গেরিলা নামের একটা মু্ভ্যি নিয়ে নাস্তিক আর কিছু আহাম্মকের লম্ফঝম্ফ দেখে ডাউনলোড করেছিলাম। দেখেছি। দেখে স্রেফ বমি আসছে। জঘন্য অবিশ্বাস্য মিথ্যাচার, কুৎসিত মানহীন মেকিং, যাত্রাপালার অভিনয়ের চেয়েও হাস্যকর দুর্বল অভিনয়! স্রেফ ঘৃণা ছড়ানোর জন্য মিথ্যা ফিকশন, ফুটপাথের বইয়ের গল্প আর নোংরা অভিনয়ে ভরপুর জিনিসটা বানানো হয়েছে।
এক ব্লগারের দেয়া পোষ্টের লিংক থেকে হুমায়ুন আহমেদের শ্যামল ছায়ার খোঁজ পেয়েছি দুতিনদিন আগে! ডাউনলোড দিয়ে রেখেছিলাম। আর খোজ নেইনি। আজ অফিসে এসে দেখি নেটের বিল না দেয়ায় কানেকশন পাওয়া যাচ্ছেনা। কি করি- আইডিএম চেকে কমপ্লিট মেসেজ দেখে শ্যামল ছায়া ওপেন করে বসলাম!
শ্যামল ছায়া নামের বইটা সম্ভবত পড়েছি। হুমায়ুন আহমেদের কোন বই পড়েছি আর কোনটা পড়িনি, তা খেয়াল থাকেনা। একই ধাঁচের! যদিও পড়ার সময় সবগুলোই ভিন্ন আর নতুন মনে হয়। আজ মূভ্যিটা দেখে আরেকবার আন্তরিক স্যালুট দিলাম হুমায়ুন আহমেদ কে ।
এত অসাধারণ! এত অসাধারণ গল্প আর নির্মান! এত পারফেক্ট লাইটিং ! পারফেক্ট অভিনেতা সিলেকশন আর পারফেক্ট অভিনয়! যুদ্ধকালীন আতঙ্ক- ভয়াবহতা- নির্মমতা এত নিখুতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন! এমন নির্মম সময়টাকে তুলে ধরতে গিয়ে এক ফোটা মিথ্যাচার বানোয়াট কিছু করতে হয়নি। করতে হয়নি ঘৃণা ছড়ানোর ব্যবসা।
যুদ্ধের কঠিন সময়ে একটা ছোট্ট নৌকার প্রেক্ষাপটের মধ্যে থেকেও যথেষ্ট পরিমান হিউমার রেখেছেন। হেসেছি ডায়ালগ শুনে, চোখ ভিজেছে বীরত্ব আর মানবিকতার সৌন্দর্য দেখে । বুক ভরে গেছে সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে উঠে মানুষের মনুষ্যত্বকে যেভাবে মহত্ব দান করেছেন, তা দেখে। শেখ মুজিবের ভাষণের অংশ, দেশাত্ববোধক গানের অংশগুলো.. এমন মনের গভীরে আঘাত কমই করেছে অন্য সময়। প্রতিটা মুহুর্ত রুদ্ধশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করেছি , এই না যেন অঘটন ঘটে গেলো!
এক ব্লগারের দেয়া পোষ্টের লিংক থেকে হুমায়ুন আহমেদের শ্যামল ছায়ার খোঁজ পেয়েছি দুতিনদিন আগে! ডাউনলোড দিয়ে রেখেছিলাম। আর খোজ নেইনি। আজ অফিসে এসে দেখি নেটের বিল না দেয়ায় কানেকশন পাওয়া যাচ্ছেনা। কি করি- আইডিএম চেকে কমপ্লিট মেসেজ দেখে শ্যামল ছায়া ওপেন করে বসলাম!
শ্যামল ছায়া নামের বইটা সম্ভবত পড়েছি। হুমায়ুন আহমেদের কোন বই পড়েছি আর কোনটা পড়িনি, তা খেয়াল থাকেনা। একই ধাঁচের! যদিও পড়ার সময় সবগুলোই ভিন্ন আর নতুন মনে হয়। আজ মূভ্যিটা দেখে আরেকবার আন্তরিক স্যালুট দিলাম হুমায়ুন আহমেদ কে ।
এত অসাধারণ! এত অসাধারণ গল্প আর নির্মান! এত পারফেক্ট লাইটিং ! পারফেক্ট অভিনেতা সিলেকশন আর পারফেক্ট অভিনয়! যুদ্ধকালীন আতঙ্ক- ভয়াবহতা- নির্মমতা এত নিখুতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন! এমন নির্মম সময়টাকে তুলে ধরতে গিয়ে এক ফোটা মিথ্যাচার বানোয়াট কিছু করতে হয়নি। করতে হয়নি ঘৃণা ছড়ানোর ব্যবসা।
যুদ্ধের কঠিন সময়ে একটা ছোট্ট নৌকার প্রেক্ষাপটের মধ্যে থেকেও যথেষ্ট পরিমান হিউমার রেখেছেন। হেসেছি ডায়ালগ শুনে, চোখ ভিজেছে বীরত্ব আর মানবিকতার সৌন্দর্য দেখে । বুক ভরে গেছে সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে উঠে মানুষের মনুষ্যত্বকে যেভাবে মহত্ব দান করেছেন, তা দেখে। শেখ মুজিবের ভাষণের অংশ, দেশাত্ববোধক গানের অংশগুলো.. এমন মনের গভীরে আঘাত কমই করেছে অন্য সময়। প্রতিটা মুহুর্ত রুদ্ধশ্বাস নিয়ে অপেক্ষা করেছি , এই না যেন অঘটন ঘটে গেলো!
নায়িকা মেয়েটাকে নিয়ে যেতে চাওয়া, রাজাকার কমান্ডারকে বস্তাবন্দী করে পানিতে ফেলে দেয়া, মাওলানাকে ধরে নিয়ে যাওয়া... শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হুমায়ুন ফরিদীরা যখন পাকিস্তানিদের লঞ্চ ডুবিয়ে দিলো, শব্দ করে হাতে তালি দিলাম । আমি হিন্দী সিনেমাকে ঘৃণা করি। তার মধ্যেও কিভাবে যেন লাগান মুভ্যিটা দেখে ফেলছিলাম। শেষ বলে সেদিনের ছক্কাটা দেখেও এমন হাতেতালি দিয়েছিলাম সব ভুলে। আজ অনেকদিন পর আরেকবার।
মুক্তিযুদ্ধের কি চেতনা ছিলো, আমি জানতে চাইনা। এগুলো শ্রেফ রাজনৈতিক ভাওতাবাজী ছাড়া আর কিছুনা। বাংলাদেশ নামের ভুখন্ডে বাসকারী ১৬ কোটি মানুষ ৩ বেলা খাবার খাবে – একটা মানুষও না খেয়ে থাকবেনা , একটা মানুষও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হবেনা, জুলুমের শিকার হবেনা- অত্যাচারিত হবেনা – একটা মানুষ ও আরেকটা মানুষকে শত্রু ভাববে না- এমন নির্মল একটা সমাজ যদি একবার দেখে যেতে পারতাম! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেন এমন হয় না ? অথবা কেন শুনিনা, এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সকল মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে নিরুপদ্রপ জীবন যাপন সব মানুষের। যেখানে ঘৃণা নেই, ভেদাভেদ নেই, জুলুম নেই!
মুক্তিযুদ্ধের কি চেতনা ছিলো, আমি জানতে চাইনা। এগুলো শ্রেফ রাজনৈতিক ভাওতাবাজী ছাড়া আর কিছুনা। বাংলাদেশ নামের ভুখন্ডে বাসকারী ১৬ কোটি মানুষ ৩ বেলা খাবার খাবে – একটা মানুষও না খেয়ে থাকবেনা , একটা মানুষও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হবেনা, জুলুমের শিকার হবেনা- অত্যাচারিত হবেনা – একটা মানুষ ও আরেকটা মানুষকে শত্রু ভাববে না- এমন নির্মল একটা সমাজ যদি একবার দেখে যেতে পারতাম! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কেন এমন হয় না ? অথবা কেন শুনিনা, এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন দেশের নাগরিকদের সকল মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে নিরুপদ্রপ জীবন যাপন সব মানুষের। যেখানে ঘৃণা নেই, ভেদাভেদ নেই, জুলুম নেই!
লিখেছেন : ব্লগার Dexter
0 comments: