ের লোকেশন সুত্র ধরে যদি বলা হয় এটা কলকাতার ব্লগ, তাহলে তাদের বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর মানে কি? নাকি কলকাতা থেকে পরিকল্পিত ভাবে এ দেশে দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য উস্কানি দেয়া হচ্ছে?

 সূত্র : ব্লগার ভূদাই

  

 

চট্টগ্রামের মেয়র, মনজুর আলম হিন্দু-মুসলমানদের মধ্য শান্তি সমাবেশ করলেন


আজকে দুপুরে সেখানে চট্টগ্রামের মেয়র, বিএনপি নেতা মনজুর আলম গিয়ে শান্তি সমাবেশ থেকে সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন। জলিলগঞ্জের গঙ্গাবাড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে আওয়ামিলিগের নেতারাও আসেন। মেয়র মনজুর আলম বলেন, "এক ঘরে থাকলেও ঝগড়া হয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা হয়েছে তাতে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত।" এছাড়া তিনি সেখানে আসা এলাকার গণ্যমান্য মানুষকে এমন ব্যাপার যাতে আর না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে বলেছেন। এছাড়া সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন বলেন দোষীদের খুজে বিচার করবেন তিনি।


 


1 comments:

নামহীন বলেছেন...

ভাল নিউজ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম