রাইটার : গাজী আল-আমিন ►
সতর্কতা: বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করি শ্রদ্ধেয় পাঠক সমাজ এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন।
পরিবার হল একটি সমাজের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি সমাজ কতটুকু সভ্য আর কতটুকু অসভ্য তা যাচাই করা যায় পারিবারিক ব্যবস্হা দিয়ে। কেন এই পরিবার ব্যবস্হা, এর উদ্দেশ্য কি শুধু নারী-পুরুষের মিলনের মাধ্যমে শারীরিকসুখ ভোগ করা নাকি অন্য কিছু? নারী-পুরুষের মিলনের উদ্দেশ্য যদি তাই হয় তাহলে বস্তুগত দিক থেকে সে সমাজ যতই উন্নত হোক আসলে তা অসভ্য সমাজ,জাহেলী সমাজ। শারীরিকক্ষুধা মেটানোকে যে সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্কের উদ্দেশ্য মনে করে সে সমাজ অবাধ শারীরিক সম্পর্ককে বৈ্ধতা দেয়, জারজ সন্তানে সে সমাজ ভরে যায়।ফ্রীসেক্স,গর্ভপাত-গর্ভনিরোধক বিভিন্ন ধারণার উদ্ভব হয়। সে সমাজে নারীকে আবেদনময়ী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। লক্ষ্য করা যাক সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলোর দিকে। কে কত স্লিম, কে কত আবেদনময়ী, কে কত রুপবতী- বিচারক-দর্শক সবাই এ নিয়ে তর্কে-বিতর্কে লিপ্ত। সে সমাজের নারীরা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব পালন করাকে বন্দিত্ব মনে করে। আর অফিস পরিচারিকা, বিমানবালা, হোটেল পরিচারিকা, পণ্যের মডেল হওয়াকে স্বাধীনতা মনে করে। পাশ্চাত্য সভ্যতা মানবীয় নীতি নৈতিকতার সবগুলো গুণাবলীকে বিসর্জন দিয়েছে,তাদের চারিত্রিক বিকৃ্তি এতো নিচে নেমে গেছে যে তারা সমকামিতাকেও বৈ্ধতা দিয়েছে।অতীত কিংবা বর্তমান সকল অসভ্য সমাজই মানুষকে অবাধ শারীরিক সম্পর্ককের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেন মানুষের মাঝে সারাক্ষণ শারীরিকসুখ জাগিয়ে রাখার জন্যই সব ধরনের সাধনা। বহুজাতিক কোম্পানীগুলো “বন্ধু-আড্ডা-গান” নিয়ে তরুণদের হারিয়ে যেতে বলছে। প্রেমিকার কাছে প্রেমিককে smartly উপস্থাপন করার নানা tips দিচ্ছে।নগ্ননারীর দেহপ্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হচ্ছে “এ আকর্ষণ এড়ানো অসম্ভব”।আরো বলা হয় “মনের মিলই বড় মিল,মনের মিল থাকলে শারীরিক লেনদেন কোন ব্যাপার না”। গল্প,উপন্যাস,চলচ্চিত্র,নাটক সব কিছুর একটাই লক্ষ্য- শারীরিক সুড়সুড়ি জাগিয়ে তোলা। এই সমস্ত যৌনদার্শনিকরা শুধু ধর্ষণকেই অপরাধ বলে মনে করে,সেই একই কাজ উভয়ের সম্মতিতে করলে কোন সমস্যা নেই।এমনকি স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হলে শরীরটা অযথা ফেলে না রেখে পরকীয়া করে শরীরটাকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মোতাবেক একটি বিশেষ পৌত্তলিক গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে মুসলিম তরুণ সমাজকে বিপদগামী করছে।সেই বিশেষ পৌত্তলিক গোষ্ঠী কারা ও কী তাদের কর্মপদ্ধতি?তারা আর কেউ নয়, তারা আমাদের বন্ধু যারা প্রাচীন হাস্য ধর্মে বিশ্বাসী ,কামসুত্র যাদের ধর্ম গ্রন্থ এবং বিশ্ব প্রভু আমেরিকা ও ইসরাইল।
ভারতীয় চ্যানেল ও সিনেমা
দেশের ভারতীয় দালালশাসক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা দেশের মধ্যে ভারতীয় নগ্নসংস্কৃতির প্রসার ঘটাচ্ছে।ভারতীয় অর্ধশতাধিক অশ্লীল টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে এ দেশে যৌনসংস্কৃতির আগ্রাসন চলছে।এসব চ্যানেল অশ্লীলতার ভিডিও দেখাচ্ছে। এদিকে ভারতীয়দের দোসর এ দেশীয় বেসরকারী TV চ্যানেলগুলোও ভারতীয় অনুষ্ঠান প্রচার করতে আগ্রহী। যেখানে বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো ভারতে দেখা যায় না সেখানে ভারতীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে দেখা যায়তো বটে তার ওপর এ দেশীয় চ্যানেলগুলো ভারতের অনুকরণে অনুষ্ঠান তৈ্রি করছে। এদিকে সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানির পক্ষে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি বলেছেন“বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আমাদের এবং ভারতের সংস্কৃতি এক ও অভিন্ন। আমরা একই সংস্কৃতিতে আবদ্ধ আছি। আমাদের বিভাজনের কোনো লক্ষণ নেই।”এ যুগে কোন দেশ অন্য কোন দেশের উপর সামরিক আগ্রাসন চালাতে আগ্রহী হয় না, বরং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে অন্যদেশকে গোলামির শৃংখলে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে। তাই ভারতীয় রাজনীতিক,কলামিষ্ট শশী থারুর বলেন “কামান বন্দুকের বদলে টিভি চ্যানেল,সিনেমা স্টুডিও দিয়ে ভারত বিশ্ব জয়ে নেমেছে”। আর ভারতের এই উদ্দেশ্য সাধনে সহায়তা করছে এদেশীয় দালালশাসক ও বুদ্ধিজীবীরা।এ সকল দালালদেরকে পুশব্যাক করে ভারতে পাঠাতে হবে।ভারতীয় চ্যানেলগুলো প্রতিনিয়ত নানা বিকৃ্ত চিন্তা চেতনা তরুণদের মধ্যে ছড়াচ্ছে যথা- লিভ টুগেদার,পরকীয়া,ফ্রীমিক্সিং,ব্যাভিচার। এসব শাসক ও বুদ্ধিজীবীরা বিয়েকে কঠিন ও পাপাচারকে সহজ করেছে। মেয়েদেরকে হিজাবের পরিবর্তে মিনিস্কার্ট,টিশার্ট,টাইটজিন্স পরে রাস্তায় চলাফেরা করাকে নারীস্বাধীনতার দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করছে।
ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা মুসলমানদেরকে নিজেদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য প্রত্যাখ্যান করে যৌনধর্মের সংস্কৃতিকে ধারণ করে উদার-প্রগতিবাদী (liberal) হওয়ার আহবান জানাচ্ছে। একুশের বই মেলা (২০১১)উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেন, “পাশ্চাত্যে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে ধর্মহীনতাকে বুঝায় আর উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে সকল ধর্ম নিয়ে তৈরী মতবাদকে বুঝায় যার প্রবক্তা সম্রাট আকবর”। পৌত্তলিক ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা চায় মুসলমান সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক। তাদের প্রসংগে আল্লাহ বলেন- “যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না”। (সূরা নূর-১৯)
পুঁজিবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষতার মূলতন্ত্রই হল ভোগবাদ। জীবন সমপর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল সর্বোচ্চ ভোগ (consumption max )এবং highest sensual pleasure.
জৈবিক ক্ষুধা মিটানোর পরেই চলে আসে যৌনক্ষুধা।আর সে ক্ষুধা মিটানোর জন্য স্বাধীনভাবে রমণীদের রমন করতে হবে।নারীকে পরিপূর্ণরুপে ভোগ করার জন্য প্রয়োজন ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী রাষ্ট্র যেখানে নারী স্বাধীনতার মানে হবে নারীকে ভোগ করার স্বাধীনতা।যার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বৈশিষ্ট হল-সেখানে নারীকে ভোগ করাই হবে ইবাদত, আর এ ইবাদত perfectly সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে sexology (যৌনবিদ্যা) পাঠদান করানো হবে, সুনিপুন হাতে বিধাতার প্রতিমা তৈরি করা হবে যেখানে শরীরের সকল লজ্জাস্থান যৌনাবেদনময়ী করে ফুঁটিয়ে তোলা হবে, বহুগামিতা থাকবে ও open sex environment থাকবে।
কর্মপদ্ধতি
LOVE গুরুদের(sexologist)দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গোটা সমাজটা আজ যৌনসমাজে পরিণত হচ্ছে।নোংরা দর্শনগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে সব মাধ্যম তারা ব্যবহার করে সেগুলো হল-নোংরা শিক্ষা ব্যবস্থা ও নোংরা সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা যথা- নাচ-গান-কনসার্ট,সিনেমা-নাটক, বিজ্ঞাপন ও পর্নো ওয়েবসাইট।
কনসার্টঃ
মক্কার কাফিরদের সমস্ত প্রচেস্টা সত্ত্বেও যখন ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারিত হয়েই চলছিল তখন নদ্বর বিন হারিসা কুরাইশ নেতাদের বললেন তোমরা যেভাবে মোহাম্মদ (সঃ)এর মোকাবিলা করছো তাতে কোন কাজ হবেনা।তখন সে একটি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করলো,কোন ব্যক্তির সম্পর্কে নবী(স) এর কথায় প্রভাবিত হতে চলেছে বলে তার কাছে খবর এলেই সে তার পিছনে নিজের একজন বাঁদী নিযুক্ত করতো এবং তাকে বলে দিতো খুব ভালো করে তাকে পানাহার করাতে,গান শোনাতে এবং আরো বলে দিতো সবসময় তাকে তোমার সাথে জড়িয়ে রাখ এবং তার মন মোহাম্মদ (সঃ) ও কোরআন থেকে ফিরিয়ে আনো।
বিভিন্ন জাতির বড় বড় অপরাধীরা প্রত্যেক যুগে লোকদেরকে আল্লাহর পথ থেকে সরানোর জন্যে যে সকল চালবাজীর আশ্রয় নিয়ে ছিলো নদ্বর বিন হারীসের কাজও সে একই ধরনের ছিলো,আর বর্তমানেও তাদের উত্তরসূরীরা সেই একই কাজ করছে।তারা জনগণকে নাচগান ও খেলতামাশায় মশগুল করে রাখে।এভাবে তাদের মানবজীবনের গুরুত্বপুর্ণ সমস্যার প্রতি নজর দেয়া এবং তার সমাধান করার চেতনাই বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং তারা একথা অনুভবই করতে পারে না যে,তাদেরকে এক ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ইসলাম তথা কোরআন থেকে মানুষকে বিচ্যুত করার জন্যে সেই জাহেলী যুগের মক্কার কাফেররা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলো তাদের উত্তরসূরী এই যুগের পৌত্তলিকরাও সেই একই ধরনের পন্থার মাধ্যমে জনগণকে ইসলাম থেকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।পৌত্তলিক টিভিচ্যানেলগুলো ও পুঁজিবাদী-জংগী তথা যৌনবাদী বহুজাতীক কোম্পানীগুলো জাতিকে গানে মাতাল করার জন্যে নানা আয়োজনে ব্যস্ত যথা-ক্লোজ ডাউন ওয়ান, খাও বাংলাদেশ খাও,খুদে শয়তানের রাজ,ওমক খান লাইভ,শয়তানি(ডেস্টিনি) পলি ন্যাশন সেক্স শো ইত্যাদি।
বর্তমান সময়ে আমরা দেখি দেশের আনাচে কানাচে ঘনঘন বিভিন্ন শো,কনসার্ট,ও প্রতিযোগিতা হতে, যেগুলো খুবই হাঁকডাক দিয়ে ও ব্যাপক আকারে হয় >>> এ সকল শো ও কনসার্টে যে ধরনের performance করা হয় তা আগে পাঁচতারকা হোটেলের বলরুমে নীরবে করা হতো।এখন তা হোটেল থেকে মাঠ তারপর মাঠ পেরিয়ে লাইভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারী-পুরুষ,আবাল-বনিতা-বৃদ্ধ সকলের কাছে অবমুক্ত করা হচ্ছে। নিচে সামপ্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য তিনটি শো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
শাহরুখ খান লাইভ(১০ডিসাম্বর ২০১০)>
সুবিশাল নগ্নসৈ্ন্যবাহিনী নিয়ে বাংলায় সফলতার সাথে সাংস্কৃতিক অভিযান সমাপ্ত করলেন বলিউড সেনাপতি শাহরুখ খান।তার দ্রুত ধাবমান ঝড়ো গতির এ যৌনাভিযানের সামনে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় বাংলার তথাকথিত বাঙালীদের হাজার বছরের লালিত বাঙালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।বাংলার মুসলিমদের শিখিয়ে গেলেন কীভাবে অন্যের স্ত্রীকে চুম্বন করতে হয়।দর্শক সারি থেকে দম্পতি ডেকে এনে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে দফায় দফায় চুম্বন করলেন,শিখিয়ে গেলেন যৌনাচারের এক নতুন ফরমূলা-নারীর পায়ে সেজদায় লুটিয়ে প্রেম ভিক্ষার কৌশল।
১৭ ফেব্রুয়ারী২০১১>
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচয় করালো।বিশ্বকাপকে ঘিরে আমাদের প্রবৃত্তিজীবীদের মন্তব্যগুলো হল নিম্নরুপ-
আমাদের আকাংখা বিশ্বকাপের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে ক্রিকেটের জয় ঘোষিত হবে। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের যে সুযোগ এসেছে তা সর্বোতভাবে তুলে ধরতে হবে।
এ উপলক্ষে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তা এগিয়ে নিতে হবে। যেভাবে জাঁকজমকপূর্ণ,দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়ভাবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে তা শুধু দেশের মানুষের মনে আশা সৃষ্টি করেনি বরং বিশ্ববাসির কাছে দেশকে সম্ভাবনাময়ী আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ নিজেকে সফল সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করেছে।
খেলা উপলক্ষে ঢাকাকে নয়নাভিরাম বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। রাতের ঢাকাকে মনে হয়েছে এ যেন তিলোত্তমা ঢাকা।
মাঠে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের মুখ দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি প্রদর্শন করেছে।
এগুলো হল বিকৃত মস্তিস্কপ্রসূত কথাবার্তা। আমরা যদি ব্যাপারটিকে বুদ্ধিবৃত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাবো-
আটটি ম্যাচ কেন, পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করার সামর্থ্য হতে পারে বাংলাদেশের কিন্তু যা করার সামর্থ্য নেই তা হল-জনগণের জীবনঘনিষ্ঠ সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা।যথা-অন্ন,বস্র,বাসস্থান, পানি,বিদ্যুত,গ্যাস,চিকিতসা,দরিদ্রতা, ও বেকারত্ব সমস্যার সমাধান দেয়া।হত্যা, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে নির্মমভাবে দেশের জনগণ হত্যার প্রতিবাদ করার যোগ্যতা এ দেশের নেই।
খেলাধূলার মাধ্যমে কিভাবে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয় এটা আমার বোধগম্য নয়।আমার জানা মতে ঐক্যের ভিত্তি হল আদর্শ। সেটা হতে পারে – ইসলাম, পুঁজিবাদ বা সমাজতন্ত্র। পৃথিবীতে এ তিনটি আদর্শ রয়েছে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হলে এ তিনটির যে কোন একটির ওপর ভিত্তি করেই হতে হবে।
জাঁকজমকপুর্ণ, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়ভাবে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে। এর সংগে আধুনিকতার সম্পর্ক কোথায়? আঁতশবাজি আর নগ্ননর্তকীদের নৃত্যানুষ্ঠাকে যারা আধুনিকতা বলে, এর দ্বারা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়াত্ত্ব প্রকাশ পায়।
বুদ্ধিদৃপ্ত সুস্থমস্তিস্ক সম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের চাওয়া হল- সৃজনশীলতা, আবিস্কার, উদ্ভাবনী ও ইসলামিকবুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে নিজের পরিচয় তুলে ধরবে।
বাংলাদেশ নিজেকে সফল সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করেছে।ব্যাপারটি সত্য কারণ বাইতুল মোকাররমের আযানে যাতে নাচ-গানে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্যে ৩টি ওয়াক্তের নামাজের আজ়ান মাইকে প্রচার বন্ধ রাখা হয়। শুধুই কী তাই?সফল সংগঠক হওয়ার আরেকটি নমুনা হল- একবারও বাইতুল মোকাররম মসজিদের দিকে ক্যামরা ফোকাস করেনি।বহিরবিশ্বের দর্শকদের কাছে মনেই হবেনা এদেশ মুসলমানদের দেশ। সাবাশ বাংলাদেশ!
দেশপ্রেম নিয়ে আমাদের প্রবৃত্তিজীবীদের মৌখিক আস্ফালনের অন্ত নেই।সাম্প্রদায়িক চেতনার ঊর্ধে উঠার জন্য তারা সমাধান হিসেবে দেশপ্রেমের কথা বলে। আসলে দেশপ্রেম ও সাম্প্রদায়িকতার বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি কী এব্যাপারে আমাদের জ্ঞান থাকা চাই। দেশপ্রেম এর কোন বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি নেই, আবেগজনিত উপায়ে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে।যেমন বিদেশী শক্তি কর্তৃক স্বদেশ আক্রান্ত হলে দেশপ্রেম জাগরিত হয়। আবার দেশ যখন বহিশক্তি থেকে মুক্ত থাকে তখন মানুষের মনে দেশপ্রেমের কোন প্রভাব থাকেনা। দেশপ্রেম একটি TEMPORARY বিষয়, এটা মানুষের মনে permanently আসন করে নিতে পারেনা। তাই বিভিন্ন দিবসের মাধ্যমে একে REFRESH দেয়া লাগে।
২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১১
এটি ছিল বাংলাদেশের মাটিতে বলিউড সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় অভিযান। আর এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলো সালমান খান,অক্ষয় কুমার,ক্যাটরিনা,আনুশকা।এ দেশের বুদ্ধিবিবেকহীন শারীরিক সৌন্দর্যের পূজারী দর্শকরা কী পেল এ অনুষ্ঠান উপভোগ করে? পরের দিনের পত্রিকার পাতা থেকে আমরা জেনে নেই-“ক্যাটরিনার রুপের ঝলক,সালমান- অক্ষয়ের চোখ ধাঁধানো পারফর্মের আর নতুন ক্রেজ আনুশকার সৌন্দর্যের মুগ্ধতা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন হাজার হাজার দর্শক” (ইত্তেফাক ২৫-০২-২০১১)
ইসলামের দায়ী হিসেবে আমি যখন কাউকে অশ্লীল বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বর্জন করতে বলি তখন আমাকে বলা হয় নদীর স্রোত যে দিকে প্রবাহিত হয় সে দিকেই প্রবাহিত হতে হয়।তাদের উদ্দেশে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ)এর একটি উক্তি তুলে ধরছি “যারা আপন চিন্তাধারা, নৈতিকতা,সামাজিকতা্,অর্থনীতি,শিক্ষাদীক্ষা তথা জীবনের কোন একটি জিনিসেও মুসলমান নয় এবং মুসলমান থাকতে ইচ্ছুকও নয়,তাদের নামমাত্র মুসলমান থাকায় ইসলামের আদৌ কোন ফায়দা নেই বরং ক্ষতিই সমাধিক।তারা খোদা পূজারী নয়, বরং হাওয়া(প্রবৃত্তি) পূজারী।দুনিয়ায় যদি মূর্তি পূজার প্রাবল্য দেখা দেয় তো এরা নিশ্চিতভাবে মূর্তি পূজা শু্রু করে দিবে।দুনিয়ায় যদি নগ্নতার প্রচলন হয় তো এরা অবশ্যই পরিধেয় খুলে ফেলবে।এদের মন-মগজ হচ্ছে গোলাম,তাই গোলামীর জন্য এরা উন্মুখ হয়ে আছে।এদের জীবনে ফিরিঙ্গিপনার প্রাবল্য রয়েছে,এজন্যই নিজেদের গোপন থেকে প্রকাশ্য পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই এরা ফিরিঙ্গি হতে ইচ্ছুক।আবার কাল যদি হাবশীদের প্রধান্য দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই এরা হাবশী হবার প্রয়াস পাবে নিজেদের মুখমণ্ডলে কালি মেখে নিবে,ওষ্ঠাধর মোটা করবে,মাথার চুল হাবশীদের ন্যায় কুঞ্চিত করবে,......।ইসলামের পক্ষে এমন গোলামের কোন প্রয়োজন নাই। (ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব)
ভারতীয় নর্তক-নর্তকীদের দ্বারা এসব অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য কী?ভারতীয় সংস্কৃতি টেলিভিশনের মাধ্যমে বহু আগেই এদেশের ঘরে-ঘরে ইন্সটল করা হয়।এবার বলিউডসফট এর নতুন অফার হল শুধু আকাশ পথে নয় এদেশে স্থল অভিযানও চালাতে হবে। সরাসরি এদেশে এসে live programme এর মাধ্যমে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলকে evil cultural injection পুশ করাতে হবে।
নাচ-গানের সফলতা এখানেই যে এটা মানুষকে আল্লাহর স্মরণ ও পরকালের ভাবনা থেকে দূরে রাখে। যারা নাচ-গানসহ অন্যান্য অশ্লীল সংস্কৃতির সাথে জড়িত তাদের কাছে প্রশ্ন - আপনি যখন মৃত্যুযন্রণায় কাতরাবেন তখন কি আপনি গান শুনতে পছন্দ করবেন নাকি কোরআন তিলাওয়াত শুনতে পছন্দ করবেন? গান শোনার শাস্তি প্রসংগে রাসূল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি গায়িকা বাঁদীর অনুষ্ঠানে বসে তার গান শুনবে,কিয়ামতের দিন তার কানে গরম সীসা ঢেলে দেয়া হবে”। (আহকামুল কোরআন, কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবী)
আপনি কী মুমূর্ষু অবস্থায় কামার্তভঙ্গি প্রদর্শনকারী মেয়েদের নৃত্য উপভোগ করবেন?যদি করেন জেনে রাখেন রাসূল সঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি অপর মহিলার প্রতি কামভাবসহ তাকায়,কিয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত সিসা ঢেলে দেয়া হবে। যারা এ সমস্ত নোংরা অশালীন গান-নৃত্য উপভোগ করতে অভ্যস্ত যথা-“ছেলেতো নয় একখান আগুনেরই গোলা “যারা যারা টাচ মি টাচ মি, কিস মি কিস মি” তাদের জন্য আযাবের ফেরেস্তা আগুনের গোলা নিয়ে টাচ(স্পর্শ) করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। অপেক্ষা করুন মাটির ভিতরে গেলেই বোঝতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপনের ভাষা একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তা কীভাবে মানুষের মধ্যে বিকৃত চিন্ত-চেতনা সৃষ্টি করছে।নিচে কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনা করা যাক।
সাবানঃ
আবেদনময়ি হিসেবে নারীকে সর্বপ্রথম যে পণ্যটির বিজ্ঞাপনের কাজে লাগানো হয় তা হল সাবান।এবং এটা যুক্তরাস্ট্রে সর্বপ্রথম শুরু হয়।বিজ্ঞাপনের স্লোগান ছিল-The skin you love to touch
বিজ্ঞাপন চিত্রে পণ্যটির দিকে যতটা না ফোকাস করা হয় তার চেয়ে বেশি ফোকাস করা হয় নারীর সুডৌল অংগের দিকে।যার অশুভ যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাস্ট্রের সেই সাবানের বিজ্ঞাপন দিয়ে। ইদানিং যত বিজ্ঞাপন দেখা যায় তাতে পণ্যের গুণগা্নের চেয়ে নারীদের বিশেষ কোন অঙ্গের প্রদর্শনীই বেশি গুরুত্ব পায়।বিজ্ঞাপনে নারীকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন মডেল কণ্যা নিজেই পণ্য আর তারই বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে।সাবানের বিজ্ঞাপনে যা বলা হয় -সাবানে রয়েছে পুষ্টি,সুরক্ষা ও সতেজতা। সতেজতা কাছে আনে( get fresh get close)। ত্বক হবে কোমল শিশুর মতো। হাতের মুঠোয় রুপ,বশে গোটা দুনিয়া। সকল স্থানে উজ্জ্বলতা। বিজ্ঞাপনগুলোতে নারীর ত্বক সুন্দর রাখার আবরণে যতটা সম্ভব নারীর শরীর ততটা খোলামেলা দেখানো হয়।নারীকে কেবল সুন্দরী হওয়ারই প্রেরণা দেয়া হয়। যেন সুন্দরী হওয়াই নারীর একমাত্র ধ্যান।
ক্রীমঃ
পৃথিবীর সকল যুগেই নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে। শুধু তার রুপের পরিবর্তন হয়।যেমন বর্ণবাদ এ ধারণা পৃথিবীর কোন সুস্থ ব্যক্তি গ্রহণ করতে পারে না।তাই ধীরে ধীরে এটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু আসলেই কী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। না বরং এর রূপের পরিবর্তন হয়েছে। আমরা আজও বর্ণবাদে বিশ্বাসী আর এ কারণেই কি পুরুষ কি নারী সবাই ফর্সা হওয়ার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। রং ফর্সাকারী ক্রীম গুলোতে বলা হয় এটি ব্যবহার করলে আপনি পাবেন double fairness. কালো ত্বকের মেয়ে হওয়া যেন অপরাধ সে জন্য তার বিয়ে হয় না,কোন পুরুষ তাকে পছন্দ করেনা,এমন কি চাকুরীও হয়না, কিন্তু যখনই সে মেয়েটি রং ফর্সা কারী ক্রীম ব্যবহার করেন তখন সঙ্গে সঙ্গে ফর্সা হয়ে যায় এবং জীবনের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
এছাড়াও রয়েছে সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে পুঁজিবাদের আবিস্কৃত নব্যবর্ণবাদ। সুন্দরীদের যদি সুন্দর হওয়ার কারণে পুরস্কৃত করা হয় তাহলে কালো মেয়েদের কালো হওয়ার কারণে কালো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তাদেরকে তিরস্কৃত করা হউক।কালো বা সুন্দর হওয়াতে তার নিজের কোন কৃতিত্ব নেই বরং এটা স্রষ্টা প্রদত্ত জন্ম গত প্রাপ্তি।সুতরাং এখানে পুরস্কার বা তিরস্কার বলতে কোন কিছুই থাকার কথা নয়। বুদ্ধি-বিবেকহীন পশ্চিমা ভোগবাদী যৌন পিপাসুদের আবিস্কার-এ ধরনের আধুনিক নব্য বর্ণবাদের ভার্সন। এতে করে একদিকে তাদের ব্যবসা হবে অপরদিকে শারীরিক ক্ষুধাও মিটবে। সুন্দরীপ্রতিযোগিতা ও রংফর্সাকারী ক্রীম গুলো যে message দেয় তা হল-কালোবর্ণ সমাজে আজও পরিত্যক্ত আর সাদাবর্ণ গ্রহণীয়।
শ্যাম্পুঃ
আগে জানতাম জ্ঞানই শক্তি এখন শুনতে পাচ্ছি সৌন্দর্যই শক্তি। নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যই চূড়ান্ত সৌন্দর্য, চারিত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সৌন্দর্যের কোন evaluation নেই।এ যুগের মেয়েদের আপাদমস্তক সুন্দর হতে হবে। আর মস্তক সুন্দর করার কাজে ললনাদের পাশে রয়েছে কর্পোরেট শ্যাম্পু।
লিপস্টিকঃ
নারীআশক্তদের কাছ থেকে জানতে পারলাম অবলাদের ওষ্ঠে নাকি magical sexual attraction আছে। সে জন্য লিপস্টিকের বিজ্ঞাপনে রমণীদের কমলার কোয়ার মতো তৃষ্ণা সৃষ্টিকারী ঠোট এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন magical sex thirst পূর্ণ মাত্রায় উত্তাল, উত্তেজিত, উত্তাপিত (heated, instigated),ও উত্তোলিত (raised)হয়। আর সেই পিপাসার অনুভূতি প্রকাশ করা হয় এই বলে it’s a magical feelings.
আমঃ
একজন সুন্দরী যদি তার দৈহিক সৌন্দর্যকে পুঁজি করে অর্থ কামানোর উদ্যোগ নেয় তবে তাকে দেহব্যবসা বলাই যুক্তযুক্ত। পতিতালয়ের দেহব্যবসার পাশাপাশি ডিজিটাল পর্দায় চলছে রমরমা ডিজিটাল দেহব্যবসা।পতিতালয়ে দেহদান করে যেমন money earn হয় তেমনি বিজ্ঞাপনে মডেল কণ্যা আর আইটেম কণ্যারা কামান্ধতার (excessive sexual appetite) পোজ দিয়ে money earn করছে। কামসূত্রের সাথে মিল রেখে স্লাইস মাংগো জুস এর নাম রাখা হয়েছে আমসূত্র। আর বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণকারী কামচারিনীর আঙ্গভঙ্গিতে আমপিপাসা নয় বরং কামপিপাসা ফূঁটে উঠেছে।
বডিস্প্রেঃ
সৌরভে ভালবাসা হয় আর তাই ভালবাসা পেতে হলে সৌরভ ছড়াতে হবে।সে জন্য কাম-পীড়িতদের (love-sick) সহযোগীতায় নিয়োজিত রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বডিস্প্রে।বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনে যৌনতাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন ওগুলো বডি স্প্রে নয় বরং নারী আসক্তিকরণ ট্যাবলেট। বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় এটি ব্যবহার করে একজন পুরুষ হেঁটে যাচ্ছে আর দলে দলে কামার্ত নারী কামোন্মত্ত হয়ে পাগল হয়ে পুরুষটির গায়ে ঝাপিয়ে পড়ছে, দলে দলে বেশ্যাসক্ত বেশ্যারা তার দিকে ছুটে যাচ্ছে , বেহুশ হয়ে কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে, কেউ বস্ত্র খুলে ফেলার ভঙ্গি করছে।
রেজারঃ
কামাতুর পুরুষরাতো দাড়ির বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধঘোষোণা করেছে। যে করেই হোক ললনাদেরকে বশীভূত করতে হবে, নারী বশীকরণের আরেক ক্যাপসুল হল রেজার।রেজারের বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় shave করার পর এক বেশ্যা সেই তরুণকে kiss করছে, তাই kiss পাওয়ার আশায় পথভ্রষ্ট কামুখের দল দাড়ির বিরুদ্ধে shaver war (ক্ষুরযুদ্ধ) শুরু করে দিয়েছে।
মোবাইলঃ
মোবাইল কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করলে মনে হবে- প্রেমিক‑প্রেমিকাদের জন্যই তাদের সকল আয়োজন। দিন বদলের স্লোগান,ভালোবাসার টানে পাশে আনে,দূরত্ব যতই হোক কাছে থাকুন, জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে। রাত বরোটার পর সবচেয়ে কম কলরেটে কথা বলা, আরো বিভিন্ন রকম অফার এর মাধ্যমে যথেষ্ট দিন বদল হয়েছে।বিরতিহীনভাবে চলছে প্রেমালাপ –যৌনালাপ। প্রগতি তথা যৌনগতির দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটাইতো দিন বদল।
নারী-পুরুষ সম্পর্কে ধর্মহীনপুঁজিবাদী দর্শনঃ
পুজিঁবাদী সমাজ যেখানে বস্তু গত সমৃদ্ধিই মানুষের মূল্যায়নের মানদন্ড। এসমাজ নারী-পুরুষ সমপর্ককে নিছক যৌন সমপর্ক হিসেবে দেখে। যৌন ক্ষুধা মিটানোকে নারী ও পুরুষের সমপর্কের উদ্দেশ্য মনে করা হয়। এ সমাজের বৈশিষ্ট্যগুলো হলঃ
১। অবাধ যৌনতাকে বৈধতা দেয়া হয়।
২। অবৈধ সন্তানে ভরে যায়। আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ তাদের পিতৃ পরিচয় জানেনা।
৩। নারী-পুরুষের জন্ম গত শারীরিক মানসিক তারতম্য বিবেচনা না করে দায়িত্ব বন্টন করা হয়।
৪। যৌন আবেদনময়ী হিসেবে তুলে ধরা নারী জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
৫। সন্তান লালন পালন করাকে বোঝা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এটাকে পরাধীনতা মনে করা
হয়।
৬। সভ্যতা, শালীনতা ও বিয়ে-শাদীর গুরুত্ব থাকে না।পারিবারিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৭। সমকামিতা, বহুগামিতা ও পর্নোগ্রাফির বৈধতা দেয়া হয়। আমেরিকা প্রতি বছর পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায় ১৩.৩বিলিয়ন ডলার আয় করে।
৮। ধর্ষণ বৃদ্ধি পায়। এফবিআই প্রদত্ত উপাত্ত অনুযায়ী ২০০৯ সালে আমেরিকাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে প্রতি ৬ মিনিটে ১ টি করে ধর্ষণ।
৯। যৌন আলোড়ন (sexual agitation)ও যৌন উদ্দীপক(sex stimulating element) বিষয়গুলোর ছড়াছড়ি থাকে।সাহিত্য, সাংবাদিকত্ উপন্যাস, নাটক ও সিনেমা সবকিছুর মাধ্যমে মানুষের মাঝে এটা জাগিয়ে তোলার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
১০। পুজিঁবাদি সভ্যতার দর্শন দুনিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ পরকাল পর্যন্ত বিস্তৃত নয়।কিছুক্ষন পরেই যখন তারা দুনিয়ার উপরিভাগ থেকে দুনিয়ার ভিতরে চলে যাবে তখন বোঝতে পারবে তাদের অশ্লীলতার করুণ পরিণতি।
ইসলামী দর্শনঃ
১। ইসলাম নারী-পুরুষের সমপর্ককে নিছক শারীরিক চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্য মনে করা না।বরং পবিত্র প্রক্রিয়ায় দৈহিক প্রয়োজন পূরণের মাধ্যমে বংশবিস্তারের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে।এতে করে sexual demand পূরণ সেই সংগে mental tranquility ও অর্জিত হবে।
২। দৈহিক চাহিদা পূরণ, মানসিক প্রশান্তি অর্জন ও বংশবিস্তারের জন্য ইসলাম যে শালীন, সভ্য ও মানব প্রকৃতির সাথে সংগতিপূর্ণ ব্যবস্থা দিয়েছে তা হল বিবাহ ভিত্তক পারিবারিক ব্যবস্থা।
৩। এ পরিবার ব্যবস্থার কী উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য হল-
* Ø সন্তানদেরকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালন।
* Ø তাদের চরিত্র গঠন।
* Ø তাদের মাঝে মানবীয় বৈশিষ্ট্ বিকাশের মাধ্যমে আলোকিত ব্যক্তি (lighted person)গড়ে তোলা।
* Ø যুগ থেকে যুগান্তরে পবিত্র মানব বংশধারা টিকিয়ে রাখা। অবৈধ জন্ম প্রতিহত করা।
৪। মানব সমাজ যাতে যৌনাচারের সমাজে পরিণত না হয় এবং মানবতা যেন যৌনউন্মাদনায় কলুষিত না হয় সে জন্য ইসলাম সমাজ থেকে যৌন আলোড়ন (sexual agitation)ও যৌন উদ্দীপক(sex stimulating element) বিষয়গুলোর অপসারণ করতে বদ্ধপরিকর।
নারী-পুরুষ সম্পর্কঃ ইসলামী দৃষ্টিকোণ বনাম পুঁজিবাদী দৃষ্টিকোণ
☼→
ব্লগ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: