কেউ করলে তান্ডব আর কেউ করলে ক্ষোভ!!

গত ১১ অক্টোবর ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জে বিএনপি'র সমাবেশের উপর ট্রেন উঠিয়ে দেয়ার ফলে সমাবেশে আসা অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়। সে সময় উপস্থিত জনতা ওই ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিলে মিডিয়াতে তোলপাড় করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়।


গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে ঢাকায় জামায়াতের পূর্ব ঘোষিত মিছিলে পুলিশ বেপরোয়া হামলা চালালে জামায়াত কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। সে সময় কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, পোড়ানো হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে গাড়ি পোড়ানোর দায় অস্বীকার করা হয়েছিল। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াতের আমীর থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সকল নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ৫/৬ টি মামলা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী. দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক সহ শত শত নেতা-কর্মীকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় ভয়ংকর ভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ও উস্কানীমূলক রিপোর্ট করা হয়।


নরসিংদীতে একজন আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার পর সেখানে দু'দিন ধরে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ব্যাপক ভাংচুর, সরকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা সহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে। তারা বিনা বাধায় সেখানে তান্ডব লীলা চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে বাঁধা দেয়া হয়নি। কোন মামলা হয়নি। ভাংচুরকারী কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর আশ্চর্যজনক ভাবে মিডিয়া গুলো ওই তান্ডবকে সমর্থন দিয়ে রিপোর্ট করে।


উপরে তিনটি ঘটনা নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোর হেডিং। আওয়ামী লীগ কর্মীরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে তা হয় শোকের ক্ষোভ! আর বিএনপি জামায়াতের কেউ প্রতিবাদ জানালে তা হয় তান্ডব?!




ব্লগার : পুষ্পিতা.

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম