বয়স তখন হাইস্কুলে পড়ি এমন। পাড়ার মসজিদে মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরালাম। ঘাড়টা তখনো বাঁ দিকেই রয়ে গেল প্রায়। তখনি সামনের কাতারের এক লোক দাড়িয়ে "ইনশাআল্লাহ বাকি নামাজ বাদ ঈমান ও আমলের জরুরী বয়ান হবে। সব ভাই বসি। বহুত ফায়দা হবে।"আশৈশব বই, বক্তৃতা, সভা-সমিতি, সেমিনার, ওয়াজ প্রভৃতির প্রতি, তা যে মত ও পথের লোকই আয়োজন করুক না কেন, একটা টান আছে। সুতরাং, বসে পড়লাম। বেশির ভাগ নিয়মিত মুসল্লী চলে গেলে বোঝা গেল 'অচেনা' একদল লোক এসেছে এখানে গাট্টি-বোচকা নিয়ে। আল্লাহ, ফেরেশতা, পরকাল, নামাজ ও দ্বীনের পথে মেহনত ইত্যাদি নিয়ে নাতিদীর্ঘ বয়ান দিলেন বয়োবৃদ্ধ একজন। মোদ্দাকথায়, ওনাদের বহরে শামিল হয়ে বহুল প্রচারিত ফায়দা হাসিলের আহ্বান জানালেন। আনুমানিক ১ সপ্তাহ অবস্থান শেষে দলটি চলে গেলেন।
কলেজে-ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আবার রেগুলার দেখা পেলাম দলটির। এশার নামাজ শেষে ৫/৭ জনের ছাত্র-তাবলীগ প্রেয়ার রুমে গোল হয়ে বসে মোটাসোটা একটা বই, নাম ফাজায়েলে আমা'ল, পড়ে একজন, বাকিরা শুনে। বিস্তারিত পড়ার ধৈর্য্য নেই, তাই উল্টে-পাল্টে দেখলাম একদিন। নামাজ রোজা দাওয়াত সহ নানান দোয়া দরুদের ফজিলত, শিক্ষামূলক কাহিনী- এটাই বইটার আদ্যপান্ত। এর বাইরে সপ্তাহে একদিন তারা লাইন ধরে হলের কক্ষে কক্ষে যেতেন। আহ্বান একটাই, ওনাদের বহরে শামিল হয়ে বহুল প্রচারিত 'ফায়দা হাসিলে।'
তাবলীগকে অনিয়মিত দেখি আরেক স্থানে। মৎস্য ভবন থেকে শেরাটনের দিকে ফুটপাত ধরে হাটঁতে হাটঁতে। বছরজুড়ে কাকরাইল মসজিদ ও সংলগ্ন এলাকা গমগম। তাসবীহ, টুপি, আতর, ঢিলা কুলুখ, মেসওয়াক, ও খাবারের দ্রস্টব্য গন্ধ নাকে লাগবেই এখানে। দেশ ও বিদেশের নানান বয়সী, বিশেষত: বয়স্ক, মানুষের ভীড়। লক্ষ্য একটাই- ফায়দা হাসিল।
বছরে আরেকবার নিয়মিত তাবলীগের প্রচার-জোয়ার বয়ে যায় ইজতেমা নামক সম্মেলনের প্রাক্কালে। মোটামুটি ৫ দিনের জন্য যাবতীয় মতাদর্শের টিভি, রেডিও, পত্রিকা 'মুসলিম বিশ্বের ২য় বৃহত্তম' এ সমাবেশের বয়ানে বয়ানে মত্ত হয়ে উঠে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভীড়াক্রান্ত রাস্তা, রেল, বাসের ছবি, হাত তুলে স্রস্টার দরবারে মোনাজাত, খালেদা-হাসিনা-এরশাদ ইত্যাদিদের সদলবলে আখেরীমোনাজাতে যোগদানের খবর। তারপর হারিয়ে যায়। নীরবে আমরা যারযার মত ঝাঁপিয়ে পড়ি আগেকার কাজে।
আপাত: এটাই তাবলীগ। সাধারনের কাছে। তবে আরেকটু গভীরে পেয়েছি অদ্ভুত কিছু বিষয়। ছাত্র-তাবলীগের মধ্যে অনেক বন্ধুকে পেয়েছি যারা ঘোরতর ছাত্রলীগ সমর্থক (!), প্রায় সবাই শিবিরের ঘোর-বিরোধি! তবে 'কলেজ-মেডিক্যাল-ভার্সিটিতে' ছদ্মবেশধারী তবলীগও আছে। শিবির, লীগ, দল, ফ্রন্টের টানাটানি থেকে বাচতে ফার্স্ট ইয়ারে কূশলী অনেকে 'তাবলীগের লেবাস' নিয়ে ফেলেন। তবে সেটাও কম কঠিন নয়। এ বয়সে দাড়ি, পান্জাবির ভাড় বহন করা কি চাট্টিখানি কথা! এ ধরনের বেশ কজনকে চিনি যারা স্নাতক শেষে দিব্যি দাড়ি ফেলে দিয়েছেন!! আহলে সুন্নাত, খারেজী, ওহাবী বা নানা ধরনের ধর্মীয় গ্রুপের অনেক মৌলভী মওলানাকে দেখেছি তবলীগের প্রতি সমালোচনা মুখর। কাউকে কাউকে এ ব্যাপারে নীরব, কেউবা পক্ষবাদী।
যেমনটা দ্বিধাগ্রস্ত আমিও। ইজতেমায় লক্ষ লক্ষ মানুষ যায়। কেন যায়? হয়ত আশা করে সওয়াব হবে। এভাবে আশা করে কোনো একস্থানে লক্ষ কোটি বা তারও বেশি লোক জড়ো হলেই কি সওয়াব হবে? কি কি কাজ করতে হবে, করলে ভাল হবে, কিকি কাজ করলে গোনাহ হবে তা কি মানুষের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে? না তো, বরং পরিপূর্নভাবে আল্লাহ রাসুলদের মাধ্যমে দিয়েই দিয়েছেন। সামর্থ্যবান মুসলিম/মানুষদের জন্য হজ্জ্ব নামক বিধানতো কারো কাছেই অজানা নয়। এটার অতিরন্জনে ২য়, ৩য়, ৪র্থ সম্মেলন করে, কাল্পনিক সওয়াব আশা করা কেমন কথা? কেউ কেউ বলতে পারেন- এখানে মানুষ প্রশিক্ষন লাভ করে। আসলে কি তাই? প্রশিক্ষন কি এত সোজা? আর প্রশিক্ষনের খোদা ও তার নবীরাসুলদের প্রদর্শিত টেকনিক কিংবা রেফারেন্স বই পুস্তক কি এসব? নাকি এটা নেহায়েতই লক্ষমানুষের আরেকটি গন্তব্যহীন সম্মেলন? সওয়াব ক্ষুধার্ত বোধহীন মুসলিমদের যুক্তিহীন বিক্ষিপ্ত করুনা প্রার্থনা? মুসলিম উম্মাহ নামক একটি 'আন্তর্জাতিক ভূতের' কল্যান কামনা, যার কল্যান জর্জ বুশও কামনা করতেন! সুযোগ পেলেই যে কেউ এর কল্যান কামনা করেন। আর ইজতেমা মাঠ থেকে বাসাই ফিরেই এর পাছায় বাঁশ দেন!!!
চোর, ডাকাত, ঘুষখোর, পেশাদার খুনী অনেকেই চুলে পাক ধরলে দিব্যি তাবলীগে যোগ দিয়ে ফেলেন। ঘুরতে থাকেন এ মসজিদ থেকে ও মসজিদ। যথারীতি বয়ান দিতে থাকেন আসরের নামাজের পর। কবর, হাশর নিয়ে বয়ান করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। অদ্ভুত এক ব্যাপার- অদ্যাবদী ১টাকা ঘুষ ফেরত এসেছে, রাস্ট্রীয় কোষাগার লুট করা ১টি পয়সাও ভুল বুঝতে পেরে ফেরৎ দিয়েছেন, কারো উপর অন্যায়ের জন্য মাফ চেয়েছেন তেমনটি দেখিওনি, শুনিওনি। কিন্তু আল্লাহর কাছে রাতদিন মাফ চাইছেন, ফাজায়েলে আমাল পড়ছেন, বয়ান করছেন!
আল্লাহ কে যে, তাদেরকে মাফ করবে? আল্লাহর কি কোন অধিকার আছে আরেকজনের মেরে দেয়া টাকা মাফ করার? এটা শুনতে খারাপ লাগতে পারে যে, এ ধরনের দাগী বার্ধ্ক্যপীড়িত সন্ত্রাসীদের একটা উত্তম আখড়া কিংবা আখেরাতেও লুটে পুটে খাওয়ার একটা ভালো রাস্তা (কাল্পনিক)হিসেবে তাবলীগকে পাওয়া যায় দেদার।
মসজিদে রাত্রিনিবাস ও ধ্যানের ব্যাপারে ইসলামে কিছু নেই তা না। বরং তাবলীগের জন্মের ঢের আগে রাসুল (স) রমজানের শেষ ১০ দিন পুরুষদের জন্য মসজিদ আর মহিলাদের গৃহঅভ্যন্তরে নিবীড় ধ্যানের উপদেশ দিয়েছেন। এর বাত্যয় ঘটিয়ে দল বেঁধে বছরব্যাপী মসজিদ ভ্রমন কিছুতেই কল্যানকর কিছু হতে পারেনা। এটা স্বরচিত সুন্নত (!) বা বড় জোড় 'ইসলামি বৈরাগ্যবাদের' চর্চা হতে পারে।
লেখক: পাললিক মন
তাবলীগী নেসাব ফাযায়েলে আমাল বইয়ের এই কথাগুলোকে অনেকে শিরক বলেন।
“ক্ষুধার্থ এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে খাদ্যের আবেদন করে ঘুমিয়ে পড়লেন। সেই অবস্থায় তার নিকট রুটি আসল, ঘুমন্ত অবস্থায় ঐ ব্যক্তি অর্ধেক রুটি খাওয়ার পর জাগ্রত হয়ে বাকী অর্ধেক রুটি খেলেন।” ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৫৫-১৫৬।
২) জনৈক মহিলা ত জন খাদেম কর্তৃক মার খাওয়ার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করলে, আওয়াজ আসল ধৈর্য ধর, ফল পাবে। এর পরেই অত্যাচারী খাদেমগণ মারা গেল। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৫৯।
৩) অর্থাভাবে বিপন্ন এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে হাজির হয়ে সাহায্যের প্রার্থনা করায় তা কবুল হল। লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে দেখতে পেল যে, তার হাতে অনেকগুলো দিরহাম। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬২-৬৩।
৪) মদীনার মসজিদে আযান দেয়া অবস্থায় এক খাদেম মুয়াজ্জেমকে প্রহার করায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কবরের পার্শ্বে গিয়ে বিচার প্রার্থনা করল। প্রার্থনার তিনদিন পরই ঐ খাদেম মরা গেল। ফাযায়েলে হ্জ্জ, পৃ:১৬২-৬৩।
৫) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসায় ব্যর্থ হওয়ায় ঐ ব্যক্তির আত্মীয় (করডোভার এক মন্ত্রী) রোগ্যের আবেদন করে হুজুরের (সাল্লাল্লাহর আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কবরে পাঠ কার জন্য অসুস্থ ব্যক্তিকে পত্রসহ মদীনায় প্রেরণ করে। কবরের পার্শ্বে পত্র পাঠ করার পরেই রোগীর আরোগ্য লাভ হয়ে যায়। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ: ১৬৭।
৬) কোন ব্যক্তি হুজুরের রওজায় আরজ করায় রওজা হতে হুজুরের হস্ত মোবারক বের হয়ে আসলে উহা চুম্বন করে সে ধন্য হল। নব্বই হাজার লোক উহা দেখতে পেল। আবদুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ফাযায়েলে হজ্জ, পৃ:১৫৯।
আল্লাহর দ্বীনে বিশ্ব ইজতেমা হল হ্জ্জ্ব। হজ্জ্ব ছাড়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরূপ বিশ্ব ইজতেমা করেননি। "ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে একটি রাজ্যের নাম হরিয়ানা, এর সাবেক নাম পাঞ্জাব। দিল্লীর দক্ষিণে হরিয়ানার একটি এলাকার নাম মেওয়াত। এই মেওয়াতে ১৩০৩ হিজরীতে এক হানাফী বুজুর্গের জন্ম হয়। তার ঐতিহাসিক নাম ছিল আখতার ইলিয়াস। কিন্তু পরে তিনি শুধু ইলিয়াস নামে পরিচিত হন। ১৩২৬ হিজরীতে তিনি দেওবন্দ মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাহেবের কাছে বুখারী ও তিরমিযী শ্রাবণ করেন। ১৩৪৪ হিজরীতে তিনি দ্বিতীয়বার হজ্জে যান। এই সময় মদীনায় থাকাকালীন অবস্থায় তিনি (গায়েবী) নির্দেশ পান, "আমি তোমার দ্বারা কাজ নিব"। ফলে ১৩৪৫ হিজরীতে তিনি দেশে ফিরে এসে মেওয়াতের একটি গ্রাম নওহে তাবলীগী কাজ শুরু করেন।
ইলিয়াস (রঃ) নবীজির রওজা শরীফ থেকে গায়েবী নির্দেশ পেয়েছিলেন বলে দাবী করেন। এটা ডাহা মিথ্যা কথা করাণ মহান আল্লাহ বলেনঃ
১। "আল্লাহ যেদিন রাসূলগণকে একত্রিত করবেন আর তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করবেনঃ তোমরা উত্তর পেয়েছিলে কি? তাঁরা বলবেন, আমরা তার কিছুই জানি না। আপনি অবশ্যই গায়েবের খবর ভাল জানেন।" (সূরা মায়েদা ৫ঃ৫৭)
২। "(নবী বলেন) আমি যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম, ততদিন আমিই তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তারপর যখন আমাকে দুনিয়া থেকে তুলে নিলেন তখন আপনি (আল্লাহ) তাদের খোঁজ খবর রেখেছেন। আপনি সবকিছুর খবর রাখেন।" (সূরা মায়েদা ৫ঃ১১৭)
৩। "প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাধ গ্রহণ করবে। তারপর সবাই আমার নিকট ফিরে আসবে।" (সূরা আনকাবুত-২৯ঃ৫৭)
মৃত্যুর পরে কোন নাবী -রাসূল (সাঃ) গণই এ পৃথিবীর কোন খবর রাখতে পারেন না। মৃত্যুর পরে কারো আত্মা কবরে থাকে না, আল্লাহর নিকট ফিরে যায়। ফিরে যাওয়া অর্থ হল পূর্বে যেখানে ছিলাম সেখানে যাওয়া। জন্মের পূর্বে আমরা আল্লাহর নিকট ছিলাম। কোথায় ছিলাম, কেমন ছিলাম, কি করতাম, এসব যেমন আমরা কিছু্ই জানি না, তদরূপ মৃত্যুর পরে যেখানে যাব সেখানে থেকে পৃথিবীর কোন কিছুই জানা যাবে না।
অতএব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর ইন্তিকালের পরও রেসালতের দায়িত্ব পালন করতে থাকবেন বলে বিশ্বাস করি, তাহলে "আজ তোমাদের দ্বীনকে আমি পরিপূর্ণ করে দিলাম" আল্লাহর এ ঘোষনাটাকে অবিশ্বাস করতে হয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন জালিক)
তাবলীগী জাম'আতের কার্যকলাপ সোয়াবের আশায় আল্লাহর দ্বীনে নতুন সংযোজন। দ্বীনের মধ্যে নতুন সংযোজন বিদ'আত। বিদ'আতীদের পরিণাম সম্পর্কে পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতি বৎসর নিয়মিত ভাবে টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা পালন করা হয়। টঙ্গিতে যে বিশ্ব ইজতেমা চালু করা হল তার প্রতিষ্ঠাতা মৌলভী ইলিয়াস, আর আরাফাতে যে বিশ্ব ইজতেমা চালু আছে তার প্রতিষ্ঠাতা হলেন আল্লাহ তা'আলা। ইজতেমার শেষ দিনে "আখেরী মুনাজাত" চালু আছে, যদিও আল্লাহর শরীয়তে আখেরী মুনাজাত বলতে কোন কিছু নেই। এই আখেরী মুনাজাতের অংশ নেয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ, এমনকি অফিসের কর্ম-কর্তা, কর্মচারী অফিস ফাঁকি দিয়ে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে মাঠে উপস্থিত হন। এই মুনাজাতে শরীক হয়ে নিজেরা মুশরিক ও বিদ'আতী হলেন। টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমা আল্লাহ চালু করেননি এবং এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সমর্থন নেই। এই ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করলে আল্লাহর পরিবর্তে মাওলানা ইলিয়াসকেই মান্য করা হলো। আল্লাহকে ছাড়া আর কারো প্রবর্তিত প্রথা মানলেই সে মুশরিক। অফিসের কাজে ফাঁকি দেয়ায় রুজিটা আর হালাল থাকল না। হালাল রুজী না হলে কোন ইবাদতই আল্লাহ কবুল করেন না। লোকেরা বলতে থাকে, বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে দ্বিতীয় হজ্জ্ব, গরীবের হজ্জ্ব (নাউযুবিল্লাহ)! যদিও তবলিগী মুরব্বীগণ একথা স্বীকার করেন না। তবে মুরুব্বীদের জানা উচিৎ; এই বিদ'আতি অনুষ্ঠান চালু না করলে কিন্তু লোকদের এরূপ বলার কোন সুযোগই থাকত না।
এই আখেরী মুনাজাতে শারীক হবার জন্য নামাজী, বে-নামাজী, ঘুষখোর, সন্ত্রাসী, বিদ'আতী, দুস্কৃতিকারী দলে দলে ময়দানের দিকে ধাবিত হন। কেউ বা ট্রেনের ছাদে আর কেউ বা বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে। তারা মনে করেন সকল প্রাপ্তির সেই ময়দান বুঝি টঙ্গির তুরাগ নদীর পাড়ে! মানুষ পায়খানা সাফ করেও সেখানে সাওয়াব কামানোর আশায় থাকেন। এ যেন সওয়াবের ছড়া ছড়ি, যে যতো কুড়ায়ে থলে ভরতে পারবে তার ততোই লাভ। ট্রেনের ছাসের উপর মানুষের ঢল দেখে টিভিতে সাংবাদিক ভাইবোন গণ মাথা কাপড় দিয়ে বার বার বলবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আজ তাদের পাপের প্রাশ্চিত্ত করতে ছুটে চলেছেন তুরাগের পাড়ে। পরের দিনে বড় হেডিং দেখে যারা এবার যান নাই তারা মনে মনে ওয়াদা করে বসবেন যে আগামীতে যেতেই হবে। তা না হলে পাপীদের তালিকায় নাম থেকেই যাবে। এভাবে পঙ্গোপালের মতো এদের বাহীনি বাড়তে থাকবে। এদের আর রুখা যাবে না। কেননা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগণও সেখানে গিয়ে আচঁল পেতে প্রার্থনা করেন। টিভিতে সরাসরি মুনাজাত সম্প্রসারণ করা হয়। রেডিও শুনে রাস্তার ট্রাফিকগণও হাত তুলে আমীন আমীন বলতে থাকে। এই দেখে রাস্তার রিক্সাওয়ালা এবং তার যাত্রীগণও বসে থাকতে পারেন না। হায়রে তামাশা!! কি সর্বনাশা বিদ'আত কুরে কুরে আমাদের গ্রাস করছে তা আমরা জানিও না!!
তাবলীগী জামা'আত দেইখ্যা উষ্ঠা খাইয়া পইড়েন না। নীচের হাদীসটি মিলিয়ে দেখবেন আশা করি।
সাহাবী আবূ সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার মৃত্যুর পর শেষ যামানায় আমার উম্মতের মধ্য হতে পূর্বের কোন দেশ থেকে একটি জামাআত তাবলীগ নামে বের হবে, তারা কুরআন পাঠ করবে, তাদের কুরআন পাঠ তোমাদের কুরআন পাঠের তুলনায় খুবই সুন্দর হবে। কুরআনের প্রতি বাহ্যত তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা দেখে মনে হবে যেন ওরা কুরআনের জন্য কুরআন ওদের জন্য। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওরা কুরআনের প্রতিটি আয়াতের উপরে ঈমান রাখবে না এবং কুরআনের কঠিন নির্দেশের উপর আমল করবে না।
এই জামা'আতের অধিকাংশ লোক হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। যেমন কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানে হবে মূর্খ তেমন সাধারণ জ্ঞানেও হবে মূর্খ। এই জামাআতে যদি কোন শিক্ষিত লোক যোগদান করে তাহলে তার আচরণ ও স্বভাব হয়ে যাবে জামাআতে যোগদানকারী অন্যান্য মূর্খের মত। মূর্খরা যেমন মূর্খতার আনুগত্য করবে তেমনি শিক্ষিত লোকটিও মূর্খদেরই আনুগত্য করবে। এই জামা'আতের বয়ান ও বক্তৃতায় থাকবে কেবল ফযিলাতের বয়ান। বিভিন্ন আমলে সর্বোচ্চ ফযিলাতের প্রমাণহীন বর্ণনাই হবে তাদের বয়ানের বিষয়বস্তু।
হে মুসলমানগণ ! ঐ জামা'আতের লোকদের নামায, রোযা অন্যান্য আমল এতই সুন্দর হবে যে, তোমরা তোমাদের নামায, রোযা ও আমল সমূহকে তাদের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে। এই জামা'আতের লোকেরা সাধারণ মানুষকে কুরআনের পথে তথা দ্বীনের পথে চলার নামে ডাকবে, কিন্তু তারা চলবে তাদের তৈরী করা পথে, ডাকলেও তারা কুরআনের পথে চলবে না।
তাদের ওয়াজ ও বয়ান হবে মধুর মত মিষ্টি, ব্যবহার হবে চিনির মত সুস্বাদু, তাদের ভাষা হবে সকল মিষ্টির চাইতে মিষ্টি। তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ধারণ-ধরণ হবে খুবই আকর্ষণীয়, যেমন সুন্দর হরিণ তার হরিণির পিছনে যেমন ছুটতে থাকে তেমন সাধারণ মানুষ তাদের মিষ্ট ব্যবহার, আমলের প্রদর্শনী ও সুমধুর ওয়াজ শুনে তাদের জামা'আতের দিকে ছুটতে থাকবে।
তাদের অন্তর হবে ব্যাঘ্রের মত হিংস্র। বাঘের অন্তরে যেমন কোন পশুর চিৎকার মমতা প্রকাশ করে না, তেমন কুরআন ও হাদীসের বাণী যতই মধুর হোক তাদের অন্তরে প্রবেশ করবে না। তাদের কথাবার্তা আমল আচরণ, বয়ান যেগুলি তারা তাদের জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তার-ভিতরকার কুরআন সুন্নাহ বিরোধী আমলগুলি বর্জন করে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার জন্য যতবার কেউ কুরআন ও সুন্নাহ প্রদর্শন করুক বাঘের অন্তরে যেমন মমতা প্রবেশ করে না তেমন তাদের অন্তরে কুরআন ও সুন্নার প্রবেশ করবে না।
তাদের জামা'আতে প্রবেশ করার পর তাদের মিষ্টি ব্যবহারে মানুষ হবে মুগ্ধ, কিন্তু ঐ মনোমুগ্ধ ব্যবহারের পেছনে জীবন ধ্বংসকারী, ঈমান বিনষ্টকারী, ইসলামী মুল্যবোধ বিনষ্টকারী মারাত্মক বিষ বিরাজমান থাকবে। তাদের প্রশিক্ষন ধীরে ধীরে মানুষের অন্তর হতে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এ আনুগত্যের প্রেরণা শেষ করে দেবে এবং জামা'আতের আমীরদের আনুগত্যের প্রতি মরণপণ আকৃষ্ট করবে। আমীরগণ দেখতে হবে খাঁটি পরহেজগার দ্বীনদার ব্যক্তিদের মত, কিন্তু তার অন্তর হবে শয়তানের মত, কুরআন সুন্নাহের প্রতি বিদ্রোহী। আমীরগণ যা করে যাচ্ছে তার মধ্যে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ কখনো কেউ ধরিয়ে দিলে কোনক্রমেই তা পরিবর্তন করতে প্রস্তুত হবে না। অর্থাৎ কুরআন হাদীস উপস্থাপন করার পর তারা কুরআন হাদীস দেখেও কুরআন হাদীস বর্জন করে মুরব্বীদের কথা মানবে। কুরআন হাদীসের প্রতি তাদের অনীহা এতই তীব্র হবে যে, তারা অর্থসহ কুরআন হাদীস কখনই পড়বে না, পড়ানোও যাবে না।
এই জামা'আতটি ইসলামের তাবলীগ করার কথা যতই বলুক কুরআন যত সুন্দরই পাঠ করুক, নামা রোযা যতই সুন্দর হোক, আমল যতই চমৎকার হোক, মূলতঃ ঐ জামা'আতটি ইলসালম হতে বহির্ভূত হবে।
সাহাবাগণ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঐ দলটি চিনবার সহজ উপায় কি হবে? আমাদিগকে জানিয়ে দিন।
রাসূল (সাঃ) বললেন, এই ইসলাম বহির্ভূত জামা'আতটি চিনবার সহজ উপায় হল-
১) তারা যখন তালীমে বসবে, গোল হয়ে বসবে।
২) অল্প সময়ের মধ্যে এই জামা'আতের লোকসংখ্যা খুব বেশী হবে।
৩) এই জামা'আতের আমীর ও মুরব্বীদের মাথা নেড়া হবে। তারা মাথা কামিয়ে ফেলবে।
তীর মারলে ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায়। ঐ তীর আর কখনও ধনুকের দিকে ফিরে আসে না, তেমন যারা এই জামা'আতে যোগদান করবে তারা কখনও আর দ্বীনের দিকে ফিরে আসবে না। অর্থাৎ এই জামা'আতকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য কুরআন হাদীস যত দেখানো হোক, যত চেষ্টাই করা হোক না কেন দলটি দ্বীনের পথে ফিরে আসবে না। এদের সাথে তোমাদের যেখানেই স্বাক্ষাত হোক, সংগ্রাম হবে তোমাদের অনিবার্য। এই সংগ্রাম যদি কখনও যুদ্ধে পরিণত হয় তাহলে তা থেকেও পিছ পা হবে না।
এই সংগ্রামে বা যুদ্ধে যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদেরকে যে পুরষ্কার আল্লাহ দান করবেন তা অন্য কোন নেক কাজে দান করবেন না।
(বুখারী, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, মুয়াত্তা ইমামা মালেক, আরবী ১ম খন্ড, পৃঃ ১৩৮, আবূ দাউদ, আরবী দিল্লী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৬৫৬, তিরমিযী, মিশকাত, আরবী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৫৫, মুসলিম,মিশকাত, আরবী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৬২)
হাদীস সমূহের বর্ণনাকারী হলেন আবূ সাঈদ খুদরী, আলী, আবূ হুরায়রা, আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ)। (দেখুন সহীহ আল বুখারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৬৪৪৯, ৬৪৫০, ৬৪৫২, ৭০৪১ (আ.প্র.), বাংলা অনুবাদ মুয়াত্তা মালেকঃ ই.ফা. ১ম খন্ড, হাঃ নং- ৫৭৮)
বিশ্ব বরেণ্য আলিমগণের দৃষ্টিতে তাবলীগ জামা'আত ও তার নিসাব :
সম্মানিত মুসলিম ভ্রাতাগণ! আমি আপনাদের খেদমতে সামান্য একটু আলোচনা করব বিশ্বের সকল মুসলিমদের নিকট সমাদৃত আলিম উলামাদের মতামত, বিশেষ করে আরব বিশ্বের আলিমগণের অভিমত। কারন আমি কয়েকেটি বই পড়ে জানতে পারলাম যে, এতদিন ধরে আমরা যে সাওয়াবের আশায় তবলীগী কাজ করছি এবং পিপিলিকার স্রোতের মতো তুরাগনদীর পাড়ে জমায়েত হয়ে ফজিলতের বয়ান শুনে কান ঝালাপালা করে সমস্ত পাপ মুক্ত হয়ে যার যার ঘরে ফিরছি তা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং বিদ'আতী কার্যকলাপ। দ্বীনের মধ্যে সওয়াবের আশায় নতুন কোন পন্থা আবিষ্কার করাই হল বিদা'আত। আরব বিশ্বের উলামায়ে কিরাম তাবলীগী জামা'আত ও তার নিসাবকে বাতিল বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারই প্রমান স্বরূপ বর্তমান শাতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কিছু আলিমের মতামত সংক্ষেপে তুলে ধরছি।
আল্লাহ পাক শারী'আতের বিভিন্ন বিষয়ে এ সমস্ত আলিমদের অভিমত গ্রহণ করার জন্য আল কোরআনে বলেন, "তোমরা জ্ঞানবানদের জিজ্ঞেসা কর, যদি তোমরা তা না জান।" (সূরা আম্বিয়া, ৭)
০১। শাইখ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আল শাইখ (রহঃ)- সাবেক গ্রান্ড মুফতী, সৌদী আরব তাঁর রাজকীয় তথ্য মন্ত্রনালয়ের প্রধানকে লেখা পত্রে তাবলীগ জামা'আত সম্পর্কে বলেন,
আমি মহোদয়ের নিকট এ প্রতিবেদন পেশ করছি যে, এই জামা'আতের কোনই ফায়দা নেই, এটি একটি বিদ'আতী এবং গোমরা সংগঠন। তাদের নিসাব গ্রন্থ পড়ে দেখলাম, তাতে গোমরাহী এবং বিদ'আত ভরপুর। এতে কবর পূঁজা এবং শিরকের দিকে আহ্বান করা হয়েছে। বিষয়টি এমনই যে, এ ব্যাপারে চুপ থাকা যায় না। এজন্য অবশ্যই আল্লাহ চাহেন তো আমি এর প্রতিবাদ লিপি পাঠাব যেন এর বিভ্রান্তি ও বাতিল প্রকাশ হয়ে পড়ে। আল্লাহর নিকট দু'আ করি তিনি যেন, তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করেন এবং কালিমাকে সুউচ্চে রাখেন- আমীন! তারিখঃ ২৯/০১/১৩৮২ হিঃ (তথ্য সূত্রঃ ফতওয়া ও চিঠিপত্র, শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলে শাইখ, খন্ড ১ পৃঃ ২৬৭-২৬৮)
০২। শাইখ আবদুল আযীয বিন বায (রহঃ)'র নিকট তাবলীগ জামা'আত এর সঙ্গে চিল্লায় বের হওয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, "আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। অতঃপর তাবলীগ জামা'আতের নিকট আক্বীদাহর ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ধারণা নেই। সুতরাং তাদের সাথে বের হওয়া উচিত নয়। একমাত্র যার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'তের আক্বীদা সম্পর্কে জ্ঞান ও স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে সে বের হতে পারে, এজন্য যে তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দিতে এবং প্রয়োজনীয় নাসীহাত করতে পারে এবং তাদেরকে কল্যাণমূলক কাজে সহায়তা করতে পারে। কেননা, তারা তাদের কাজের ব্যাপারে খুবই তৎপর। কিন্তু তারা আরো অধিক জ্ঞানের মুখাপেক্ষী এবং আলিম-উলাময়ে কিরামের প্রতি মুখাপেক্ষী, যারা তাদেরকে তাওহীদ ও সুন্নাহর জ্ঞানে আলোকিত করবে। আল্লাহ তা'আলা সকলতে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন এবং এর উপর সাবেত রাখুন। আমীন!
০৩। শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাবলীগ জামা'আত ও এর সাথে সংশ্রব রাখার ব্যাপারে এবং তাদের নির্দিষ্ট তরীকার যিকর ও ছয় উসূল সম্পর্কে। উত্তরে বলেন, "ইবাদাত হল 'তাওকিফী' অর্থাৎ শারীয়াত নির্ধারিত। এজন্য কোন মুসলিমই কোন ইবাদাত করতে পারবে না যা আল্লাহ ও তাঁরা রসূল (সাঃ) নির্দিষ্ট করেননি। কেননা আল্লাহ তা'আলা অস্বীকার করেছেন তাদেরকে যারা আল্লাহ তাঁর রসূল (সাঃ) ব্যতীত অন্য কারো তৈরী করা ইবাদাত করবে।
আল্লাহ পাক বলেন, "তাদের কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য রয়েছে, তাদের জন্য যারা বিধান তৈরী করছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? যদি চূড়ান্ত ফায়সালা না থাকত তবে তাদের মাঝে এখই দফারফা করে দেয়া হত।" (সূরা আশ-শুরা ২১)
ইবাদত হল তাওকিফী' তার ধরণ, পরিমাণ, গুণাবলী, সময় এবং স্থানের দিক দিয়ে। সুতরাং ইবাদত অবশ্যই শারী'আত মোতাবেক হতে হবে। প্রশ্নকারীরা যা উল্লেখ করেছে, এভাবে ক্রমাধারায় বিদ'আতী তরীকায় আল্লাহর যিকর ও তাদের ছয় উসূল দেখতে হবে যে, শারীয়াতের এভাবে সাব্যস্ত রয়েছে কি না? যদি রাসূল (সাঃ) থেকে এভাবে সাব্যস্ত হয়ে থাকে তাহলে মাথা পেতে নিতে হবে। আর যদি সাব্যস্ত না থাকে তাহলে যা রসূল (সাঃ) থেকে সাব্যস্ত রয়েছে তাই যথেষ্ট। আমি জানি না যে, রসূল (সাঃ) থেকে এভাবে যিকর তিলাওয়াত ও উসূল সাব্যস্ত রয়েছে কিনা। এজন্য আমার ভাইদের অনুরোধ করছি যারা এর সাথে জড়িত তারা যেন তা পরিত্যাগ করেন এবং রাসূল (সাঃ) থেকে প্রমাণিত ও সাব্যস্ত সে অনুযায়ী আমল করেন। সেটাই তাদের জন্য উত্তম এবং প্রতিফলও ভাল হবে।
০৪। শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)'র নিকট প্রশ্ন করা হয়ঃ
তাবলীগ জামা'আত সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? এদের সাথে কোন তালিমে 'ইলম বা অন্য কেউ আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে বের হতে পারে কি?
উত্তরে তিনি বলেন, তাবলীগ জামা'আত আল্লাহর কুরআন এবং রসূলের হাদীসের তরীকার উপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং আমাদের সলফে সালিহীনদের পন্থার উপর নয়। অবস্থা যখন এই, তখন তাদের সাথে বের হওয়া জায়িয হবে না। কেননা এটা আমাদের সালফে সালিহীনদের তাবলীগের পন্থার পরিপন্থী। দা'ওয়াতের কাজে বের হবেন আলিম বা বিদ্বান ব্যক্তি। আর এরা যারা বের হচ্ছে তাদের উপর অবশ্য করণীয় হল নিজের দেশে জ্ঞান শিক্ষা করা, মাসজিদে মাসজিদে জ্ঞানার্জনের ব্যবস্থা করা, যারা দা'ওয়াতের কাজ করবে তারা যেন আলিম তৈরী হয়। এ অবস্থায় তালিবে ইলমদের উচিত যেন এদেরকে তাদের দেশেই কুরআন-হাদীস শিক্ষার জন্য আহ্বান জানায়। মানুষকে আল্লাহর পথে দা'ওয়াত তাবলীগীরা কুরআন ও সুন্নাহকে তাদের মূলনীতি হিসাবে গণ্য করে না। বরং তারা এই দা'ওয়াতকে বিভক্ত করে ফেলেছে। এরা যদিও মুখে বলে যে, তাদের দা'ওয়াত কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক তা নিছক মুখের কথা, এদের কোন একক আক্বীদা বিশ্বাস নেই যা তাদেরকে একত্রিত করতে পারে। এজন্যই দেখা যায়- এরা হল সূফী ও মাতুরিদী, আশায়িরীর আর এরা তো কোন মাযহাবেই নেই। আর এর করণ হল তাদের আক্বীদাহ-বিশ্বাস জটপাকানো। এদের নিকট স্বচ্ছ জ্ঞানের অভাব। এদের জামা'আত প্রতিষ্ঠার প্রায় অর্ধশত বছর পার হয়ে গেল কিন্তু এত লম্বা সময়ের পরও তাদের মাঝে কোন আলিম তৈরী হলো না। আমরা এজন্যই বলি আগে জ্ঞানার্জন কর, তারপর একত্রিত হও, যেন একত্রিত হওয়া যায় নির্দিষ্ট ভিত্তির উপর, যাতে কোন মতভেদ থাকবে না।
তাবলী জামা'আত বর্তমান সূফী মতবাদের ধারক বাহক জামা'আত। এরা চরিত্র সংশোধনের ডাক দেয় কিন্তু আক্বীদা-বিশ্বাসের সংস্কার ও সংশোধনের ডাক দেয় না। এ ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ নিশ্চূপ। কেননা তাদের ধারণা মতে এর দ্বারা বিভক্তি সৃষ্টি হবে। জনাব সা'দ আল হুসাইন এবং ভারত-পাকিস্তানের তাবলীগের মুরব্বীদের সাথে বেশ কিছু পত্র যোগাযোগ হয়। এর দ্বারা এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তারা ওয়াসীলা, উদ্ধারকারী (ইস্তিগাসা) এবং এ ধরনের অনেক ধারণাই সমর্থন করে। প্রত্যেক তাবলীগীকে এই চার তরীকার ভিত্তিতে বাই'আত গ্রহণ করতে হবে। কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে এদের প্রচেষ্টায় অনেক মানুষই আল্লাহর পথে ফিরে এসেছে। বরং এদের সাথে বের হবার জন্য কিউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে তাদের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য কি এটা যথেষ্ট নয়? এ ব্যাপারে বলছি যে, এটার আমরা অনেক শুনেছি এবং জানি, সূফীদের কাছে থেকে অনেক ঘটনাই জানি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যদি শাইখের আক্বীদাহ ফাসিদ হয়, হাদীস জানে না বরং লোকজনের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে এতদ্বসত্ত্বেও অনেক ফাসিক লোক তার হাতে তাওবাহ করে। যে দলই ভাল বা কল্যাণের দিকে ডাকবে অবশ্যই তার অনুসারী পাওয়া যাবে। কিন্তু আমরা দৃষ্টি দিবো যে, সে কিসের দিকে আহ্বান করছে? সে কি কুরআন হাদীস এবং সালফে সালিহীনের আক্বীদার দিকে ডাকছে এবং কোন মাযহাবের ব্যাপারে কোন রকম গোঁড়ামী করে না এবং যেখানেই পায় সুন্নাতের অনুসরণ করে। তাবলীগ জামা'আতের কোন ইলমী তরীকা বা পন্থা নেই। তাদের পন্থা হল স্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে তার জন্ম হয়েছে। এরা সব রঙেই রঙ্গীন হয়। (ইমারতী ফতওয়া, আলবানী, পৃঃ ৩৮)
আল্লাহ আমাদের সকল প্রকার ধোকাবাজী হতে রক্ষা করূন। আমীন!
তাবলীগ যেভাবে মুসলমানদের ধ্বংস করছে- তারাকী হাসান
শুরুতে বলে রাখি আমি নিজেও একসময় তাবলীগের সাথে জড়িত ছিলাম। তাবলীগের সাথে শত্রুতা করে এই লেখা না। বরং ইসলামের সাথে সাংঘর্শিক বিষয়গুলো তুলে ধরা সব মুসলমানের দায়িত্ব। তারা যদি তাদের ভিন্ন আকিদা, শিক্ষা ও ভ্রান্ত আমলের বইগুলো অনুসরন করা বাদ দিয়ে কোরআন ও হাদিস অনুসরন করে সে অনুযায়ী আমল ও মানুষকে দাওয়াত দিত, তাহলে মুসলমানদের অনেক বেশি উপকার হত!
► সংক্ষেপে “তাবলীগ জামায়াত” এর ইতিহাস ও দলের নাম বিশ্লেষণঃ
কোরআনের এই বাণী “সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ” কে মুল টার্গেট করে ১৯২৬ সালে মওলানা ইলিয়াস আল কান্ধলভি তাবলীগ জামায়াত প্রতিষ্ঠা করেন। (পরে আমরা দেখব এরা কি সত্যি অসৎ কাজের নিষেধ করে কিনা...)। পরবর্তীতে গিয়ে মওলানা জাকারিয়ার সময় থেকে এদের কাজ আরও সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। উল্লেখ যে, মওলানা জাকারিয়া একজন সুফি মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।
তাবলীগ অর্থ প্রচার করা, আর জামায়াত অর্থ দল। তাবলীগ জামায়াত অর্থ প্রচারের দল। তারা কি প্রচার করে? যদি ইসলাম প্রচার করে, তাহলে তাদের নাম হওয়া লাগতো “ইসলামে তাবলীগ জামায়াত” বা “দাওয়াতে ইসলামী”। বিধর্মীরা ইসলাম নামটা সহ্য করতে পারেনা বলে আর চিল্লা লাগিয়ে বিধর্মীদের দেশে যাতায়াতের সুবিধার্থেই হয়তো তারা কৌশলগত দিক চিন্তা করে ইসলামের নাম তাদের দলের সাথে যোগ করেনি।
► তাবলীগদের সিলেবাসঃ
একই মতবাদ ও বিশ্বাসের সকল মানুষ নিয়ে একটা দল তৈরি হয়। তাবলীগও একটা দল। তাদের মতবাদে বিশ্বাসী মানুষ তৈরি করতে তাদের একটা নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে যা সকল তাবলীগদের পাঠ্যবই। কিন্তু এগুলোতে কিছু কোরআন ও হাদিস শিক্ষা থাকলেও এসব বইয়ে অনেক কথা আছে যা কোরআন ও রাসুলের হাদিসের সংঘর্ষশীল ও অপব্যখায় ভরপুর যার প্রমান আমি পরে দিব।
তাবলীগদের নিসাব বা সিলেবাস অনুযায়ী আম বই দুইটি।
১. ফাযায়েল আমল যার খণ্ড আটটি- ফাযায়েল নামাজ, তাবলীগ, জিকির, কোরআন, রমজান, দরুদ, হজ ও হেকায়তে সাহাবা।
২. ফাযায়েল সাদাকাত- ২টি খণ্ড।
তাদের খাস বইও দুইটি-
১. হায়াতুস সাহাবা।
২. রিয়াদুস সালেহিন (শুধু আরবদের জন্য) ।
তাদের সিলেবাসে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়ঃ
১. এখানে কোন কোরআন ও এর কোন তাফসীরগ্রন্থ নেই। তাবলীগরা কখনো কোরআনের অনুবাদ ও এর তাফসীর অধ্যয়ন করে না। তাবলীগের মুরুব্বিরা কোরআনকে শুধু আরবিতে পড়ে অনেক ফায়দা হাসিলের দাওয়াত দিলেও তারা সাধারন মানুষকে অর্থ ও তাফসীরসহ কুরআন বুঝার ব্যপারে নিরুৎসাহিত করে। তারা বলে মুফতি, আলেম না হলে বা ১৫টি ভাষায় জ্ঞান না থাকলে কুরআন বুঝা উচিত না। অথচ আল্লাহ বলেছেন,
--> “আমি বুঝার জন্য কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি। কেউ কি বুঝতে চায়"? (সূরা কামার)
--> “তারা কোরআন নিয়ে কেন গবেষণা করেনা? তাদের অন্তরে কি তালা লেগে গেছে?” (সূরা মুহাম্মদঃ৪)
২. তারা নবীর সুন্নাতকে ধারন করে এই দাবী করে। কিন্তু কোরআনের পরে ইসলামের মুলভিত্তি সহিহ হাদিসগ্রন্থ বুখারি, মুসলিম ইত্যাদি তাদের সিলেবাসে নেই এবং এগুলো পড়তেও তারা উৎসাহ দেয়না। আর ফাযায়েল সিরিজের বইগুলো মওলানা ইলিয়াস ও হায়াতুস সাহাবা বইটা ইলিয়াসপুত্র ইউসুফ কান্ধলভি দ্বারা রচিত। পিতা-পুত্রের একই ভাব ও নির্দিষ্ট মতাদর্শে লিখিত বইগুলোই শুধু তাদের জ্ঞানের মুল উৎস।
৩. তাদের সিলেবাসে লক্ষ্য করে দেখবেন যে জিহাদ সম্পর্কে কোন বই নেই। তারা সুকৌশলে মানুষকে জিহাদ থেকে দূরে রেখে পরকাল ও দোআ-জিকির নির্ভর ইসলাম প্রচার করতে ব্যস্ত। জিহাদের ব্যখায় তারা যুদ্ধ বা আন্দোলন না করে নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করা বুঝায়। কিন্তু রাসুল (সঃ) এর জীবনী থেকে দেখা যায় তিনি আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াতও দিয়ছেন, সাথে যুদ্ধ, আন্দোলন, সংগ্রামও করেছেন। সাহাবীরা কি শুধু জিকির, আমল করেই তাদের জীবন পার করে দিয়েছেন, না ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আন্দোলন করে তাদের জীবন দান করেছেন? তাদের মত হল, নামাজ, রোজা, জিকির করব, জিহাদ করব না। এমন লোকদের ব্যপারে আল্লাহ বলছেন,
“তোমরা কি তাদেরকেও দেখেছো, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমাদের হাত গুটিয়ে রাখো এবং নামায কায়েম করো ও যাকাত দাও? এখন তাদেরকে যুদ্ধের হুকুম দেয়ায় তাদের একটি দলের অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে যে, তারা মানুষকে এমন ভয় করেছে যেমন আল্লাহকে ভয় করা উচিত অথবা তার চেয়েও বেশী। তারা বলছেঃ হে আমাদের রব! আমাদের জন্য এই যুদ্ধের হুকুমনামা কেন লিখে দিলে? আমাদের আরো কিছু সময় অবকাশ দিলে না কেন"? (সূরা নিসাঃ ৭৭)
৪. আরবরা যেহেতু দুর্বল ও জাল হাদিস ও বিভিন্ন কেচ্ছা-কাহিনী (যা ফাযায়েল আমল বইতে আছে) বিশ্বাস করেনা, তাই আরবদেশ গুলোতে এর পরিবর্তে ইমাম নবভি রচিত “রিয়াদুস সালেহিন” পড়ানো হয়। উল্লেখ যে, পৃথিবীর অনেক ভাষায় “ফাযায়েল আমল” বইটি অনুবাদ হলেও আরবি ভাষায় এটার অনুবাদ করা হয়নি।
► মওলানা জাকারিয়া ফাজায়েল আমল বইটি কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লিখেছিলেন?
এর উত্তর মওলানা জাকারিয়ার নিজের মুখ থেকেই শুনুন। তিনি তার “ফাজায়েল আমল” বইয়ের ভুমিকায় শুরুতেই লিখেছেন,
“আল্লাহ তায়ালার তারীফ ও প্রশংসা এবং নবীয়ে করীম (ছঃ) এর উপর দরুদ শরীফ পড়ার পর, ওলামায়ে কেরাম ও ছুফীকুল শিরোমণি, মোজাদ্দেদ দ্বীন, হজরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) আমাকে আদেশ করেন যে তাবলীগে দ্বীনের প্রয়োজন অনুসারে কোরআন ও হাদিছ অবলম্বনে যেন একটা সংক্ষিপ্ত বই লিখি। এতবড় বুজুর্গের সন্তুষ্টি বিধান আমার পরকালে নাজাতের উছিলা হইবে মনে করিয়া আমি উক্ত কাজে সচেষ্ট হই।
এখানে লক্ষনীয়ঃ
১. তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য বইটি লিখেন নি। তিনি লিখছেন তার উস্তাদ মাওলানা ইলিয়াস এর সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
২. যতটা বিশেষণ তিনি আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) এর পরিচয়ে দিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি বিশেষণ দিয়ে তার উস্তাদ মাওলানা ইলিয়াস এর পরিচয়ে দিয়েছেন।
৩. শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করেই পরকালে নাজাত পাওয়া যাবে। কিন্তু তিনি তার উস্তাদের সন্তুষ্টিকে নাজাতের উসিলা বলেছেন। এটা একটি শিরক যা ইহুদি-নাসারারা করে। আল্লাহ বলেন,
“তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের আলেম, আবেদদের (পীর, দরবেশ, ধর্মযাজক) কে তাদের প্রভু বানিয়ে নিয়েছে এবং মরিয়ম পুত্র মসিহ্কেও। অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে তারা শুধুমাত্র এক মা’বূদের ইবাদত করবে যিনি ছাড়া আর আর কোন সত্য মাবুদ নেই। তিনি তাদের অংশী স্থির করা হতে কতইনা পবিত্র!” (সূরা আত্ তাওবাঃ ৩১)
► জাল হাদিস কিভাবে উৎপত্তি হয় তার বাস্তব প্রমানঃ
তাবলীগী ভাইদের অনুসরনিয় ও পঠিত বই “ফাজায়েল আমল” এর জিকির অধ্যায়ে ৩৫৪ পৃষ্ঠায় নীচের ঘটনাটি উল্লেখ আছে যা আমি সংক্ষেপে উল্লেখ করলামঃ
শায়খ আবু করতবী (রঃ) বলেন, আমি শুনিয়াছি যে ব্যক্তি সত্তর হাজার বার কালেমা পড়িবে সে দোযখ হইতে নাজাত পাইবে। ইহা শুনিয়া আমি নিজের ও আমার স্ত্রীর জন্য সত্তর হাজারবার এবং অতিরিক্ত কয়েকনিছাব আদায় করিয়া পরকালের ধন সংগ্রহ করি। আমাদের নিকট এক যুবক থাকিত এবং সে নাকি কাশফের মাধ্যমে বেহেশত ও দোযখ দেখিতে পাইত, আমি উহাতে সন্দেহ করিতাম। একদিন ঐ যুবক আমার সহিত আহার করিতে বসে চিৎকার করে বলিয়া উঠিল, আমার মা দোযখে জ্বলিতেছে, আমি তাহার অবস্থা দেখিতে পাইতেছি। একথা শুনিয়া আমি মনে মনে আমার পড়া কালেমার অতিরিক্ত নিছাব হতে এক নিছাব (৭০ হাজার) ঐ যুবকের মায়ের নামে বখশিয়া দিলাম, যা আমি ও আল্লাহ ছাড়া আর কেহ জানত না। কিছুখন পর ঐ যুবক বলিয়া উঠিল, চাচা আমার মা দোযখ থেকে নাজাত পাইয়া গেলেন।
উক্ত গল্প থেকে একটি নতুন জাল হাদিস তৈরি হয় যা হল-
“সত্তর হাজার বার কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” পাঠ করে এর সওয়াব মৃত্যু ব্যক্তির নামে উৎসর্গ করলে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে”।
নাউজুবিল্লাহ !!! রাসুলের নামে কি জঘন্য মিথ্যাচার। অথচ রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ইচ্ছাপুর্বক আমার নামে মিথ্যা আরোপ করবে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা খুজে নেয়”। (সহিহ বুখারি)
এই গল্প থেকে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়ঃ
১. জান্নাত ও জাহান্নাম ও মৃত্যুব্যক্তির কি হচ্ছে তা আল্লাহ গায়েব বা অদৃশ্য রেখেছেন। ফাজায়েল আমল কিতাবে যা উল্লেখ আছে তা প্রমাণ করে ঐ যুবক গায়েবের খবর জানত। অথচ গায়েবের খবর একমাত্র আল্লাহ জানেন। আল্লাহ বলেন,
“বলুন, আল্লাহ ব্যতিত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানেনা। এবং তারা জানেনা যে, তারা কখন পুনারাজ্জিবিত হবে”। (সুরা নামলঃ ৬৫)
২. শায়খ আবু করতবী (রঃ) ব্যক্তিটা কে? তিনি বলেন, আমি শুনিয়াছি যে...। তিনি কই থেকে শুনেছেন? কোন হাদিছে এমন কথা নেই।
৩. জনৈক আবু করতবী (রঃ) এটাকে কাশফ বলেছেন। অদৃশ্য জগতের কিছু কথা প্রকাশ হওয়াকে কাশফ বলে। কাশফ সত্য - মিথ্যা দুটোই হতে পারে। তাই শরীয়তের ক্ষেত্রে কাশফ একদম গ্রহণযোগ্য না। ভণ্ডনবী ইবনুস সাইয়েদ বা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানীও বিভিন্ন মিথ্যা কাশফের দাবী ও ঘটনা বর্ণনা করতো।
৪. যদি এমন সহজেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাহলে জাহান্নামে আর কেউ যেত না। এগুলো বানিয়ে আসলে মুসলমানদের শুধু জিকিরনির্ভর সূফীবাদের দিকে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
► তাদের বহু জাল হাদিসের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করলামঃ
১. এক ঘণ্টা কিছু সময় চিন্তা জিকির করা, ষাট বছর ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (ফাজায়েল জিকির, ৩০৪ পৃষ্ঠা)
২. এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা গেলে ৮০ হুকবা জাহান্নামে পুড়তে হবে। (ফাজায়েল নামাজ, ৮৯ পৃষ্ঠা)
৩. পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরলে, বিভিন্ন রকম পুরুস্কার, না পরলে বিভিন্ন রকম শাস্তি সংক্রান্ত হাদিসটি। (ফাজায়েল নামাজ, ৮০-৮১ পৃষ্ঠা)
৪. সহজে মুখস্থ করার দোআ সংক্রান্ত দীর্ঘ হাদিসটি (ফাজায়েল কোরআন, ১০৫-১০৯ পৃষ্ঠা)
এছাড়া আরও অসংখ্য জাল হাদিস ও বিভিন্ন কেচ্ছা কাহিনী আছে যা উল্লেখ করতে গেলে বিশাল এক বই হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হল ফাজায়েল আমল বইটিতে জাল ও দুর্বল হাদিসগুলোকে ঢেকে রাখার জন্য কোন হাদিসের পূর্ণ উৎস দেয়নি।
► তাবলীগদের কোরআন ও হাদিস বিরোধী মনগড়া গল্প
ফাজায়েল সাদাকাত, ২য় খণ্ড, ২৮০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
“আবু আলি রোদবারি (রঃ) বলেন, ঈদের দিন একজন ফকির আসিয়া আমাকে বলিল যে এখানে কি কোন পরিস্কার জায়গা যেখানে একজন ফকির মরিতে পারে? আমি ইহা বাজে কথা মনে করিয়া বলিলাম, ভিতরে এসে যেখানে এসে মর। সে ভিতরে আসিয়া ওযু করিয়া দুই রাকাত নামাজ পড়িল ও মারা গেল। আমি তাহার কাফন দাফনের ব্যবস্থা করার পরে দেখিবার জন্য কাফন হটাইয়া দেখিতেই সে চোখ খুলিয়া ফেলিল। আমি তাকে বলিলাম, মৃত্যুর পরেও জীবন? সে বলিল আমি জীবিত ও আল্লাহর প্রত্যেক আশেকই জীবিত থাকেন। আমি তোমায় কাল কিয়ামতে স্বীয় প্রতিপত্তিতে সাহায্য করিব”।
এখানে লক্ষণীয়-
১. ফকির আগে থেকেই তার মৃত্যুর খবর জেনে সে তার মৃত্যুর জায়গা নিজে নিজেই ঠিক করল।
২. সে মারা যাওয়ার পরেও একজন জীবিত মানুষ তাকে তাকে কিছু জিজ্ঞাস করল ও সে শুনল।
৩. কথা শুনার পর সে তার উত্তরও দিল।
এখন দেখা যাক কুরআন কি বলে।
১. আল্লাহ বলেন,
“... কেউ জানেনা আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানেনা কোন স্থানে সে মৃত্যুবরন করবে।” (সূরা লুকমানঃ ৩৪)
এই আয়াতের ব্যখায় নবী (সঃ) বলেন, “এগুলো গায়িবের কথা এবং এগুলো আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা।” (সহিহ বুখারি)
কুরআন আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা সে কোথায় মারা যাবে। আর তাবলীগরা শিক্ষা দেয় ফকির বুজুর্গরা জানতে পারে তারা কোথায় মারা যাবে !!!
২. আল্লাহ বলেন,
“মৃতকে তো তুমি (নবী) কথা শুনাতে পারবে না”। (সূরা নামলঃ ৮৪)
তাহলে কিভাবে ঐ ব্যক্তি মৃত ফকিরকে প্রশ্ন করল এবং সে শুনল?
৩. আল্লাহ বলেছেন, “জীবিত ও মৃত কখনো সমান না”। (সুরা আল ফাতিরঃ ২২)
অর্থাৎ, কিন্তু গল্পে জীবিত ও মৃত- উভয়েই কথা বলছে অর্থাৎ উভয়েই সমান।
হাদিসে আছে (প্রথম অংশ দেওয়া হল), “একদিন রাসুল (সঃ) ও একজন ইহুদী বসে ছিলেন। এমন সময় একটি জানাজা অতিক্রম করতে থাকলে সে জিজ্ঞাসা করে, “হে মুহম্মদ, এই লাশ কি কথা বলতে পারে?” রাসুল (সঃ) জবাব দেন, “এই বিষয়ে আল্লাহ অধিক অবগত।.।"
(আবু দাউদঃ ৩৬০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক অনুদিত)
শুধু একটি ঘটনা না, আরও অসংখ্য (যেমন ফাজায়েল সাদাকাত, ২য় খণ্ডের পৃষ্ঠা ২৭০তে উল্লেখ্য দুটি ঘটনা, ৩২২, ৩৫৪ ইত্যাদি পৃষ্ঠাতে) এমন আজগুবি অনেক কিচ্ছা রয়েছে তাবলীগি ভাইদের একমাত্র পঠিত বইগুলোতে।
এখন দেখতে পাচ্ছি যে তাবলীগ ও তাদের আমলের বই, এক কথা বলছে, আর কোরআন হাদিস আর এক কথা বলছে। যেহেতু দুটো বিপরীত কথা, তাহলে এখানে যেকেউ একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। যেহেতু, কোরআন ও রাসুল (সঃ) কখনো মিথ্যা বলতে পারেনা, সেহেতু যে গল্পটি বলেছে সে অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আর যে বইয়ে মিথ্যাবাদীদের দ্বারা তৈরি আজগুবি গল্প, কিচ্ছা কাহিনী দিয়ে ভরা সে বই অনুযায়ী আমল করতেই কি রাসুল (সঃ) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন? বরং রাসুল বলেছেন,
“নেতা, উপনেতা বা দাম্ভিক ধোঁকাবাজ লোক ছাড়া আর কেউ কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করেনা”। (আবু দাউদঃ ৩৬২৪)
► একটু জানুন ও ভাবুনঃ
১. ইহুদী নাসারারা মুসলমানদের একটা জিনিসই ভয় পায়, তা হল জিহাদ। তাবলীগরা এমন ধরনের জিনিস প্রচার করে মুসলমানদের কে মুল ইসলাম ও জিহাদ থেকে সরে নিয়ে এসে শুধু জিকিরনির্ভর সূফীবাদের দিকে নিয়ে যায়। আপনি কি জানেন, ইসরাইলেও তাবলীগরা বাধাহীন ভাবে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করে, যেখানে অন্যান্য মুসলমানদের প্রবেশ নিষেধ !!!
২. অন্যান্য সব ভাষায় ফাজায়েল আমল বইয়ের অনুবাদ থাকলেও আরবি ভাষায় এর কোন অনুবাদ নেই। কারন আরবরা দুর্বল, জাল হাদিস ও কিচ্ছা কাহিনীতে বিশ্বাস করেনা। তাই আরব তাবলীগদের বিশ্বস্ত হাদিসগ্রন্থ “রিয়াদুস সালেহিন” পড়ানো হয়।
৩. পাকিস্তান তৈরি হওয়ার সময়, ১৯৫০ সালে যখন সব ইসলামী দল “ইসলামী সংবিধান” প্রণয়নের জন্য আন্দোলন করছিল, তখন এই তাবলীগ নামক ইসলামী দল নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করেছিল, এই জন্য যে এগুলো নাকি ফেতনা, ফ্যাসাদ !!!
৪. ইহুদী খ্রিষ্টানদের তৈরি, নিজেকে নবী হিসেবে দাবীকারী ও নতুন ইসলাম প্রচলনকারী গোলাম আহমেদের তৈরি কাদিয়ানীদের যখন অমুসলিম ঘোষণা ও বিতাড়িত করার জন্য রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সকল ইসলামী দল মতভেদ ভুলে একসাথে ১৯৭৪ সালে “খতমে নবী” আন্দোলন ও প্রতিবাদ করছিল, তখন একমাত্র এই তাবলীগ জামায়াতই কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আন্দোলনে যেতে অস্বীকার করে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করেছিল। যুক্তি তাদের যে প্রকৃত জিহাদ হল নিজের নফসের বিরুদ্ধে। ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য যুদ্ধ বা আন্দোলন করা জিহাদ না, এগুলো ফেতনা, ফ্যাসাদ। অথচ আল্লাহ বলেছেন,
"তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ফিতনা নির্মূল হয়ে যায় এবং দ্বীন একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়"। (সূরা আনফালঃ ৩৯)
৫. সত্য-মিথ্যা যেখানে স্পষ্ট, সেখানে নিরপক্ষ ভুমিকা পালন করা মানেই মিথ্যাকে সমর্থন করা। কাদিয়ানীদের ক্ষেত্রে তাবলীগদের সেখানে নিরপক্ষ ভুমিকা পালন করা মানে এই নয় যে মিথ্যা কাদিয়ানীদেরকেই সমর্থন করা? আপনি কি জানেন কাদিয়ানীরাও যুদ্ধ, আন্দোলনের মাধ্যমে জিহাদ করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টাকে ফেতনা, ফ্যাসাদ হিসেবে প্রচার করে?
৫. ভারতে যখন হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা হল, তখন হাজার হাজার মুসলমানদের হিন্দুরা হত্যা করেছিল। এর প্রতিবাদ সব ইসলামী দলই করলে, একমাত্র তাবলীগ ছিল চুপ, ফেতনা ফ্যাসাদের ভয়ে। এর পুরষ্কার সরূপ তারা ইন্দ্রা গান্ধীর সময়েও তাদের “তাবলীগি” দাওয়াত চালানোর অনুমতি পায়, যখন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক অন্য সকল ইসলামী দলকে নিষিদ্ধ ও বাধা দেওয়া হয়।
৬. এমন কোন বিধর্মী দেশ নেই, যেখানে তাবলীগরা তাদের দাওয়াতি কাজ করতে পারেনা। আপনি অনেক আরবের তাবলীগ দেখতে পাবেন, কিন্তু সউদি আরবে তাবলীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করেছে তাদের ত্রুটিযুক্ত একমুখী নির্দিষ্ট ভিন্ন আকিদার কারনে।
৭. রাসুল (সঃ) ও তার সাহাবারা যখন ইসলামের দাওয়াতে বের হতেন, তখন তারা ইহুদীদের হাতে অত্যাচারিত, বাধাপ্রাপ্ত হতেন। এর কারন ইসলামেরর মুল আদর্শ, বিশ্বাসের সাথে তাদের আদর্শ এক হতনা বলে। অথচ, আজ পর্যন্ত দেখেছেন আমাদের এই তাবলীগ ভাইরা কোথাও গিয়ে অত্যাচারিত, জেল, জরিমানা হয়েছে? এমনকি যেকোনো বিধর্মী দেশে গেলেও তাদের আরও Welcome জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে তারা বলে, এটা নাকি তাদের উপর আল্লাহর রহমত !!! অত্যাচারিত, বাধাপ্রাপ্ত না হওয়াকেই যদি তারা আল্লাহর রহমত বলে, তাহলে কি রাসুল (সঃ) এর উপর আল্লাহর রহমত ছিলনা? (নাউজুবিল্লাহ)
৮. ইসলাম মুসলমানদের দলবদ্ধ হয়ে থাকাকে ফরজ করে দিয়েছে। তারাও দলবদ্ধ। আল্লাহ বলেছেন,
"আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা (মানুষকে) সৎকর্মের প্রতি আহবান জানাবে, ভাল কাজের নির্দেশ দেবে এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করবে, আর তারাই হলো সফলকাম"। (সূরা আলে ইমরানঃ ১০৪)
কই তারা কখনো অন্যায় কাজের নিষেধ বা প্রতিবাদ করেছে? কখনোই না। যেকোনো অন্যায় ও অ-ইসলামিক কাজের প্রতিবাদ করা জিহাদের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন,
“তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেনইনি তোমাদের মধ্যে কারা জিহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল”। (সূরা আলে ইমরানঃ ১৪৪)
এটা স্পষ্ট যে তারা যেহেতু কোরআনের কিছু অংশ মানছে, আবার কিছু অংশ মানছে না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যখন বিভিন্ন সরকার অ-ইসলামিক আইন ও কাজ করত, তারা কখনো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা তো দূরে থাক, এসব নিয়েও আলোচনা করতো না... কারন একটাই- ফেতনা, ফ্যাসাদের ভয়। যেই আল্লাহ প্রদত্ত ধর্ম ইসলামের দাওয়াত তারা দেয়, সেই আল্লাহর নাম ও তার প্রতি বিশ্বাস সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হল, আর ফেতনা ফ্যাসাদের ভয়ে তারা চুপ !!!
বাংলাদেশের বর্ডারে হিন্দু বি.এস.এফ প্রতিনিয়ত গুলি করে বাংলাদেশিদের পাখির মত মারছে। তারা সরকারকে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে না বলে, চুপ। ইসলাম কি অন্যায় দেখে চুপ থাকতে বলেছে? অবশ্যই না। যদি না বলে থাকে, থাকে তাহলে তাবলীগরা কোন ইসলাম প্রচার করছে?
৯. ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার কথা বললে, তারা বলে তাদের এখনো পর্যাপ্ত জনবল হয়নি। তাই দাওয়াতি কাজ দিয়ে আগে বেশি সংখ্যক মানুষকে ইসলামের দিকে নিয়ে আসতে হবে। অথচ তারা গর্বকরে বলে, পবিত্র হজ্জের পরেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম একত্রিত হয় তাদের বিশ্ব এজতেমায়। সত্যি, টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমায় তাদের যে সংখ্যক লোক সমাবেত হয়, তারা সবাই যদি একযোগে ইসলামী রাষ্ট্রের দাবীতে বা যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে ঢাকার দিকে মার্চ শুরু করে, কোন সরকারের ক্ষমতা নাই এত সংখ্যক মানুষকে আটকানোর।
► এবার চিন্তা করে দেখুন, তাবলীগরা কি প্রকৃত ইসলাম মানছে? বরং প্রকৃত ইসলামকে তারা ধীরে ধীরে ধংস করছে । অনেকে বলতে পারেন, তারা একটু হলেও তো ভাল কাজ করছে, মানুষকে নামাজের দিকে ডাকছে। তাদের জন্য উত্তর হল- ওযু করা তো পবিত্র কাজ। কিন্তু আপনি যদি পানি না দিয়ে মুত্র দিয়ে ওযু করেন, তাহলে কি সেই ওযু হবে? মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকতে হবে, কিন্তু সেটা করতে হবে রাসুল (সঃ) যে পদ্ধতিতে করে গেছেন সেভাবে; কিন্তু তাবলীগের মত “চিল্লা” নামক বেদায়াত পদ্ধতিতে না।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, “ হে মুমিনগন, তোমরা পূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু”। (সূরা বাকারাঃ ২০৮)
পূর্ণরূপে মানে এই না যে শুধু সুন্নাতি পোশাক ও লেবাস পরে দোআ, জিকির, নামাজ নিয়ে পরে থাকা। পরিপূর্ণরূপে মানে এটা যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোরআন সব বিধান ও রাসুলের সুন্নাহ মান্য করে একমাত্র কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করা।
50 comments:
অনেক তাবলীগ হুজুর আছে যারা আমেরিকায় তাবলীগ জামাতে যায়। (এক জরীপে পরীক্ষিত) তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় আপনি কি হজ্ব করেছেন। তখন তারা বলে যে, ’না তো।’ আমার তো হজ্ব করার টাকা বা সামর্থ নেই। তাহলে আপনি কিভাবে আমেরিকায় আসলেন। আপনি কি জানেন- আপনার হজ্ব করার সামর্থ হলো অথচ আপনি হজ্বে না যেয়ে মারা গেলেন.. তাহরে আপনি কাফির বা অস্বীকারকারী হয়ে মারা যাবেন। আপনি মক্কা শরীফে না গিয়ে আমেরিকায় কিভাবে আসলেন? তখন তারা বলে যে, আমাদের আমীর তো এরকম কোন কথা বলেননি। হায় আল্লাহ.... এ কি অবস্থা তাবলীগ জামাতের...!! এর কি কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী কোন মৌলিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ??
গোপন কথা ফাস হবে অচিরেই:
আপনি কি জানেন- তাবলীগ জামাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতের একটি স্থানে ব্রিটিশদের একটি মহা চক্রান্তে? ব্রিটিশরা চেয়েছিল মুসলমানরা যেন সত্তিকারের ইসলামী পন্থায় তাদের ধর্ম পালন করতে না পারে। তখন তারা ইসলামের মৌলিক অনুশাসন (কুরআন ও সুন্নাহ) কে পাশ কাটিয়ে এবং ইসলামের কিছু বৈশিষ্ট নিয়ে একটি জামাত তৈরি করে যা আজকের তাবলিগী জামাত। তাদের কাছে কুরআনের চেয়ে ফাজায়েলে তাবলীগ অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তারা কুরআন মুখস্ত করার চেয়ে তাবলীগের ফাজায়েলে আমল বেশী মুখস্ত করে!! ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফরজ কর্ম থেকে বিরত থেকে আওয়াবীন নামাজ, চাশতের নামাজ, রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে উৎসাহী বেশী !! তাদের মগজ তো অনেক আগে থেকেই ধোলাই “ব্রেইন ওয়াশ” হয়ে গেছে...। ভাই আপনারা কুরআন খুলুন-- ইসলামের সত্তিকার রুপ দেখুন এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করুন। কাকরাইল মসজিদে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইসলামের পরিপূর্ণ প্রচার হয না....
আপনারা কি চান না প্রত্যকটি মানুস আল্লাহর হুকুম মানুক এবং হুজুর(সা)এর সুন্নতগুলো আকড়ে ধরুক? আপনারা দ্বীন প্রচার করবেন না সেটা ভাল কথা, মানুসকে নিরুৎসাহিত করছেন কেন ? কোন মানুস যদি এই পথে এসে কিছু সময় দিয়ে ৫ ওয়াকত নামাজ পড়নেওয়ালা হয় ,হুজুর(সা)এর সুন্নতগুলো অনুসরন করে তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? আপনার ভাল লাগে না আপনি করবেন না , মানুসকে খারাপ ধারনা দেয়ার অধিকার আপনাদেরকে কে দিয়েছে? নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করে দেখুন আপনারা কত নিচে নেমে গেছেন !!
উপরের বাংলা মন্তব্যের শেষেরজনকে বলছি, “কোন মানুস (মানুষ) যদি এই পথে এসে কিছু সময় দিয়ে ৫ ওয়াকত নামাজ পড়নেওয়ালা হয়, হুজুর(সা)এর সুন্নতগুলো অনুসরন করে তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? আপনার ভাল লাগে না আপনি করবেন না, মানুসকে খারাপ ধারনা দেয়ার অধিকার আপনাদেরকে কে দিয়েছে?” - অন্যের বিবেক না, নিজের বিবেক-কে বারবার প্রশ্ন করুন, তাহলে মহান আল্লাহ যদি আপনাকে হেদায়েত দেন তাহলে নিশ্চই আপনি আপনার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়েই সঠিক ইসলামকে বুঝতে পারবেন। আল্লাহ এইসব স্বঘোষিত জ্ঞানিদের তুমি কোরআন ও সহী হাদীসের উপর চলার তৈাফিক দান কর, আমীন।
ভাই অপনােদর মোবাইল ন দিলে যোগাযোগ করে আপনাদের সাতে যাওযার জন্যা
amra nijera to namaj kalm porina. r jara pore ba porte checsta kore, tara jate na pore sei jonno bivinno fotoya dibar chesta kori. keno vai ????
Apnara Atokkon Porlen Jamaate Isalmir Distitey......TABLIg Jamath ( Sotik Information AR Jonno ZogaJug Korun Bangladesh ar boro boro Islami Madrasha gulutay..)
dear writer apnader moto gani lokder Allah hedayet koruk. amen.
ফাজায়েলে হজ্জ এর বিভিন্ন বিদাত হাদীস গুলোর ব্যপারে তাবলীগ ভাইদের মতামত কী ?? একটি ব্যপার সব সময় মনে রাখবেন বুখারী (র:) দুই (০২) লক্ষ হাদীস মুখস্ত করেছিলেন কিন্তু তিনি বিভিন্ন সত্যতার নিক্তিতে ঐ হাদিসগুলো পরীক্ষা করে মাত্র প্রায় সাত হাজার হাদীস তার বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন। এতে সহজেই অনুমেয় কি পরিমাণ মিথ্যা, জাল, বানোয়াট হাদীস আমাদের সমাজে প্রচলিত !! তাই আমরা মতভেদ সৃষ্টিকারী ঐ হাদিসগুলোকেই সত্য বলে মেনে নিব যেগুলো কোরআন শরীফের আয়াতগুলোর সমর্থন করে অথবা পরিপন্থী নয়। এক্ষেত্রে ফাজায়েলের আলোচ্য হাদিসগুলো নিশ্চিতভাবে কৃরআনের পরিপন্থী....যে বইটি এরূপ ভুলে ভরা সেই বই এর অনুসারীরা যে কিরুপ ভুলে ভরা তা সহজেই অনুমেয়।
আমি লেখককে অনেক ধন্যবাদ জানাই। পুরোটা পরার পর আমার চোখে পানি এসে গেল। আমি একজন খুব simple ধর্মভীরু মানুষ, but ধর্মান্ধ না। আমার অনেক প্রশ্নের জবাব আমি পেয়ে গেছি। কিন্তু কষ্ট পাচ্ছি এই কারনে যে আমার অনেক close friend even my father তাবলীগি জামায়াতের সাথে জড়িত। I hope they will be appreciated after reading this true. আমিও college life এ তাবলীগ ভাইদের কাছে শুনছি যে তাবলীগের অনেক বড় আমীর মুহাম্মদ (সাঃ) কে স্বপ্নে দেখেছেন। আমার সরল মন তা বিশ্বাস করে নেয়। Anyway আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। কারন আমার ধর্মজ্ঞান খুব সামান্য। আমি শুধু একটা কথা বলতে চাই যে "হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে ভন্ডদের হাত থেকে বাচান।"
ami lekhoker sathe akmot.
পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় আমরা পড়েছি যে, আল্লাহ বলেন, আমি অবশ্যই পরীক্ষা নিব হাশরের ময়দানে.... অথবা... তোমাদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে....অথবা... সেই দিনকে ভয় করো..... কারো প্রতি সেই দিন জুলুম করা হবে না বা সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না......কিন্তু আমাদের তাবলীগ ভায়েরা বিভিন্ন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বারবার বলেন যে, বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে.... আমি এ বিষয়ে সত্তিই কিছু জানিনা... তাই কেও কি আমাকে বলবেন কোরআনে কোন কোন আয়াতে বলা হয়েছে যে, মানবকুল হিসাব ছাড়া অর্থাৎ বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবে ??? আর হ্যা... নাহিদ ভাইকে ধন্যবাদ যে.. কোরআনের সত্ত প্রদীপের সদ্ধান পাওয়ার জন্য।
আর হ্যা... একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে, তাবলীগ জামাতের অনের ভালো গুন আছে যেগুলোর সাথে আমাদের কোন বিরোধ বা আপত্তি নেই। সত্তি বলতে কি আমি নিজেও অনেক ভালো ভালো বিষয় জেনেছি তাবলীগ ভাইদের কাছ থেকে... যেমন: ছালাম দেওয়ার আদব... খাওয়ার আদব... চলাফেরার আদব.... সঠিকভাবে নামাজ পড়ার আদব...মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকার কৌশল... পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার গুরুত্ব ইত্যাদি... ইত্যাদি...। কিন্তু যদি ইসলামের মৌলিক ভিত্তির ওপর মিল না থাকে... ইসলামী আকীদাগত মিল না থাকে...কোরআনোর একটি আয়াতের বিরুদ্ধেও যদি তাদের মতবাদ থাকে... কোরআন ও সহি হাদিস থেকে রেফারেন্স বা পাঠ না করে ফাজায়েলের জাল হাদিস বা মিথ্যা হাদিস থেকে বয়ান দিতে থাকে.... তাহলে কখনও আমি তাদের দলভুক্ত নয়.... যতই তাদের হাজার গুন থাকুক.... আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন.. (সাথে তাবলীগ জামাতী ভাইদেরকেও...)
sohih hadither kon topics er moddhe tablig sommondhe hadith ta ase ta spost kore jannan
কিয়ামত দিবসে হিসাবের ব্যপারে অনেক আয়াত আছে... তার মধ্যে কতগুলো আয়াত নিম্নে তুলে ধরা হলো.......
• এদেরই জন্য অংশ রয়েছে নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (Al-Baqara: 202)
• আজ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পাবে। আজ যুলুম নেই। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (Ghaafir: 17)
• আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট। (Al-Anbiyaa: 47)
• সেদিন স্মরণীয়; যেদিন আল্লাহ তাদের সকলকে পুনরুত্থিত করবেন, অতঃপর তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা তারা করত। আল্লাহ তার হিসাব রেখেছেন, আর তারা তা ভুলে গেছে। আল্লাহর সামনে উপস্থিত আছে সব বস্তুই। (Al-Mujaadila: 6)
• অতঃপর সবাইকে সত্যিকার প্রভু আল্লাহর কাছে পৌঁছানো হবে। শুনে রাখ, ফয়সালা তাঁরই এবং তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণ করবেন। (Al-An'aam: 62)
• যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (Al-Baqara: 284)
• নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত। (Aali Imraan: 19)
• তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি বস্তু তাদের জন্যে হালাল? বলে দিন, তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে। যেসব শিকারী জন্তুকে তোমরা প্রশিক্ষণ দান কর শিকারের প্রতি প্রেরণের জন্যে এবং ওদেরকে ঐ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ দাও, যা আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। এমন শিকারী জন্তু যে শিকারকে তোমাদের জন্যে ধরে রাখে, তা খাও এবং তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। নিশ্চয় আল্লাহ সত্ত্বর হিসাব গ্রহণকারী। (Al-Maaida: 4)
• আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট। (An-Nisaa: 6)
vai tablig kono organization na .. ata akta way shudhu riight track e thakar jonno. jemon 5 wakt namaj , sokale quran pora,onner upokar kora,ashole baparta ki janen protita jinis manush duivabe nite pare valo or kharap , apni oitai niben jeta apnar mon nite chay , in that case apni logic manben na, nwy,,nijeke proshno korun apni koyjon ke namaj er dawat den r nije koy waqt poren.onner vul na dhore shomoy nosto korben na . nije amol koren r manush ke valo kajer upodesh den.
Amio tablig kori amar motthe onek prosno silo ei site theke jante parlam. khub gorutto pourno tottho. ami lekhok er shathe ek mot.....etai shotti abong nirvul. er shotto prokashito ekdin hobei. Inshallah
তারা কি মনে করেছে আমরা ঈমান এনেছি বললেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে আর পরীক্ষা হবেনা অথচ তাদের পূর্ববর্তী আমি পরীক্ষা নিয়েছিলাম।(২৯,২) কোন নবী রাসুল আঃ ই ইসলামের দাওয়াত দিয়ে বাতিলের বিরোধীতা এড়াননি। তারা কি করে জিহাদের পরীক্ষা না দিয়ে পার পাবে?
TABLEEG KARO KHATY KORE AMI JANINA,
APNARA KI JANEN?????????
আমি কিছুদিন কয়েকজন তাবলীগের সাথীর সাথে এক বাসায় সাবলেট ছিলাম। সেই কজন ছিলো খুব active type এর তাবলীগ member। আমার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা share করতে চাই। আমি একসময় খুব নামাজী এবং ইসলামের basic rules মেনে চলতাম। যেহেতু ALLAH এর রহমতে আমি খুব মেধাবী ছিলাম সেহেতু অজ্ঞদের মতো শুধু নামাজ না পড়ে সঠিক ইসলামের ব্যপারে জানার চেষটা করতাম। ইসলামী অনেক দল দেশে কাজ করছে এবং তাদের মতবাদগুলো পারসপরিক সাংঘরষিক সেহেতু কোনো দলের সাথে না গিয়ে সঠিক বই Select করে পড়তাম, সহী হাদীস এবং আরো অনেক বই পড়েছি, এক্ষেএে আমার এলাকার ইমাম অনেক সাহায্য করেছে। যেই বই ই পড়তাম তা Blindly believe করে বরং আলোচনা করতাম শিক্ষিত people দের সাথে। অনেক question করতাম, কারন আমার মনে হয়েছে ইসলাম জানার জন্য question করতে বারন করেনি। পরের লেখাগুলো সঠিকভাবে আসেনা বলে পরের post এ continue করছি।
কোরআনের প্রথম word হলো 'ইকরা' সেহেতু আমার মনে হয়েছে, ইসলামের ব্যপারে question করা যায় সঠিক জানার জন্য। এবং এই জাহেলিয়াতের যুগে যখন different alem different comment করে যা enough for being confused. So I asked question, read books and learned about Islam, and to avoid শিরিক carefully, I gave my effort to learn real Islamic practice. I do believe, Islam is never a backdated and unscientific religion, so I avoided those who used to make comments very illogical and understandably wrong in common sense. Allah gave me common sense. So I have common knowledge but I know never enough. A'way, suddenly I lost my track, studied at IBA, completed MBA and was doing good job. Though I was not then following the must do work of Islam specially 'Namaj' regularly but I never did 'Sirk' in my knowledge. I always had urge to start again complete practice of Islam. So, when I started living with them, the Tablig people, I was happy and tried to start must do 'Farj' of Islam and started 'Namaj'. At my early age I found people (common people even my family members) afraid of asking questions regarding any rules of Islam, few are following an Alem and others are following others but afraid of asking questions to know right path. And I found the same behavior to those Tablig. As we were sharing same flat, I used to ask them, they gave straight answer that definitely their Guru or Alem knows the right answer but they don't and don't even want to know the answers. তারা প্রতিরাতে নিয়ম করে তালিম করতো তাদের অনুমোদিত বই থেকে যা আমার কাছে unusual মনে হতো, কেন সহী হাদিসের বই ছেড়ে অন্য বই এবং সেই বই এর অনেক কিছু question arise করতো যা জিজ্ঞেস করলে তারা কখনো সদুত্তর দিতোনা। That was very surprising and unacceptable. এরপর আসি তাদের personal behavior এর complete mismatch with Islamic rules এর ব্যপারে। Mobile phone এ প্রেম করতো যদিও তাদের মত হলো Pardanshil মেয়ের সাথে কথা বলছে। প্রতি Thursday তে Tangi যাওয়া routine and back on Friday morning. Thursday তে আলোচনা হতো এইবার কোন বড়লোক visitor মজাদার খাবার আয়োজন করবে? একবার নায়িকা শাবনুর আসলো সেই নিয়ে কয়েকদিন তুমুল আলোচনা। আমি যেহেতু চাকরি করি এবং তারা student সেহেতু বাজার সদাই সবের responsibility ছিলো তাদের মধ্যে যে সবচাইতে active member তার উপর। সবচাইতে senior and active member হিসাবে তার ছিলো dominating attitude. But I think that should be completely different. সাহাবীদের জীবনি পড়লে দেখি যিনি যত বেশী পরহেজগার হয়েছেন, তিনি তত বেশী বিণয়ী। অবশেষে বিরক্ত হয়ে গত মাসে আমি সেই বাসা ছেড়ে চলে আসি, তখন তারা ১২ দিনের picnic এ পতেঙ্গা। যাহোক পরে আমার পাওনা টাকা চেয়ে ফোন করলে তারা দিতে refuse করে। আমি সাধারন মানুষ তাদের মতো তাবলীগের devoted member না সেহেতু আমি Threat করলাম, উলটা তারা আমাকে threat করলো যে সেখানে অনেক তাবলীগ থাকে পারি তো কিছু করি, আমি পাওনা টাকার আশা ছেড়ে দিলাম. যাহোক তাদের সাথে প্রায় ১ বৎসর থেকে ভালোই বুঝেছি তাদের ভাওতাবাজি. অনেক বড় post হয়ে গেছে নতুবা ১ বৎসরের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের ভুলের লমবা ফিরিসতি দেয়া যায়। আশা করি ALLAH আমাদের রহমৎ করবেন ভুল Islamic practice থেকে দুরে থাকতে এবং তাদেরও হেদায়াত দিবেন সঠিক পথে ফিরতে। ALLAH আমাদের সকল মুসলমানদের সঠিক ইসলাম practice করতে হেদায়াৎ করুন। এইখানেই শেষ করছি।
I made a post before the previous one and that is the continuation. The post was validly posted then I made the next one. But now I can see only the last one. Why I don't understand. Without two posts my views will not be completely understandable.
তাবলীগ জামাত, হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আলেমগণ তথা কথিত আহলে হাদিসদের টার্গেট কেন ???
---------------------------------------------------------------------
২০০৫ সালে সারাদেশ ব্যাপি বোমা হামলার নায়ক শাইখ আব্দুর রহমান,বাংলা ভাই, সানি সহ যারা জড়িত ছিল এবং যাদের কে সরকার ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে , এরা সবাই ছিল তথা কথিত আহলে হাদিস । এরা সারাদেশে বোমাবাজি করার আগে উলামায়ে হকদের কাছে গিয়েছিল ফেতনাবাজি ও বোমা বাজির পারমিশনের জন্য , উলামায়ে কেরাম তাদের ঘৃনিত কার্যক্রম কে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি, বরং তাদের এ কার্যক্রম কে ইসলাম বহিঃর্বুত , মানবতা বিরুধী জঘণ্যতম অপরাধ বলে ঘোষণা করে , এবং তাদের বিদেশী এজেন্ট হওয়ার প্রমান পেয়ে জনগণ কে সতর্ক করে , ফলে সরকার তাদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে এ ফেতনা নির্মূল করে ...|||
এর পর থেকে তাদের মতাধর্শী ফেতনাবাজরা বিদেশী কিছু সংস্থার সাহায্যে,পুন:রায় সঙ্গবদ্ধ হয়ে , এবার লেগেছে ইসলামের মিনার তুল্য হক্কানী উলামায়ে কেরাম , ও হক্কানী পীর মাশায়েখের বিরুদ্ধে , আর ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানের কাছে যেন ইসলামের দাওয়াত না পৌছে, সে জন্য লেগেছে সারা পৃথিবীর সারাজাগানো দাওয়াতী জামাত তাবলীগের বিরুদ্ধে , যে তাবলীগের মাধমে সারা পৃথিবীতে লক্ষ্য লক্ষ্য বিধর্মীরা ইসলাম গহন করতেছে , লক্ষ্য লক্ষ্য বে-নামাজী আল্লাহর ঘর মসজিদের দিকে আসতেছে , তারা এ সমস্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও উলামায়ে কেরামদেরকে মুনাফেক , কাফের ও মুশরিক বলে গালি দিতেও দ্বীদাবুধ করছে না ...!!! এমন কি তারা আল্লাহ আল্লাহ্ জিকিরকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ বলে আখ্যা দেয়াসহ নানান বিভ্রান্তিমূলক ভ্রান্ত আকীদা পেশ করতেছে (নাউজুবিল্লাহ) |||
এ ফেতনাবাজরা মূলত চাই না, বিধর্মীরা ইসলাম গ্রহণ করুক ......তারা চাই না সাধারণ মুসলমান উলামায়ে কেরাম ও হক্কানী পীর মাশায়েখের সাথে সম্পর্ক রাখুক, ... কেননা যতক্ষণ মুসলমান তাদের উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক রাখবে, ততক্ষণ শয়তান তাদের কে ধুকা দিতে পারবে না | তাই তারা সাধারণ মুসলমানদের উলামায়ে কেরাম থেকে বিচ্ছেদ করার জন্য ভয় দেখাচ্ছে, যে উলামায়ে কেরামের কথা মানা শিরক ও বিদাত ||| অথচ তারা নিজেরাই তাদের মতাধর্শী ঝোহালাদের কথা মেনে চলে | মূলত তাদের নিকট হাদিস ও কোরআন , তাই যা তাদের নিকট তাদের আলেমরা বর্ণনা করে |||তাই আহলে হাদিসের ভ্রান্ত মতবাদে যারা বিশ্বাসী তাদের উচিত তওবা করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসরণে ইসলামের সঠিক ধারায় ফিরে আসা। আহলে হাদিস নামধারী ইসলামের দুশমনদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়ীত্ব |||আল্লাহ এ ফেতনাবাজ থেকে দেশ ও জাতি কে রক্ষা করুন ...আ-মীন..
Today morning I made two post but both lost because of some unknown reason. Recently I had experience with Tablig that I wanted to share. So I'm writing it again.
গত ১ বৎসর আমি একটা বাসায় কয়েক তাবলীগের সাথে সাবলেট ছিলাম ফলে তাদের দেখেছি এবং বিচিএ অভিজ্ঞতা হয়েছে তা শেয়ার করতেচাই।
একটু আগে থেকে শুরু করি। ছোটবেলা থেকে আমি খুব ধামিক ছিলাম, পরিবারও তা। তবে চিটাগাং এ অধিকাংশ পরিবারই তা। নামাজ, রোজা, বাড়ীর মহিলারা নফল রোজা, শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর ইত্যাদি। আমার উপর ALLAH র বিশেষ রহমত ছিলো, আমি ছিলাম খুব মেধাবী। দেখলাম different alems are telling different even contradictory on the same issue. So I became confused. I started reading books. সহি হাদিস এবং অন্যান্য ইসলামিক বই, started asking question to learned people but never involved with any organization as so many different Islamic organizations are doing work with different views. I became careful about 'Sirk' and carefully try to learn true Islam. Common people (even my family members) are afraid of asking questions about any Islamic rules or anything as they think this is challenging the alems. Common people are satisfied with performing must do job as they know 'Namaj' on time. Different people are following different alems and not asking questions why the difference is. আমাদের পাড়ার ইমাম enough learned person ছিল. উনি আমার questions গুলোর উপর আমার সাথে আলোচনা করতেন. I never afraid of asking question regarding Islamic rules as I know that Islam is the only flawless religion, so I will get the answer that will help to find the right path and will increase the depth of Iman. The first word of Quaran is 'Ikra'. So, reading books and urge to know is no harm at all. And I knew that Islam is never a backdated, illogical and unscientific, so when I read books or heard something from someone and found that illogical I rejected those as these cant be Islam. আমাদের শহরে খুব ওরশ হতো এবং ওয়াজ হতো. একটু rural side এ খুব কম জানা হুজুররা ওয়াজ করতো, এর কয়েকটাতে গিয়ে শুনতাম completely wrong theories were presented. But I carefully avoided 'Sirk', the tradition of ctg. was Majar, I visited sometimes and saw people doing funny things. Giving money over the 'Shalu' and taking flowers from there which the khadems kept there early and eating the Ganda flowers at fullmouth, there may have bugs in there but they were crazy. I avoided those carefully and sometimes protested within my limitation, while I visited a majar I saw after jearot, people used to walk backward the complete path, I made jearot and started walking straight. Others thought I am a guilty of dishonoring an dead alem.
A'way, days passed, suddenly my life turned into another way. I came to Dhaka, completed MBA from IBA, but became very occasional in Islamic practice. I was not following then the must do rules of Islam like 'Namaj' regularly. But I was a believer and avoided 'sirk' all the time carefully, and had hidden intentions all the time to be regular in following Islamic rules. So, when I started living with Tablig people I think I will start with them. But found that they are doing 'Talim' every night with a authorized book by their leader. Leaving সহি হাদিস reading another books seems surprising to me and I found that the book is telling in another way. As I had the habit to know, I asked them why this book and so many other questions, they didn't know but confident that their alems know these. But they don't even want to know. Daily routine, namaj, Talim with particular books selected by them about credibility of those books were in question. Every Thursday, went to Tangi came back on Friday morning and were very happy on every week that a rich man arranged heavy food this time. This was their pass time talk at Friday. At one week Sabnur came to their majlish. They all were very happy and arranged delicious foods like picnic. Used to talk to a lady over phone and his logic was he is talking to a pardanshil lady. And he was the most active and honored member of the team. As I was doing job and they were students, the senior person took the responsibility of monitoring bazar and other things (he was very happy to do that, caz ....). And in that case he was dominating. সে যেহেতু most active and seniors among them, so he is dominating not বিনয়ী. কিনতু সাহাবীদের জীবনি পড়লে জানা যে যত পরহেজগার তিনি তত বিনয়ী হতেন. এখানে দেখতাম পুরা different scenario. তারা যখন particular time (sometimes 12 days, sometimes 40 days) এর জন্য দাওয়াতে যেতো, ছোট যে বাচচরা যায় তাদের responsibility হতো senior দের হাত পা message করে দেয়া.\
A'way, at last I quit that house last month and when I's packing up and leaving they all were at picnic at Patenga for 12 days. When they came back I called and asked for the deposit balance money. He refused to give it back. Then as I'm simply a common people I gave threat and he replied with more threat that they are surrounded by Tablig, if I have the courage then I can visit him. So I forgot about that money.
গত ১ বৎসরে আমি খুব কাছ থেকে তাদের দেখেছি, যেই ভুল পথে তারা দাওয়াত দিচছে তার ফিরিসতি দিতে গেলে শেষ হবেনা. শুধু ALLAH র কাছে চাই আমি এবং সকল মুসলমানদের হেদায়াৎ দিন. ওনাদেরকেও Allah হেদায়াত দান করুক ইসলামের সঠিক practice যাতে করতে পারে।
তাবলিগ জামাত একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের আল্লাহর পথে ডাকা। সাধারণত মানুষকে আখিরাত, ঈমান, আমল-এর কথা বলে তিনদিনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর পর যথাক্রমে সাতদিন ও চল্লিশদিন-এর জন্য আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত-এর কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। তাবলিগ জামাত-এর মুল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় ৬টি উসুল বা মূলনীতিকে। এগুলো হলো: কালিমা, নামায, ঈল্ম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন বা মুসলমানদের সহায়তা করা, সহিহ নিয়ত বা বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা, এবং তাবলিগ বা ইসলামের দাওয়াত।
(1) কালেমা :
لا اله الا الله محمد رسول الله
আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই হজরত মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর রাসুল , হাদিস শরীফে আছে: عن أبي ذر رضي الله عنه عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال :« ما من عبد قال لا إله إلا الله ، ثم مات على ذلك إلا دخل الجنة » যে বেক্তি এখলাসের সাথে এক বার কালেমা পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে |||
(২) নামাজ ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত (ফার্সি: نماز) এবং বাংলা ভাষায় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা আরবী সালাত শব্দের (আরবি: صلاة, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। এটি ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। শাব্দিক দিক দিয়ে এর অর্থ প্রার্থনা করা। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক বা ফরয্। প্রত্যহ ৫ ওয়াক্ত ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরণের নামাজ রয়েছে। নামায সুন্নী ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি এবং শিয়া ইসলামের ১০টি মূল বিষয়ের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাসনা। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, তুর্কী এবং বাংলা ভাষায় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম সালাত বা সালাহ্। শাহাদাহ্ বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
নামাজ অবশ্যই আরবি ভাষায় নির্দিষ্ট কিছু সূরা ও দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আদায় করতে হয়। যে উপাসকের যেমন সামর্থ আছে সে অনুযায়ীই তাকে আরবি পড়তে হয়। সবকিছু অন্তর থেকে পাঠ বা তিলাওয়াত করতে হয়। যে স্থানে নামাজ আদায় করা হয় তাকে মুসাল্লা (مصلى) বলে। নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে আছে :قال صلي الله عليه وسلم {{ أول مايحاسب به العبد يوم القيامةالصلاة ، فإن صلحت صلح سائر عمله ، وإن فسدت فسد سائر عمله }} صحيح الطبراني কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব হবে , যার নামাজের হিসাব ঠিক বের হবে তার সকল আমল ঠিক বের হবে , আর যার নামাজের হিসাবে ঝামেলা হবে , তার সকল আমলেই জামেলা হবে |||
(৩) জিকির : হাদিস শরীফে আছে : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من ذكر الله خالياً ففاضت عيناه إلا أظله الله في ظله يوم لا ظل إلا ظله. যে বেক্তি আল্লাহর জিকির করবে , ebng আল্লাহর ভয়ে কাদবে : কেয়ামতের ভয়াবহ ময় অবস্থায় তাকে তাঁর আরশের নিচে ছায়া দিবেন |||
(৪) একরামুল মুসলিমিন বা মুসলমানদের সহায়তা করা : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : صلى الله عليه وسلم أنه قال: " من نفّس عن مسلم كربة من كرب الدنيا نفّس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة " . রাসূলল্লাহ (স:)বলেন যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানে ভাইয়ের একটি দুনিয়ার একটি প্রয়োজন মেটাবে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার প্রয়োজন পুড়া করে দিবেন |||
(৫) সহিহ নিয়ত বা বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা : নিয়্যাতের উপরি সকল আমলের প্রতিফলন , যার নিয়্যাত ঠিক হবে তার সকল তার সকল আমলই ঠিক হবে :قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إنما الأعمال بالنيات|||
(৬) তাবলিগ বা ইসলামের দাওয়াত : আল্লাহ কোরআনে বলেন :
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّن دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন
রাসুলুল্লাহ (স:) বলেন : قال صلى الله عليه وسلم (من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فمن لم يستطع فبلسانه فمن لم يستطع فبقلبه وليس بعد ذلك من الإيمان حبة خردل
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মনির ভাইকে তার অসাধারণ মূল্যবান ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করার জন্য। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির বহিপ্রকাশ নয় বরং এটি আজ বিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলীম ভাইদের মতামত যারা কোরআন নিয়ে সামান্য হলেও গবেষণা করেন।
উপরের তাবলীগ ওয়ালা ভাইকে বলছি যে এই কথাগুলি বলেছেন...TABLEEG KARO KHATY KORE AMI JANINA,APNARA KI JANEN?????????
হ্যা ভাই আমি জানি। ক্ষতি বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন? কারো ঘাড়ে দড়াম করে কিল-ঘুষি মারাকে ক্ষতি করা বুঝাচ্ছেন? না এই ধরণের কোন ক্ষতিই তাবলীগ জামাত করে না এবং মজার বিষয় হলো কারো সুবিধা যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়েও তারা খুব সতর্ক!!... এবার আমার নিম্নোক্ত মতামত মন দিয়ে পড়ুন.....
হজরত মুহাম্মদ (স:) যখন নবুওয়াত প্রাপ্ত হননি তখন আরবের কাফিরা পর্যন্ত তাকে খুব ভালো জানতো এমনকি তাকে আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করতে দ্বিধা করেনি। কিন্তু যখন তিনি আল্লাহর সত্য ধর্ম প্রচার শুরু করলো তখনই কিন্তু মহানবী(স:) সকলের বিরাগভাজন হয়ে পড়লো। মদিনাতে যখন ইসলামী রাষ্ট ব্যবস্থা কায়েম করলো তখন তারা তার সঙ্গে যুদ্ধ করতেও পিছুপা হলো না। তাহলে আমার প্রশ্ন আপনার কাছে যে....হজরত মুহাম্মদ (স:) তাদের কি কোন ক্ষতি করেছিলেন...??!! নাকি হজরত মুহাম্মদ (স:) এবং তার সাহাবারা লক্ষ লক্ষ কাফিরকে হত্যা করে কাফিরদের ক্ষতি করেছিল...!! মুহাম্মদ (স:)আপনার দৃষ্টিতে কাফিরদের ক্ষতি করলেও সত্তি কথা বলতি কি এটাই মুসলিম জাতির প্রকৃত ইতিহাস অর্থাৎ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা অসৎ কাজের নিষেধ করা..ইত্যাদি যা কোরআনের হাজারো আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। তাই তাবলীগ যে কারো সাথে এ ধরণের কোন ক্ষতি করেনা এটাই তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় ক্ষতির দৃষ্টান্ত।
আরো কিছু কথা......
তাবলীগ জামাত সরল সহজ মানুষগুলোকে কোরআন হাদিস ছেড়ে ভুল পথে পরিচালিত করছে (মূল লেখাতে উল্লিখিত)। আসুন আমরা সকলে হজরত মুহাম্মদ (স:) এর মতো ক্ষতি(!) করার চেষ্টা করি এবং তথাকথিত তাবলীগ ভাইদের মতো সকলের সাথে তেল মেরে এমনকি উপরে মনির ভাইয়ের ব্যক্তিগত মতামতে উল্লিখিত শাবনুরের মতো রূপব্যবসয়ীর সাথে হাসি মুখে সালাম জানিয়ে বাহাবা কুড়ানো থেকে বিরত থাকি। মুহাম্মদ (স:) এর মতো কারো ক্ষতি না করে শুধু কাকরাইলের মসজিদে ঘুমিয়ে দিন কাটালেই দ্বীন প্রচার করা যায় না। যদি যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি সত্তিকারের দ্বীন প্রচার নয় কারণ পরীক্ষা ব্যতীত, কষ্ট ব্যতীত, হাজারো ত্যাগ তিতিক্ষা ব্যতীত শুধু নামাজ রোজা করে আপনি কখনো সত্তিকারের ঈমানদার হতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। আল্লহ তায়ালা বলেন আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছুটা যানমালের ক্ষতি, ফসলের ক্ষতি.....(বাকারা-১৫৫)।
প্রাসঙ্গিক আরেকটি কথা,
তাবলীগ ভাইরা গর্ব করে বলে যে, একমাত্র তাদের দলই অবাধে বিশ্বের যেকোন অমুসলিম দেশে এমনকি আমেরিকাতেও দাড়ি রেখে ও জুব্বা পরে অবাধে চলাফেরা করতে পারে... (বাহাবা কি খুশি...!! কি খুশি....!!) মনে রাখবেন একজন অমুসলিম যদি কোন মুসলমানকে ভালো লোক বলে সত্যায়ন করে তাহলে সেই সবচেয়ে খারাপ নিকৃষ্ট আর যদি কোন অমুসলিম কোন মুসলিম ভাইকে শত্রু বা বিরোধী বলে তাহলে সেই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
[যদিও অমুসলিমরা বিশ্বের সেরা মানুষের তালিকায় মহানবী (স:) এর নাম প্রথমে রেখেছে। আমি মনে করি এটি লোক দেখানো কারণ মুহাম্মদ (স:) এর কোন তরিকা.. কোন হাদিস মানিনা অথচ তাকে সবচেয়ে ভালো মনে করি...!!! এটা হতে পারেনা। তবে হ্যা মুহাম্মদ (স:) ইসলামের বাইরেও তিনি ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুনাবলীতেও বিশ্বের যেকোন মানুষের তুলনায় যেকোন গাণিতিক রেটিংএ এগিয়ে থাকবেন এটাই তো স্বাভাবিক]
ধন্যবাদ মূল লেখককে যে আমাদের মনের ভাবনাগুলোকে সবার আগে প্রকাশ করেছেন যা আমরা চিন্তা করলেও তা প্রকাশ করার সাহস পাইনি। উপরে উল্লিখিত অধিকাংশ নামহীন মন্তব্যের Comments আমি করেছি। আমি কে এটি বড় ব্যপার না কারণ সত্যের চেয়ে ব্যক্তি বড় হতে পারে না। ব্যক্তি সত্য মিথ্যা দুটিই হতে পারে কিন্তু আল-কুরআনের সত্য আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত চিরস্থায়ী ও মহাসত্য।
মূল কথায় আসি.. আমি তাবলীগ জামাতের বিভ্রান্তির সম্বন্ধে ফেইসবুকে একটি পেজ ওপেন করতে চাচ্ছি। এ বিষয়ে আপনাদের মতামতের জন্য সবিনয়ে অপেক্ষায় থাকলাম।
আবারো লিখতে বসলাম (মন যে মানে নারে.....)
উপরের তাবলীগী জনাব খান ভাইকে বলিছি যিনি এই কথাগুলি লিখেছেন..” তাবলিগ জামাত একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক সংগঠন যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুসলমানদের আল্লাহর পথে ডাক“
অব্শ্যই তাবলীগ একটি ইসলামী সংগঠন এতে কোন সন্ধেহ নেই। এর লক্ষ্য অর্থাৎ নিয়ত হচ্ছে মুসলমানদের আল্লাহর প্রতি ডাকা অর্থাৎ আপনি বুখারী শরীফের ১নং হাদিসের কথা বলছেন। সেখানে বলা আছে... প্রত্যেক কাজের ফল হয় তার নিয়ত অনুযায়ী। কথাটি সত্য তবে আপনি এর গভীরে প্রবেশ না করে শুধু আক্ষরিক বিষয়কে মনে গেথে নিয়েছেন। এবার আমার মতামত মন দিয়ে পড়ুন.....
আপনি নিয়ত করলেন বা লক্ষ্য স্থির করলেন বাস লাইনে চট্রগ্রাম যাবেন। এ বিষয়ে এক হাজার বার নিয়ত করলেন এবং আপনি খুলনার লাইনের বাসে উঠে বসলেন (!!)... আপনি কোথায় পৌছাবেন? অবশ্যই খুলনায় যদিও আপনার নিয়ত ১০০০% সঠিক ছিল। তাই উপরোক্ত হাদিসের ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে আপনি কখনো চট্রগ্রামে পৌছাতে পারবেন না। কাজের নিয়তে বা লক্ষ্যের সাথে সাথে আপনার কর্মপদ্ধতিও অবশ্যই সঠিক হতে হবে। হজরত আনাস (রা:) থেকে সহি হাদিসে বর্ণিত মুহাম্মদ (স:) বলেছেন..”আগে তোমার উটকে বাধো তার পর আল্লাহর উপর তোয়াক্কাল করো।“ তবে হ্যা.. হাদিস অনুযায়ী প্রথমেই আপনাকে আল্লাহর নামে সঠিক নিয়ত করতেই হবে এত কোন সন্ধেহ নেই।
ধরুন আপনি নিয়ত করলেন দশতলা ভবন আজকে একাই কিম্বা ১০০ জন মিলে কিছুদুর সরিয়ে ফেলবেন কারণ এটি হয়তো কোন কারণে জরুরী। ভালো কথা..। এবার আপনারা ১০০ জন মিলে সারাদিন ধরে ধাক্কাতে থাকলেন আপনার শরীর সত্তিই ঘেমে গোসল হয়ে পড়লো। আপনি সত্তিই ক্লান্ত ও ব্যথা অনুভব করলেন। কিন্তু বাস্তব কথা হলো ঐ ভবনটি ইঞ্চিও সরলো না। কেন সরলো না..?? আপনিতো খাটি নিয়ত করে সত্যিই মেহনত করেছেন এর উপর। তাহলে কেন ভবনটি সামান্যতম সরাতে পারলেন না। কারণ আপনার কর্মপদ্ধতিতে ভুল ছিল। এখানে আপনার ১০০ বা ১০০০ জনবল না লেগে দক্ষ চালকসহ কয়েকটি বুলডোজার লাগত। এটিই ছিল সঠিক কর্মপদ্ধতি। তাই আসুন দ্বীন প্রচার করতে হলে কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী সঠিক কর্মপদ্ধতিতে ইসলাম প্রচার করি। আশাকরি আপনি আপনার ভুল বুষতে পেরেছেন।
পরিশেষে আপনাকে একটি কথা বলি তা হলো আপনি ভুল পথে আছেন না সঠিক পথে আছেন না আমরা আপনাদের বিশেষ উদ্দেশ্যে প্ররোচিত করছি কিনা কিম্বা সত্যিই আর কোন বিষয় এখানে লুকায়িত কিনা এগুনো ভাবার আগে আল্লাহর দোহায় শুধু একটি বার কোরআন শরীফের বাংলায় অনুবাদ বা বাজারে প্রচলিত যেকোন তাফসির গ্রন্থ পড়ুন ও ফাজায়েল এর অদ্ভুত কিচ্ছা রেখে শুধু একটি বার বুখারী শরীফ গ্রন্থটি পড়ুন (যদিও জানি আপনার ব্রেন ওয়াশ করা হয়েছে তাই আপনি পড়বেন না)তাহলেই সব সত্য আপনার কাছে ধরা দিবে যেভাবে ধরা খেয়েছিলেন আমাদের সম্মানিত সাহাবাগণ।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন.... আমীন। এবার নামহীন তার নাম প্রকাশ করছে....(মো: হাবিব)
প্রশ্ন : তাবলীগ জামাত আর মূল ইসলামের মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?
উত্তর : দীর্ঘদিন তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত থেকে বুঝতে পেরেছি যে, তাবলীগ হচ্ছে ৬ উসুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ যাদের কোন সামাজিক পারিবারিক রাজনৈতিক চেতনা নেই। ইসলাম যে শুধু মসজিদের ভিতর বয়ান আর বাইরে গাসতের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয় এই কথাটি তাদের মগজের মধ্যে নেই। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি যে, তাবলীগ জামাতের লোকজন বসবাস করে জমিনের উপরে- চিন্তা করে জমিনের নিচে (কবরের) আর আলোচনা করে জমিনের উপরের (হাসরের ময়দান)। ঠিক আছে..কিন্তু আল কোরআন নাজিল হয়েছে এই জমিনে থেকে কি কর্মপন্থা অবলম্বন করলে জমিনের নিচের ও উপরের দুনিয়ার সফলতা লাভ করা যায়। অর্থাৎ এই জমিনই হচ্ছে পরীক্ষার ক্ষেত্র যেখানে কোরআনের সকল তাত্তিক ও ব্যবহারিক দিকগুলোর প্রয়োগ ঘটিয়ে আল্লাহর তরফ থেকে প্রণীত বিভিন্ন পরীক্ষয় উত্তীর্ণ হতে হয়। অথচ তাদের মূল চেতনায় শুধু আরব্য রজনীর কেচ্ছার মতো ফাজায়েলে কিতাবের কিছু জাল হাদিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ যা উক্ত ৬ উসুল দ্বারা সত্যায়িত। তাবলীগ জামাতের মূল কথা হলো সুফিবাদ আর সুফিবাদ ..... নয় কোন আল্লাহর পথে ইসলামের জন্য সংগ্রাম।
আর ইসলাম হচ্ছে জীবনের সকল কর্মক্ষেত্রে কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত এক সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ কর্ম ব্যবস্থা। হজরত মুহাম্মদ (স:) এর দেখানো কুরআনের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে সঠিক জীবন যাপন করা এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করা।.... (মো: হাবিব)
প্রশ্ন : তাবলীগ জামাতে তো লাখো লাখো আলেম কোরআনে হাফিজ রয়েছে। এত গুনিবান লোক থাকতেও কেন আপনারা তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে লিখছেন ??
উত্তর : ভাই পৃথিবীতে তো ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি অমুসলিম তাহলে আপনি কেন মুসলমান ধর্ম পালন করছেন...?? আজই আপনার ধর্ম পাল্টে ফেলুন আর খ্রিস্টার্ন ধর্ম পালন করুন। না তা সম্ভব নয় কারণ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি অমুসলিমরা সংখ্যায় যতই বেশী হোক না কেন তারা আল্লাহর কাছে ঘৃণীত
তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি? করলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হয়েছে। তারা তাদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী এবং শক্তি ও কীর্তিতে অধিক প্রবল ছিল, অতঃপর তাদের কর্ম তাদেরকে কোন উপকার দেয়নি। (৪০ নং সুরা মুমিন আয়াত: ৮২)। তাই আসুন আমরা সকলে কোরআনকে গবেষণা করি এবং কোরআন ভিত্তিক জীবন যাপন করি।
(মো: হাবিব)
জাহিলিয়াতের কোন প্রকার মিশ্রণ ইসলাম বরদাশত করেনা। ইসলামের করণীয় বর্জনীয় বর্ণনা করার পর আল্লাহ তায়ালা বলেন-
আর আমার এই পথ (ইসলাম) সরল সঠিক সুদৃঢ় পথ। তোমরা এরই অনুসরণ করো, ভিন্ন পথসমূহের অনুসরণ করোনা; করলে তোমাদেরকে তার (আল্লাহর) পথ থেকে বিছিন্ন করে ফেলবে। এ হলো তোমাদের জন্য আল্লাহর নির্দেশ, যাতে করে তোরা সতর্ক হও।
(সুরা আনআম: আয়াত ১৫৩)
আল্লাহর পথ ইসলামের অনুসরণের জন্য তিনি কুরআনকে অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন-
আর এ কিতাব আমি নাজিল করেছি মহা কল্যাণময়। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করো এবং সাবধান হও। আশা করা যায় তোমাদের প্রতি রহম করা হবে।
(সুরা আনআম: আয়াত ১১৫)
জেনে রাখো, সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম পথ ও পন্থা হলো মুহাম্মদের (স:) প্রদর্শিত পথ ও পন্থা। পক্ষান্তরে সর্ব নিকৃষ্ট কার্যক্রম হচ্ছে (দীনের মধ্যে) নবো উদ্ভাবিত কার্যক্রম (বিদায়াত)। আর প্রতিটি বিদায়াতই (নবো উদ্ভাবিত কার্যক্রম) সুস্পষ্ট গোমরাহী।
(সহি মুসলিম)
আমাদের দেশে দীন ও শরিয়তের মধ্যে যেসব শিরক, বিদায়াত, হারাম ও যুলুম বিভিন্নভাবে প্রবেশ করেছে এবং একাকার হয়ে আছে, সে সম্পর্কে মুসলিম সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি অতীব জরুরী।..... (মো: হাবিব)
তাবলীগের ভুলগুলো নিয়ে লিখলেই কেউ কেউ বলেঃ"তাবলীগ জামাত, হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আলেমগণ তথা কথিত আহলে হাদিসদের টার্গেট কেন?"
কষ্ট লাগে তাদের জন্য যারা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।তাবলীগের এতগুলো ভুল ধরা হয়েছে,পারলে তার উত্তর দেন। কিন্তু তারা প্রসঙ্গ ঘুড়িয়ে অন্য আরেকটি প্রসঙ্গ নিয়ে আসবে। আহলে হাদিসের সমস্যা থেকে থাকলে আপনারা সে বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট দেন। তাদের থেকে আমরা বেচে থাকার চেষ্টা করব।কিন্তু তাবলীগের কর্মকাণ্ড সমন্ধে আপনাদের মন্তব্য কি???????????
সর্বপরি লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এরকম তথবহুল পোস্ট দেয়ার জন্য ।আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক।
I would like to say that Tabligh Jamat never ask the Prime Minister, Opposition leaders or any media to attend their Ijtema. They do it for their own publicity.
Also, tabligh Jamat is trying to bring the Muslim to start their basic rituals before start jihad as our Jamati Islami brothers and sister trying to do.
I have seen lot of people change their life after spending some time in Tabligh Jamat.
Dear Habib,
you wrote "দীর্ঘদিন তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত থেকে বুঝতে পেরেছি যে, তাবলীগ হচ্ছে ৬ উসুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ যাদের কোন সামাজিক পারিবারিক রাজনৈতিক চেতনা নেই।"
You simply a liar. isn't it?
Thanks
http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=02baa777b4211ddad49f0b5256de3934
If u need explanation to every details u can mail me at rashidul_cseAThotmail.com
Thanks
Those who like to get the answer of the above pls refer to the below link...
http://www.askimam.org/fatwa/fatwa.php?askid=02baa777b4211ddad49f0b5256de3934
To end thereof, one should not be misguided with all the false accusations on this jama’at, but rather look at how the Ummah has benefited through this jama’at. We should always supplicate to Allah Ta’ala to show us the right path and save us from the misguidance of Shaitan. Moreover, we should always bear in mind that the pious and the learned amongst the Ummah cannot be unanimous upon something that is false or not part of Islam, as Nabi (Sallallahu Alaihi Wasallam) has mentioned:
إن الله لا يجمع أمتي أو قال أمة محمد صلى الله عليه وسلم على ضلالة ويد الله مع الجماعة ومن شذ شذ إلى النار
Allah Ta’ala will not unite the Ummah of Muhammed (Sallallahu Alaihi Wasallam) upon misguidance. Allah’s help is with majority. Whoever deviates from them will be thrown into the fire of Jahannum.
Sunan Al Tirmizi Vol.2 Pg.39 (H.M. Sa’eed Company)
If u need explanation to every details u can mail me at rashidul_cseAThotmail.com
Thanks
Response the above mentioned things :D
http://www.somewhereinblog.net/blog/ogropothik/29521027
http://www.somewhereinblog.net/blog/ogropothik/29521382
In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful
Assalaamu `alaykum waRahmatullahi Wabarakatuh
How unfortunate it is that in matters related to our worldly affairs we are always looking for the experts of the field. If someone wants to put up a structure, he will look for an experienced architect, builder etc. He will not just call any Zaid or Bakr to draw his plans. On the contrary when it comes to matters of religion, everyone becomes their own specialist of the field despite him not knowing and understanding the very basics of Islamic law. They also pluck the courage of becoming arbiters and passing verdicts over the authorities of Islamic law. These were mountains of knowledge. They thoroughly understood shariah, Quran and Hadith before penning anything. They passed verdicts and interpreted Ahadith only after gathering the different variations of any Hadith. They also understood what is saheeh, hasan and da’eef and what are their implications. Where could it be used and where it could not be. These were masters of knowledge.
What fault there is in any book containing weak narrations, if the author did not take it upon himself that he will not mention any weak narrations? A study of the six famous books of Hadith will prove that they too contain some weak narrations. The vast majority of scholars accept weak narrations, especially when it is related to fadha’il. But unfortunately the modern day homemade, unbaked, microwave “scholars” through their sheer ignorance totally reject such narrations.
তাবলীগ সম্পর্কিত পোস্টটি ভালো লাগলো। তাবলীগিরা হচ্ছে "ধরি মাছ না ছুই পানি" টাইপ কাজ করে ইসলাম হাসিল করতে চাচ্ছে। তারা নামাজ পরবে রোজা রাখবে দাড়ি টুপিও থাকবে আবার ঘুষ, সুদ, পরচর্চা, পরনিন্দা, মানুষের হক মেরে দেয়া ইত্যাদিও করবে, অর্থাৎ যেন তেন উপায়ে দুনিয়ার ভোগ বিলাস চাই আবার নামাজ রোজার বদৌলতে আখেরাতেও শান্তি চাই। ইসলাম যদি শুধু দাড়ি টুপি রোজা নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে তো বিধর্মীরা খুশিতেই বগল বাজাতো, আমিও বেঁচে যেতাম অনেক দায়িত্বের ভয় থেকে।
নামাজ পড়ো হজ্জ্ব করো সাথে সাথে মানুষের হক মারো, মাগীবাজী করো এই হচ্ছে তাবলীগের নিয়ম। আমি সামনা সামনি অনেক তাবলীগের মানুষ দেখেছি তাদের ব্যক্তিগত কার্য্যক্রম মোটেও ইসলাম সুলভ না, এবং এর জন্য তারা মোটেও চিন্তিতও না। বরংচ তারা তাদের নামাজ রোজার বদৌলতে তাদের খারাপ কাজের কোনো গুনাহ হয় না বলে মনে করে। যারা ইসলামকে এমন হালকা পর্যায়ে নিয়ে গেছে যাদের আমল শুধুমাত্র ফাজায়ালে আমল, যাদের জ্ঞান শুধুমাত্র ফাজায়ালে আমল তাদের থেকে ভালো আর কি আশা করা যায়। বেশিরভাগ তাবলীগীকে ইসলামের ব্যাপারে আটকাতে আমার ২ মিনিটও লাগে না। আর আলী সীনার মত বিখ্যাত নাস্তিকে কতক্ষন লাগবে? আলী সীনার মত নাস্তিকের সামনে পরলে এরা দ্বীন ইমান হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে। এদের জ্ঞান এত সীমাবদ্ধ যে এই জ্ঞান দিয়ে ইসলামের জন্য পরিবর্তন তো দূরের কথা পানিও গরম হবে না।
Bivinno hadith shomporke Apnader refference gula banoat!
Kisu angshik poribortito.
Eta thik na. . .
ভাই আপনি যে হাদিস গুলো উল্লেখ করেছেন সেইগুলো বুখারি বা মুসলিম শরিফ এর কোন Chapter এ পাব
বললে সুবিধা হত তা প্রচার করার জন্য ।
ধন্যবাদ ।
"আল্লাহ কে যে, তাদেরকে মাফ করবে? আল্লাহর কি কোন অধিকার আছে আরেকজনের মেরে দেয়া টাকা মাফ করার?"
আল্লাহ বলেনঃ
আর যা কিছু আসমান ও যমীনে রয়েছে, সেসবই আল্লাহর। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, যাকে ইচ্ছা আযাব দান করবেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন ক্ষমাকারী, করুণাময়। 3:129
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। 25:70
TABIIGAR VALO EKTA DIK HOLO TARA KARO KHOTI KORANA, SAKHANE GALA MANUS NAMAJE HOY, TARA SUNNAT PALON KORA
ভাই আপনার লেখার উপরে উল্লেখিত আবুসাঈদ (রা) বণিত হাদিসটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বুখারীর অনুবাদে কত নাম্বার হাদিসে পাব জানালে খুব উপকার হত।
"বাহ ! অনেক বড় হাদিস। বানআইতে মনে হয় অনেক সময় লেগেছে ।"
"মিথ্যাবাদী কোথাকার"
আপনারা যেভাবে হাদিসটি বলেছেন থিক হুবহু আমাকে এই হাদিসের আরবি পাঠ দেখান । এবং উক্ত বরাত সহ ।
মূল: http://www.facebook.com/photo.php?fbid=128119784021470&set=a.108507312649384.18716.100004703474398&type=1&comment_id=82706&ref=notif¬if_t=photo_comment_tagged&theater
বিশ্ববরেণ্য আলিমগণের দৃষ্টিতে তাবলীগ
http://www.youtube.com/watch?v=Yk-szEcH_28
http://www.youtube.com/watch?v=FnyM0YtD_y8
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবুওয়তে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, বাকী আছে কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ)।
সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বললেন: ভাল স্বপ্ন।