সালমান ফারসী (রা)- সত্যের অনুসন্ধান যাঁকে ইসলামের দুয়ারে এনে দিয়েছিল।


(১)
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামছে। বসন্তের ঝিরঝিরে বাতাস। যেদিকে দুচোখ যায়, আঙুর আর নাশপাতির বাগান। ঐ দূরে পাহাড়চূড়োয় বরফের চাদর বিগত শীতের শেষ নিশানা বহন করে চলেছে। এই হলো ইস্ফাহান! দুনিয়ার আরেক জান্নাত। লোকেরা বলে, "এসফাহন নেস্‌ফে জাহন আস্‌ত" যার অর্থ " ইস্ফাহান পৃথিবীর অর্ধেক"!

বাগানের মাঝ দিয়ে আনমনে হেঁটে যাচ্ছে এক আত্মভোলা কিশোর। আশেপাশের নেশাধরা প্রকৃতি যেন তাকে যাদু করেছে। চেহারা-বেশবাসে আভিজাত্যের লক্ষন স্পষ্ট। বোঝাই যায়, উঁচু ঘরের সন্তান। তবে, একাকী পথ চলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়।

এমনিসময়, মৃদু অথচ মায়াবী এক সুরেলা আওয়াজ কিশোরের কানে এল। আর চোখের পলকে সে সুরের ইন্দ্রধনূ যেন তার পথের দিক বদলে দিল। পায়ে পায়ে ঐ গুঞ্জরন অনুসরন করে সে পৌঁছালো এক ছোট্ট বাড়ির সামনে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের একটি ছোট্ট জটলা। তারাই সুর করে গাইছে সে অচেনা মায়াবী সংগীত। বালকের চোখে মুগ্ধতা আর বিস্ময়। একী এ পৃথিবীর কোথাও নাকি অন্য কোন জগতের!


বালকের দিকে সহাস্যে এগিয়ে এলেন এক সৌম্য দর্শন বৃদ্ধ। সফেদ কাপড়ের মাঝে তার কেশপাশের শুভ্রতা এক অপার্থিব দ্যুতি ছড়াচ্ছে যেন। বৃদ্ধের প্রশ্নে জানা গেল, কিশোরের নাম মাহ্‌বা। পাশেই জী(Jiyye) গ্রামে তার বাস। পিতা বুজ খাতান, গ্রামের দিহ্‌কান (Dihqan-গ্রাম প্রধান)। বিত্ত-বৈভব আর জমিজমার অভাব নেই।

আরো জানা গেল, একমাত্র সন্তান হওয়াতে পিতার অসম্ভব ভালবাসার যন্ত্রনা পোহাতে হয় এ বেচারাকে। একমূহুর্ত চোখের আড়াল হতে দেন না তিনি মাহ্‌বাকে। পারতপক্ষে, ঘরের চৌহদ্দির বাইরে যেতে দেন না। আজ তিনি গ্রামের বাইরে যাওয়ায় মাহ্‌বা নিজেদের এষ্টেট দেখতে বেরিয়েছে আর এ মায়াবী সংগীতের গুঞ্জরন তাকে এখানে টেনে এনেছে।

এবার, বৃদ্ধের পালা। পরিচয় দেন তিনি। এই ছোট্ট বাড়ীটি খোদার ঘর আর তিনি এই ঘরের যাজক। বাকীরা এখানে খোদার উপাসনায় যোগ দিতে এসেছে। মাহ্‌বা অবাক! এ কেমন খোদার ঘর! আহুর-মাজদার(Ahura Mazdā) ঘর তো এমন নয়! সে ঘরের যাজকের পোশাকও তো এমনতর নয়! প্রশ্নবানে জর্জরিত করে সে বৃদ্ধ যাজককে।

যাজক হেসে হেসে জবাব দেন। মাহ্‌বা জানতে পারে এক নতুন ধর্মের কথা। এক নতুন একক খোদার কথা- যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন; যীশুর মত দয়ালু আর মহান বার্তাবাহককে পাঠিয়ে মানুষকে সঠিক রাস্তা দেখিয়েছেন। জানতে পারে মাতা মেরীর অলৌকিক গর্ভধারনের কথা। আস্তে আস্তে বদলে যেতে মাহ্‌বার এতদিনের বিশ্বাসের দুনিয়া। আগুনের দাহিকাশক্তির কাছে এতদিন মাথা নত করে চলা মাহ্‌বা আত্মবিশ্বাসে মাথা তোলে।

ইতিমধ্যে, সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত নেমেছে। মাহ্‌বা বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়। পৌঁছে দেখে তুলকালাম কান্ড! পিতা ফিরেছেন আগেই এবং সে হারিয়ে গিয়েছে ভেবে পুরো গ্রাম নিয়ে তাকে খুঁজতে নেমে গিয়েছে! যাই হোক, তাকে পেয়ে পিতা আশ্বস্ত হলেন। কিন্তু, কোথায় ছিল সে পুরো বিকেল? জানতে চাইলেন বুজ। সরল বিশ্বাসে পুত্র সব বলে দিল। সেইসাথে এই নতুন পথের প্রতি তার আকর্ষন জানাতেও ভুলল না। অগ্নিপূজক বুজের মাথায় এ এক বিনা মেঘে বজ্রপাত! বলছে কী সেদিনের ছেলে! আহুর-মাজদার চেয়েও বড় কেউ আছে নাকি! মাহ্‌বার এক কথা, “আগুনের উপাসনার চাইতে ওদের খোদার উপাসনা অনেক ভাল। আমি প্রতিদিন ওদের কথা শুনতে যাব।“

বাধ্য হয়ে বুজ ঘরে অন্তরীন করলেন মাহ্‌বাকে। পিতা বুঝলেন না, দুনিয়ার জিন্দানখানায় দেহ বন্দী হয়, আত্মাকে বন্দী করা যায় না। বন্ধ ঘরের পাখীর মত ছটফটিয়ে মরতে থাকে মাহ্‌বা। দেখে সহ্য হয় না বৃদ্ধ চাকর মেহ্‌রানের। মা’ মরা জেদী ছেলেটাকে সেই কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে। এ বন্দীদশা কেমন করে মেনে নেবে সে!

মেহ্‌রানের মারফত মাহ্‌বা সেই খৃষ্টান পাদ্রীর সাথে যোগাযোগ রেখে চলে। এ ধর্মের প্রতি তার বিশ্বাস দিনে দিনে আরো মজবুত হয়। তারপর, একদিন সুযোগ বুঝে মেহ্‌রানের সাহায্য নিয়েই পালিয়ে সোজা পাদ্রীর কাছে চলে যায়। পাদ্রী বুকে জড়িয়ে নেন তাকে। কিন্তু, ঠিকই বুঝতে পারেন এখানে তাকে রাখা নিরাপদ নয় মোটেই। তাই ক’দিন লুকিয়ে রেখে তাকে সিরিয়াগামী এক কাফেলার সাথে পাঠিয়ে দিলেন পরিচিত আরেক পাদ্রীর কাছে। এ ছিল পরবর্তী চারদশক ব্যাপী সত্যানুসন্ধানের পথে মাহ্‌বার প্রথম পদক্ষেপ!

(২)
সিরিয়ার দামেশকে এসে মাহ্‌বা আশ্রয় নিল নতুন পাদ্রীর কাছে। এখানে সে খৃষ্টানধর্মের জ্ঞানার্জন, সাধনা ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করল। সেইসাথে, আবিষ্কার করল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। তবে, কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ থাকাটাই ভাল মনে করল।

সময় গড়িয়ে চলে অমোঘ গতিতে। মানুষ বুড়ো হয়, তারপরে মরে যায়। সেই অলঙ্ঘনীয় নিয়মেই মাহ্‌বা যৌবনে পদার্পন করে আর তার আশ্রয়দাতা সিরিয় পাদ্রী একদিন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান। মানুষ তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করে। এবার, মাহ্‌বা মুখ খোলে। বলে, "এ ব্যক্তি অসৎ ছিল! সে ছিল তোমাদের অর্থের আত্মসাতকারী।" তারপরে সে ঐ পাদ্রীর লুকানো ধনভান্ডারের খোঁজ জানিয়ে দেয় সবাইকে।

এখানে লক্ষ্যনীয়, ধর্মের ব্যাপারে জীবনে প্রথম যে ব্যক্তির কাছে মাহ্‌বা তালিম নিলেন, সেই অসৎ প্রতিপন্ন হল। অথচ, তিনি ধর্ম ছেড়ে দিলেন না। তাঁর কাছে বোধকরি, পথিকের চাইতে পথের গুরুত্ব বেশী ছিল। এই বিচক্ষনতাই তাঁকে শেষপর্যন্ত সত্যের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল।

এরপরে নতুন পাদ্রী এসে আগের পাদ্রীর স্থলাভিসিক্ত হন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। মাহ্‌বা তাঁর কাছেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এবং আগের মত সৎ কর্ম ও জ্ঞানের সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।

একদিন ইনিও পরপারে পাড়ি জমান। যাবার আগে উত্তর ইরাকের ‘মসূল’ (নিনেভা) শহরের পাদ্রী জিরোমের ঠিকানা দিয়ে যান মাহ্‌বাকে। মাহ্‌বা চলে যান মসূল। ইতিমধ্যে তাওরাত ও ইঞ্জিলে তাঁর ইর্ষনীয় বুৎপত্তি অর্জিত হয়েছে। এখানে এসে তিনি খৃষ্ট্রীয় বিভিন্ন দল সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। তারপর একদিন, জিরোমও মারা যান। কিন্তু, মাহ্‌বার সত্যের অনুসন্ধান থেমে যায় না। জিরোমের ইচ্ছানুযায়ী তিনি চলে যান দক্ষিন তুরস্কের ‘নিসিবিস’(নুসাইবিন)।

নিসিবিসের পাদ্রীর তিরোধানের পর তাঁর আশ্রয় মিলল ’আমুরিয়া’র(অ্যামোরিও) আরেক পাদ্রীর কাছে। জ্ঞানার্জন থেমে থাকল না। কিন্তু, আমুরিয়ার পাদ্রীর অন্তিম মূহুর্তও একদিন ঘনিয়ে এল। আজন্ম সত্যের পথিক মাহ্‌বা ব্যকূল হৃদয়ে জানতে চাইলেন, এবার তিনি কোথায় যাবেন?

মৃত্যু পথযাত্রী পাদ্রী স্বীকার করে নিলেন যে, মূল খৃষ্টধর্মের আর কিছুই অবিকৃত নয়। খোদার পক্ষ হতে নতুন এক পথ নির্দেশিকা আসার সময় সন্নিকটে। তাওরাত আর ইঞ্জিলের প্রতিশ্রুত ‘সেই নবী’র আবির্ভাবের সময় ঘনিয়ে এসেছে। তিনি আবির্ভূত হবেন আরবভূমি হতে এবং জন্মস্থান ছেড়ে এমন এক স্থানে চলে যাবেন যার দু’দিকে রয়েছে কাঁকরময় জমি আর মধ্যস্থলে খেজুর বাগানের সমারোহ। তিনি দান গ্রহন করবেন না কিন্তু উপহার নেবেন। আর তাঁর পিঠে থাকবে নব্যুয়তের সুস্পষ্ট চিহ্ন (মোহ্‌রে নব্যুয়ত)। মুমূর্ষু পাদ্রী উপদেশ দিয়ে গেলেন যেন সম্ভব হলে মাহ্‌বা সেখানে চলে যান।

সত্য সন্ধানী মাহ্‌বা উৎসূক হয়ে উঠেন। প্রায় পঞ্চাশ বছরের পৌঢ় যৌবনের উদ্দীপনা নিয়েই পথ খুঁজতে থাকেন, কীভাবে যাবেন আরবে? কিছুই চেনেন না, কাউকেই জানেন না!

পথের দিশারীই পথ দেখিয়ে দেন। সেই গ্রীষ্মেই হঠাৎ করেই আরবীয় এক ঘোড়া ব্যবসায়ীদলের সাথে পরিচয় হয়ে যায় তাঁর। সারাজীবনের কায়িক পরিশ্রমে অর্জিত যৎসামান্য সম্পদের বিনিময়ে তাদের কাফেলায় যোগ দিয়ে পাড়ি দূর্গম মরু পথ। ভাবেন, সুদীর্ঘ জীবনের অনুসন্ধান শেষে ঐ বুঝি দেখা যায় আরবের মরুদ্যান!

(৩)
কিন্তু, কুদরত মাহ্‌বার সত্যানুসন্ধিৎসার আরো পরীক্ষা নেবেন বলে ঠিক করলেন বোধ হয়। ওয়াদিউল ক্বুরা (Waadi al-Quraa)পৌঁছেই সঙ্গীরা বিশ্বাসঘাতকতা করে বসে। দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয় এক ইহুদীর কাছে। কিছুদিন পর সেই ইহুদীও তাঁকে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। এভাবে হাত বদল হতে থাকেন মাহ্‌বা। সবশেষে এসে পড়েন ইয়াসরিবের নিকটে বসবাসরত এক ইহুদী উসমান বিন আশেলের (Uthman bin Ashhel) হাতে। তাঁর হাতে নিজেকে স্বাধীন মানুষ হিসেবে প্রমান করার জন্য কোন সাক্ষীই ছিল না। তারউপর, ইয়াসরিবের খেজুর বাগান আর দু’পাশের মরুভূমি তাঁকে আমুরিয়ার সেই পাদ্রীর নির্দেশিত স্থানকে মনে করিয়ে দেয়। আশায় বুক বেঁধে উচ্চবাচ্য না করে তিনি এখানেই থেকে যান।

বছর পেরিয়ে যায়। উসমান তার ক্রীতদাসের উপর খুবই সন্তুষ্ট। মাঝবয়সী লোকটা, অনেক খাটতে পারে, কথা কম বলে, অথচ যখন বলে তখন সেখান হতে জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার দ্যুতি ছড়ায়। এদিকে, মাহ্‌বার মনে শান্তি নেই। কবে আসবেন সেই নবী?

একদিন। মাহ্‌বা মনিবের কাছেই দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। এমন সময়, মনিবের এক আত্মীয় দৌড়ে এসে খবর দেয় যে মক্কা হতে ইয়াসরিবে মুহাম্মাদ (স) নামে এক ব্যক্তি সঙ্গী-সাথী সহ এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি নিজেকে নবী দাবী করছেন আর ইয়াসরিবের বিবদমান দুই গোত্র আউস আর খাজরাজ শত বছরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে গিয়ে তাঁকে বরণ করে নিয়েছে। ভক্তি আর ভালবাসার নিদর্শনস্বরূপ তাঁরা ইয়াসরিবের নাম বদলে নবীর শহর (মদীনাতুন্‌ নবী)- মদীনা নাম দিয়ে ফেলেছে!

সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে মাহ্‌বার। এই কি তিনি? তাঁর চার দশকের পরিব্রাজকের জীবনের কি সমাপ্তি হতে যাচ্ছে?

পরদিনই সুযোগ বুঝে মাহ্‌বা মদীনায় মুহাম্মাদের(স) কাছে হাজির হন। সঙ্গী-সাথী পরিবেষ্টিত তাঁর কাছে তিনি সাথে করে আনা কিছু শুকনো খেজুর দান হিসেবে উপস্থাপন করেন। মুহাম্মাদ(স) খেজুরগুলো সঙ্গীদের মাঝে বিতরন করলেন কিন্তু, নিজে গ্রহন করলেন না! আরেকদিন, মাহ্‌বা একইভাবে শুকনো খেজুর নিয়ে উপস্থিত হলেন। এবার, তিনি এগুলোকে উপহার হিসেবে দিলেন। মুহাম্মাদ(স) খেজুরগুলো হতে নিজেও খেলেন অন্যদেরও দিলেন! তিন ভাগের দুই ভাগ প্রমান হল। আর এক ভাগ বাকি।

ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌঁছে যাওয়া মাহ্‌বা সুযোগ খুঁজতে থাকেন। একদিন পেয়েও যান। মুহাম্মাদের(স) কাঁধের কাপড় সরিয়ে তিনি চর্মচক্ষে দেখে ফেলেন বহুদিনের আরাধ্য নব্যুয়তের সুস্পষ্ট চিহ্নটি। চোখের পলকে সেখানে চুমো খেয়ে, মাহ্‌বা উচ্চারণ করেন সেই বিপ্লবী মন্ত্র,

"নিঃসন্দেহে উপাসনা পাবার অধিকার একমাত্র আল্লাহরই আর মুহাম্মাদ তাঁরই পাঠানো বার্তাবাহক”।"

لا إله إلا الله محمد رسول الله


তারপরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ অশ্রু অধরাকে ছুঁয়ে দেবার আনন্দাশ্রু, এ অশ্রু অলখের দেখার পাবার আনন্দাশ্রু।

কান্নাবিজড়িত কণ্ঠেই সারাজীবনের পথ চলার ইতিহাস জানান মহানবীকে(স)। মহানবী(স) আল্লাহর সন্তুষ্টিজ্ঞাপন করেন আর মাহ্‌বার নতুন নাম দেন 'সালমান'’। আরবিতে পারস্যকে বলে ফারেস আর তাই সালমান পরিচিত হয়ে উঠেন সালমান আল ফারসী (Salman, the Persian: سلمان الفارسي) নামে।
(৪)
সত্যের অনুসন্ধানে বিজয়ী হলেন তিনি। জরথ্রুষ্টধর্মাবলম্বী হিসেবে জীবন শুরু করে খৃষ্টধর্ম হয়ে সবশেষে বাকী জীবন ইসলামের পদতলেই কাটিয়ে দেন। খন্দকের যুদ্ধে মহানবীকে(স) পরিখা খননের পরামর্শ তিনিই দেন যা কাফিরদের চমকে দেয়। পবিত্র কুরআনের কিছু অংশ ফারসীতে তরজমা করে তিনিই হন কুরআনের প্রথম অনুবাদকারী। অথচ, নিজের পরিচয় দেবার বেলায় তাঁর সাহসী উচ্চারণ, "আমি ইসলামের সন্তান, আদমের বংশধর”।" এভাবে, পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত সকল আদম সন্তানের জন্য সত্যানুসন্ধিৎসার এক অনন্য নজির রেখে গেলেন হযরত সালমান ফারসী(রা)।

সহায়িকাঃ
১. মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হাদিস
২. উইকিপিডিয়া
৩. ইজেডসফট্‌টেক.কম
৪. রাসূলের(দ) প্রবীনতম সাহাবী হযরত সালমান ফারসী(রা)- নুরুজ্জামান মানিক
৫. সত্যসন্ধানী হযরত সালমান ফারসী(রা)- রওশন আখতার
৬. The Search for the Truth by a Man Known as Salman the Persian- Dr. Saleh as-Saleh
৭. Salman the Persian : A Short Story of His Life (Salman al-Farsi)- Sayed A.A. Razwy





তায়েফ আহমাদ

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম