খেজুর গুড় দিয়ে পায়েস করতে গেলে অনেক সময়ই দুধটা ফেটে যায়। সে ক্ষেত্রে দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে গুড় মেশাতে হবে। এবার আর একবার ফুটিয়ে নিলেই চমৎকার গন্ধ হবে।
লুচির ময়দায় ময়ান মিশিয়ে যখন দেখা যাবে মুঠো পাকালে ময়দা ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে ময়ানের পরিমাণ ঠিক হয়েছে।
আচার তৈরি করার আরও একটি ভালো উপায় হলো তেল প্রথমে গরম করে নিয়ে তারপর ঠান্ডা করে ব্যবহার করা, এতে ছাতা পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। কাঁচা তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
আচার তৈরি করার সময় তেলে সব সময় একটু ভিনেগার মিশিয়ে নিন। আচার ভালো থাকবে এবং আম অথবা যে জিনিসেরই আচার হোক না কেন টুকরোগুলো আস্ত থাকে।
অনেক রান্নাতেই চিনাবাদম অথবা কাজু বাদামের ভাজার কথা বলা থাকে। কিন্তু বাদাম ভাজতে গেলে প্রচুর তেল লাগে। এত তেল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। বাদামে সামান্য তেল মাখিয়ে শুকনো তাওয়াতে নাড়াচাড়া করে নিলে তেল লাগবে অনেক কম।
মরিচ কাটলে বা বাটলে হাত অসম্ভব জ্বালা করে। ঠান্ডা দুধের সর লাগান। জ্বালা জমে যাবে। অথবা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ধুয়ে নিন। হাত পুড়ে গেলেও তখনি ঠান্ডা দুধ দেবেন। ফোসকা পড়বে না, জ্বালাও কমে যাবে।
সালাদে বা অন্য কোনোভাবে কাঁচা শাকসবজি খেতে হলে সেগুলো ধুয়ে সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ভিজার পর তবেই ব্যবহার করবেন। এতে জীবাণু সংক্রমিত হয় না।
কেক বানাতে গিয়ে যদি দেখেন ডিম নেই, ঘাবড়াবেন না। প্রতিটি ডিমের বদলে এক টেবিল চামচ দুধ ও দুই চা চামচ কর্নফাওয়ার ব্যবহার করুন।
চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামি দাগ তুলতে হলে লবণ দিয়ে মাজুন।
মাসের মধ্যে কমপে দুবার গ্যাসের বার্নার, কিছুক্ষণ কোরোসিনের তেলে ডুবিয়ে রাখলে বার্নারের ফুটোয় ময়লা জমবে না।
পোড়া দাগ যদি খুব পুরনো হয়ে যায় তাহলে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা, আধাকাপ ভিনেগার আর এক কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে দশ মিনিট ফোটান, এরপর ভালোভাবে ধুলেই দাগ উঠে যাবে।
পাতলা কাঁচের থালা পরিষ্কার করার জন্য কখনো পানিতে ডোবাবেন না। ফেটে যেতে পারে। ভিনেগার দিয়ে পরিষ্কার করলে ঝকঝকে থাকবে।
স্টেনলেস স্টিলের প্লেটের গায়ে লেগে থাকা দাগ পরিষ্কার করতে চাইলে একটুকরো সাদা কাপড় ভিনেগারে ডুবিয়ে ঘষলেই প্লেট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
কিসমিসের গায়ে ছাতা ধরা আটকাতে হলে কিসমিসগুলোকে ময়দার মধ্যে নাড়াচাড়া করে নিন। পরে ধুয়ে নিলেই ব্যবহার করা যাবে।
মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় কাঁটা বিধে যায়। প্রথম কাঁটা বেধা জায়গায় লবণ দিন। ব্যথা কমবে। কাঁটা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবে।
পাটায় ছোট ছোট গর্তে মসলা জমে থাকলে পরিষ্কার হয় না সহজে। কিছুটা বালি দিয়ে বাটুন। পাটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমরা প্রায়ই নানারকম রান্না করি কলাতায় মুড়ে। যেমন ইলিশ মাছের পাতুরি। কাঁচা পাতা ব্যবহারের সময় প্রায়ই ফেটে যায়। কলার পাতাটি আগে আগুনে সেঁকে নরম করে নিন পাতা ফাটবে না।
কোনো অনুষ্ঠানে যদি ভুলবশত প্রয়োজন অতিরিক্ত লেবু কাটা হয়ে যায় তবে অতিরিক্ত লেবুগুলোকে লবণের ডিশে রেখে দিন। বেশ কয়েক দিন ভালো থাকবে।
ফ্রিজে একটি পাতিলেবু টুকরো করে কেটে রেখে দিন। ভেতরের যাবতীয় গন্ধ লেবু শুষে নেবে, ফ্রিজ থাকবে পরিষ্কার।
কোনো কারণে বেশি খাওয়া হয়ে গেলে অন্তত আধঘন্টা ধরে এক গ্লাস গরম পানি একটু একটু করে খাবেন। এতে হজম হয়ে যাবে।
বাদামের খোসা ছাড়াতে গেলে প্রথমে বাদামগুলোকে পাঁচ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রেখে দিন। পানি ঝরিয়ে নিয়ে দেখুন সহজেই খোসা উঠে আসবে।
রান্নার সময় সবজির গন্ধ দূর করতে হলে সামান্য পাতিলেবুর রস বা চিনি মিশিয়ে দিবেন।
চা করার পর চায়ের পাতা ফেলে না দিয়ে বাড়ির মেঝেতে ঘষুন। মেঝে চকচকে হয়ে যাবে।
সরাসরি জ্বারে দিয়ে রুটি না সেঁকাই ভালো। পুরোনো কাপড়ের টুকরো তৈরি করে, তাওয়ার উপরে রাখা রুটির চারপাশে ওই টুকরো দিয়ে চাপ দিলেই রুটি ফুলে উঠবে।
অনেক সময় টক দই, বিশেষ খরে পুরোনো হয়ে গেলে বড্ড বেশি টক হয়ে যায়। সে ক্ষেত্র দই কাপড়ের টুকরোয় বেঁধে বেশ খানিকণ ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তাতে দইয়ে যে পানি থাকে তা ঝরে যাবে। এবার প্রয়োজনীয় মাত্রায় দুধ মেশান। টকদই টাটকা ও মিষ্টি হয়ে যাবে।
ঘিয়ের গন্ধ অক্ষণ রাখতে হলে গিয়ের পাত্রে একটু আখের গুড় রেখে দিন।
আলু সেদ্ধ করার পর এ পানি দিয়ে যদি প্লেট ধোওয়া যায় তাহলে প্লেট ঝকঝকে হবে।
টাটকা পেঁপের ঘন কষ একটা কাঁচ বা ছোট প্লেটে রাখুন। কষ জমে গেলে, কষের সমপরিমাণ লবণ মিশিয়ে রোদে দিন। শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে মুখ বন্ধ শিশিতে রেখে দিন। মাংসের পরিমাণ বুঝে ১/২ চা চামচ বা ১ চা চামচ গুঁড়ো কষ কাটা মাংসে ভালো করে মেখে ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখুন। ঘন্টাখানেক পর মসলা ইত্যাদি দিয়ে যেমন মাংস হয় রান্না করুন। তাড়াতাড়ি মাংস সেদ্ধ হবে। যে সময় বা যে জায়গায় হাতের কাছে কাঁচা পেঁপে নেই অথচ মাংস তাড়াতাড়ি রান্না দরকার তখন ওই গুঁড়োটি কাজে লাগে।
সব রকম ফলই কেটে স্টিলের বাঁটিতে রাখা ভালো, তাহলে কাটা ফল কাল হয় না।
টিনে বা কৌটায় চাল রেখে উপরের দিকে ১-২ আঙ্গুল খালি রেখে নিমপাতা খালি জায়গায় ভালো করে দিয়ে দেবেন। নিমপাতা ছায়ায় রেখে রস শুকিয়ে নেবেন।
লাল গুঁড়ি পিঁপড়ের জ্বালায় যখন কোথাও কিছু রাখার উপায় থাকে না দুধ মিষ্টি যেখানে যা রাখা হয় সব জায়গা লাল পিঁপড়েয় ভরে যায়। তখন হাঁড়ি বা প্লেটে যাতে দুধ মিষ্টি রাখবেন তার গাযে একটু সরষের তেল হাম বা কাপড় দিয়ে লাগিয়ে দিলে আর পিঁপড়ে ধরে না।
সুজি, সেমাই শুকনো কড়াইতে কিছুটা বাদামি করে ভেজে মুখ বন্ধ কৌটায় রাখতে চট করে পোকা লাগে না।
সালাদ বানাবার লেটুস পাতা অনেক সময় নরম ন্যাতার মতো হয়ে যায়। খুব ঠান্ডা পানিতে ২০ মিনিট রেখে তাতে একটু চিনি মিশিয়ে নিলে বা এক টুকরো কাঠকয়লা ফেলে দিলেও নরম ভাব কমে যাবে।
নারকেল কোরার সঙ্গে খুব মিহি করে কাটা ১টি পেঁয়াজ বা ২টি লবঙ্গ ইচ্ছে হলে সামান্য রসুন শুকনো তাওয়ায় ভালো করে নেড়ে ঠান্ডা হলে বোতলে বদ্ধ করে রাখবেন। রান্নায় কখনো কখনো ব্যবহার করে দেখবেন। তাজা নারকেলের চেয়ে স্বাদ কম হবে না।
ঘি বেশি দিন ঘরে থাকলে কেমন একটা কটু গন্ধ হয়ে যায়। ভাত বা তরকারিতেও খাওয়া যায় না। এই রকম ঘি একটি ডেকচিতে বা কোনো প্লেটে ঢেলে দুধ দিয়ে জ্বালে বসান। ঘিয়ের সঙ্গে দুধ জ্বাল দিয়ে দুধ শুকিয়ে যখন ঘিয়ের চাঁছির রং হবে তখন নামিযে ছেঁকে নিন। কটু গন্ধ চলে যাবে।
পেঁপের কষে অনেকের অ্যালাজি হয়। হাতে গুঁড়ি গুঁড়ি ফুসকুড়ি হয়। আস্ত পেঁপে বটি দিয়ে বড় বড় খন্ড করে কেটে একটি প্লেটে পানি নিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখুন। হাত না লাগিয়ে পানি ফেলে দিয়ে আবার পানি নিয়ে খন্ড পেঁপেগুলোর কষ ধুয়ে ফেলে পছন্দমতো টুকরায় কেটে নিন। এতে হাতের অত দূরাবস্থা হবে না।
রান্না তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক ও সামান্য মিষ্টি দিলে লবণাক্ত স্বাদ কমে যবে।
ছোট করে কাটা বেগুনে রান্নার কিছু আগে লবণ মাখিয়ে রেখে কিছুণ পরে কিছু পানি ফেলে দিয়ে ভাজলে, ভাজতে তেল কম লাগে।
দই দিয়ে কষে যে সব রান্না করা হয় তাতে অনেক সময় দই ছানা ছানা হয়ে যায়। দইয়ের সঙ্গে সামান্য ময়দা দিয়ে ফেটিয়ে মসলা কসার সময় দিলে দই ছ্যাঁকরা কম হয়।
যে পানিতে বা কাগজি লেবু চিপলে রস বের হতে চায় না, সেই রকম লেবু কিছুক্ষণ গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ও চিপলে অনেক রস বের হবে।
কাঠের ডিশে লবণ রাখলে বর্ষাকালে লবণের নিচে ব্লটিং কাগজ বা ওই রকম কিছু কাগজ ভাজ করে রেখে দিলে লবণের অনেক পানি কাগজে টেনে নেয়। লবণ মোটামুটি শুকনো থাকে।
আলু গোল না করে কেটে লম্বালম্বি করে কাটলে সহজে সেদ্ধ হয়।
হলুদের গন্ধে অনেক সময় তরকারির স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। লোহার কিছু পুরিয়ে সেটা তরকারির মধ্যে ডুবিয়ে নিলে হলুদের গন্ধ অনেকটা কমে যায়।
রান্নার সময় হাতে অনেক সময় হলুদের ছোপ লেগে যায়। কিছুতেই উঠতে চায় না। কাপড় কাচার সোডা হাতে বেশ করে ঘষে, ভালো করে হাত ধুয়ে একটু গ্লিসারিন হাতে ভালো করে লাগালে সোডা দিয়ে ঘষার জন্য হাত খসখসে লাগবে না ও হলুদের রঙও অনেকটাই উঠে যাবে।
রান্না করার পর বাটা মসলা অনেক সময় বেশি হয়ে যায়। বাসি হলে বাটা মসলা খারাপ হয়ে যায়। বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলে বাটা মসলায় লবণ মাখিয়ে জালের নিচে রাখলে ২-৩ দিন ভালো থাকবে।
রসুনের খোসা ছাড়ানোর আগে অল্প পানিতে ভিজিয়ে রাখালে খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়। নখেও ব্যথা লাগে না।
রান্না করার পর ছ্যাঁকা লাগলে বা গরম তেল ছিটে হাতে বা অন্য কোথাও পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় লবণ দিয়ে চেপে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখলে ফোসকা পড়ে না। লবণ ও মাটি একত্রে মোটা করে লাগালে জ্বালা কমে, ফোসকা পড়ে না।
মোচা ও কচু কাটার সময় হাতে বারবার লবণ মাখিয়ে নিলে মোচা ও কচুর কষ হাতে লাগবে না।
ঠান্ডা ভাত গরম করতে হলে ডিশে পানি চড়িয়ে তাতে লবণ দেবেন। পানি ফোটামাত্র ঠান্ডা ভাত ঢেলে একটু ফুটিয়ে নামিয়ে মাড় গেলে ফেলবেন। তাতে ভাত ঝরঝরা হবে।
কাঁচা মুগ ডাল ভেজে পানিতে ধুয়ে নিলে ডালের রং কালো হয় না, না ধুলে ডালের কুড়া ভাজা হয়ে কালো রং হয়। ডালের সঙ্গে কুড়া থাকলে ডালের রং উজ্জ্বল হয় না।
ভাজা মুগ পানিতে রান্না করার পর কেমন যেন কালচে ফ্যাকাসে লাগে। ভাজা সোনামুগ ডালে সে আগের রং দেখা যায় না। ডাল বাঘার দেওয়ার সময় ফোড়ন পুড়ে এলে সমান ১ চামচ চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। চিনি গলে লাল ফেনা হয়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই সেদ্ধ ডাল ঢেলে, নেড়ে মিশিয়ে দিন। মরিচবাটা, হলুদবাটা না দিয়েও সোনামুগের ডালের সুন্দর রং হবে। ছোলার ডালেও কোন বাটা মসলা না দিয়ে শুধু চিনি পুড়িয়ে এই রকম করে দিলে সুন্দর রং হবে।
শসা কাটার সময় শসার বোঁটার দিকে চাকা করে কেটে সেই চাকাটি শসার কাটা জায়গায় গোল করে ঘষতে থাকলে ফেনা ফেনা মতো বের হবে। এটা শসার তিতা কষ। যদি শসা তিতা স্বাদের হয়, এই কষ বের করলে তিতা কম লাগে। শসার মাথার দিক থেকে বোটার দিকে লম্বালম্বি খোসা ছাড়াবেন। এতে তিতা কম লাগে।
কাঁচামরিচ বড় মুখের বোতলে বা প্লাস্টিকের থলেতে রেখে ভালো করে বদ্ধ করে রাখরে ২-৩ দিন বেশ টাটকা থাকে।
১ চা চামচ বেকিং পাউডারের বদলে ১/৪ চা চামচ সোডা ও ১/২ চা চামচ ক্রিম অফ টার্টার মেশালে ফল হবে।
ব্রেড ক্রাম্বের গুঁড়ো কর্নফাওয়ার, সুজি ব্যবহার করা যায়।
কাঁঠাল কাটার আগে আস্ত কাঁঠাল পানিতে ডুবিয়ে ১৪/১৫ মিনিট সেদ্ধ করে কিছুটা ঠান্ডা হলে রান্নার জন্য পছন্দমতো কেটে নিন। কাঁঠালের আঠার ঝামেলা থাকবে না।
লবঙ্গ রান্নায় দেওয়ার আগে ফুল ফেলে দিবেন। লবঙ্গের ফুলে অনেক সময় তরকারি তিতা স্বাদের হয়ে যায়।
মাছ ভাজা হলে কিংবা রসুন বেশি ব্যবহার করলে পুরো বাড়িতেই দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই রান্না শুরুর আগে একটা বাটিতে ভিনেগার ঢেলে চুলার কাছেই রাখুন। এটি গন্ধ শুকানোর পক্ষে আদর্শ।
ভাত, ডাল, দুধ উথলে পড়ে প্রায়ই চুলা নোংরা হয়। এক্ষেত্রে চুলা পরিষ্কারের জন্য প্রথমেই চুলার ওপর লবণ ছড়িয়ে দিন। চুলা ঠাণ্ডা হলে গরম সাবান পানিতে কাপড় ভিজিয়ে জায়গাটি মুছে নিন।
রান্নাঘর আর খাবার ঘরে মাছির উপদ্রব এড়াতে নিপপাতার গোছা কয়েকটি স্থানে রেখে দিন।
ফ্রিজে প্রায়ই দুর্গন্ধ হয়। এ অবস্থায় ফ্রিজে খাবার রেখে দেওয়াটা অস্বাস্থ্যকর। ফ্রিজের খাবার ঢেকে রাখুন।
ফ্রিজে অনেক সময় অগোচরে সবজি পচে দুর্গন্ধ হয়। আর তাই এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে একবার ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত।
ফ্রিজ পরিষ্কার করার পর অনেকক্ষণ ফ্রিজের দরজা খোলা রাখুন। তারপর ফ্রিজে বেকিং সোডা রেখে ফ্রিজের দরজা বন্ধ করুন। প্রয়োজনে দুই চার দিন পরপর বেকিং সোডা পাল্টে দিন।
ফ্রিজে খুব বেশি দুর্গন্ধ হলে সাবান পানিতে ফ্রিজ পরিষ্কার করে সাদা ভিনেগার একবার কাপড়ে ভিজিয়ে ফ্রিজ আবার মুছে নিন। এরপর বেশ খানিকক্ষণ খোলা রাখুন ফ্রিজ। তারপর ফ্রিজে বেকিং সোডা রেখে ফ্রিজ বন্ধ করুন।
রান্নাঘরের সিংক কিংবা বেসিনের মুনোনা জিনিস আটকে প্রায়ই পানি জমে যায়, দুর্গন্ধ হয়। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে ব্যবহার করা যায় এমন ব্লিচ দুই কাপ ঢেলে দিন সিংক কিংবা বেসিনের মুখে। এরপর একঘণ্টা ওভাবে রেপোনি ঢেলে দিন। দেখবেন সিংক কেমন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
আজকাল অনেকেই গাছ দিয়ে ঘর সাজায়। আপনি আপনার রান্নাঘরের অব্যবহৃত কোন একটি কোণে রাখতে পারেন। কোন সাকুলেন্ট কিংবা বনসাই গাছ। আপনার রান্নাঘর হয়ে উঠবে অনেক স্বতন্ত্র ও নান্দনিক।
0 comments: