প্রথম শিশু : তাহলে তুমি, তুমি ’জন্মের পরের জীবনে’ বিশ্বাস কর?
দ্বিতীয় শিশু: অবশ্যই। এটা সত্যি যে জন্মের পরের জীবনের অস্তিত্ব আছে। আমাদের এখানে আসার উদ্দেশ্য যাতে আমরা শক্তি অর্জন করতে পারি এবং পরবর্তী জীবনে যা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি।
প্রথম শিশু : আরে ধুর! এটা হলো একটা অবাস্তব কল্পনা। জন্মের পর বলতে কিছুই নেই। গর্ভের বাহিরের জীবন কেমনি বা হবে?
দ্বিতীয় শিশু: আসলে, এ সংক্রান্ত অনেক কথাই প্রচলিত আছে। আমি শুনেছি যে, সেখানে প্রচন্ড তীব্র আলো আছে, গভীর আবেগ ও তীব্র আনন্দের অনুভূতি আছে, আছে জীবন যাপনের জন্য হাজারো বস্তু। যেমন ধর, আমি শুনেছি যে সেখানে নাকি আমরা আমাদের মুখ দিয়ে খাবার গ্রহণ করবো।
প্রথম শিশু : আজব তো! এটা কোন কথা হলো! এই যে দেখছো নাভিরজ্জু (umbilical cord), আমরা তো এটার মাধ্যমেই খাই। আর সবাই জানে যে আমরা খাওয়ার জন্য মুখ ব্যবহার করি না। এবং সর্বোপরি, আজ পর্যন্ত কেউ তো ঐ দুনিয়া থেকে ফেরৎ আসেনি। তাহলে এই গল্পগুলো আসলো কোথা থেকে?
শোনো আমি তোমাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলি, এগুলো কিছু মুর্খ ও মান্ধাত্তার আমলের চিন্তার মানুষের পাতানো গল্প ছাড়া আর কিছুই না। জন্মের মাধ্যমের জীবনের সমাপ্তি ঘটে- এটাই সত্য এবং আমাদের এটাকে স্বীকার করে নেয়া উচিৎ।
দ্বিতীয় শিশু: ঠিক আছে। এবার একটু ভিন্নভাবে বিষয়টা ভাবতে চেষ্ঠা করো। এটা নিশ্চয়ই সত্যি যে আমি নিজেও নিশ্চিতরূপে জানি না যে জন্মের পরের জীবন কেমন হয়। কিন্তু এ কথাটা ভাবতে আমার খুব ভালো লাগে যে, জন্মের পরের জীবনে আমরা আমাদের ”মা”কে দেখতে পাবো। এবং তিনি আমাদের যত্ন-আত্তি করবেন।
প্রথম শিশু : ”মা”!? তার মানে তুমি ”মা”-তে বিশ্বাস করো??? তাই নাকি!!!! তাহলে বলতো উনি কোথায় আছেন?
দ্বিতীয় শিশু: ধরে নাও, তিনি সর্বত্রই আছেন, তুমি কি দেখতে পাচ্ছো না? তিনি সবখানেই আছেন, আমাদের চারপাশেই আছেন। আমরা তারই অংশ এবং শুধুমাত্র তার জন্যেই আমরা এখনো বেঁচে আছি। তিনি না থাকলে আমরাও এখানে থাকতাম না।
প্রথম শিশু : যত্তোসব ফালতু কথা। আমি তো কখনো ”মা” কে দেখিনি। তার মানে এটাই যে এমন কিছুই নেই।
দ্বিতীয় শিশু: তুমি যেভাবে সবকিছুকে বিচার করতে চাও, তার সাথে আমি একমত না। কেননা, যখন সবকিছুই একটু নিরব ও শান্ত হয়ে যায়, আমরা তার গুনগুন শব্দ টের পাই। আমাদের পুরো বিশ্বজুড়েই আমরা তার অস্তিত্বের টের পাই। আমি নিশ্চিত যে আমাদের আসল জীবন আসলে জন্মের পর থেকেই শুরু হবে।
আস্তিক-নাস্তিক জমজ শিশু
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
- শহীদি প্রোফাইল সংকলণ
- তুরস্কে ব্যর্থ ক্যু: শ্বাসরুদ্ধকর একটি কালো রাত!
- বিরোধী জোটের ২০১৫ এর আন্দোলন চলাকালীন পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের পরিচয়
- এদের চিনে রাখুন,একদিন এরাই আপনাকে ছিড়ে-খুঁড়ে খাবে
- প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও গাণিতিক বিষয় সম্পর্কিত ব্লগ সঙ্কলণ
- বিয়ে ► করণীয় ও বর্জনীয় ► (যে বিবাহে খরচ কম ও সহজ সে বিবাহই অধিক বরকতপূর্ণ)
- তুর্কি পাবলিক স্পেসে ইসলাম কীভাবে ফিরে আসছে?
- মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে
- জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত : মানুষের উপর জ্বীনের নিয়ন্ত্রন (আছর)- বিশ্বাসযোগ্যতা, কারণ, প্রতিকার ..ইত্যাদি ইত্যাদি...
- একজন শিবির কর্মীর কথা
- কুরআন তেলাওয়াত ডাউনলোড
- ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট কারা চালায়, কেন চালায়?
- কুরআনে বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক ইঙ্গিতসমূহ
- হেফাজতের ওপর গণহত্যার ভিডিও আর্কাইভ | VDO archive of Genocide on Hefajat
- আজ কুরআন দিবস (১১-মে-১৯৮৫) : কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় শহীদ হবার দিন..
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
- নামায - aamzubair
- কিশোরকন্ঠ সমর্থক প্রতিবেদন ফরম - খালেদ হাসান রাফি
- Re: লিবিয়ার জনগণকে নিয়ে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখি খেলা - খালেদ হাসান রাফি
- Re: মিশরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুড: নতুন আঙ্গিকে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় - খালেদ হাসান রাফি
4345728
3 জন পাঠক অনলাইনে
0 comments: