দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক নাজেহালে নতুন রেকর্ড গড়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। গত সাড়ে ৩২ মাসের শাসনে সরকারের সিদ্ধান্তেই তিন সম্পাদককে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। আরও কমপক্ষে সাতজনকে হত্যার হুমকি ও বেশ ক’জনের বিরুদ্ধে সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীরা উদ্দেশ্যমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মন্ত্রী-এমপিরা জাতীয় সংসদে এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা সংবাদ সম্মেলন করে দৈনিক পত্রিকার একাধিক সম্পাদককে গ্রেফতারেরও হুমকি দিয়েছেন। এ সরকারের সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব পত্রিকার সম্পাদকই কোনো না কোনো হয়রানির শিকার হয়েছেন।
সরাসরি মন্ত্রী বা এমপি কিংবা তাদের সহযোগী দিয়ে সম্পাদকদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হচ্ছে। গণমাধ্যমকে ভীতির মধ্যে রাখতে রিমান্ডে নিয়ে সম্পাদকদের ওপর বর্বর নির্যাতন চলছে। সরকারের দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা ও স্বৈরাচারী নীতির সমালোচনা করায় শুধু দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধেই ৪৯টি মামলা দেয়া হয়। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নির্যাতন ও ১০ মাস কারাগারে আটকে রাখা হয়। আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের মামলায় সম্প্রতি দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়। তিনি গত শনিবার জামিনে মুক্তি পান। এছাড়া শীর্ষ নিউজ সম্পাদক একরামুল হককে গ্রেফতার ও কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এদিকে ডেইলি নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবীরকে দু’দফায় হুমকি ও হামলা চেষ্টা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমদ সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলন করে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন ও গ্রেফতারের হুমকি দেন। এছাড়া মানবজমিন, ইত্তেফাক, যুগান্তর, সমকাল, কালের কণ্ঠ, নয়াদিগন্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপি ও নেতারা একাধিক মামলা করেন। এসব মামলায় সম্পাদকদের নিয়মিত হাজিরা দিতে হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় সংসদে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকদের নিয়ে কটূক্তি এবং প্রকাশ্য সমাবেশে সম্পাদকদের হুমকি দেয় সরকারি দলের এমপি-মন্ত্রীরা।
সরকারের এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতাদের দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, লুটপাট, দখল এবং বাড়াবাড়ি বিষয়ে সংবাদপত্রে খবর ছাপা হলেই তারা সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী ও সম্পাদকের ওপর রোষের আগুন ছড়াচ্ছে। বেছে নিচ্ছে হামলা-মামলা ও নির্যাতনের পথ। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নেয় না; বরং সরকারের ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পুলিশ পত্রিকা সম্পাদকদের ওপর হামলা-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।
আমার দেশ সম্পাদক গ্রেফতার, রিমান্ড ও কারাদণ্ড : আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হন দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যর্থতা, দেশবিরোধী চুক্তি এবং দুর্নীতি-অনিয়মের বিভিন্ন সংবাদ এ পত্রিকাটিতে তুলে ধরায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েই তাকে নাজেহাল করে। বিদেশি কোম্পানি শেভরনকে বিনাটেন্ডারে কাজ দিয়ে ৩৭০ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন ঝড় ওঠে। এ রিপোর্ট প্রকাশের পর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের গাড়িতে ঢাকায় দু’দফা অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। লন্ডনে গেলে সেখানেও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। প্রকাশিত রিপোর্টে সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে অভিযোগ এনে ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি ড. তৌফিক-ই-এলাহী নিজে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেন। একই ঘটনায় সারাদেশে সরকারি দলের নেতারা বাদী হয়ে ২৫টি মামলা করেন। সরাসরি ওয়ারেন্টও ইস্যু করা হয় সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে ৪৯টি মামলার আসামি করা হয় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে।
এদিকে মাহমুদুর রহমানের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সবকিছু নিয়ে তদন্ত শুরু করে সরকার। চাকরিজীবনের শুরু থেকে গত চারদলীয় জোট সরকারের সময় জ্বালানি উপদেষ্টা ও বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে সব নথি যাচাই-বাছাই করে তাকে হয়রানির চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে সম্পাদের হিসাবসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে সরকার।
এতসব করেও কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনতে না পেরে ২০১০ সালের ১ জুন সকালে দৈনিক আমার দেশ-এর প্রকাশক আলহাজ হাসমত আলীকে একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই স্বাক্ষর দুটি দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা এবং অন্যটি আমার দেশ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন হিসেবে পাঠানো হয়। এ দুই সাজানো আবেদনের সূত্র ধরে ডিসি অফিস থেকে আমার দেশ-এর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।
আর রাত সাড়ে ৮টার দিকেই শত শত পুলিশ ঘিরে ফেলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা কার্যালয়। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই উপরের নির্দেশের কথা বলে রাত পৌনে ৪টায় সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে ১২ দিনের রিমান্ডে বর্বর নির্যাতন করা হয়। বিভিন্ন মামলায় জামিন পেলেও আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে একটি মামলায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাড়ে ৯ মাস কারাভোগ শেষে গত ১৭ মার্চ তিনি মুক্তি পান। জেল খেটে মুক্তি পাওয়ার পরও তাকে এবং তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রয়েছে।
সংগ্রাম সম্পাদক গ্রেফতার ও রিমান্ড : ঊনসত্তর বছর বয়সী খ্যাতিমান সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদকে একটি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের মামলায় গ্রেফতার করে চারদিন কারাগারে আটকে রাখা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টায় বড় মগবাজারের বাসা থেকে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে যায়। ওইদিনই রমনা থানায় করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে সোপর্দ করা হয়। বয়সের ভারে ন্যূব্জ এ সম্পাদককে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় নিজ হাতে গাড়ি ভাংচুর, গাড়িতে আগুন দেয়া, জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশে পুলিশকে মারধর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়াসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। আর এসব ঘটনার তথ্য বের করতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের অভিযোগ বিশ্বাস করে সম্পাদক আবুল আসাদকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের ৩ দিনের মাথায় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শনিবার ছুটির দিনে পুলিশ তাকে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে এবং আদালত তাকে জামিন দেন।
কারান্তরীণ শীর্ষনিউজ সম্পাদক : সরকারের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও কিছু প্রভাবশালী মন্ত্রীর দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করায় শীর্ষনিউজ ও শীর্ষকাগজের সম্পাদক একরামুল হক সরকারের রোষানলে পড়েন। এক প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর করা চাঁদাবাজির মামলায় গত ৩১ জুলাই ভোর সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর বড় মগবাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর দু’দফায় রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়। তার সম্পাদিত পত্রিকা এখন বন্ধ রয়েছে। সম্পাদক একরামুল হক এখন কারান্তরীণ রয়েছেন।
সম্পাদকদের বিরুদ্ধে আরও যত মামলা : মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়। মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও এমপিরা বাদী হয়ে, আবার কোথাও দলীয় নেতাদের দিয়ে এসব মামলা দেয়া হয়। সবচেয়ে বেশি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী, কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদিসহ সারাদেশে সরকারি দলের নেতারা তার নামে ৪৯টি মামলা দায়ের করেন।
গত ২৪ আগস্ট ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে নৌমন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা অপচয় : ১৪ বার বিদেশ সফর’ এবং ২৫ আগস্ট ‘নৌখাতে অহেতুক অপচয়’ শীর্ষক দুটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান দৈনিক যুগান্তর সম্পাদকের নামে মানহানি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিচারক সমন জারি করেন।
এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার তথ্য প্রকাশ করায় দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ও যুগান্তর সম্পাদক সালমা ইসলামের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি গোলাম মাওলা রনি মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুরের সন্ত্রাস নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র আবু তাহের।
২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর ‘এমপির কথায় চলে নড়াইলের প্রশাসন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এক নেতা নড়াইলের আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই প্রতিবেদনে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এস কে আবু বাকের ও তার ছেলের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় খুলনায় দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
যশোর থেকে প্রকাশিত লোক সমাজ পত্রিকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটোর দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় পত্রিকাটির সম্পাদক নার্গিস বেগম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টুসহ কর্মকর্তাদের নামে কয়েক মাস আগে মামলা দায়ের করা হয়।
সম্পাদকদের হুমকি : আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক হুমকির মাধ্যমে গণমাধ্যমে ভয়ের শাসন জারি করে রেখেছে সরকার। সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলেই প্রথমে অনানুষ্ঠানিক হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সম্পাদকদের। এরপর না থামলে প্রকাশ্য হুমকি কিংবা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। গত ৩২ মাসের শাসনে প্রায় সব সম্পাদকই কোনো না কোনো ঘটনায় সরকারি মহলের হুমকি হজম করেছেন। হুমকির তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছেন দৈনিক প্রথম আলো, নিউ এজ ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক।
গত ১৯ মে দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের হুমকি দেন প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমদ সিদ্দিকী। র্যাবের গুলিতে ঝালকাঠির লিমনের পঙ্গু হওয়ার ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তিনি এ হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘একটি জাতীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক ঘনিষ্ঠভাবে র্যাব বিলুপ্তির ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ত। এ ব্যাপারে আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, চাইলেই আমরা ওই সম্পাদককে গ্রেফতার করতে পারি। জাতীয় ওই দৈনিকের সম্পাদক জঙ্গিদের সহায়তা করছেন, জঙ্গিদের সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে এমন প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’
সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বন্ধ করতে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবীরকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানকেও এভাবে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দৈনিক কক্সবাজার বাণীর সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানকে স্থানীয় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি পত্রিকা অফিস উড়িয়ে দেয়া ও হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই সম্পাদক থানায় জিডি এবং সংবাদ সম্মেলন করে তার নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
এছাড়া খুলনার দৈনিক অনির্বাণ, বগুড়ায় দৈনিক করতোয়াসহ দেশের আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদকরা প্রতিনিয়তই সরকারি দলের এমপি ও ক্যাডারদের হুমকি এবং হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন। হুমকিতে ভয় পেয়ে অনেকে তা প্রকাশও করছেন না।
সম্পাদক নাজেহালে রেকর্ড গড়েছে মহাজোট সরকার

এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
- শহীদি প্রোফাইল সংকলণ
- তুরস্কে ব্যর্থ ক্যু: শ্বাসরুদ্ধকর একটি কালো রাত!
- বিরোধী জোটের ২০১৫ এর আন্দোলন চলাকালীন পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের পরিচয়
- এদের চিনে রাখুন,একদিন এরাই আপনাকে ছিড়ে-খুঁড়ে খাবে
- প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও গাণিতিক বিষয় সম্পর্কিত ব্লগ সঙ্কলণ
- বিয়ে ► করণীয় ও বর্জনীয় ► (যে বিবাহে খরচ কম ও সহজ সে বিবাহই অধিক বরকতপূর্ণ)
- তুর্কি পাবলিক স্পেসে ইসলাম কীভাবে ফিরে আসছে?
- মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে
- জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত : মানুষের উপর জ্বীনের নিয়ন্ত্রন (আছর)- বিশ্বাসযোগ্যতা, কারণ, প্রতিকার ..ইত্যাদি ইত্যাদি...
- একজন শিবির কর্মীর কথা
- কুরআন তেলাওয়াত ডাউনলোড
- ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট কারা চালায়, কেন চালায়?
- কুরআনে বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক ইঙ্গিতসমূহ
- হেফাজতের ওপর গণহত্যার ভিডিও আর্কাইভ | VDO archive of Genocide on Hefajat
- আজ কুরআন দিবস (১১-মে-১৯৮৫) : কুরআনের মর্যাদা রক্ষায় শহীদ হবার দিন..
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
- নামায - aamzubair
- কিশোরকন্ঠ সমর্থক প্রতিবেদন ফরম - খালেদ হাসান রাফি
- Re: লিবিয়ার জনগণকে নিয়ে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের বহুমুখি খেলা - খালেদ হাসান রাফি
- Re: মিশরের ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুড: নতুন আঙ্গিকে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় - খালেদ হাসান রাফি
4345733
4 জন পাঠক অনলাইনে
0 comments: