অধ্যায় ১৮ : সুদ ও যাকাত

সুদ নির্মূল করণ
খাইবার যুদ্ধের আগেই সুদ নিষিদ্ধ হয় সূরা আলে ইমরানের একটি আয়াতের মাধ্যমে।
হিজরী অষ্ঠম সনে এই মর্মে নিন্মোক্ত বাণী নাযিল হয়।
যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় সেই ব্যক্তির মতো যাকে শয়তান তার ছোঁয়া লাগিয়ে পাগলের মতো করে ফেলেছে। তাদের অবস্থা এমন এই জন্য যে তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। অতপর যার নিকট এই বিধান পাওয়ার পরও যে সুদ খাবে সে নিশ্চিত রূপেই জাহান্নামী। সেখানে সে চিরকাল থাকবে। (সূরা আল বাকারা : ২৫৭)
যাকাত ব্যবস্থা প্রবর্তন
হিজরী নবম সন।
আল্লাহর রাসূল (সা) তাবুক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই সময় আল্লাহ যাকাত ফরয করেন। যাকাতের ব্যয়খাতও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।
ছাদকাসমূহ (যাকাত) ফকীর, মিসকীন, যাকাত বিভাগের কর্মচারী, নওমুসলিম, ক্রীতদাস, (আযাদ করণের জন্য), ঋণগ্রস্থ, আল্লাহর পথে জিহাদ ও অসহায় পথিকদের জন্য। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে ফরয। সূরা আত তাওবা : ৬০
যাকাত সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরী করণের সর্বোত্তম বিধান। সঠিকভাবে যাকাত আদায় ও বন্টন করা হলে সমাজে ধনী ও নির্ধনের ব্যবধান সৃষ্টি হতে পারে না।
অস্ত্র, বস্ত্র, বাসস্থা ও চিকিৎসার জন্য ও কাউকে পেরেশান হতে হয় না।
আল্লাহর রাসূলের (সা) গড়ে তোলা সমাজের অর্থনৈতিক নিরাত্তা ও ভারসাম্যই তার
বড়ো প্রমাণ।

0 comments:

Comment Please

মন্তব্য..

প্রিয়বই.কম → (19)123456 -► পরের পাতা
সবিস্তার সূচীপত্র
টেম্পলেট কাষ্টমাইজেশন - তরঙ্গ ইসলাম | তরঙ্গ ইসলাম