আমি জানি ইতিহাস পড়তে অনেকের কাছে ভাল লাগেনা তবুও শুরুতে একটা বিষয় বলে নেয়া ভাল জামায়াত অধ্যয়ন করতে হলে জামায়াত গঠনের প্রেক্ষাপট জানা অতীব জরুরী তাহলে কোথায় ট্রেন শুরু হয়েছিল, কোথায় আছে এবং গন্তব্য কোথায় তা বুঝতে সুবিধা হবে।
১৯১৯-১৯২৪ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে খেলাফত আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল।তুরস্কের উসমানী খেলাফত রক্ষার লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহর শেষ ইসলামিক খিলাফত রক্ষা করার ঈমানী তাগিদ থেকেই এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল।এই আন্দোলনের সমাপ্তি যদিও সুখকর হয়নি তবুও এই আন্দোলনের ফলে তৎকালীন মুসলমানদের ভিতরে আলাদা আইডেনটেটি(নিজস্ব স্বকীয়তা)খুঁজার একটা পরিবেশ তৈরি হয়।১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে পরাজয়ের ফলে মুসলমানদের উপর ইংলিশ ও স্থানীয় ব্রাক্ষণবাদীদের অত্যাচার নির্যাতনের ফলে মুসলমানদের মধ্যে যে inferiority complex(স্বংকীর্নতাবোধ)তৈরি হয়েছিল, বলা যায় খিলাফত আন্দোলনের ফলে সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার একটা স্পিরিট মুসলমানদের ভিতরে জেগে উঠে।
"স্বাধীনতা আন্দোলনের" পাশাপাশি ""খেলাফত আন্দোলনেও" হিন্দু-মুসলিম যৌথ কর্মসূচী ভালই চলছিল. আলেম সমাজের দল ছিল "জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ"।কংগ্রেসের সাথে ওনারা যৌথভাবে স্বাধীন ভারত আন্দোলন ও"খেলাফত আন্দোলন" করে যাচ্ছিলেন।কিন্তু কামাল পাশা কর্তৃক খিলাফত আন্দোলনের পতনের পর ভারতের রাজনীতিতে হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তখন ব্যাপক আকার ধারন করে।এক পর্যায়ে কট্টর ব্রাক্ষণদের দ্বারা "শুদ্ধি অভিজান" আন্দোলন শুরু হলে পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। তখন থেকেই মুসলমান আলেম সমাজ,স্কলার এবং নেতা গন মুসলমানদের জন্য ভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফরম চিন্তা করতে থাকেন।
জমিয়ত-ই-ওলামা তখন "আলজমিয়াত" নামে একটি পত্রিকা পরিচালনা করত যার মাধ্যেমে মুসলমানদেরকে শুদ্ধি আন্দোলনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হত।যুবক সৈয়দ মওদুদীর লেখা তখন থেকেই মুসলিম বুদ্ধিজীবি মহলে সাড়া জাগায়,ফলে জমিয়তের পক্ষথেকে তাকে আলজমিয়াত পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব দেয়া হয়।(মাওলানা মনজুর নোমানী:পৃষ্ঠা ১৬) (1)
একটা ঐতিহাসিক ঘটনা সবার জানা উচিৎ এত অল্প বয়সে মাওলানা মওদুদীকে ঐ দায়িত্বকেন দেয়া হয়েছিল।হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় যখন দেশ উত্তপ্ত তখন আততায়ীর হাতে শুদ্ধি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ নিহত হন।এ হত্যাকান্ডের ফলে অমুসলিমগন আলকুরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে।কোরআনের জিহাদের অপব্যখ্যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে।এমনকি মহাত্না গান্ধীর মত সহিষ্ণু রাজনীতিবিদও বলেন "ইসলাম এমন পরিবেশে জন্মলাভ করেছে যে, তার চুড়ান্ত শক্তির উৎস আগেও তরবারীই ছিলো এখনোও তরবারীই আছে"(2)
এই বক্তব্যের জবাবে কোরআনের জিহাদের ব্যখ্যা নিয়ে ১৯২৭ সালে বই লিখেন ২০ বছর বয়সের যুবক মওদুদী যার নাম "আল জিহাদ ফিল ইসলাম" যা খুবই আলোড়ন সৃষ্টি করে।আল্লামা ইকবাল ও খেলাফত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা মাওলানা আলী জোহার এর ভুয়সী প্রশংসা করেন।
দেশ ভাগের পূর্বে ইন্ডিয়ান সমাজের অবস্থা
তৎকালীন সমাজকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: (3)
(ক) ঐ সময় তিনটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তির প্রাধান্য বিদ্যমান ছিল;ব্রিটিশ রাজ,ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ। বিভিন্ন কারনে কংগ্রেস চাচ্ছিল যে করেই হউক ভারতের অখন্ডতা রক্ষা করা, বিশেষত অর্থনৈতিক কারন।অন্যদিকে মুসলিম লীগ চাচ্ছিল যে করেই হউক নিজেদের জন্য একটা স্বাধীন ভূমি।
(খ) দ্বিতীয় এবং গুরুত্ব পূর্ন একটা বৈশিষ্ট্য ছিল; সমাজে তখন পশ্চিমা সংস্কৃতির ব্যাপক প্রাধান্য বরং বলা যায় দেশীয় সংস্কৃতি ছিল হুমকির সম্মুক্ষীন।
(গ)দুইটি সম্পুর্ন ভিন্ন ধারার এবং পরস্পর বিরোধী আদর্শিক শিক্ষা বর্তমান ছিল। কংগ্রেস চাচ্ছিল মুসলমানদেরকে সেকুলার ফিলোসফির আলোকে সংগঠিত রাখার অন্যদিকে মুসলিম লীগের হাতিয়ার ছিল "মুসলিম জাতীয়তাবাদ"
মাওলানা মওদুদীর অবস্থান: ঐ দুই দ্বারার বিপরীতে মাওলানা মওদুদীর চিন্তা এবং অবস্থান ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন। তিনি মনে করেন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আলোকে কংগ্রেসের দাবী করা "Composite Nationalism" অর্জন করা এক প্রকার অসম্ভব।তার কারনও ছিল,১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর মুসলমানদের প্রতি অল্প কয়েক বছরে হিন্দু প্রধান কংগ্রেসের বৈষম্য তখন মুসলমানদের সামনে জ্বলজ্বল করছিল। তার নিজের ভাষায়; What was uppermost in my mind to keep alive in the Muslims a sense of their separate entity and prevent their absorption into a non-Muslim community (4)
মুসলমানদের আলাদা একটা সেন্স অফ আইডেনটিটি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে তিনি একটি বই লিখেন "মুসলমান আউর মুউজুদাহ সিয়াসি কাসমাকাস"(মুসলমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা)(5) ।এই বই এত সাড়া জাগিয়েছিল যে মুসলিম intellectual দের মাঝে তার বর্ণনা দিয়েছেন আই হেইস কোরেশী,তিনি বলেন; মওদুদীর রেসপন্স(লেখা) এতটা লজিকাল,শক্তিশালী,আন্তরিক এবং জ্বালাময়ী ছিল...যে এটা আন্তরিক ও বুদ্ধিমান মুসলমানদেরকে কংগ্রেস থেকে দুরে নিয়ে আসে এবং তারাই কায়েদে আজমের নেতৃত্বে পরবর্তিতে মুসলিম লীগের নেতৃত্ব দেন।(6)
মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনে প্রতি মাওলানা মওদুদীর দৃষ্টিভঙ্গি:
মুসলিম লীগের প্রতি মাওলান মওদুদীর সমালোচনা ছিল আকাশসম।তিনি মুসলিম লীগের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচক ছিলেন।এই সমালোচনার কারন ছিল for having accepted the west’s supremacy in the realm of knowledge, culture and philosophy.কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধীতা করেননি।(7)
আরেকটা কারনে তিনি মুসলিম লীগের বিরোধীতা করেন তা হল তাদের সেকুলার এবং ন্যাশনালিজম আদর্শ গ্রহন,তিনি ঐ দুই আদর্শকে কুফরি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায়;our concern then was Islam, and the ability of those who sought to represent it (8)। এই আশঙ্কা অবশ্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদও করেছিলেন; তিনি বলেন যেই ইসলামকে পুজিঁ করে পাকিস্তান ভাগ হচ্ছে ,দেশ ভাগের পরে একসময় আসবে যখন দেশ থাকবে কিন্তু ইসলাম খুজে পাওয়া যাবেনা। (মাওলানা আজাদের ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার)।
এতদ্বসত্বেও মুসলিমলীগ মাওলানা মওদুদীকে দুই বার দলে যাওয়ার আহবান জানায় একবার ১৯৩৭ সালে আরেকবার ১৯৪৫ সালে কিন্তু দু বারই তিনি জিন্নাহর মুসলিম লীগের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।(9)
১৯১৯-১৯২৪ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে খেলাফত আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল।তুরস্কের উসমানী খেলাফত রক্ষার লক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহর শেষ ইসলামিক খিলাফত রক্ষা করার ঈমানী তাগিদ থেকেই এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল।এই আন্দোলনের সমাপ্তি যদিও সুখকর হয়নি তবুও এই আন্দোলনের ফলে তৎকালীন মুসলমানদের ভিতরে আলাদা আইডেনটেটি(নিজস্ব স্বকীয়তা)খুঁজার একটা পরিবেশ তৈরি হয়।১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহে পরাজয়ের ফলে মুসলমানদের উপর ইংলিশ ও স্থানীয় ব্রাক্ষণবাদীদের অত্যাচার নির্যাতনের ফলে মুসলমানদের মধ্যে যে inferiority complex(স্বংকীর্নতাবোধ)তৈরি হয়েছিল, বলা যায় খিলাফত আন্দোলনের ফলে সেই হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার একটা স্পিরিট মুসলমানদের ভিতরে জেগে উঠে।
"স্বাধীনতা আন্দোলনের" পাশাপাশি ""খেলাফত আন্দোলনেও" হিন্দু-মুসলিম যৌথ কর্মসূচী ভালই চলছিল. আলেম সমাজের দল ছিল "জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ"।কংগ্রেসের সাথে ওনারা যৌথভাবে স্বাধীন ভারত আন্দোলন ও"খেলাফত আন্দোলন" করে যাচ্ছিলেন।কিন্তু কামাল পাশা কর্তৃক খিলাফত আন্দোলনের পতনের পর ভারতের রাজনীতিতে হিন্দু মুসলিম সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তখন ব্যাপক আকার ধারন করে।এক পর্যায়ে কট্টর ব্রাক্ষণদের দ্বারা "শুদ্ধি অভিজান" আন্দোলন শুরু হলে পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়। তখন থেকেই মুসলমান আলেম সমাজ,স্কলার এবং নেতা গন মুসলমানদের জন্য ভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফরম চিন্তা করতে থাকেন।
জমিয়ত-ই-ওলামা তখন "আলজমিয়াত" নামে একটি পত্রিকা পরিচালনা করত যার মাধ্যেমে মুসলমানদেরকে শুদ্ধি আন্দোলনের কার্যক্রমের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়া হত।যুবক সৈয়দ মওদুদীর লেখা তখন থেকেই মুসলিম বুদ্ধিজীবি মহলে সাড়া জাগায়,ফলে জমিয়তের পক্ষথেকে তাকে আলজমিয়াত পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব দেয়া হয়।(মাওলানা মনজুর নোমানী:পৃষ্ঠা ১৬) (1)
একটা ঐতিহাসিক ঘটনা সবার জানা উচিৎ এত অল্প বয়সে মাওলানা মওদুদীকে ঐ দায়িত্বকেন দেয়া হয়েছিল।হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় যখন দেশ উত্তপ্ত তখন আততায়ীর হাতে শুদ্ধি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ নিহত হন।এ হত্যাকান্ডের ফলে অমুসলিমগন আলকুরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে।কোরআনের জিহাদের অপব্যখ্যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে।এমনকি মহাত্না গান্ধীর মত সহিষ্ণু রাজনীতিবিদও বলেন "ইসলাম এমন পরিবেশে জন্মলাভ করেছে যে, তার চুড়ান্ত শক্তির উৎস আগেও তরবারীই ছিলো এখনোও তরবারীই আছে"(2)
এই বক্তব্যের জবাবে কোরআনের জিহাদের ব্যখ্যা নিয়ে ১৯২৭ সালে বই লিখেন ২০ বছর বয়সের যুবক মওদুদী যার নাম "আল জিহাদ ফিল ইসলাম" যা খুবই আলোড়ন সৃষ্টি করে।আল্লামা ইকবাল ও খেলাফত আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা মাওলানা আলী জোহার এর ভুয়সী প্রশংসা করেন।
দেশ ভাগের পূর্বে ইন্ডিয়ান সমাজের অবস্থা
তৎকালীন সমাজকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়: (3)
(ক) ঐ সময় তিনটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তির প্রাধান্য বিদ্যমান ছিল;ব্রিটিশ রাজ,ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ। বিভিন্ন কারনে কংগ্রেস চাচ্ছিল যে করেই হউক ভারতের অখন্ডতা রক্ষা করা, বিশেষত অর্থনৈতিক কারন।অন্যদিকে মুসলিম লীগ চাচ্ছিল যে করেই হউক নিজেদের জন্য একটা স্বাধীন ভূমি।
(খ) দ্বিতীয় এবং গুরুত্ব পূর্ন একটা বৈশিষ্ট্য ছিল; সমাজে তখন পশ্চিমা সংস্কৃতির ব্যাপক প্রাধান্য বরং বলা যায় দেশীয় সংস্কৃতি ছিল হুমকির সম্মুক্ষীন।
(গ)দুইটি সম্পুর্ন ভিন্ন ধারার এবং পরস্পর বিরোধী আদর্শিক শিক্ষা বর্তমান ছিল। কংগ্রেস চাচ্ছিল মুসলমানদেরকে সেকুলার ফিলোসফির আলোকে সংগঠিত রাখার অন্যদিকে মুসলিম লীগের হাতিয়ার ছিল "মুসলিম জাতীয়তাবাদ"
মাওলানা মওদুদীর অবস্থান: ঐ দুই দ্বারার বিপরীতে মাওলানা মওদুদীর চিন্তা এবং অবস্থান ছিল সম্পুর্ন ভিন্ন। তিনি মনে করেন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আলোকে কংগ্রেসের দাবী করা "Composite Nationalism" অর্জন করা এক প্রকার অসম্ভব।তার কারনও ছিল,১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর মুসলমানদের প্রতি অল্প কয়েক বছরে হিন্দু প্রধান কংগ্রেসের বৈষম্য তখন মুসলমানদের সামনে জ্বলজ্বল করছিল। তার নিজের ভাষায়; What was uppermost in my mind to keep alive in the Muslims a sense of their separate entity and prevent their absorption into a non-Muslim community (4)
মুসলমানদের আলাদা একটা সেন্স অফ আইডেনটিটি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে তিনি একটি বই লিখেন "মুসলমান আউর মুউজুদাহ সিয়াসি কাসমাকাস"(মুসলমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা)(5) ।এই বই এত সাড়া জাগিয়েছিল যে মুসলিম intellectual দের মাঝে তার বর্ণনা দিয়েছেন আই হেইস কোরেশী,তিনি বলেন; মওদুদীর রেসপন্স(লেখা) এতটা লজিকাল,শক্তিশালী,আন্তরিক এবং জ্বালাময়ী ছিল...যে এটা আন্তরিক ও বুদ্ধিমান মুসলমানদেরকে কংগ্রেস থেকে দুরে নিয়ে আসে এবং তারাই কায়েদে আজমের নেতৃত্বে পরবর্তিতে মুসলিম লীগের নেতৃত্ব দেন।(6)
মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান আন্দোলনে প্রতি মাওলানা মওদুদীর দৃষ্টিভঙ্গি:
মুসলিম লীগের প্রতি মাওলান মওদুদীর সমালোচনা ছিল আকাশসম।তিনি মুসলিম লীগের নেতৃত্বের কঠোর সমালোচক ছিলেন।এই সমালোচনার কারন ছিল for having accepted the west’s supremacy in the realm of knowledge, culture and philosophy.কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধীতা করেননি।(7)
আরেকটা কারনে তিনি মুসলিম লীগের বিরোধীতা করেন তা হল তাদের সেকুলার এবং ন্যাশনালিজম আদর্শ গ্রহন,তিনি ঐ দুই আদর্শকে কুফরি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায়;our concern then was Islam, and the ability of those who sought to represent it (8)। এই আশঙ্কা অবশ্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদও করেছিলেন; তিনি বলেন যেই ইসলামকে পুজিঁ করে পাকিস্তান ভাগ হচ্ছে ,দেশ ভাগের পরে একসময় আসবে যখন দেশ থাকবে কিন্তু ইসলাম খুজে পাওয়া যাবেনা। (মাওলানা আজাদের ঐতিহাসিক সাক্ষাতকার)।
এতদ্বসত্বেও মুসলিমলীগ মাওলানা মওদুদীকে দুই বার দলে যাওয়ার আহবান জানায় একবার ১৯৩৭ সালে আরেকবার ১৯৪৫ সালে কিন্তু দু বারই তিনি জিন্নাহর মুসলিম লীগের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।(9)
0 comments: