কুমড়ো পটাশ(যদি) কুম্ড়োপটাশ নাচে-খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ; চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে ; চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমুলার গাছে ! (যদি) কুম্ড়োপটাশ কাঁদে- খবরদার! খবরদার! বসবে না কেউ ছাদে ; উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধে ; বেহাগ সুরে গাইবে খালি 'রাধে কৃষ্ণ রাধে' ! (যদি) কুম্ড়োপটাশ হাসে- থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে ; ঝাপ্সা গলায় ফার্সি কবে নিশ্বাসে ফিস্ফাসে ; তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে ! (যদি) কুম্ড়োপটাশ ছোটে- সবাই যেন তড়বড়িয়ে জানলা বেয়ে ওঠে ; হুঁকোর জলে আলতা গুলে লাগায় গালে ঠোঁটে ; ভুলেও যেন আকাশ পানে তাকায় নাকো মোটে ! (যদি) কুম্ড়োপটাশ ডাকে- সবাই যেন শাম্লা এঁটে গামলা চড়ে থাকে ; ছেঁচকি শাকের ঘণ্ট বেটে মাথায় মলম মাখে ; শক্ত ইঁটের তপ্ত ঝামা ঘষতে থাকে নাকে ! তুচ্ছ ভেবে এ-সব কথা করছে যারা হেলা, কুম্ড়োপটাশ জানতে পেলে বুঝবে তখন ঠেলা । দেখবে তখন কোন্ কথাটি কেমন করে ফলে, আমায় তখন দোষ দিওনা, আগেই রাখি বলে | |
বুড়ীর বাড়ীগালভরা হাসিমুখে চালভাজা মুড়ি,ঝুরঝুরে প'ড়ো ঘরে থুরথুরে বুড়ী । কাঁথাভরা ঝুলকালি, মাথাভরা ধুলো, মিট্মিটে ঘোলা চোখ, পিঠখানা কুলো । কাঁটা দিয়ে আঁটা ঘর - আঁঠা দিয়ে সেঁটে, সুতো দিয়ে বেঁধে রাখে থুতু দিয়ে চেটে । ভর দিতে ভয় হয় ঘর বুঝি পড়ে, খক্ খক্ কাশি দিলে ঠক্ ঠক্ নড়ে । ডাকে যদি ফিরিওলা হাঁকে যদি গাড়ি, খসে পড়ে কড়িকাঠ ধসে পড়ে বাড়ী । বাঁকাচোরা ঘরদোর ফাঁকা ফাঁকা কত, ঝাঁট, দিলে ঝ'রে পড়ে কাঠকুটো যত । ছাদগুলো ঝুলে পড়ে বাদ্লায় ভিজে, একা বুড়ী কাঠি গুজে ঠেকা দেয় নিজে । মেরামত দিনরাত কেরামত ভারি, থুরথুরে বুড়ী তার ঝুরঝুরে বাড়ী । |
বাবুরাম সাপুড়েবাবুরাম সাপুড়ে,কোথা যাস্ বাপুরে ? আয় বাবা দেখে যা, দুটো সাপ রেখে যা ! যে সাপের চোখ নেই, শিং নেই নোখ্ নেই, ছোটে না কি হাঁটে না, কাউকে যে কাটে না, করে নাকো ফোঁস ফাঁস, মারে নাকো ঢুঁশঢাঁশ, নেই কোন উৎপাত, খায় শুধু দুধ ভাত- সেই সাপ জ্যান্ত গোটা দুই আনত ? তেড়ে মেরে ডাণ্ডা ক'রে দেই ঠাণ্ডা । |
0 comments: