শহীদ মুনিরা - বাংলার জমীনে শাহাদাতের পথ প্রদর্শনকারী প্রথম ছাত্রী বোন

নাম না জানা এক শহীদ বোন
যাত্রাবাড়িতে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার এক বোন শহীদ হয়েছেন গত পরশু (০৬.০২.২০১৫)। তামিরুল মিল্লাতের ছাত্রী এই শহীদ বোনের নাম ‪‎সাদিয়া‬। বাংলাদেশে ইসলামের জন্য নারী শাহাদাতের সূচনা বলে এই ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন অনেকে! কথাটা ভুল। আপনারা আপনাদের আরেক শহীদ বোন ‪মুনিরার‬ কথা ভুলে গেছেন? শহীদ মুনিরার দেখানো পথেই হেটেছে শহীদ সাদিয়া। শহীদ মুনিরা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই কোথাও। যেটুকু পেলাম...



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন শহীদ মুনিরা বেগম। ১৯৯২ সালের ১৯ জুন ঘাদানিকরা হরতাল ডাকছিলো, এমনই হরতাল যে তার প্রচারের জন্য আবার মাইকিং করা লাগে। সেই মাইকিংকারী সন্ত্রাসীদের সাথে ছিল বোমা ও ছোরাজাতীয় অস্ত্র। শহীদ মুনিরা তার খালাসহ প্রধান সড়ক হয়ে রিকসায় বাসায় ফিরছিলেন। রিক্সাটি স্থানীয় রেশম কারখানার নিকট ঘাতকদের রিক্সা অতিক্রম করার পর পরই ওরা বোমা হামলা করে। বোমাটি তাদের রিক্সায় গিয়ে পরে এবং বিস্ফারিত হয়। বোমার আঘাতে মুনিরার মাথার পিছনের অংশ উড়ে যায় এবং সারা শরীর ক্ষত বিক্ষত হয। গুরুতর আহত অবস্থায় মুনিরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং একটানা ১৭ দিন যন্ত্রনা সহ্য করার পর ৬ জুলাই ১৯৯২ সালে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ মুনিরা ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কর্মী ছিলেন।

শহীদ মুনিরা কিংবা শহীদ সাদিয়া আমাদের পরিচিত চেনাজানা বোন, যারা ইসলামী আন্দোলনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেছেন। কিন্তু তাদেরকেই এই জনপদের ‪‎একমাত্র‬ নারী শহীদ বলে আখ্যা দেয়া ঠিক না। আমাদের জানাশোনার বাইরে আরো কত শহীদ এখানে ঘুমিয়ে আছেন, তা আল্লাহই ভালো জানেন। আপনারা কি বিগত বছরগুলোতে রাজপথে টেনে হিঁচরে নেয়া ঐসব মৃত নারীদের দেখেন নি, যারা জালেমের ট্রাইব্যুনালের মিথ্যা রায়গুলোর প্রতিবাদ করতে এসে ঘাতকের বুলেটে জীবন দিয়েছে?

আল্লাহ আমাদের সঠিক শব্দচয়ন ও সত্যি ইতিহাস জানার তৌফিক দান করুন!

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম