তামিরুল মিল্লাত থেকে গতবছর আলীম পাশ করেছেন বোন সাদিয়া। ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজে পড়াশুনারত থেকে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইউনিভার্সিটির জন্য। ঢাকার পশ্চিম যাত্রাবাড়িতে বাসা। সাদিয়ার বাবা আবু ইউসুফ ও মা ফৌজিয়া বেগম জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সদস্য ছিলেন। সাদিয়ার ছোট দুই ভাই রয়েছে। ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কর্মী সাদিয়াকে স্থানীয় ছাত্রলীগের খুনীরা গত ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে বাসায় এসে ছুরি মেরে হত্যা করে!
খুনীরা শুক্রবার বিকেলে সাদিয়ার বাবা আবু ইউসুফকে হত্যা করার উদ্দেশে গোলাপবাগস্থ বাসায় আসে। এই বাসায় দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে তারা। এলাকার প্রতিটি লোক সাক্ষী দিচ্ছে, সাদিয়ার বাবা ছিলেন একজন নির্বিবাদী ভদ্র ও নীরিহ লোক। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী হওয়াই ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের কাছে তার একমাত্র অপরাধ! চলমান বিরোধী জোটের আন্দোলন নস্যাতে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী প্রশাসনের ঘোষিত হত্যা-ক্রস্ফায়ার-গুমের নীতিমালা বাস্তবায়নে অংশ নিতেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবু ইউসুফকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আবু ইউসুফ ছোটছেলে খালিদকে নিয়ে জুম্মা নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। জোবায়েরও বাসায় ছিলোনা। সাদিয়ার বৃদ্ধা নানী ও মা ছিলেন বাসায়। ডিস লাইনের কাজ করার অজুহাত দেখিয়ে সন্ত্রাসীরা বাসায় প্রবেশ করে আবু ইউসুফকে খুজতে থাকে। তাকে না পেয়ে বাসার আসবাব ভাংচুর করে লুটতারাজ চালাচ্ছিলো ওরা। সাদিয়ার নানীকে একটা ঘরে আটকে রেখে ডিসের তার দিয়ে সাদিয়ার মাকে বাঁধার চেষ্টা করে, এসময়ে সাদিয়া চিতকার করলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তার পেটে ছুরি চালিয়ে কোপাতে শুরু করে।
সাদিয়ার চিতকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সাদিয়া ও সাদিয়ার মা দুজনই তখন ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত, রক্তে ভেসে গেছে বাসার ফ্লোর। স্কার্ফ পেচিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করে প্রতিবেশিরা, নিয়ে যায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, শাহজাহানপুরে। সন্ধ্যা ৭টার সময় বোন সাদিয়া শাহাদাত বরন করেন। তার মা ফৌজিয়া বেগম এখনতক জানেন না মেয়ে চলে গেছে আল্লাহর কাছে। তিনিও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন...
শনিবার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল চত্ত্বরেই সাদিয়ার জানাজা হয়। গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের ঢামুডা উপজেলার গড়োয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমাদের বোনকে দাফনের জন্য।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ছিলো সাদিয়ার। এসএসসি ও এইচএসসি, দুই লেভেলেই জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। মধ্যবিত্ত বাবা টেনেটুনে সংসার চালালেও একমাত্র কন্যার লেখাপড়ায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে দেননি কখনও। মেডিক্যালে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষাও দিয়েছিলেন সাদিয়া। কিন্তু উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই বলে স্বপ্ন ভেঙে যায়নি তার। সাদিয়া তার বাবাকে বলেছিলো, আব্বু, আমি আবার পরীক্ষা দেব। আমাকে ডাক্তার হতেই হবে। ।
Family and well-wishers mourn as details emerge into the brutal murder of Iffatuddoha Sadia, a teenage student and daughter of an opposition member killed in Jatrabari, Dhaka yesterday (Friday February 6, 2015). Interviews of witnesses and associated individuals conducted by Progress Bangladesh have revealed the following details of the incident.
Neighbours report that Sadia’s house was raided by three ruling party activists of Bangladesh Chattra League on Friday afternoon at 3pm. The men were seeking her father, a local member of the opposition party Jamaat-e-Islami. They also demanded keys to access and loot the family wardrobes, which Sadia’s family refused to give. When the intruders could not find the father and were not given access to the wardrobes, the three men proceeded to vandalise and violently destroy property within the house. The men also locked away Sadia’s elderly grandmother. At this, Sadia began to call for help, yelling “Criminals! Criminals!” The three men then turned on her and her mother, attacking them with knives and stabbing them repeatedly. At the sound of the commotion, local people approached the house at which the attackers fled.
Sadia was stabbed multiple times including in the stomach. There are also troubling reports emerging of other violations. A family neighbor used a scarf to wrap her stomach and took her to Islami Bank Hospital in Kakrail. Sadia was operated on, but the doctor was unable to save her. She passed away at around 7pm on the same day.
Sadia was a 19 year old student of National Ideal College in Dhaka. She had previously attended school at Tamirul Millat Madrassa, a notable religious seminary which specialises in combined studies in national curriculum and religious education, from which she had graduated as an alima (religious scholarly qualification). She had been preparing to begin studies at university. She was also a member of Chattri Shongstha, the female student wing of opposition party, Jamaat-e-Islami.
Sadia’s funeral took place today (Saturday February 7, 2015) at the garage of Islami Bank Hospital in Kakrail with around 50 people in attendance. Attendees report the proceedings were extremely emotional for all present. Sadia’s body was then transported by family members to her family village home of Faridpur for burial. Forced into hiding, her father was unable to attend his daughter’s funeral. Many opposition members across the country have been forced into hiding due to the ongoing brutal crackdown by the ruling Awami League government.
Sadia’s mother, a member of opposition Jamaat-e-Islami women’s branch, was also taken to hospital where she has been operated on and remains in critical condition. She is fighting for her life at Dhaka Medical Hospital’s Intensive Care Unit. The mother is reportedly in and out of consciousness and constantly vomiting when regaining consciousness. In her critical state, family have been forced to shield her from the news of her daughter.
Police and ruling party men have reportedly overrun Jatrabari, the location of Sadia’s home, making conditions insecure and access to the region difficult. Locals on conditions of anonymity have reported that police have been ordered to raid all houses and to shoot and kill opposition members on sight. Jattrabari residents, including families of women and children, are accordingly living in terror for their lives. Earlier today Deputy Inspector General of Dhaka, S.M. Mahfuzul Haque Nuruzzaman, instructed police to kill the families of opposition protesters.
0 comments: