মরিয়ার্টি দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী করার নেপথ্যে আরও একটি কারণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে দিলীপ বড়ুয়া আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীকে তার নিজ আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে মহাজোট সরকার গঠন করার পর তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়। দিলীপ বড়ুয়া বাংলাদেশের বর্তমান মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য, যারা সংসদ সদস্য নন। এখানে মরিয়ার্টি ওয়াশিংটনকে বুঝানোর জন্য একটি মন্তব্য লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার ১০ শতাংশ সদস্য সংসদ সদস্য নাও হতে পারেন। যাদের প্রচলিত ভাষায় ‘টেকনোক্র্যাট’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। মরিয়ার্টি দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে তার একটি সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তারবার্তায় উল্লেখ করেন। তিনি তাতে বলেন, দিলীপ বড়ুয়া তাকে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য শিল্পোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি মরিয়ার্টিকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বৈচিত্র্য এনে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) প্রচলন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশে পরিণত করতে চায়। মরিয়ার্টি বলেন, দিলীপ বড়ুয়া ট্রেডমার্ক, প্যাটেন্ট ও বিভিন্ন মেধাস্বত্ব রক্ষায় নিজের প্রতিশ্রুতির কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয় যে ট্রেডমার্ক, পণ্যমান, প্যাটেন্ট ইত্যাদির দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় তাও ওয়াশিংটনে পাঠানো তারবার্তায় মরিয়ার্টি উল্লেখ করেন।Source
0 comments: