সবাই লিখছে, এতো লেখার ফাকে হয়তো আমার লেখাটা আঙুল গলিয়ে পালিয়ে যাবে, কারো কারো। আমি অবাক বিস্ময় নিয়ে পৃথীবির দিকে তাকিয়ে থাকি, বিভিষিকাময় এ কোন সময় পার করছি আমরা? যখন আমারা নিজেদের জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত এক জনগোষ্ঠি হিসেবে ঘোষনা করছি, তখনো চলছে আদিম বর্বরতা। আজো সিমান্তে মানুষ মরে, বিচার ভির্ভুত হত্যাকান্ডে মারা যাচ্ছে লাখো মানুষ, আফগানে, ইরাকে পাকিস্তানে তালেবানরা মারে নিরিহ মুসলমানদের মারে আমেরিকান রাও, এরপরো হাজার টা দোষ মুলমান রা জংগি এরা জিহাদি, এরা টোরোরিষ্ট, অথচ আমেরিকানরা মারলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এত বিচ্ছিনতার মাঝে আজকে মায়ানমারে ছিন্ন ভিন্ন হচ্ছে মানব সভ্যতা,
নিরিহরা সব দিচ্ছে, দিচ্ছে আব্রু দিচ্ছ ইজ্জত এবং সব শেষে জীবন, আমরা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখছি, এদেখার শেষ নেই।
ছোটবেলায় তো আর হলিউড চিনতাম না তাউ নিজেকে বংলা সিনেমার হিরো হিসেবেই কল্পনা করতাম, সিনেমার গল্পে যেমন হিরোই শেষ মেস সব সমস্যার সমাধান করেদেয় ছবির শেষে ভিলেন কে ভিসিয়া শব্দ করে এক ঘুসিতে কুপকাত করে, তেমনি হিরো হতে চাইতাম যদি আমি দুনিয়ার সব সমস্যা সমাধান করে ফেলতে পারতাম এক ঘুসিতে কত মজা হতো। কত সহজ হতো দুনিয়া থেকে মানবতার বিরোধি দের মিটিয়ে দেয়া যেতো কিন্তু তা কি আর পারা যায় , ছোটবেলার অলিক কল্পনা গুলো বাস্তবে প্রতিফলিত হয়না কখোন, ছাপোষা কেরানীর জীবন জাপন করে ইএস স্যার, জ্বী জাহাপনা করেই জীবন কেটে যায়, মনের ভেতোর একটা সুক্ষ আশা নিয়ে বেচে থাকি একদিন কেউ আশবে, মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে,
গৌতম বুদ্ব সাহেব কে বোধকরি ভালো মানুষ হিসাবেই জানি, অহিংসা পরম ধর্ম, আহারে, আমার মনে হয় তিনি বেচে থাকলে আজকে মায়ান মারে তার অনুসারিরা যেভাবে হিংসা দেখাচ্ছে তাতে ভদ্রলোক কেবল নিজের ঘরনয় দুনিয়াই ছাড়তেন, ঘাষ লতা পাতা খাওয়া মানুষগুলোর নাকি মাথা ঠান্ডাথাকে তারা নাকি অন্যের মাথায় ডান্ডা মারেনা কিন্তু এ
কোন ঠান্ডা মাথার বুদ্ব ভক্ত দের দেখছি আমরা?! শুনেছি বৌদ্ব ভিক্ষু রা মুখে মাস্ক ব্যাবহার করে যাতে করে কোন জীবানু ও তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের কারনে মারা না যায়, আমি সেই ভিক্ষু দের কাছে জানতে চাই, "একজন মানুষের জীবন কি জীবানুর জীবনের চেয়েও মুল্য হীন?" একবার এক হিন্দু ভদ্রলোকের বইয়ে পড়ে ছিলাম, আল্লাহ তালা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কে বলছেন তোমার কাছে যদি কোন কাফের আশে তুমি তাকে হত্যা করো, তার পর তিনি ঐ বইয়ের প্রতি পাতায় এই আয়াত নিয়ে লেদিয়ে ছিলেন। যে মুসলমান রা কত খারাপ তাদের আল্লাহ বলে কাফের দের কে পাইলেই মারো, কিন্ত আদতে ঘটনা ছিলো ভিন্ন- আয়াত টি নাজিল হয়েছিলো যুদ্ব ময়দানে, তিনি পুরো আয়াত টি দেননি, সেই নাস্তিকিয় অপপ্রচার স্টাইলে অর্ধেক আয়াত উঠিয়ে দিয়ে লেদানো, যা হোক আয়াত টির সম্পূর্নটা এরকম- যদি কোন কাফের তোমাকে মারতে আশে তাহলে তুমি তাকে হত্যা করো, যে কারনে ঘটনা টি লিখাম সেটা হলো মুসলমানরা নাকি জিহাদী এই কথা লিখে আমি অনেক কে ব্লগে বিভিন্ন জাগায় ল্যাদাতে দেখি, কিন্তু জিহাদি তৈরি করে কারা? এটা ভেবে পুলকিত হই। এই যেমন আলকায়দা ।
সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ হয়েছে “ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক্স” (USSR) এর সামরিক বাহিনী এবং আফগানিস্তানের কম্যুনিস্ট-বিরোধী গেরিলাদের মধ্যে। শুরু হয়েছে ১৯৭৯ সালে, শেষ হয়েছে ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে। যুদ্ধের শুরুতে আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৫৫ লক্ষ। যুদ্ধে আনুমানিক ১০ লক্ষ আফগান প্রাণ হারিয়েছে যার সিংহভাগই ছিল বেসামরিক জনতা। রুশ বিমানগুলো নির্বিচারে আফগানিস্তানের গ্রামের পর গ্রাম জনশূন্য করে দিয়েছে, বৃষ্টির মত বোমাবর্ষণ করেছে সাধারণ মানুষের ওপর।ঐ যুদ্বে প্রায় ১৩,০০০ সৈন্য হারানোর পর সোভিয়েত বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়, সোভিয়েত সাম্রাজ্যের সংস্কারবাদী নেতা মিখাইল গর্বাচেভ খানিকটা লজ্জার সাথেই তার প্রচণ্ড ব্যয়বহুল ভুলটা শুধরে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেন। পরবর্তী এই যুদ্ধে ব্যাভারিত অস্ত্র সাহায্য উল্টো যে কাজটা হয়েছে তা হল, চরমপন্থী মুজাহিদ গোষ্ঠী গঠনের ভিত্তি তৈরী করা। এরই মাধ্যমে আফগানিস্তানে সবচেয়ে চরমপন্থী মুজাহিদ গ্রুপগুলো বিকশিত হতে শুরু করে,
উল্লেখ্য সেই সময় গঠিত এসব ইসলামী মৌলবাদী দলগুলোর মধ্যে “আল-কায়েদা”। ১৯৮৮ সালে আফগানিস্তানের মুজাহিদিন ক্যাম্পেই আল-কায়েদা গঠিত হয়।এবং এর পিছনে ছিলো মার্কিনিদের ব্যাপক কুট চাল।
এখন যদি এমন হয়, এই রহিংগারা মার খেতে খেতে একসময় বিদ্রহী হয়ে ওঠে, অশ্রহাতে নিয়ে বিপরিত যুদ্বে ঝাপিয়ে পড়ে রনাংগনে ঠিক যেমন পড়ে ছিলাম আমরা ৭১এ, তখন দেখা যাবে পুরা বিশ্ব তাদের কে বলবে জংগি, অথচ একবার ও কি তখন তার ভাববে যে রহিংগাদের ঠেলে দেয়া হয়ছিলো জংগি হতে। আমার আরো একটা বিষয় অবাক লাগে হিন্দু চরম পন্থি দের বলাহয় বিপ্লবী যেমন মাও বাদী বিপ্লবী, আর মুসলমানরা দেশ বাচানোর জন্য অশ্রহাতে নিলেই হয় টেররিষ্ট। আমি দেখেছি, এই ব্লগেই দেখেছি মানবতা বাদি দের বলতে দেখেছি ওপারে রহিংগা মরছে, আর এপারে বসে তারা দাত খুচছে আর মৃদু হাসছে, অবাক বিস্ময় নিয়ে আমি তাদের মানবতা দেখি, তারা মানবাতার ধারকবাহক। ওহ আর পারিনা!
আমার এক বন্ধু থাকে চীনে, ভদ্রলোক আমাকে একটা খবর দিয়েছিল চীনে মুসলমানদের প্রতি মবাতা হীন আচরনের, ঘটনাটা এখানে লিখছি,
চীনের বিরুদ্ধে এখনো মানবাধিকার লংঘন কিংবা বাকস্বাধীনতা হরনের অভিযোগ করা হয়। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে ঝিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্বশাসিত এলাকা (এক্সইউএআর)-র গুলজাতে আদিবাসী মুসলিম উইঘুর প্রতিবাদকারীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলিবর্ষণ করলে কয়েক ডজন লোক হতাহত হয়।
সেদিন, গুলজাতে উইঘুরবাসীরা একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলো। তারা স্বাধীন ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করা, “মেশরেফস” (এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সমাবেশ) নিষিদ্ধ করা, স্থানীয় পর্যায়ে উইঘুর ফুটবল লীগ বন্ধ ঘোষণা করা এবং উইঘুরবাসীদের মধ্যে উচ্চ বেকারত্বের হার নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলো
নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহভাজন বিক্ষোভকারী ও সমর্থকদের আটক করতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়। যাদেরকে আটক করা হয় তাদের অনেকেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, কেউ কেউ মারাও গিয়েছে।
গুলজাতে মারাত্মক মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার এখনো পর্যন্ত স্বাধীন তদন্ত হওয়ার কথা জানা যায়নি।
যা হোক এরকম আর কত লান্ছিত হবে মুলিম মা বোনের মুখ, আমরা নাকি আবার মুসলিম!
অবাকলাগে আমরা চুপ, এখানে আমরা চুপ বলতে মুসলিম বিশ্বকে বুঝাচ্ছি, কেউ কিছু বলছেনা, আরব চুপ ইরান চুপ ইরাক চুপ ফাকিস্তান চুপ, কিন্তু সববলার দায় কেবল আমাদের, আমরা কোন গাছের মুলা যে এত মানুষের দায় ভার নিবো আমাদের কি ঠেকা পরেছে নাকি?
তবুও বিবেক খোচায় বুকের ভেতরে তারনা হয়। আহারে! এই বুঝি কোন রোহিংগা বাবার গলা কেটে দিলো ধরথেকে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে এলো রক্ত নাহ আর ভাবতে পারিনা কষ্ট হয় বুকের ভেতর। হাজারটা কবুতর ডানা ঝাপটায়, যারা আজ নিরীহ মুসলমানদের মারছে তাদের বিরুদ্ব আজ আমি ঘ্বনার জিহাদ প্রকাশ করলাম।
কেবলে মনে মনে বলছি বন্ধ করো এই মুসলিম বা তাদের ভাষায় জীব হত্যা। ধর্মে আছে তুমি যদি কোথাও কোন খারাপ কাজ করতে দেখো প্রথমে হাত দিয়ে থামাতে চেষ্টা করো, যদি তা নাপরো মুখদিয়ে বলে থামাতে চেষ্টা করো, আর যদি তাও না পারো তাহলে মনে মনে ঘৃনা করো। বাবা আজকে সকালে বলেছিলেন বাবারে রংহিংগাদের দেখে আমার ৭১ এর যসর রোড মনে পরে গেলোরে, ও দের মধ্যে কি কোন শেখ মুজিব, ওসমানি, জিয়া নাই,
কবে আসবে ওদের নেতা?
লিখেছেন :মেংগো পিপোল
0 comments: