গৃহকর্তার সাথে যেতে যেতে তারা গ্রাম পেরিয়ে একটি বাগানে প্রবেশ করেন। বাগানের মাঝখানে প্রাচীর বেষ্টিত দুর্গের মত একটি বাড়ি।
গৃহকর্তা অতিথিদেরকে বাড়ির মেহমানখানায় বসান। অতিথির আদর যতেœর পর তিনি নিজেও তাদের পাশে বসে যান। শাইখ হাসানুল বান্না তার কাছে ইখওয়ানের দাওয়াত তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ পাক আপনাকে সব ধরনের সম্মান ও নিয়ামত দ্বারা সম্মানিত করেছেন। এ গ্রামে আপনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। এ কারণে আপনার দায়িত্ব দ্বিগুণ। আপনি নিজেই শুধু ইসলামের অনুসারী হলে চলবে না, গ্রমাবাসীদেরকেও ইসলামের অনুসারী বানানোর বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে। ইখওয়ানের দাওয়াত এটাই যে, মানুষ আল্লাহর রঙে রঙ্গিন হয়ে যাবে। এটা হলো-পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো-একথার প্রতিচ্ছবি হতে হবে। এ কাজের জন্য আপনাকেও ইখওয়ানুল মুসলেমুনের একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে যেতে হবে।
অতিথির আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়ে গৃহকর্তা বলেন, বর্তমান সময়ে সেটাই একমাত্র করণীয় কাজ যার আহ্বান আপনি করে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হলো, এ দাওয়াতী কাজ কিভাবে করতে হবে? হাসানুল বান্না বলেন, আমাদের উদাহরণ আপনার মতো কৃষকের ন্যায়। একজন কৃষক কাপাশের বীজ বপনের পূর্বে জমি খুব ভালো করে চাষ করে নেয়। বীজ বপনের পর চারা গজালে সেগুলোর আশপাশ থেকে আগাছা ও ঘাস পরিষ্কার করে দেয়। গোড়ায় পোকা লাগলে সেগুলো মেরে ফেলার ব্যবস্থা করে। পাতা ও ফুলে আক্রমণকারী পোকা মাকড় পরিষ্কার করে দেয়। ফসল ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত কৃষক ধৈর্য ও একাগ্রতার সাথে নিজের কাজের সাথে যুক্ত থাকে। এরপর সে নিজের পরিশ্রমের ফসল ঘরে তুলে আনে। আমরাও এভাবেই আমাদের দাওয়াত বিস্তারের কাজ করে থাকি। আমরা তাড়াহুড়ো করে কাঁচা ফসল তুলে ফেলার প্রবক্তা নই।
গৃহকর্তা বলেন, আপনাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমিও এ ধরনের কিছু কিছু ভালো কাজ করে থাকি। যেমন ধরুন, দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করা, নামায রোযার ব্যাপারে নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি। কিন্তু এর সাথে সাথে আমি একটা কবিরাহ গুণাহর কাজ করি। আমার ধারণা, আমি কোনো দিনই এ গুণাহর কাজটি ছাড়তে পারবো না। হাসানুল বান্না জিজ্ঞেস করেন, সেটা কোন গুণাহ যা আপনি ছাড়তে পারবেন না? গৃহকর্তা বলেন, আমি কখনো কখনো মদ পান করি। এ বিষয়টিই ইখওয়ানের দলে যোগদানের ব্যাপারে আমার জন্য প্রতিবন্ধকতা। হাসানুল বান্না বলেন, আপনি আমাদের দলে যোগদান করুন আমরা এ অবস্থায়ও আপনাকে দলের অন্তর্ভুক্ত করে নিবো।
হাসানুল বান্নার এ ধরনের বক্তব্য শুনে আহমদ সুকরী অস্থিরতায় এ পাশ ও পাশ করতে থাকেন। গৃহকর্তা চলে যাওয়া মাত্রই তিনি ক্রোধে ফেটে পড়েন। তিনি হাসানুল বান্নার উদ্দেশে বলেন, কি ভাই! আপনি কি তার মদ পানকে বৈধ মনে করছেন? ইখওয়ানের মানদণ্ড কি এতোই নিচে নেমে গেছে যে, একজন মদখোর ও এ দলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। হাসানুল বান্না বলেন, অসম্ভব। মোটেও না, কখনো না।
আমি কি করে মদ পানকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিবো। কিন্তু আপনি এটা বলুন, যদি এ ব্যক্তিকে এই অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে তার সংশোধন কি কখনো সম্ভব? অবশ্য তাকে যদি দলে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয় তাহলে তার সংশোধন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেভাবে মন্দলোকের সংস্বর্গে মানুষের মধ্যে বিকৃতি প্রবেশ করে ঠিক তেমনিভাবে ভালো লোকদের সংস্পর্শে সে ভালোও হয়ে যেতে পারে।
আহমদ সুকরী নিজের অস্থিরতা, সন্দেহ, সংশয় প্রকাশ করে বলেন, কিন্তু এভাবে চারদিক থেকে দরজা খুলে দিলে তো দলের দুর্নাম হয়ে যাবে। হাসানুল বান্না বলেন, ভাই, ইখওয়ানুল মুসলেমুনের দল তো একটা চিকিৎসা কেন্দ্র বা আরোগ্য নিকেতন। এখানে পাপী ও নাফরমান ব্যক্তিরা আসবেই। অসুস্থদেরকে চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ সুস্থ থাকার কোনো পন্থা নয়। গুণাহগার বা পাপীদেরকে গল্লা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে কাছে টেনে এনে তাদের আত্মিক স্বাস্থ্যের উন্নতির ব্যবস্থা করা উচিত।
পাপী ব্যক্তিকে ঘৃণা না করে পাপকেই ঘৃণা করা উচিত। আহমদ সুকরী বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে প্রশ্ন করেন, তাহলে আমরা কি সবার জন্য এভাবেই দলের দরজা খুলে দিবো?
হাসানুল বান্না বলেন, হে আমার ভাই। ইসলামী আন্দোলনের দরজা তো সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। কিন্তু প্রত্যেক রোগীকে তার রোগের ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী চিকিৎসা ও ওষুধ দিতে হবে। এখন যে ব্যক্তির মধ্যে নিজের মন্দকর্মের ব্যাপারে অনুতাপের অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছে এ ধরনের ব্যক্তিকে আল্লাহর পথ থেকে বঞ্চিত ও হতাশ করা এবং গলা ধাক্কা দিয়ে আল্লাহর পথ থেকে দূরে ঠেলে দেয়ার অধিকার আমাদেরকে কে দিয়েছে? আমহদ সুকরী বলেন, তাহলে তো ইখওয়ানের প্রশিক্ষণের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
হাসানুল বান্না বলেন, কোনো বিজ্ঞ চিকিৎসক রোগের ভয়ে রোগীর চিকিৎসা ছেড়ে দেয় না। যদি কোনো চোর কিম্বা মদখোর যদি আমাদের দলে প্রবেশ করে তাহলে আমরা তার সাথে মদ খেতে কিম্বা চুরি করতে বেরিয়ে যাবো না। সমষ্টির ভিতরে থেকে হয় সে সংশোধন হয়ে যাবে না হয় সে দলের অবস্থাকে নিজের জন্য অনুকূল মনে না করে আজ হোক বা কাল হোক দল থেকে বেরিয়ে যাবে। যদি একজন মাত্র ব্যক্তির বদ অভ্যাসের চাপ বহন করার যোগ্যতা আমাদের মধ্যে সৃষ্টি না হয়ে থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আমাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মপদ্ধতি যথার্থ নয়, এতে অপূর্ণতা রয়েছে।
কথা বলতে বলতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের শেষ প্রহরে আকস্মিকভাবে আহমদ সুকরীর চোখ খুলে যায়। কাছেই কোথাও তিনি হেচকির আওয়াজ শুনতে পান। ক্ষীণ আলোতে তিনি বুঝতে পারেন হাসানুল বান্নার বিছানা খালি পড়ে রয়েছে। হেচকির আওয়াজের উৎসের সন্ধানে তিনি সাথে লাগোয়া কক্ষের দরজায় পৌঁছান। সেখানে পৌঁচামাত্রই তিনি বুঝতে পারেন হাসানুল বান্না আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করছেন।
তিনি কেঁদে কেঁদে বলছেন, হে প্রভু! আমিতো শুধু তোমার বান্দার অন্তরের দরজার কড়া নাড়তে পারি। কিন্তু হেদায়েতের জন্য তা খুলে দেয়া তোমার এখতিয়ারভুক্ত।
আহমদ সুকরী ফিরে এসে নিজের বিছানায় শুয়ে পড়েন। সামান্য পরই গ্রামের মসজিদ থেকে ফজরের আযান শোনা যায়। আযানের পর মেহমানখানার দরজার কড়া নাড়ার শুব্দ শোনা যায়। আহমদ সুকরী আলো জ্বালিয়ে দরজা খোলে গৃহকর্তাকে দরজায় দাঁড়ানো দেখতে পান।
হাসানুল বান্নাকে অন্য কামরায় কার্পেটে বসা দেখে তার সামনে গিয়ে বসেন। তিনি অত্যন্ত আবেগাপ্লুত কণ্ঠে হাসানুল বান্নাকে বলেন, হে সম্মানিত শাইখ আমি সারারাত ঘুমাতে পারিনি এবং পুরো রাত এ দ্বন্দ্বে ছিলাম যে, আমার মত একজন পাপী ব্যক্তিকে আপনি এ ধরনের একটি পবিত্র দলে প্রবেশ করার দাওয়াত দিয়েছেন। আপনার এ দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করাও যেমন ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে তেমনি মন্দ অভ্যাসসহ এ ধরনের একটি পবিত্র দলে যেগাদানেও আমার বিবেক সায় দিতে পারেনি। সুতরাং আমি নোংরামী ও পাপের এ উৎস থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এখন আপনি আমাকে আপনার সঙ্গী সাথীদের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়ে এ পথে আমার অবিচল থাকার জন্য দোয়া করুন।
কায়রোর হেলমিয়া আল জাদিদাহ ইখওয়ানের সদর দফতর। দফতরের প্রশস্ত আঙ্গিনায় যুবক ও মুরুব্বী উভয় শ্রেণীর মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।
বারান্দা বেলকোনি এমনকি আশাপাশের ভবনসমূহের ছাদে বসে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে লোকজন হাসানুল বান্নার দরস শুনছেন। মনে হচ্ছে যেন এই পবিত্র অনুষ্ঠানের চারদিক ফেরেস্তারা ঘিরে রেখেছে। রহমতের ছায়া এর ওপর বিস্তৃত এবং শান্তির বৃষ্টি বর্ষিত হচ্ছে। হাসানুল বান্নার মুখ থেকে কথা নয় হীরা, মতি ঝরে পড়ছে। শ্রোতারা নিজ নিজ ভাণ্ড অনুযায়ী হৃদয় কন্দরে এগুলোর স্থান করে নিচ্ছেন। তার মুখ নিঃসৃতবাণী মানুষের অন্তরে প্রভাব সৃষ্টি করছে। এভাবেই এশার আযান পর্যন্ত চলতে থাকে। আযানের সময় তিনি নীরব হয়ে যান। আযানের পরও কিছুক্ষণ তার এ দরস চলতে থাকে, যদিও শ্রতারা সারা রাত ধরে এ দরস শুনতে আগ্রহী।
এ দৃশ্য শুধু মাত্র একদিনের নয়, প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যার। মাগরিবের আগেই অসংখ্য যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তি ইখওয়ানের কেন্দ্রীয় দফতরে সমবেত হতে থাকেন। শুধু কায়রো থেকেই নয়, আশপাশের ছোট বড় জনবসতি ও দূরদূরান্তের গ্রাম থেকেও অনুষ্ঠানে লোকজন আসতে থাকেন। মাগরিবের নামাযের পর হাসানুল বান্না দরস শুরু করেন। তাওহিদ ও রেসালাতের আলোতে পতঙ্গের মত স্বতঃস্ফূর্ত হাজার হাজার শ্রোতার উপস্থিতি দেখা যায়। পুরানো বন্ধুরাই হোন কিম্বা অনুষ্ঠানে নবাগত, সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো মনে হয়। মনে হয় যেন তারা নিজদের হারিয়ে যাওয়া সম্পদ খুঁজে পেয়েছেন। প্রতিটি ব্যক্তি মুসলিম জাতির প্রতি দরদ ও ভালোবাসা এবং ইসলামের পুনরুজ্জীবনের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবারের এ দরসে কোরআনের ধারাবাহিকতা মাঝারি পর্যায়ে শুরু হয়েছিল। হাসানুল বান্না ইসমাঈলিয়া থেকে কায়রো বদলি হয়ে আসার পর তিনি রেল স্টেশনের কাছাকাছি যে বাসায় থাকতেন সেখান থেকেই শুরু হয়। এ সময় কায়রোতে তার পরিচিত লোকজনের সংখ্যা নেহায়েতই কম ছিল। তার সাবতিয়া এলাকার বাসায় মোটামুটি পরিচিত লোকজন উপস্থিত হতেন। একটি প্রশস্ত কক্ষে তারা চাটাইয়ের ওপর বসে যেতেন। শাইখ দরস দিতেন, ছোট ছোট পাত্র উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে রাখা হতো এবং সবাইকে চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। ইমাম হাসানুল বান্না অত্যন্ত উদার ও দাতা স্বভাবের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তার অর্থনৈতিক উপায় উপকরণ খুবই সীমাবদ্ধ ছিল। যিনি দরসে অংশ নিতেন তিনিই ঈমানী শক্তির সম্পদে পরিপূর্ণ হয়ে ফিরে যেতেন। এভাবে কয়েক ডজন শ্রোতা নিয়ে শুরু হওয়া এ দরসের অনুষ্ঠান হাজার হাজার মানুষের আত্মিক প্রশিক্ষণের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।
হাসানুল বান্নার কায়রো বদলির এক বছরের মধ্যেই ইখওয়ানের সংগঠন মিসরের পঞ্চাশটিরও বেশি শহর ও জনবসতিতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সব শহরে শুধু ইখওয়ানের শাখাই প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং মসজিদ, ইখওয়ানের কেন্দ্র, শিশুদের শিক্ষার জন্য হেরা শিক্ষা কেন্দ্র, মেয়ে শিশুদের পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উম্মুহাতেল মুমেনিন (রা.), হিফজ ও নাজেরা শিক্ষা কেন্দ্র ও কার্পেট তৈরির কারখানাসমূহও প্রতিষ্ঠা করা হয়। ইখওয়ানের দাওয়াত শুধু পুরুষদের মধ্যেই নয়, মহিলাদের মধ্যেও বিস্তার লাভ করে। মহিলাদের মধ্যে কাজ করার জন্য আখাওয়াত আল মুসলেমাত (মুসলিম ভগ্নিসংঘ) নামে সংগঠন গড়ে তোলা হয়। এ ছাড়া ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ও দরদ পোষণকারী মহিলা জয়নব আল গাজালী ইখওয়ানের সাথে নিজের সংগঠন সাইয়্যেদাতে মুসলেমাতের (মুসলিম মহিলা সংঘ) চিন্তার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেন।
অধ্যায় ১৫ : দুই নেতার ভিন্নমত
☼→
বান্না-জীবনী
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: