মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান- সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ১৯৫২ সালে শেরপুর জেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মুদিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কুমারি কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু। ১৯৬৭ সালে তিনি জিকেএম ইনস্টিটিউশন থেকে চার বিষয়ে লেটারসহ প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭২ সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৭৩ (১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত) সালে তিনি ঢাকা আইডিয়াল কলেজ থেকে ডিস্ট্রিংশনসহ বিএ পাস করেন। এরপর কামারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেধাবৃত্তি লাভ করেন।


১৯৭৬ সালে তিনি এ বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেীণতে উত্তীর্ণ হন।

১৯৭৭ সালে কামারুজ্জামান বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বচিত হন। তার আগে তিনি এ সংস্থার কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন এবং ১৯৯২ সালে এ দলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন। সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হবার আগে তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি দলের আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কমিটি ও লিয়াজো কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি ১৯৮৩-১৯৯০ সাল পর্যন্ত সামরিক স্বৈচারার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ১৯৯৩-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববাধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

শিক্ষা জীবন শেষে কামারুজ্জামান সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত হন। ১৯৮০ সালে ঢাকা ডাইজেস্ট এর নির্বাহী সম্পাদক ও ’৮১ সালে সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তখনকার সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামানের ক্ষুরধার লেখনীর কারণে পত্রিকাটির প্রকাশনা সেসময় নিষিদ্ধ হয়। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়েও তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮৫-৮৬ সালে তিনি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তিনি সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে খ্যাতি রয়েছে মুহম্মদ কামারুজ্জামানের। তিনি একজন সুলেখক। তার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম