শাহবাগ পান্ডা আজাদ মাস্টারের পরিচয়

মুখোশের আঁড়ালে, পর্ব -১

এই লেখাটি দুরু দুরু বুকে পোস্ট করলাম । অনেকদিন ধরে খোঁজ খবর নিয়ে, নিশ্চিত হয়ে আমি একটি তদন্তমূলক লেখা সাহস করে লিখে ফেললাম । এই লেখাটি আপনাদের কতটুকু অবাক করতে পারবে আমি জানি না, তবে আমি যারপরনাই অবাক হয়েছি এইসব তথ্য জেনে । নিজেকে একধরনের ছোট খাটো পোকার মত মনে হয়েছে এইসব বড় বড় কীট গুলোর কাছে । আপনারা পাঠক আছেন বলেই সাহস করে লিখে ফেলা । আজ প্রথম পর্ব দিলাম । এই লেখাটি আপনারা চাইলে ফেসবুক কিংবা যে কোনো স্থানে ইচ্ছেমত শেয়ার করতে পারেন । আপনারা সাথে থাকলেই এসব মানুষের মুখোশ গুলো উন্মোচোন করে দিতে পারব ।




এই ছবিতে আপনারা যাকে দেখছেন, তার নাম অমিত বিক্রম ত্রিপুরা । তিনি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার ছেলে । এই নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার দূর্নীতি আর সন্ত্রাস সম্পর্কে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই আমার এ লেখা । অবাক হচ্ছেন ? পুলিশের একজন প্রাক্তন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কি করে সন্ত্রাসে জড়িত হয় । গোয়েন্দা রিপোর্ট কিন্তু তাই বলছে, খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি থাকাকালে নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা একটি চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন


 শুধু এখানেই শেষ নয় । বিএনপি জামাত আমলের সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তা নামে বেনামে অর্জন করেছেন বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ । খুলনার রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি থাকাকালে চোরাকারবারি, মাদক চোরাচালানি, ফিশিং বোট থেকে মাসোহারাসহ চরমপন্থী গোষ্টির আয়ের উতস অস্র চোরাচালান থেকে বিশাল অংকের অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা । খোদ রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার । ধানমন্ডিতে সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট আছে তাঁর স্ত্রী অনামিকা ত্রিপুরার নামে । আরও তিনটি লিজিং কোম্পানিতে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপির। তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের ঢাকার ধানমন্ডি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি শাখায় স্ত্রী ও দুই ছেলের নামে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কয়েক কোটি টাকার আমানত জমা রয়েছে বলেও জানা যায় । 


ঢাকায় সরকারি জমি বরাদ্দ পাওয়ার পরও ২০০৩ সালে তিনি পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট নিয়েছেন রাজউক থেকে । নিয়ম অনুযায়ী সরকারের কাছ থেকে একবার প্লট নিলে দ্বিতীয়বার আর নেওয়া যায় না । কিন্তু দ্বিতীয়বার কেন নিলেন ? এই প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘সুযোগ পেলে কেন নেব না ?’ রাজধানীর বনরূপা হাউজিং প্রকল্পে কোটি টাকা মূল্যের ১০ কাঠার প্লট কিনেছেন স্ত্রী অনামিকা ত্রিপুরার নামে । ১৯৯৯ সালে এই জমি কেনা হয় । এর আগে ১৯৯৮ সালে উত্তরায় অনামিকা ত্রিপুরার নামে আরও ৪৩ শতাংশ জমি কেনা হয় । জমির বিক্রেতা ময়মননেছার কাছ থেকে যখন এই জমি কেনা হয়, তখন নববিক্রম ত্রিপুরার স্ত্রী ১৯৫ এলিফ্যান্ট রোড, বড় মগবাজার ঠিকানা ব্যবহার করেন । এর এক বছর আগে ১৯৯৭ সালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ২০ একর পাহাড় বরাদ্দ নেন সাবেক এই অতিরিক্ত আইজিপি । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০ একর বরাদ্দ নিলেও সেখানে দখলে রেখেছেন ১০০ একর পাহাড়ি জমি । 


অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার থাকাকালে হালিশহরে ৪২ গণ্ডা ও ফয়’স লেকের পাশে ২৩ গণ্ডা জমি বাবা ও ছেলেদের নামে কেনেন নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা । শুধু দেশে নয়, বিদেশেও নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ রয়েছে নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার । বিষয়টি যেমন তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানেন, তেমনি বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা করেন পুলিশের অনেক কর্মকর্তা । জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় স্ত্রী ও ছেলেদের নামে নাকি দুটি বাড়ি আছে তাঁর । ১৬ মিলিয়ন ডলারে এই বাড়ি কেনা হয়েছে । ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ বার অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন তিনি । 


বনানী প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডে প্লট (এ ব্লক ১১৮৬ ও ১১৮৭ নম্বর প্লট) কেনার জন্য তার স্ত্রী অনামিকা ত্রিপুরা ১৯৯৯ সালের ১৭ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নগদ ১০ লাখ টাকা দেন । যার রিসিট নম্বর ৩৫৫৫। যার বায়না ও চুক্তিপত্রের নকল কপি আমাদের কাছে আছে । জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কিংবা রাজউকের কাছ থেকে একবার প্লট পেলে নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয়বার আর প্লট পাওয়া যায় না । কিন্তু জনাব ত্রিপুরা নিয়ম মানেননি । 


এ ছিল দুর্নীতিবাজ বাবার পরিচয় । এবার বলি তার গুণধর ছেলের কথা । অমিত বিক্রম ত্রিপুরা আর কেউ গনজাগরন মণ্চের স্বঘোষিত নেতা আজাদ মাস্টার । ঠিক শুনেছেন, বিভিন্ন ব্লগে অমিত বিক্রম ত্রিপুরা আজাদ মাস্টার নামে লিখে । বাবার দুর্নীতিকে ঢাকতে সে এখন মণ্চেকে আশ্রয় করেছে । যার নামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি, ঢাকায় কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব এবং চট্টগ্রামে অবৈধ দলখ করা শতএকর জমি । সে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার নাম করে আসলে তার বাবার অবৈধ টাকা পাচার করতে গিয়েছিল । এই হলো তার ‘অস্ট্রেলিয়ার দিনগুলি ব্লগের ঠিকানা ।  একটি পোস্ট যেখানে সে বলেছে তার পরিচয়ের কথা । 



এই ব্লগে আপনি তার ছবি পাবেন । তার বাবার ক্ষমতার অপব্যবহারের স্বিকারোক্তি পাবেন। পাবেন তার নাম পরিচয় । এ ব্লগে যে বলেছে, 
'একে একে করে হাজির হল ডেইজি মামী ও Mithel মামা এলেন mithel মামা আমাকে কয়েকটা বই উপহার দিলেন শেষ বারের মত সকলের সাথে ডিনার করে যখন বাবার undp পুলিশের একজন লোক এলেন তখন আমি ফারুক ভাইয়ের গাড়ি করে বিমান বন্দরে গেলাম উঁকিআ ভাই যথারিতি দেরি করে এলেন এবং ৩৫ কেজি উপরে মাল নিয়ে তাঁর মালের মধ্যে ছিল মশার মারার যন্ত্র , বাংলা ১০ কেজি অভিধান , কম্পিউটাররের শিক্ষার বই আরও কত কি !!!!!!!!!!!!!! এর জন্য তাঁর প্রতি মেজাজ টা গরম হয়ে হয়ে গেলো কারণ আমার ৩৫ কেজি মধ্যে হওয়া তে বেশিক্ষন লাগেনি কাজেই দেশের শেষ সময় টা আমি বাবা মা ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে কাটাতে চাছিলাম অবশেষে আমাদের পুলিশের লোকদের চাপে তাঁরা কিছু অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যেতে নিম রাজি হল’ ।
 অমুসলিম হয়েও ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো তার একাধিক লেখা আছে অনলাইনে । মঞ্চের নাম করে যে বিশাল টাকা আত্মসাত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি তার মূল হোতা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ বাবার এই বেকার অথর্ব চাদাবাজ ছেলে অমিত বিক্রম ত্রিপুরা উরফে আজাদ মাস্টার । হাস্যকরভাবে , হিসাব নিতে সে সবাইকে শাহবাগে ডাকছে নোটবুক এবং কেলকুলেটর সহ যেতে!





পুলিশের প্রাক্তন এই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ছেলে তার বাবার প্রভাব কাজে লাগিয়ে একটা সংকটময় পরিস্থিতে নিরীহ ব্লগারদের গ্রেফতার করিয়েছে । এই গ্রেফতারে মঞ্চ মুখপাত্র এবং অন্য একজন প্রভাবশালী ব্লগারের প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল । সে প্রভাবশালী ব্লগারের তোড়জোর এবং প্রভাবের কারণে পরবর্তিতে গ্রেফতার করা হয় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীনকে । এর পরের পর্বে গুলোতে আসবে তাদের বৃত্তান্ত । জানতে পারবেন কি করে নৈতিক স্খলনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি ক্লাব ও সংবাদপত্র থেকে বহিস্কৃত হলো এক মুখোশধারী চরিত্রহীন । ক্রমশ চলবে ।


আজাদ মাস্টার বা অমিত বিক্রম ত্রিপুরাকে নিয়ে এক বর্ণও বানিয়ে কিছু লেখা হয় নি । জাতীয় দৈনিকে এবং গোয়েন্দা সূত্রে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে সে সবের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে মুখোশের আঁড়ালে, পর্ব -১। প্রতিটি তথ্যের তথ্য সূত্র দেয়া আছে । বেহায়া মানুষ যারা দুর্নীতির সাথে নিত্য উঠা বসা করে তাদের কাছে এসব কিছু স্বাভাবিক । তবে সচেতন পাঠক খুব সহজেই আজাত মাস্টারের কাশির আড়ালের পাদের আওয়াজ এবং গন্ধ ২টাই পেয়েছেন।
azadrb1
মুখোশের আঁড়ালে, পর্ব -১ তে একজন প্রভাবশালী ব্লগারের কথা বলা হয়েছিলো যার তোড়জোড়ে আটক হন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন । আজাদ এই দোষটি নিজের উপর নিয়ে বলতে চাইছেন যে তার ইসলাম বিদ্বেসের সাথে এটা পরস্পর বিরোধী ? কি ঘটেছে তা সবাই বুঝলেন । এর মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা যে প্রথম ৩ ব্লগার গ্রেফতারে তার হাত রয়েছে প্রমানিত হয় ।
azadrb2
এই স্ট্যাটাসটি দিয়ে আজাদ কিছুক্ষনের মাঝে আবার মুছে দিয়েছেন । মানসিক ভারসাম্যহীন হলে কেবল এভাবে ভারতীয় ছবির নায়ককে বাবা ডাকা সম্ভব হয় । আজাদ সম্পর্কে প্রতিটি তথ্য এসেছে জাতীয় দৈনিক এবং গোয়েন্দা সূত্র থেকে । এখানে বানোয়াট গল্প উপস্থাপনের সুযোগ নেই । আজাদ যদি অন্য কাউকে বাবা ডেকে এখন পার পেতে চান তা অবশ্য ভিন্ন বিষয় ।
azadrb3
আজাদ ভুল স্বীকার না করে সত্যের অপলাপ করছেন তার মূল্য তাকে দিতে হবে । আজাদ এবং তার পরিবার সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেবার প্রক্রিয়া চলছে । আশা করি সেখানে তার বাবা সমস্ত বিষয় সমাধান করতে পারবেন ।
azadrb4
আজাদ মাস্টারই যে অমিত বিক্রম ত্রিপুরা তা বুঝতে এখনো যে সকল পাঠকের সমস্যা হচ্ছে তারা টিনের চশমা খুলে দেখবেন বলে আশা করি । অমিত বিক্রম ত্রিপুরার পরিবারের যে অবৈধ সম্পদের বিবরণ আপনারা জেনেছেন সেই পত্রিকার প্রতিবেদনের একটি প্রতিবাদলিপিও আজাদের বাবা বাংলাদেশ প্রতিদিনে পাঠিয়েছিলেন । যেখানে এর অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা তিনি করতেছেন । যেখানে ঢাকায় একাধিক সরকারি জমি অবৈধ পন্থায় গ্রহনের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া হয়েছে, ঘটনাটি ২০১০ সালের এরই মাঝে ৩ বছর অতিবাহিত হবার কারণে অনেক আলামতই বিক্রম ত্রিপুরা পরিবার নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছেন । তাই নির্দিষ্টভাবে চট্টগ্রামে কিছু নেই বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন ।
nbtripura
ঢাকারগুলোও কি মিথ্যা অমিত বিক্রম ত্রিপুরা? প্রতিবেদক তখন অবশ্য পাল্টা দলিল দস্তাবেজ প্রকাশের চ্যালেঞ্জ তখন জানিয়েছিলো যা বিক্রম ত্রিপুরা পরিবার গ্রহন করেননি। সত্যকে আড়াল করা যায় না । নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন- দুর্নীতির পয়সা প্রতিদিন যে ভক্ষন করছেন তার আর আপনার কমডের হাগুর মধ্যে পার্থক্য কি ?

মুখোশের আঁড়ালে, পর্ব -২

ছেলেটির নাম অমিত বিক্রম ত্রিপুরা। দুর্নীতিবাজ সরকারী আমলা নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার পুত্র। আমাদের অগনিত পাঠকের অনুরোধে মুখোশ উন্মোচন পর্ব চলছে। ধন্যবাদ সেই লক্ষ পাঠকের যারা আমাদের ক্রমাগত উৎসাহ যুগিয়েছেন। সাথে রয়েছে হুমকি, ধামকি, নামে-বেনামে অপ্রকাশযোগ্য শতশত মন্তব্য যা আমাদের আরো দ্বিগুন উৎসাহ যোগাচ্ছে।
11980
আপনারা অবাক হয়ে যাবেন এমন সব তথ্য এবং সঙযোগ আমরা উন্মোচন করতে যাচ্ছি। হতবাক হয়ে যাবেন সত্যের মুখোমুখি দাড়িয়ে। এই ধুর্ত শেয়ালদের আপনারা সহজে চিনতে পারেন না কারন এরা মুখোশের আড়ালে থাকেন। বিভ্রান্ত করেন বিভিন্ন বক্তব্যে মাধ্যমে। ভার্চুয়াল জগতে এরা বেশ ধরে থাকে মূলত এদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নের স্বার্থে। কি সেই স্বার্থ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেজে তারা কি এমন গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়? এয়ো কি সম্ভব? সম্ভব! এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মাঝে বিভক্তি তৈরী করে তাদের দুর্বল করে দেয়া। পাঠক এদের কর্মকান্ড সম্বন্ধে আপনারা একটু সচেতন হলেই ধরতে পারবেন ছলা কলা। এরা বিভিন্ন সরকারের আমলে সুবিধাভোগী। এদের মাঝে আরো আছে বিদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদী ও গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট। এরা আন্দোলনের নামে বাস্তবে সরকার বিরোধী ৩য় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ, সরকার এবং আদালতের প্রতি জনমানুষের অনাস্থা তৈরী এজেন্ডা তারা কূটকৌশলের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে চলেছে। এমনকি এদের কেউ কেউ রায়ের আগেই অগ্রীম রায় বলে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। সচেতন পাঠক, আপনি চোখ খুলে তাকালে এদের দেখতে পাবেন।
moti-nobo-amit
বলেছিলাম অমিত বিক্রম ত্রিপুরা বা আজাদ মাস্টারের কথা। তার বাবার দুর্নীতির কথা। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারের কোটা সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে যে কি না এখন বলে বেড়াচ্ছে সে বিনাবেতনে স্কলারশীপে পড়াশোনা করে এসেছে। কত অগণিত টাকা থাকলে ছেলের দেশের বাইরে যাওয়া উপলক্ষ্যে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, সরকারের উপদেষ্টা, আমলা, ফরেন ডেলিগেট সহ সহস্রাধিক লোক দাওয়াত করে খাওয়ানো যায়? শুধু খাওয়ানো নয় জমকালো চোখ ধাঁধানো আয়োজন, গান বাজনা, শিল্পী এনে নাচানো, মাইক বাজানো কি নেই সে পার্টিতে? আগের পর্বে আপনারা বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিবেদনে গোয়েন্দা রিপোর্টের কথা শুনেছেন। কিভাবে আজাদ মাস্টার উরফে অমিত বিক্রম ত্রিপুরা বাবা নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা চরমপন্থীদের সাথে যোগাযোগ রাখতো। এবারের পর্বে দেখুন কিভাবে উলফা নেতার অনুপ চেটিয়ার সাথে ত্রিপুরা পরিবার সংযুক্ত। নিচের ছবিতে দেখুন অমিত বিক্রম ত্রিপুরা(আজাদ মাস্টারের) সাথে তার বাবা নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। এখানেই শেষ নয় এরপর যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। মতিউর রহমানের নাম এসেছে একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে ১০ ট্রাক অস্র মামলায় পর্যন্ত।
moti-amit
মতিউর রহমান যে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক সে প্রথম আলো হচ্ছে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেডের একটি পন্য। ট্রান্সকমের মালিক শিল্পপতি লতিফুর রহমান হচ্ছেন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল উলফার এজেন্ট। শুধু তাই নয়, লতিফুর রহমান বিয়ে করেছেন শীর্ষ উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার বোনকে। উলফার বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে লতিফুর রহমানের বাড়িতে খুন হয় তার মেয়ে শাজনীন। এসব বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন রয়েছে।
palo-tans
বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের আস্থাভাজন বলে পরিচিত ছিলেন সাবেক ডিআইজি নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। তার মাধ্যমেই বাবর যোগাযোগ রক্ষা করে চলত প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের সাথে। মতিউর বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাবরের কাছ থেকে অনেক অন্যায় সুবিধা নিয়েছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। তার ছেলের ব্যবসায়িক কাজের জন্য বাবরের কাছ থেকে নানাভাবে অনৈতিক সুবিধাও নিয়েছিলেন। এখানে উল্লেখ্য করার মত যে প্রথমআলো পত্রিকাতে কিছুদিন আগে শাহবাগ গনজাগরন আন্দোলনকে এবং সেখানে অংশ নেয়া মেয়েদের সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর নোঙরা গল্প ছাপিয়েছে এই প্রথম আলো পত্রিকাটি। পাঠক অঙকের জট ক্রমশ খুলে আসছে।
omi
মুখোশের আড়ালে আজাদ মাস্টার কিঙবা অমিত বিক্রম ত্রিপুরা একজন বেকার অথর্ব বখে যাওয়া ছেলে। সঙ্গ দোষে বখে যাওয়ায় তাকে বেশ কয়েকবার রিহাবে যেতে হয়েছে। অস্ট্রলিয়াতে সে প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় পরে থাকতো। এই ছবিটিতে আপনারা দেখছেন তার স্বীকারোক্তি।
amit-beer
susoau
সেই ক্যাফের ড্রিঙসের লিস্ট।
আজাদ মাস্টার গনজাগরন মণ্চকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছে। বেপরোয়া চাদাবাজি, বিতর্কিত তথ্য উপস্থাপন, বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর মাধ্যমে জন আন্দোলনকে দুর্বল করা তার মূল মিশন। সাথে যোগ দিয়েছে আরো কিছু বখে যাওয়া ছেলে। তাদের মুখোশ উন্মোচন চলবে।
জয় বাঙলা
জয় বঙ্গবন্ধু
জয় তারুন্য।


উৎস: কপি ফ্রম  মঞ্চলিকস 

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম