মুসলিম ব্রাদারহুডের সিস্টারেরা, আকা মুসলিম সিস্টারহুড।

আমর(২৮) মধ্যের জন। তার বোনদের সাথে নতুন কায়রোতে। সে কায়রো স্কুল অফ ল হতে গ্রেজুয়েট, তবে কাজ করে না বর্তমানে তার ছেলের সাথে সময় কাটানের জন্যে। তার মতে, চাকরী করার চেয়ে একজন মায়ের রোলটাই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। সে আট বছর আগে তার বিয়ের পরপরই মুসলিম ব্রাদারহুডে যোগ দেয়। তার মতে মুসলিম ব্রাদারহুড সম্পূর্ন ডেমোক্রেটিক, সে যদি পোগ্রামে যোগ নাও দেয়, তাহলে অন ্য আরেকজন এসে তার কাছ হতে জেনে নিয়ে যাবে তার মতামতটা কি।
আমর মহসিন (৩০) কায়রোর মুসলিম ব্রাদারহুডের অফিসের ভিতরে অবস্হানরত। কায়রো ইউনিভার্সিটির কমার্স গ্রেজুয়েট, সেক্যুলার পরিবার হতে বড় হওয়া টাইট জিন্স ও পশ্চিমা স্টাইলে কাপড় পরিধান করে ভার্সিটিতে আসতো। কয়েকজন মুসলিম ব্রাদারহুডের মেয়েদের সাথে পরিচয় হবার পর তিনি ইসলামিক ভেল্যু সম্পর্কে উৎসাহিত হন। তার পশ্চিমা স্টাইলে পোশাক পরিধানের পরও তার বন্ধুরা তাকে অন্যভাবে বিচার করেনি, বা তার সাথে থাকতে ডিসকম্পোর্ট ফিল করেনি। এতেই তিনি উৎসাহিত হন ব্রাদারহুডে যোগ দিতে।

আওতিফ সাদ (৩৫) চার সন্তানের মা এবং সাইন্সে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের কায়রো অফিস হতে তোলা ছবি।

মুসলিম সিস্টারেরা ওরফেন ডে তে এতীম শিশুদের সাথে খেলাধূলা ও বেসিক কুরান শিক্ষা দিচ্ছে তাদের। এই প্রজেক্ট ওদেরকে ব্রাদারহুডের মূল ভেল্যুটা শিক্ষা দিচ্ছে।


মুসলিম ব্রাদারহুড সবসময় ৮ কোটি মিশরিদের সামাজিক সেবা দিয়ে আসছে বিভিন্ন আওতায়, এই ছবিতে এক কর্মী এতিম শিশুটার দোলনা দুলিয়ে দিচ্ছে।
মুসলিম ব্রাদারহুডের রয়েছে তৃণমুল পর্যায়ে একটিভিটি ও যোগাযোগ, ছবিটাতে এক বোন ব্রিফিং দিচ্ছে অরপান দিবসে।

আল-ফারুক হসপিটালের কর্মীরা ফরম পুরন করছেন। এই হসপিটালটা ব্রাদারহুডেরই অনেকগুলা হসপিটালের একটা, যার মাধ্যমে মিশরের গরীবলোকদের ওরা সাহায্য দিয়ে আসছে।
কায়রোর তাহরির স্কয়ারে সিস্টারহুডের বোনেরা।
আসমা আল-হাদাদ (২০) বামের দিকে, ভার্সিটিতে মেডিক্যেল সাইন্সে পড়ছেন। তাহরীর স্কয়ারে তার মেয়ে বন্ধুদের সাথে এসেছেন শুক্রবারের জুম্মার নামাজে যোগ দিতে।

সাফিয়া হারুন (২৯) বামের দিকে, এবং রিহাব হাসান (৩৩) গল্প গুজব করছেন তাহরীর স্কয়ারের মাঠে।
প্রত্যেক সপ্তাহে মুসলিমব্রাদারহুডের সদস্যদের মিটিং হয় হয় কায়রোতে, এক পাশে রয়েছেন ভাইয়েরা অন্যপাশে রয়েছেন বোনারে।

নোটঃ মুসলিম সিস্টারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বোন যায়নব আল গাজ্জালি , তিনি প্রথমে মুসলিম উইমেন এসোসিয়েশান প্রতিষ্ঠা করলেও পরে ব্রাদারহুডের সাথে যোগ দেয়। ১৯৬৫ তে জামাল আব্দের নাসের তাকে গ্রেফ্তার করে ভয়ংকর নির্যাতন চালায় তার উপর। পরে আনোয়ার সাদাত প্রেসিডেন্ট হলে তাকে ১৯৭১ সালে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার উপর ভয়ংকর নির্যাতন চালানোর উপর তিনি একটি বই লিখেছেন "রিটার্ন অফ ফেরাউন "।

লিখেছেন: মজলুম

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম