কায়রো থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাইশ কিলোমিটার দূরত্বে একটি রেল স্টেশন আছে। এর একদিকে নওয়া নামক একটি গ্রাম, অন্যদিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর, আম, খেজুর, কলা, নাশপাতি ও খোবানীর বাগান। বাগানের মাঝখানে একটি সুরম্য অট্টালিকা- যা দূর থেকেই দৃষ্টিগোচর হয়। অট্টালিকার পাশেই গৃহপালিত পশুর দেয়ালঘেরা খামার। এ খামারে গরু মোষ আর উট বেধে রাখা হয়েছে। একজন রাখাল এগুলোর দেখাশোনায় নিয়োজিত। শহরে যাতায়াতের জন্য আছে ঘোড়ার গাড়ি। এর বিপরীত দিকে আছে বিশাল মুরগির খামার। মুরগি ছাড়াও রঙবেরঙয়ের নানা জাতের পাখি ও খরগোশ খামার মালিকের সৌখিনতার প্রমাণ বহন করছে। অন্দর মহলে নানা জাতের পুষ্প সুশোভিত উদ্যান বসন্তের নবযৌবনের বারতা ঘোষণা করছে।
১৯৩৩ সালের বসন্তকালের কোন এক শুক্রবারের আগের রাত। ত্রিশ বছর বয়সী দীর্ঘ ও সুঠামদেহী এক যুবক পরিবার-পরিজন সমেত অট্টালিকার বাগিচায় খোশগল্পে মশগুল। এ সময় খামারের চৌকিদার বাগানে প্রবেশ করে নেহায়েত আদব ও তমিজের সাথে বলতে থাকে, হুজুর! দুইজন ভদ্রলোক আপনার সাথে দেখা করতে এসেছেন। যুবক পরিবারের সদস্যদের মহিলা মহলে চলে যাবার ইঙ্গিত করে চৌকিদারকে হুকুম করেন, তাদের ভিতরে নিয়ে আসো।
কিছুক্ষণের মধ্যে নতুন পোশাকে সজ্জিত দুইজন শিক্ষিত ভদ্রলোক অট্টালিকার বাগানে প্রবেশ করেন। যুবক তাদেরকে বৈঠক খানায় নিয়ে বসান। দুই অতিথির একজন বসতে বসতে বলেন, আমার অনুমান যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় আপনি ওমর তিলমেসানী।
গৃহকর্তা ওমর তিলমেসানী বলেন, হ্যাঁ, এ অধমকেই ওমর নামে ডাকা হয়। দুইজনের মধ্যে তুলনামূলক বেশি বয়সের অতিথি বলেন, আমার নাম ইজ্জত মোহাম্মদ হোসাইন আর ইনি আমার বন্ধু মোহাম্মদ আবদুল আল। তিনি ডেল্টা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আর আমি শাবিন আল কানাতের শহরের জবাইখানায় চাকরি করি- যেখানে আপনিও ওকালতি করেন। ওমর তিলমেসানী কৌতূকের ভঙ্গিতে বলেন, আমি অবশ্যই ওকালতি করি, তবে কসাইখানায় নয়, শাবিন আল কানাতেরের আদালতে।
ইজ্জত মোহাম্মদ হোসাইন তার কৌতূককে হালকাভাবে নিয়ে বলেন, আমরা দু’জনই ইখওয়ানুল মুসলেমুনের সাথে জড়িত। গৃহকর্তা ওমর কাপে চা ঢালতে ঢালতে বলেন, জি, খুব ভালো কথা। অতিথিরা ভদ্রতার সাথে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে নীরবে গৃহকর্তার চেহারার উত্থান -পতন লক্ষ্য করতে থাকেন। তারা অনুমান করার চেষ্টা করেন, তাদের কথায় গৃহকর্তার কতটুকু আগ্রহ রয়েছে। তাদের মধ্যে ইজ্জত মোহাম্মদ হোসাইন নীরবতা ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করেন, আপনি এখানে কি করেন? ‘আমি এখানে মুরগির বাচ্চা পালন করি।’ গৃতকর্তা ওমরের কাছে অতিথিদের প্রশ্ন অ™ভূত ও নির্বুদ্ধিতামূলক ঠেকেছে- এমনভাব দেখিয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। কিন্তু তার এ ধরনের হাসি ঠাট্টামূলক জবাবে অতিথিদের মাঝে কোন প্রকারের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। বরং তার জবাব শুনে ইজ্জত মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আপনার মতো যুবকের জন্য মুরগির বাচ্চা পালনের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ অপেক্ষা করছে। গৃহকর্তা যিনি গাম্ভীর্যের পরিবর্তে হালকা হাস্যরসের সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ঠিক সেই মেজাজেই জবাব দেন, সেটা কি বস্তু যা মুরগির বাচ্চা পালনের চেয়ে আমার কাছ থেকে অনেক গুরুত্ব ও দৃষ্টি দানের মুখাপেক্ষী। গৃহকর্তার এসব হালকা কথাবার্তার পরও অতিথিরা গম্ভীরভাবে জবাব দেন, মুসলমান সমাজ আপনার মনোযোগ ও দৃষ্টি দানের মুখাপেক্ষী। তারা নিজের দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছে এবং অসচেতনতা তাদেরকে মানমর্যাদা ও প্রভাবহীন করে দিয়েছে। নিজ দেশেই তারা গুরুত্বহীন এবং বিশ্ব সমাজে তাদের অস্তিত্ব না থাকারই শামিল। জবাবে ওমর তিলমেসানী বলেন, এসব জটিল বিষয়ে আমার করণীয়ই বা কি আছে,আর আমার সামর্থই বা কতটুকু? ইজ্জত মোহাম্মদ হোসাইন ওমর তিলমেসানীর কথার জবাবে বলেন, আপনি একজন উকিল হিসেবে আইনেরও রক্ষক। আপনি নির্বাচনে হেরে গিয়েও এলাকার রাজনীতিতে নৈতিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন এবং সত্যের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কিন্তু একথাও সর্বজন বিধিত যে, সত্যের লড়াই আপনি একা লড়তে পারেন না। আর এখন এ ময়দানে আপনি একা নন। আপনার মত যুবকদের সংগঠন তৈরি হয়ে গেছে এবং এক মহান ব্যক্তিত্ব জনাব হাসানুল বান্না এ সংগঠনের পথ প্রদর্শক ও মুর্শেদে আম। আমরা শাইখ বান্নার সাথে আপনাকে সাক্ষাৎ করাতে চাই। আপনি আমাদের সময় দিন। গৃতকর্তা বলেন, আমি তো সব সময়ই অবসর আছি বরং হাসানুল বান্নাই ব্যস্ত মানুষ, তিনি যখন বলবেন, তখনই উপস্থিত হয়ে যাবো। হাসানুল বান্নার ব্যস্ততার মাঝে যখনই অবসর পাওয়া যাবে তখনই উপস্থিত হয়ে যাবো।
কিছুদিন পর ঐ ব্যক্তি শাবিন আল কানাতেরে এডভোকেট ওমর তিলমেসানীর চেম্বারে গিয়ে জানান যে, শাইখ হাসানুল বান্নার সাথে তার সাক্ষাতের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। মুর্শেদে আম কায়রোতে আলবাকিনা সড়কের আব্দুল্লাহ বেগ মহল্লায় থাকেন। নির্ধারিত সময়ে ওমর তিলমেসানী হাসানুল বান্নার দরজায় পৌঁছে কড়া নাড়েন। কড়া নাড়ার জবাবে আওয়াজ আসে, ‘কে’? ‘এডভোকেট ওমর তিলমেসানী’।
হাসানুল বান্না ওপর তলা থেকে নিচে নেমে অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে ডানদিকের কামরার দরজা খোলেন। ওমর তিলমেসানী হাসানুল বান্নার পিছে পিছে কামরায় প্রবেশ করেন। কামরাটি ছিলো অন্ধকার। একজন নতুন লোকের পক্ষে বোঝা মুশকিল এ কামরায় কি রয়েছে।
হাসানুল বান্না কামরার একমাত্র জানালাটি খোলার পর এতে আলো প্রবেশ করে। অতিথি লক্ষ্য করেন, কামরাটি নেহায়েতই সাদামাটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছোট-খাটো একটি দফতর। এতে কয়েকটি মাত্র চেয়ার রয়েছে যা ছোবড়া বা ছনের তৈরি। গৃহকর্তা একটি চেয়ারে বসে আরেকটিতে অতিথিকে বসার ইঙ্গিত করেন। ছোবড়ার চেয়ারে বসতে দামী স্যুট পরা অতিথি কিছুটা ইতস্তত বোধ করেন।
অতিথি পকেট থেকে রুমাল বের করে চেয়ারের ওপর রেখে তাতে বসে যান। গৃহকর্তা গভীর মনোযোগের সাথে তা লক্ষ্য করেন। এ সময় তার ঠোঁটে মুচকি হাসি খেলে যায়। অতিথির বাহ্যিক চাকচিক্য ও চমক গৃহকর্তার মনে যেমন কোন প্রকার প্রভাব ফেলতে পারেনি তেমনি তার মনে কোন প্রকার অস্থিরতা বা অস্বাভাবিকতাও সৃষ্টি হয়নি। সাধারণ মানুষ এ ধরনের লোককে দেখে সত্য পথের দাওয়াতে এগিয়ে আসার অনুপযুক্তই মনে করে বসবে। তারা ধরে নিবে, যে ব্যক্তি এতো কেতাদুরস্ত সেকি করে সত্যপথের দাওয়াতের কঠিন পথে চলতে পারবে? কোথায় বাহ্যিক টিপটপ অবস্থা আর কোথায় আল্লাহর পথে জিহাদের দাবি। সত্য পথের দাওয়াতে দুঃখকষ্ট সহ্য করতে হয় এবং ভোগ বিলাস ও আরাম-আয়েশ থেকে হাত ধূয়ে ফেলতে হয়। হাসানুল বান্না অত্যন্ত নিমগ্নতার সাথে অতিথির সামনে প্রভাব বিস্তারকারী পন্থায় নিজের দাওয়াতি কর্মসূচি তুলে ধরেন। ওমর তিলমেসানী গভীর মনোযোগের সাথে মুর্শেদের কথা শোনেন। তার বক্তব্য শেষে তিনি ওমরকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি আমার বক্তব্যে সন্তুষ্ট কিম্বা আপনার সব প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন? অতিথি কোন উত্তর দেয়ার আগেই হাসানুল বান্না পুনরায় বলেন, আপনার সামনে পুরো এক সপ্তাহ সময় রয়েছে, চিন্তা-ভাবনা ও নিজের মনের সাথে বোঝাপড়া করে নিন।
অন্তরের রায় নিন, আমি আপনাকে কোন পিকনিক অথবা আনন্দ ভ্রমণের দাওয়াত দিচ্ছি না। বরং এমন এক পথে আহ্বান করছি যেখানে জীবনের পরিপূর্ণ ঝুঁকি রয়েছে। যদি আপনার অন্তর পরিতৃপ্ত হয়, অন্তরে পূর্ণ আস্থা জন্মায় তাহলে সামনের সপ্তাহে শপথের জন্য এসে যাবেন। আর এ কাজের জন্য আপনার অন্তর যদি সায় না দেয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমার জন্য এতোটুকু বিষয়ই পরিতৃপ্তির যে, আপনি ইখওয়ানের বন্ধু ও কল্যাণকামী হয়ে যাবেন। এই বলে হাসানুল বান্না তার বক্তব্য শেষ করেন।
এক সপ্তাহ পর নির্ধারিত সময়ে ওমর তিলমেসানী মুর্শেদে আম হাসানুল বান্নার কাছে উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘হে শাইখ! আমি আল্লাহর পথে আনুগত্যের শপথ গ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়েছি’। হাসানুল বান্না ওমর তিলমেসানীর চেহারায় দৃষ্টি নিবন্ধ করে বলেন, হে আমার ভাই! আমি প্রথম থেকেই তোমাকে কোন সবুজ উদ্যান দেখাইনি এবং এখনো একথাই বলছি, সত্য পথের দাওয়াতের ব্যাপারে বুঝে শুনে পরিপূর্ণ জ্ঞানের ভিত্তিতে পা ফেলতে হবে। যখন পরীক্ষার চাকা ঘুরতে শুরু করবে তখন অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারবে না। বরং ধৈর্যের আঁচল ধরে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কেননা এ পথে তোমাকে ফুলের মালা পরানো হবে না। বরং কাঁটার মালাই তোমার গলার সৌন্দর্য বর্ধন করবে। ওমর তিলমেসানী দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বলেন, সম্মানিত মুর্শেদ! আমি সব বিষয় ও দিকের ব্যাপারে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে নিয়েছি। সত্যপথের দাওয়াতের পূর্ণতাই হবে আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য, আপনি হাত এগিয়ে দিন।
হাসানুল বান্না ওমর তিলমেসানীকে শপথ গ্রহণ করিয়ে তাকেও সত্যের এ কাফেলায় যাত্রী বানিয়ে নেন। ওমর তিলমেসানীর আগে ইখওয়ানের কোন উকিল সদস্য ছিল না। সদস্য হওয়ার পর থেকেই কায়রোর বাইরে ইখওয়ানের অধিকাংশ মামলা-মোকদ্দমাই তিনি তদারক করতেন। জীবনের এক পর্যায়ে তার গতিবিধি কায়রো ও শাবিন আলকানাতিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তিতে তিনি গোটা মিসরের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। কখনো হাসানুল বান্নার সফরসঙ্গী হয়ে ভ্রমণ করতেন এবং কখনো হাসানুল বান্নার প্রতিনিধি হিসেবে নানা শহরে যেতেন। সপ্তাহে একসাথে দুইদিন তিনি কায়রোর বাইরে ছোট শহর অথবা গ্রামে যেতেন। হাসানুল বান্নার সাথে সফরে যাবার কালে রেলের সফর হলে তিনি ওমরকে জিজ্ঞেস করতেন, আমাদের ভ্রমণ কি আমাদের খরচে হবে নাকি তোমার খরচে? ওমর তিলমেসানী বলতেন, ‘আমার খরচে’। এরপর দ্বিতীয় শ্রেণীর দু’টি টিকেট কিনে আনতেন। পকেটের অবস্থা ভালো না হলে নির্দ্বিধায় বলতেন, জনাব! সফর আপনার খরচে হবে।
এরপর হাসানুল বান্না তৃতীয় শ্রেণীর দু’টি টিকেট কিনতেন। তৃতীয় শ্রেণীর কামরায় প্রবেশ করার পর ওমর তিলমেসানীর সার্বক্ষণিক চেষ্টা থাকতো যেন তার পরিচিত কেউ তাকে দেখে না ফেলে। অতএব, ভ্রমণের সময় তিনি নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকতেন। হাসানুল বান্না তার এ অবস্থা দেখে মুচকি হাসি হাসতেন এবং বিষয়টি উপভোগ করতেন। এটা ছিল ওমর তিলমেসানীর আন্দোলনে যোগদানের প্রথম দিককার কথা। তখনো ওমর তিলমেসানীর কলিজার রক্তের সাথে পিয়াজের পানির ভালবাসার সংমিশ্রন ঘটেনি। আন্দোলনের প্রেমে বিভোর হয়ে যাওয়ার পর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণীর কোন বিভেদ টিকে থাকেনি। ইখওয়ানুল মুসলেমুনের আহ্বান মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তিনি দিনরাত একাকার করে ফেলেন। তিনি খুব শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে যান। এক পর্যায়ে হাসানুল বান্না তাকে দলের নায়েবে মুর্শেদে আম নিযুক্ত করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে এ পদ গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
একবার মজলিশে শূরার (পরামর্শ পরিষদ) সদস্যরা হাসানুল বান্নার কাছে এই বলে অভিযোগ করেন যে, ওমর তিলমেসানী সব সময় বাহ্যিক চাকচিক্য ফিটফাট ও কেতাদরুস্ত পোশাকের প্রতি আগ্রহী। তিনি ফ্যাশন ও সাজসজ্জাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এ অভিযোগ শুনে হাসানুল বান্না নিশ্চুপ হয়ে যান। একদিন ইখওয়ানের পরামর্শ সভার বৈঠক ছিল। হাসানুল বান্না ওমর তিলমেসানীকে উদ্দেশ করে বলেন, ভাই ওমর! বৈঠকে ছেড়া জুতা, ময়লা নোংরা টুপি ও বেমানান যা তা পোশাক পরে আসবে। মুর্শেদের বক্তব্যে বিস্মিত হয়ে ওমর জিজ্ঞেস করেন, সত্য পথের দাওয়াতে এটা কি আপনার নির্দেশ?
হাসানুল বান্না ক্রোধান্বিত স্বরে বলেন, না! এটা তোমার ভাইদের আকক্সা। তারা তোমাকে এমনি ধরনের বেশভূষায় দেখতে চান। মনে হয় আল্লাহ তার নেক বান্দাদের জন্য সাজসজ্জা ও পবিত্র উপকরণসমূহ নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আরো মনে হয়, আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি যেসব অনুগ্রহ করেছেন তাদের জীবনে যেন তার কোন প্রকার প্রভাব ও চিহ্ন দেখা যায়। দুনিয়ার সমস্ত নিয়ামতে আল্লাহ-ঈমানদারদের জন্য কোন অংশই রাখেননি। দুনিয়ার সমস্ত নিয়ামত তার অবাধ্য বান্দাদের জন্য। আরো মনে হয়, মুসলমানদের জন্য আবশ্যিক, তারা নিজদের নোংরা অবস্থায় মানুষের সামনে তুলে ধরবে। আমরা কি আল্লাহপাকের সেই নির্দেশ ভুলে গেছি, যাতে তিনি বলেছেন, ‘বলো! আল্লাহর সৌন্দর্যকে কে হারাম করেছে’?
অধ্যায় ১৩ : কাঁটা বিছানো পথে জমিদার নন্দন
☼→
বান্না-জীবনী
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: