সিলেট শাহজালাল র: এর দর্গা - একটা মারাত্মক শির্ক-বিদয়াতের আখরায় পরিণত হয়েছে

শাহজালালের পূণ্যভূমি বলতে যে সিলেটকে বুঝানো হয়, বাংলার প্রতিটি মুসলিমের কাছে আজ জিজ্ঞাসা, পূণ্যভূমি বলতে আপনারা কি বুঝেন ? সিলেট কতটা পূণ্যভূমি, তা নিজের চোখে দেখলে সচেতন মুসলিম মাত্রই শিউরে উঠবেন আতঙ্কে। আল্লাহর কাছে  সবচেয়ে বড় আর ক্ষমার অযোগ্য যে গুনাহ, সেই শির্ক এই সিলেটে হয় প্রকাশ্যে, জাকজমকের সাথে, সবার আগ্রহের সাথে। হতভাগা মুসলিমদের কোন সেন্স ই যেন নেই! সিলেটের যে কোন সড়ক ধরে আপনি হাটতে শুরু করলে ২ মিনিট পরপর ই চোখে পড়বে সালুতে সাজানো কোন কবর যাকে মাজার আখ্যা দেয়া হয়েছে, চোখে পড়বে আগড়বাতির ধোয়া, মোমবাতির গলে পড়া দৃশ্য আর জটাধারীদের আনাগোনা কবর ঘিরে।  মুসলিম মেয়েরা তো বটেই, এমনকি অমুসলিম হিন্দু মহিলারা পর্যন্ত এসব কবরে এসে মানতের নামে আসলে পূজা দিয়ে যায়, সেজদা দেয় কপাল ঠেকিয়ে। পয়সা ছিটিয়ে যায়।

এই সিলেটের সবচেয়ৈ বড় শির্কের সেন্টারটা হলো পরম শ্রদ্ধেয় হযরত শাহজালাল র: এর কবনস্থানকে ঘিরে গড়ে তোলা মাজার আর দরগা নামের ব্যবসাতকেন্দ্র। এই দরগাকে পবিত্র বানাতে বানাতে মানুষের জন্য একটা ভীতির জায়গায় পরিণত করেছে ধর্মব্যবসায়ীরা । মানুষের ইমান আর আমল দুটোই ধ্বংস করার জায়গায় পরিনত হয়েছে এই দরগাভ বিদয়াতের মাধ্যমে সারাজীবনের সঞ্চিত পূণ্য শেষ হয়ে যাচ্ছে আর প্রকাশ্য শির্কে শেষ হয়েযাচ্ছে  ইমাণ ।

দরগা ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েক রকম ধর্মব্যবসা। পবিত্রতা রক্ষায় জুতা পায়ে যাওয়া যাবেনা, অতএব পয়সার বিনিময়ে  জুতা জমা রাখো, আছে বিশাল তিনটা পেতলের ডেকচি (যার সম্পর্কে রিউমার, এগুলো পানিতে ভেসে ভেসে একা একা এসেছে), এগুলোতে টাকার নোট ফেলে কল্যান প্রত্যাশা করা,  রয়েছে কবরস্থান, যেখানে টাকা-মোম-ফুল দেয়া হয়, আর সবচেয়ৈ খ্যাত, গজার মাছ! পুকুরে রয়েছেঅসংখ্য গজার মাছ, যেগুলোকে খাইয়ে ব্যবসার উন্নতি, চাকরির উন্নতি আর সংসারের সুখ প্রার্থনা করে মুললিমরা! ব্যবসাটা মূখ্য ব্যাপারনা। কিন্তু মানুষ এখানে যেভাবে পূণ্যভেবে অধর্ম আর অনৈসলামিক কর্মকান্ড করছে , যেভাবে শির্কের মত মারাত্মক গুনাহ করছে তা সত্যি আতঙ্কের ব্যাপার। মা-বোনদের কাছে তো এগুলো বল্লেও ওনারা আৎকে ওঠেন! এই মাজার নিয়ৈ কিছু বললে নাকি অনিষ্ট হবে!


এই মাজার আর দরগা ঘিরে এভাবে ই আজ পূন্যের নামে বিরাট এক ইবলিশের ফাদপাতা আড্ডাখানায় পরিনত করা হয়েছে! মানুষেরা এর বিরুদ্ধে কিছু শুনতে পর্যন্ত ভয় পায়! গরম পীর না কি, তারা নাকি বেজার হলে অকল্যান হবে! অথচ মানুষেরা যে এমন শির্ক বিদয়াতের মাধ্যমে সর্বশক্তিমান রিজিকদাতা ক্যলানদাতা এক আল্লাহকে বেজার করতেছে , তা হয়তো কল্পনাও করেনা । অনুভব করেনা শিরর্কের ব্যাপারে আল্লাহর ক্রোধের ভয়াবহতাকে ।

হায় শাহজালাল! কত মহান একজন মুজাহিদ ছিলেন আপনি! মহান দায়ী, জিহাদের সেনাপতি, বাংলার এই অঞ্চলটার মানুষকে অত্যাচার নীপিড়ন আর বহু খোদার দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে আপনি তরবারির বিদ্যুচ্চমক আর কোরানের দ্যুতি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সেই সহস্র বছর আগে! গৌড়গোবিন্দদের অত্যাচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়েছেন আল্লাহর হুকুম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ আর মানবসেবার মহত্ব দিয়ে। হাজারো দেবতা আর মানুষ-খোদার দাসত্বের শির্ক থেকে যে সিলেটে আপনি আল্লাহু আকবারের সুমহান পবিত্রতা ঘোষণা করেছিলেন  , আজ আপনার সিলেট এক বিভৎস পঙ্কিলতায় ডুবে আছে। ডুবে আছে প্রকাশ্য শির্কের পাপে। শাহজালালের তাওহীদি দাওয়াতের উত্তরসূরীদের প্রতি আহবান, মানুষকে সচেতন করুন এই ভয়ানক গোনাহ থেকে।




আরো আছে ডেকচিতে টাকা ফেলে মনের বাসনা পূরন , গজার মাছকে খাইয়ে আশাপূরনের মত স্পষ্ট শির্ক বিদয়াত। সিড়িতে কপাল ঠেকিয়ে সিজদা দিয়ে এই মহিলারা উল্টা দিকে ফিরেই হাটতেছিলো। পেছন ফিরে গেলে শাহজালালের প্রতি বেযাদবী হয়ে যাবে! হায়রে অভাগা! শির্ক এমন গুনাহ যা কখনো ক্ষমা হবে না ।

ভিডিও

ছবি: ব্লগার Dexter

15 comments:

সাঈফ শেরিফ বলেছেন...

বুলডোজার দিয়ে পুরো দর্গা মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হোক। ধর্ম ব্যবসা নিপাত যাক!

শোভন এক্স বলেছেন...

এটা নাকি সিলেটিদের গর্ব। এই মাজার নিয়ে কিছু বললে তাদের সহ্য হয়না।

নীল-দর্পণ বলেছেন...

শাহজালারের মাজারেরটা জানিনা, শাহপরানের টায় সরাসরি শিরক করে জানতাম।
মানুষ গুলান যে কি বোকা!!
আল্লাহ হেদায়াত করো তোমার অবুঝ বান্দাদের

চয়ন বলেছেন...

ছবিগুলো দেখে খুব খারাপ লাগল।

টাক্কা বলেছেন...

দেশের সব মাজারেই শিরক চলে। শুধু শাহজালালের মাজারে নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলো স্পষ্ট শিরক হলেও সো কল্ড ইসলামী সংগঠন (জামাত-শিবির, শাসনতন্ত্র আন্দোলন চরমোনাই, ইসলামী ঐক্যজোট (আমিনী) এরা কেউই কোন উচ্চবাক্য করে না বা বাধা দিতে চেষ্টা করে না। কারণ কেউ কারো ধর্ম ব্যবসায় বাধা দিতে চায় না। /:)

অন্য হাওয়া বলেছেন...

হায় এরা যদি জানতো শিরক কি ভয়ংকর গুনাহ

মাহিরাহি বলেছেন...

আল্লাহ নাকি শিরককারীকে কখনোই ক্ষমা করবেন না।

ভয়ংকর।

আল্লাহ সবাইকে শিরক করা থেকে রক্ষা করুন।

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন...

ধর্ম ব্যবসা নিপাত যাক!

ঈশান বলেছেন...

শাহজালাল ইয়ামনী ( রহঃ ) একজন দরবেশ ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তার খাদেমরা তার দরগাহকে কেন্দ্র করে নিজেদের আখের গুছানোর জন্য বংশানুক্রমে এই ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সব ধর্মের অনুসারীরা এখানে আসে। অনেকে মানত করে। মহিলাদের আলাদা নামাজের ব্যাবস্থা আছে। ছবির মহিলা হিন্দু হবার সম্ভাবনা বেশী। যে বা যারা দরগাহতে যান তাদের মনে রাখা উচিত মৃত ব্যাক্তি কারো কোন উপকার বা অপকার করতে পারে না।

কান্টি টুটুল বলেছেন...

শির্‌কের আস্তানা এই মাজারের উপর আল্লাহর গজব পড়ুক।

মাইন রানা বলেছেন...

আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করলেও শিরক মাফ করবেন না

বিষাদ বর্ণন বলেছেন...

আল্লাহ হেদায়াত করো তোমার অবুঝ বান্দাদের

জাহুমুজামা বলেছেন...

ভাই, এই বিষয়টা কথা বললেই মাজারের সবাই জামাতি বলে ক্ষেপে উঠে, সাথে থাকে কিছু সুবিধাবাদী মানুষ।

আল্লাহ এদের হেদায়াত করুক।

সোহাগহোসেন বলেছেন...

মাজারের কোন দোষনাই দোষ আমাগো মতন আবাল বাংয়ালিগো। বার বার কুরআন বলতেছে আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে মাথা নত করা যাইবো না। তার পরো হেরা করবো। এই লাল সালু থেকে মুক্তি পাক ইসলাম।

majed mahfuj বলেছেন...

bortoman shorkar khomotay ashar por desh-beapi shorbotroo shirki kormokando briddhi peyechee. dhormio khatee je poriman rajoshsho bey hochchee, tar beshir bhag'e hochchee majar gulutee, othochoo mritoo manusher majar thekee jibito moshjid-madrashay,etim-miskinder hoq onek beshi. (majed mahfuz)

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম