অধ্যায় ০৮ : পদলোভীর মিথ্যাচার

ইখওয়ানের নেতৃত্বের পদাকাক্সী শাইখ ইমাদ দেখতে পেলেন তার মনে নেতৃত্বের যে বাসনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তাকে তা থেকে বঞ্চিত করে নতুন এক ব্যক্তিকে সেই আসনে বসানো হয়েছে। তার পে কোনো ভাবেই এটা মেনে নেয়া সম্ভব ছিল না। কারণ “সুতারে”র চেয়ে নিজেকে অধিক যোগ্য, পাণ্ডিত্যের অধিকারী ও নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন ব্যক্তি বলে মনে করে থাকেন। জ্ঞান, পাণ্ডিত্য ও যোগ্যতার প্রশ্নে কোথায় শাইখ সাহেব ও কোথায় “কাঠমিস্ত্রি” সাহেব। একদিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি অপর দিকে খ্যাতিমান কবি। বক্তৃতার ক্ষেত্রে তার পারঙ্গমতা সর্বজন বিদিত। সাংগঠনিক কাজের বিস্তৃতির ক্ষেত্রেও ছিলেন যথেষ্ট যোগ্যতা ও দতার অধিকারী। মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার দতা ছিল নজর কাড়ার মত। সুতরাং সংগঠনের এ পদটি দখলের জন্য তিনি যথারীতি পরিকল্পনা করতে থাকেন।

অতএব , এই ল্য অর্জনে তিনি ঐ সব বন্ধুর সাহায্য নেয়ার চেষ্টা করেন , যাদের সাথে প্রথম থেকেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলেছিলেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ভাই আব্দুল্লাহ। তাকে তিনি বিশেষ বন্ধু হিসেবে বেছে নিলেন। সুতরাং তিনি তাকে সব সময় আয়নায় দেখতে থাকেন এবং তার অন্তরে কুমন্ত্রনা দিয়ে যেতে থাকেন। চাতুর্যের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ইখওয়ানের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। এসব তৎপরতার ল্য ছিল যাতে তিনি সহকারীর পদ ও একই সাথে ইমামতির দায়িত্ব পেয়ে যেতে পারেন। সহজ সরল ও সাদা দিলের ইখওয়ানীরা তার এ গোপন উদ্দ্যেশ্যের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকেন।

ভাই আব্দুল্লাহ শাইখের এই আকাক্সার কথা বন্ধুবান্ধবের কানে পৌঁছাতে থাকেন। তার এসব কথায় দু’ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দাবিটি যে অন্যায়-কেউ কেউ তাকে এ কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন। আবার কেউ কেউ তার কথায় প্রভাবিত হয়ে তার প্রতি সমব্যথি হয়ে পড়েন। আরো তিনজন ইখওয়ানী বন্ধু তাদের সাথে সুর মেলান। এর কারণ হলো “তাদের মধ্যে পারস্পারিক বন্ধুত্ব ও শাইখের কুমন্ত্রনার প্রভাব।” আরো একটি কারণ ছিল তারা ব্যক্তিগতভাবে শাইখ আল জাদাওয়ীকে পছন্দ করতেন না। শাইখ আল জাদাওয়ী যে অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেটাকে তারা সহ্য করতে পারতেন না। তারা তাকে হিংসা করতেন। কিন্তু তারা তাদের সকল অপকর্মকে আন্দোলনের জন্য কল্যাণকর রূপে প্রকাশ করে অতি উত্তম পোশাকে সুসজ্জিত করার অপচেষ্টা চালাতেন।

শাইখ হাসানুল বান্না পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শয়তানী প্ররোচনায় তাদের মন মগজে বিষয়টি বদ্ধমূল হয়েছিল যে, শাইখ ইমাদ উদ্দীনকে ঐ পদে বসানোর মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এ ব্যাপারে হাসানুল বান্নার সব ধরনের চেষ্টা ও সাধনা ব্যর্থ হয়ে যায় এবং তারা নিজেদের চিন্তা ভাবনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকেন। প্রকৃতপে এটিই সেই জানালা বা ছিদ্রপথ যার মাধ্যমে শয়তান ইমানদার মানুষের অন্তরে প্রবেশ করে। তাদের ইমানের সত্যতা ও অন্তরের পবিত্রতা নষ্ট করে দেয়।

ওস্তাদ হাসানুল বান্না তাদের বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতেন। কেনো না এসব লোক আন্দোলনের প্রথম যুগে এসেছেন এবং আন্দোলনের জন্য এদের প্রচুর ত্যাগ ও নিষ্ঠা রয়েছে। তিনি কখনোই কামনা করতেন না যে, এতো পরিশ্রম ও চেষ্টা সাধনায় গড়ে তোলা কর্মীবাহিনী ধ্বংস হয়ে যাক। তিনি মনে করতেন, এতো কষ্টে গড়ে তোলা ব্যক্তিদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অধিকতর পরিশ্রম, কষ্ট, প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞতার পরিচয় দেয়া উচিত।


সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে দ্রুত কোনো পদপে গ্রহণ সঠিক হবে না। কিংবা রাতারাতি তাদের সংগঠনের বাইরে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না। বরং তিনি এমন পথ বেছে নিলেন যা উত্তম ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। একদিন তিনি শাইখ ইমাদ দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের ডেকে জিজ্ঞেস করেন “আপনারা কি চান?” “আমরা শুধু এটাই চাই যে, আপনি আপনার সহকারীর পদে শাইখ আলী আল জাদাওয়ীকে বসাবেন না।” “খুব ভালো কথা” হাসানুল বান্না বললেন। “এটাইতো আপনাদের চাওয়া?” কিন্তু এর বিপরীতে আপনাদের অন্য ভাইদের চাওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং তারাই শাইখ আলী আল জাদাওয়ীকে নির্বাচিত করেছেন। “আমি যদি আপনাদের বাসনা পূর্ণ করি তাহলে এর দ্বারা আপনাদের ঐ সকল ভাইয়ের বাসনা অপূর্ণ করা হয়।” “কখনই না”তারা বলতে থাকেন, “সব ইখওয়ান সভায় উপস্থিত ছিলেন না। যদি সবাই উপস্থিত থাকতেন তবে তাদের রায় অন্য কিছু হতো। সভা তাৎণিকভাবে ডাকা হয়েছিল এবং সভার উদ্দেশ্যও স্পষ্ট ছিল না”। হাসানুল বান্না তাদের প্রশ্ন করেন, যদি নতুন করে সবাইকে ডাকি? সবার কাছে সভা আহ্বানের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করি এবং সবাইকে খোলাখুলিভাবে নিজের মতবাদ প্রকাশের সুযোগ দেই তাহলে কি আপনারা দলের মতামত মেনে নিবেন? তারা সমস্বরে বলে ওঠেন জ্বী জ্বী অবশ্যই। তাদের সম্মতির পর হাসানুল বান্না বলেন, খুব ভালো কথা এতে কোনো তি নেই। আসুন আমরা সবাই এ বিষয়ে আল্লাহর নামে শপথ করি।

সবাই শপথ নিলেন এবং সভার সময় নির্ধারণ করা হলো। চিঠির মাধ্যমে সভার ল্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করা হলো। সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সহকারী নির্বাচনের ব্যবস্থা হলো। দেখা গেলো নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি ছাড়া বাকি সবাই আলী আল জাদাওয়ীকে সমর্থন করেছেন।

এেেত্র তারা বিস্ময়কর ঐক্যের পরিচয় দিয়েছেন। নির্বাচিত হবার পর আলী আল জাদাওয়ী গভীরভাবে চিন্তা করে সংগঠন থেকে মাসোহারা না নেয়া এবং বিনা পারিশ্রমিকে মসজিদে ইমামতি করার ঘোষণা দেন। এতে ইখওয়ান কর্মীদের মনে বিরাট প্রভাব পড়ে। আলী আল জাদাওয়ীর এ ঘোষণায় এবং তার ব্যাপারে সর্বসম্মত ঐক্য দেখে প্রতিপ বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সিদ্ধান্তের পর ইখওয়ান কর্মীরা তার ব্যবসা চালু রাখার জন্য একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন। তিনি যাতে সব সময় মসজিদ ও মাদরাসার কাছেই থাকতে পারেন সে ল্েয তার ওয়ার্কশপ চালাতে মসজিদের একটি দোকান খালি করে দেয়া হয়।

মনোজগৎ এমনি একটি স্থান সেখানে যদি প্রবৃত্তি পূজা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তাহলে সে কল্যাণের বিরুদ্ধে অন্ধ ও সত্য শ্রবণের ব্যাপারে বধির হয়ে পড়ে। এখানেও এধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়। তারা খুব দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দেয় যে তারা পাঁচ’শ লোককে সমবেত করবে। এর মধ্যে শতকরা পাঁচজন লোকও যদি তাদের প না নেয় তাহলে মেনে নিবে যে, তারা ভুল পথে রয়েছে। বিরোধীরা সমাবেশ থেকে বের হয়েই তাদের শাইখের কাছে চলে গিয়ে সেখানে যা যা ঘটেছে তা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা শুরু করে দেয়। আত্মগরিমা, একগুয়েমী ও হঠকারিতা তাদেরকে ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করে। তারা সত্যের এই আন্দোলনের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা এ অশুভ তৎপরতাকে কল্যাণ ও সমবেদনার চাদর পরিয়ে নেয়।

তারা অপপ্রচারে নেমে পড়ে। বলতে শুরু করেন, এসময় হাসানুল বান্নার প থেকে আন্দোলনের কাজ কোনো ইখওয়ানীর দয়া ও অনুগ্রহের উপর ছেড়ে দেয়া, দাওয়াতী কাজের জন্য বিপদজনক। মসজিদ ও কেন্দ্র নির্মাণের প্রেেিত ব্যবসায়ীদের কাছে ইখওয়ানের সাড়ে তিনশ’ পাউন্ড ঋণ রয়েছে। যদি পাওনাদার ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যক্তি বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে তারা এক্ষুণি এসে পাওনা চেয়ে বসবেন এবং তাদের কথাতেই আমাদের সুনাম সুখ্যাতির উপর কালিমা লেপন হয়ে যাবে। যখন সকল দায় দায়িত্বের বোঝা সহকারীর উপর চাপিয়ে দিয়ে হাসানুল বান্না এখান থেকে বদলী হয়ে যাবেন তখন সহকারী সাহেব কি এসব দায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়ার যোগ্যতা রাখেন? এটাইকি সঠিক নয় যে, সহকারী একজন সাহসী ও সম্পদশালী ব্যক্তিকে নির্বাচন করা। এতে তিনি সামনে আসা অকল্যাণ ও বিপর্যয় থেকে আন্দোলনকে রা করতে পারবেন।

ধীরে ধীরে এই কথাগুলো সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। হাসানুল বান্না সুধারণার বশবর্তী হয়ে চিত্রের ভালো দিকের প্রতি অগ্রাধিকার দিতেন এবং ছোটখাটো অপবাদকে এড়িয়ে গিয়ে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতেন। সুতরাং তিনি ঋণদাতা ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে চারজন ব্যবসায়ীর পাওনার দায়িত্ব তাদের মধ্যে যেকোনো একজনকে গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। তারা বিষয়টি মেনে নেন।

এই ঋণের দায়িত্ব যিনি গ্রহণ করে তাকে হাসানুল বান্না জানান যে, তার এই ঋণ দীর্ঘ মেয়াদি কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। অর্থাৎ প্রতিমাসে তাকে আট পাউন্ড করে পরিশোধ করা হবে। ঐ ব্যবসায়ী হাসানুল বান্নার এ প্রস্তাবও মেনে নেন। সম্পূর্ণ পাওনা আদায়ের ব্যাপারে হাসানুল বান্না নিজের প থেকে তাকে অঙ্গীকারনামা লিখে দেন। এর সাথে তিনি তাদের কাছ থেকেও এ স্বীকারোক্তি আদায় করেন যে ইখওয়ানের কাছে কারো কোনো পাওনা নেই। এসব কর্ম সম্পাদনের পর ঐ চার বিরোধী ব্যক্তি ছাড়া বাকি ইখওয়ানকে তিনি ডেকে এনে সব ঘটনা খুলে বলেন, এসব শোনার পর ঐ চার অপপ্রচারকারীর হাতের শিকার ফস্কে যায়। আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কৌশল ধসিয়ে দেয়া হয়।

অপপ্রচারকারীরা লজ্জিত হয়ে বলতে থাকে, ওস্তাদ আপনি কেনো নিজের উপর এত বড় বোঝা চাপিয়ে দিলেন? এটাকি কোনো মনুষ্যত্বের কথা হলো যে, আমরা আপনার উপর এত বড় বোঝা চাপিয়ে দিব? এ কল্যাণকর কাজের জন্য অবশ্যি আপনার বিনিময় পাওয়া উচিত।

মনে করুন আপনি আকস্মিক বিপদে পড়লেন এবং এই ঋণ পরিশোধ করতে পারলেন না, তখন প্রতিকার কি হবে? তাদের এই সব চাটুকারিতায় বিভ্রান্ত না হয়ে হাসানুল বান্না জবাব দেন, “বিষয়টা এখন যেহেতু আমার ব্যক্তিগত তাহলে এটা আমার উপরেই ছেড়ে দিন”।

বাকি থাকে কিস্তি আদায়ের বিষয়টি। জেনে রাখুন! কিস্তি এমনভাবে নির্ধারণ করেছি যা আদায় করা আমার আওতা বহির্ভূত নয়। এসব কর্মকাণ্ডের ভিতরে একজন মুসলমান হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছি। নিজের জাতি ও দ্বীনের স্বার্থে অর্থ ব্যয় করা আমার জন্য আবশ্যিক বিষয়।

অতএব আমার বিষয় নিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের মধ্যকার ঐক্য চিরস্থায়ী হোক-এটাই যথেষ্ট।

হাসানুল বান্নার এ ধরনের বক্তব্যের পর ঐ সব লোকের কিছু বলার বা করার কোনো সুযোগ অবশিষ্ট ছিল না। তাদের মধ্যে যিনি অর্থবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার এই ইচ্ছা সাথে সাথে মঞ্জুর করা হয়। যখন তিনি অর্থবিভাগের লোহার আলমারির চাবি নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিকে হস্তান্তর করেন তখন তার অবস্থা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মত হয়ে পড়ে। চাবি হস্তান্তর কালে তিনি বলেন, এই নিন চাবি! ইনশাআল্লাহ এখন বায়তুল মাল উজাড় হয়ে যাবে। তার এই কথার প্রতিক্রিয়ায় হাসানুল বান্না বলেন, এই যে ভাই! এমনটি হবে না। আল্লাহর রহমতে এই সিন্দুক সব সময় ভর্তি থাকবে।

ইসমাইলিয়ার সম্মানিত ও দাতা ব্যক্তিবর্গ জানতে পারেন যে হাসানুল বান্না পঁয়তাল্লিশ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন। ইসামাইলিয়ার সম্মানিত ও ইখওয়ানের প্রতি ভালোবাসা পোষণকারী দাতা ব্যক্তি শাইখ মোহাম্মদ হোসাইন জমলুত শহরের দাতা ব্যক্তিদের নিজের বাড়িতে আহ্বান করেন। তারা এই ঋণ পরিশোধের ল্েয চার’শ পাউন্ড সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত অর্থের মাধ্যমে ঋণের সব কিস্তি পরিশোধ করে কিছু অর্থ বেঁচে গেলে তা বায়তুল মালে জমা করা হয়।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম