মোরা বড় হতে চাই - প্রথম খন্ড

সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা

কোন পরিকল্পনা , তা যতই সুন্দর হোক না কেন , ততক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না যতক্ষণ না তার সাথে যোগ হবে সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা । নবুয়ত পাওয়ার পরপরই যখন রাসূল (সাঃ) -এর ওপর নেমে এলো বিপদের র্পবত ; এমনকি কুরাইশ নেতৃবৃন্দ জোটবেঁধে দাঁড়িয়ে গেল বাধার পাহাড় হয়ে । এমনি সময়ে , সিংহপুরুষ আবু তালিবও ঘাবড়ে গিয়ে ভাতিজা মুহাম্মদ (সাঃ) কে বললো , কুরাইশ নেতৃবৃন্দের সাথে একটি আপোসরফা করে চলার জন্যে । তখন ,তখন কি হলো? আমাদের প্রিয় নবী কি ঘাবড়ে গেলেন ? না , মোটেই না ।বরং দ্বিগুণ তেজে বললেন ,“ওরা আমার এক হাতে যদি চন্দ্র এবং আরেক হাতে সূর্যকেও এনে দেয় তবু আমার পথ থেকে আমি এক চুল পরিমাণও বিচ্যুত হবোনা ।” জীবনে এমন কঠিন অঙ্গীকার ছিল বলেই মক্কার সেই কিশোর রাখাল বালকটি বড় হয়ে সমগ্র জাহানের অধিপতি হয়েছিলেন। যার জীবন অধ্যয়ণ করে নেপোলিয়নের মত; বিশ্ববিখ্যাত সেনাপতিও আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন ,“মুহাম্মদের যুদ্ধবিজয়ের ঘটনাগুলি দেখলে মনে হয় তিনি কোন মানুষ নন ;বরং স্বয়ং খোদা ! কিন্তু আবার তাকে খোদাও বলা যায়না কারণ তিনি যুদ্ধে নিজে আহত হয়েছেন তার সৈন্যরা মারা গেছে; তাই কোন মানবীয় বুদ্ধি দিয়ে তার এই অত্যাশ্চর্য বিজয়কে বিশ্লেষণ করা যায়না ।”এত অল্প সময়ে রাসূল (সাঃ) এর অবিস্মরনীয় সাফল্যের পেছনে শুধুমাত্র আল্লাহর সাহায্যই নয় বরং তার সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং সাধনাও মূল কার্যকারণ হিসেবে কাজ করেছে। আর তাইতো আমেরিকার সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন বলেছেন ,“ যদি কেউ গভীরভাবে উকিল হওয়ার ইচ্ছা করে তবে অর্ধেক ওকালতি পড়া হয়ে যায় , আর বাকি অর্ধেকটা তাকে বই পড়ে শিখতে হয় ।” ঠিক তেমনি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে সবার আগে উড়ে যাওয়া এমেলিয়া আরহার্ট বলেছেন,“ আমি আটলান্টিকের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি উড়তে ইচ্ছা করেছিলাম ।” ব্রিটেনের টাউনশেন্ড অফিসের এক ক্যাশিয়ার , কলম পিষতে পিষতে হঠাৎ ভাবলেন ,হায় ! এভাবেই কি জীবনটা শেষ হয়ে যাবে ? যেই ভাবা সেই কাজ , চাকুরি ছেড়ে দিলেন তিনি । যাত্রা হলো শুরু। শেক্সপীয়ারের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন নিজকে এবং ভাবীকালে সত্যিই তিনি শেক্সপীয়ারের সমকক্ষ, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী র্জজ বার্নার্ড শ হয়েছিলেন । সুতরাং বলা যায় , সুদৃঢ় ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সফলতার পূর্বশর্ত । আল্লাহ পাক কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, “যারা সুদৃঢ় প্রত্যয়ী তারাই সফলকাম”।


সাধনা আর সাধনা

শুধু সুদৃঢ় আকাঙ্ক্ষা করে চুপটি করে সোফায় বসে থাকলেই সাফল্য আসবে ? না এক্কেবারে না ,এমনকি একরত্তি আলপিনও একচুল পরিমাণ নড়বে না । তাহলে উপায় ? হ্যাঁ , আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করতে চাইলে দরকার সাধনা আর সাধনা । যেমনটি রাসূল (সাঃ) বিজয়ের জন্যে সব ছেড়েছুড়ে পনের বছর শুধু ধ্যান করেছেন , তের বছর প্রচন্ড ধৈর্য্য ধরে দাওয়াত দিয়েছেন , আর দশ বছর এমন কি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে গেছেন । ইমাম বুখারী (রহ) কুরআনের পর সবচেয়ে সেরা গ্রন্থ বুখারী শরীফ রচনা করতে গিয়ে , একটি হাদিস সংগ্রহে তিনশ মাইল হেঁটেছেন । ঠিক তেমনি স্কটল্যান্ডের রবার্ট ব্রুস তার দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে শক্তিশালী বৃটেনের বিরুদ্ধে পাঁচবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে প্রতিবারই পরাজিত হন । অতঃপর এক গুহায় আত্মগোপন অবস্থায় দেখতে পান একটি মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে পাঁচবার ব্যর্থ হয়ে ছয়বারের বার সফল হয় । তিনি লজ্জিত হয়ে এই ক্ষুদে মাকড়সা থেকে শিক্ষা নিয়ে ষষ্ঠ বার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বৃটেনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন । প্রায় এক হাজার নতুন বিষয়ের আবিষ্কারক বৈজ্ঞানিক এডিসনের মৃত্যুর পর নিউইয়র্ক পত্রিকায় লেখা হয় মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশি । কারণ এমন সৃজনশক্তি অন্য কারো মধ্যে দেখা যায়নি । অথচ ১৮৭৯ সালের ২১অক্টোবর তার আবিস্কৃত পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক বাতিটি যখন জ্বলে উঠলো তখন ক’জন জানতো যে বিগত দু’বছরে তিনি এটি নিয়ে প্রায় দশ হাজার বার ব্যর্থ চেষ্টা করে আজ সফল হয়েছেন ! সত্যি সাফল্যের পেছনে কি নিদারুণ সাধনা । বিটোফেন সম্ভবত সাধনায় সকল সুরকারকে ছাড়িয়ে যাবেন । তার স্বরলিপিতে এমন একটি দাঁড়ি নেই ,যা অন্তত বারো বার কাটাকাটি করা হয়নি । গিবন তার আত্মজীবনী নয়বার লিখেছিলেন । তিনি শীতগ্রীষ্ম সবসময়ই ভোর ছয়টায় পড়ার ঘরে ঢুকতেন । এভাবে ত্রিশ বছরের চেষ্টায় বিশ্ববিখ্যাত ‘ দি ডিক্লাইন এন্ড ফল অফ রোমান এম্পায়ার ’ গ্রন্থটি লেখেন । বাটলার তার এনালজি লিখেছেন বিশবার । আমরা মানুষের সংগ্রামী জীবনে দেখি সাধনার মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে সবাইকে চমকে দিয়ে কিভাবে অন্ধ মানুষ মিল্টন বিশ্ববিখ্যাত কবি হলেন । একজন অন্ধ, বধির মানুষ বিটোফেন কিভাবে সঙ্গীত রচয়িতা হলেন । একজন অন্ধ, বোবা আর বধির মেয়ে হেলেন কিলার কিভাবে সাধনা করে চব্বিশ বছর বয়েসে তার কাজে সর্বোচ্চ মার্ক নিয়ে বি,এ পাস করলেন এবং পরবর্তীতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করলেন । কিভাবে একজন কাঠুরিয়ার ছেলে আর মুদি দোকানদার বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন হলেন। এসব কিছুর পিছনে যাদুর মতই যে বিষয়টি কাজ করেছে তা হচেছ সাধনা- নিরবচ্ছিন্ন সাধনা । আর তাইতো বৈজ্ঞানিক এডিসন বলেছেন ,“প্রতিভা - একভাগ প্রেরণা আর নিরানব্বই ভাগ পরিশ্রম ও সাধনা ।” লংফেলো আরো বলেছেন , “প্রতিভা মানে অপরিসীম পরিশ্রম ” সবাইকে চমকে দিয়ে একটি কথা বলেছেন ,স্পেলার “প্রতিভা বলে কিছু নেই । সাধনা করো-সিদ্ধিলাভ একদিন হবেই।”



সময়-এখনই উপযুক্ত সময়

সেকেন্ড ,মিনিট ,ঘন্টা , দিবস, মাস আর কিছু বছরের সমষ্টি হচ্ছে আমাদের জীবন । যেমন কেউ যদি সত্তর বছর বাঁচে তবে তা ঘন্টার হিসাবে হবে ৬,১৩,৬৩২ ঘন্টা ; সংখ্যাটা অনেক বড় মনে হয় তাই না। কিন্তু হিসাব কষলেই বুঝব জীবনটা কত ছোট ! যেমন শৈশবের অপরিপক্কতা ও বার্ধক্যের দুর্বলতার জন্যে যথাক্রমে পাঁচ ও দশ বছর হিসাব থেকে বাদ দিলে মোট বছর থাকে পঞ্চান্ন । এর ভিতর ঘুম ও বিশ্রামে যাবে প্রতিদিন কমপক্ষে আট ঘন্টা। দাঁতব্রাশ থেকে শুরু করে টয়লেট ,ওযু , নামায, গোসল, খাওয়া, পত্রিকা পড়া. কাপড় পরা , যাতায়াত, গাড়ির জন্যে অপেক্ষা , যানজট , চা-নাস্তা , খেলাধুলা , টিভি দেখা , গল্পকরা ইত্যাদি দৈনন্দিন আনুষঙ্গিকতায় কমপক্ষে প্রতিদিন যায় ছয় ঘন্টা । সুতরাং মৌলিক কাজের সময় থাকলো প্রতিদিন মাত্র দশ ঘন্টা । অর্থাৎ পঞ্চান্ন বছর মানে সারা জীবনে মাত্র ২,০০,৮৯০ কর্মঘন্টা । তার ভিতর আবার প্রায় পঁচিশ বছর কেটে যায় লেখাপড়ায় অর্থাৎ প্রস্তুতিমূলক কাজে। অতঃপর মূলকাজের জন্যে থাকে ত্রিশবছরে মাত্র ১,০৯,৫৮০ কর্মঘন্টা । দশ বছর বয়স থেকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে টিভি দেখলে মোট সময় যাবে ২১,৯১৫ ঘন্টা, যা জীবনের মোট কর্মসময়ের ৫ ভাগের এক ভাগ। সুতরাং কর্মের তুলনায় জীবনের পরিধি খুবই কম। আর তাই সময় নষ্ট করা মানে জীবনকে ধ্বংস করা । আর তাই আল্লাহপাক সময় (আছর ) নামক সূরায় বলেন “সময়ের কসম; নিশ্চয়ই সমস্ত মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত (যারা সময়ের মূল্যায়ন করেনা)।” সুতরাং আমাদের প্রতিটি মুহূর্তেকে অত্যন্ত হিসেব করে কাজে লাগাতে হবে । আর এ জন্যে চাই একটি পরিকল্পিত রুটিন , আর গোছালো জীবন।

কিন্তু তা কখন থেকে ? অবশ্যই এখন থেকে । কেননা প্রবাদ আছে, “সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড় ”।আর জীবনে বড় কিছু করতে হলে তা শুরু করার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ , আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সমাজ সংস্কারে হিলফুল ফুযুল গড়ে তুলেছিলেন মাত্র এগার বছর বয়সে । নেপোলিয়ন ইটালী জয় করেছিলেন মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে । আইনস্টাইন ষোল বছর বয়সেই আপেক্ষিক মতবাদ নিয়ে প্রথম চিন্তা করেন যা পরবর্তীতে ছাব্বিশ বছর বয়সে প্রমাণ করেন। ১৯৩৫ সালে, নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র সম্মেলনে দশম শ্রেনীর চৌদ্দ বছরের যে বালকটি তার বিশ/পঁচিশ মিনিটের ভাষনে সকল জাঁদরেল বক্তাকে মাত করে দিয়েছিলেন সাঁইত্রিশ বছরে পর তিনিই হয়েছিলেন বাংলাদেশে প্রথম প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। ১৯৩১ সনে সপ্তম শ্রেণীর যে ছেলেটি ‘বোম্বাই ক্রনিক্যাল ’ পত্রিকা আয়োজিত সারা ভারতবর্ষব্যাপী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন তিনিই উত্তরকালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন হয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে মাত্র আঠারো বছর বয়সে যে ছেলেটি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম কিশোর পত্রিকা ‘মুকুল’ এর পাঠক নয় সম্পাদক হয়েছিলেন, তিনি হন পরবর্তীতে ইউনেস্কোর সম্মানজনক আর্ন্তজাতিক কলিঙ্গ পুরস্কার পাওয়া এশিয়দের দু’জনের একজন ডঃ আব্দুল্লাহ আল মুতি । সুতরাং আজ থেকেই শুরু হোক বিজয়ের অভিযাত্রা । চলো কবি তালিম হোসেনের ভাষায় আমরাও গেয়ে উঠি:


“আমরা জাতির শক্তি -সৈন্য, মুক্তবুদ্ধি বীর ,
আমাদের তরে শূন্যে আসন জাতির কান্ডারীর ।”



আল্লাহর কাছে প্রার্থনা

রাসূল (সাঃ) তাঁর শত ব্যস্ততার ভিতরও প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা আল্লাহর ইবাদাতে কাটাতেন । এমনকি বদর যুদ্ধের সেই কঠিন মুহূর্তে কাফেরদের তিন ভাগের এক ভাগ নিরস্ত্রপ্রায় মুসলমানদের যুদ্ধক্ষেত্রে রেখে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনায় বসে গেলেন । আর আল্লাহ দিলেন তাকে চূড়ান্ত বিজয় । নামাজরত অবস্থায় পায়ে বিদ্ধ তীর টেনে বের করার পরও টের পাননি যিনি , তিনিই হয়েছিলেন কাফিরদের ত্রাস শেরে খোদা হযরত আলী হায়দার। আর তাইতো খেলাফতের যুগে চীনের এক গোয়েন্দা চীন সম্রাটের কাছে মুসলমানদের ব্যাপারে রিপোর্ট করেছিল-“ এদের রাত কাটে জায়নামাজে কেঁদে কেটে , আর দিনের বেলার আকাশ অন্ধকার হয়ে যায় এদের ঘোড়ার খুরের দাপটে , উড়ন্ত ধুলায় ; সুতরাং এদের কেউ পরাস্ত করতে পারবে না।” ঠিক তেমনি যুদ্ধের বিজয়ের মতোই আত্মগঠনের সাফল্যের জন্যেও দরকার আল্লাহর কাছে অবিরত প্রার্থনা । যেমন আল্লাহই শিখিয়েছেন দোয়া “ হে প্রভু আপনি আমাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দিন ।” আধুনিক বিজ্ঞানীরাও ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন । বিজ্ঞানীদের ভিতর সবচেয়ে বড় নোবেল পাওয়া বিজ্ঞানী এলেঙ্গী কমরেখ পৃথিবীর সর্বাধিক প্রচারিত ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’ পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লেখেন , “প্রার্থনা একজন মানুষকে সবচেয়ে বড় মুক্তি দান করতে পারে । এই শক্তি কাল্পনিক শক্তি নয় মাধ্যাকর্ষণের মতোই তা অত্যন্ত বাস্তব। একজন ডাক্তার হিসাবে আমার অভিজ্ঞতা হল সমস্ত ওষুধ ও চিকিৎসা যেখানে ব্যর্থ সেখানে প্রার্থনার জোরে মানুষ নবজীবন লাভ করেছেন । রেডিয়ামের মতই আলো এবং শক্তি ছড়ায় প্রার্থনা। মানুষের শক্তি সীমিত , কিন্তু প্রার্থনার দ্বারা সে অসীম শক্তিকে ডাকতে পারে নিজের শক্তি বাড়াবার জন্যে। প্রার্থনা এমন একটি শক্তি যার দ্বারা মানুষ উপকার পায়ই।” সুপ্রিয় মণিমুক্তার হিরকখন্ডরা, এসো আমরা সবাই অসীম করুণাময় আল্লাহর কাছে হাত তুলি আর দোয়া করি তাঁরই ভাষায় আমাদের জন্যে তিনি বাধ্যতামূলক করেছেন প্রতিদিন যেটি কমপক্ষে সতেরবার “. . . ওগো আমাদের প্রভু আমাদের সহজ সরল, সফলতার পথ দেখাও. . . .।” ছোট্টমণি ভাই-বোনেরা, এবার এরই ধারাবাহিকতায় তোমাদের নিয়ে কিছু মৌলিক আলোচনায় যেতে চাই। চলোই না দেখি অনেক অনেক বড় হওয়ার জন্য আমাদের আর কি কি দরকার!




0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম