একদিন হাসানুল বান্না স্কুলেই ছিলেন। সরকারী পত্রবাহক এসে জানালো যে, শহরের ম্যাজিস্ট্রেট সাবের বেগ তানতাওয়ী তাকে তার দফতরে ডেকে পাঠিয়েছেন। হাসানুল বান্না ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে পৌঁছে দেখতে পান তার সাথে পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বসে আছেন।
হাসানুল বান্নাকে বসানোর ব্যবস্থা করে বলেন, সম্মানিত শিক্ষক! আপনি অবগত আছেন যে, প্রধানমন্ত্রী সিদকী পাশা সিনাই উপত্যকা সফরে যাবার কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। এ সফরে তিনি ইসমাঈলিয়া হয়ে সিনাই যাবেন। এ কারণে তাকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য এখানেও প্রস্তুতি চলছে। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের জন্য আমরা আপনার সহযোগিতা নেয়া জরুরি মনে করছি।
হাসানুল বান্না বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমার সহযোগিতা....? এ অনুষ্ঠানের সাথে আমার কি সম্পর্ক আছে? ‘আমরা চাচ্ছি যে, প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে আপনি অভিনন্দনপত্র পাঠ করবেন। আমরা জানতে পেরেছি আপনি খুব ভালো বক্তব্য রাখেন। আর বাকি থাকে সম্পর্কের বিষয়। আপনিও সরকারী কর্মচারী, আমরাও সরকারী কর্মচারী। ‘অতি উত্তম! অতি উত্তম নির্বাচন!’ সরকারী কর্মচারী ও পুলিশ অফিসাররা একযোগে উচ্চ স্বরে বলতে শুরু করেন।
হাসানুল বান্না একান্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, এ সহযোগিতার ব্যাপারে আমাকে মাফ করা হোক। কয়েকজন এক সাথে বলে উঠেন, কিন্তু কেন? প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সুযোগ একটা বড় ধরনের প্রাপ্তি। যা পাওয়ার জন্য বহু বড় বড় মানুষ চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। আপনি এ সম্মান ও সুযোগকে হাতে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। এটাতো খুব ভালো কথা নয়।
হাসানুল বান্নার মুখমন্ডল ক্রোধে লাল হয়ে ওঠে। তিনি তাদেরকে বলে দেন, আমার জন্য শিক্ষক হওয়ার মর্যাদাই যথেষ্ট। আপনারা কি মনে করেন সরকারী কর্মচারীরা কাঠের পুতুল এবং তাদেরকে যেমন খুশি তেমন নাচানো সম্ভব। আমার নিজেরই বোঝা উচিত যে, আমার মূল্য আমার নিজের কাছে নাকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। চাকরির পদত্যাগপত্র সব সময় আমার পকেটে থাকে। আমি একটি বিষয়ে খুবই সতর্ক যে, আমার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে তার সর্বোচ্চ দাবী হচ্ছে, আমি শিক্ষাদান ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আমার সার্বিক যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাবো-এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। এই চুক্তিনামার কোথাও লেখা নেই যে, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশংসামূলক কাসিদা পাঠ করবো। হাসানুল বান্নার এই দৃঢ়তা ব্যঞ্জক বক্তব্যের পর অন্য কাউকে বাছাই করা ছাড়া তাদের গত্যন্তর রইলো না।
দারুল ইখওয়ান কমপেস্নক্সের মসজিদের উপরের অংশে হেরা মকতব প্রতিষ্ঠা করা হয়। মক্তব্যের জন্য উচ্চ শিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষক নিযুক্ত করা হয়। তা সত্ত্বেও ছাত্রদের বেতন খুবই অল্প পরিমাণে নির্ধারণ করা হয়। আধুনিক শিক্ষানীতি ও পদ্ধতিকে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ছাঁচে ঢেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে ছাত্রদের পাঠদান শুরু করা হয়। কখনো কখনো পাঠদান অনুষ্ঠান শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাদেরকে ইসমাঈলিয়ার সুদৃশ্য, দৃষ্টিনন্দন ও ছন্দময় পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ণমালা, সংখ্যা ও অঙ্ক শিখানোর জন্য মাটি, পাথর ও কাগজ কেটে অক্ষর ও সংখ্যা বানিয়ে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। শিশুদেরকে তাদের মনের যে কোন প্রশ্ন, দুশ্চিন্তা ও জিজ্ঞাসার ব্যাপারে শিক্ষকদের কাছে নির্ভয়ে কথা বলার স্বাধীনতা দেয়া হয়।
হাসানুল বান্না নিজের স্কুলের ক্লাসের ফাঁকে সময় পেলে সোজা হেরা মকতবে চলে আসেন এবং শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে নানা ধরনের শিক্ষামূলক পরামর্শ দেন। কখনো কখনো সন্ধ্যায় ছাত্রদের সাথে বাইরে ঘুরতে কিংবা বাগানে বেড়াতে যান এবং ছাত্রদের সঙ্গে নানা ধরনের খোশ গল্প করেন। খেলাধুলার ছলেও তাদেরকে নানা বিষয়ে পথ নির্দেশনা দান করে থাকেন। মকতবের শিক্ষকরা উপলব্ধি ও অনুভব করতেন যে, অন্য পেশার কর্মচারীদের মতো তারাও কর্মচারী নন বরং নবী রাসূলদের দেখানো পথের দায়িত্ব পালনেই তারা নিয়োজিত।
অনুভব করতেন তারা নিজেরাও বিশেষ এক দৃষ্টিভঙ্গির দায়ী এবং বর্তমান বংশধরদের অভিভাবক ও পথ প্রদর্শক। সমাজ এমন লোকদের প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভব করে যারা নিজের জীবন ও সম্পদ ব্যয় করে সমাজের সেবা করে, নিজের বিবেকের তাড়নায় কাজ করে, অন্যের তত্ত্বাবধানের ভয়ে নয়। অধিকাংশ শিক্ষকের মধ্যেই এ ধরনের অনুভূতি ও প্রেরণা কাজ করে। তবে দুই চারজন এমনও আছেন যাদের কাছে এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা দৃষ্টিভঙ্গি অরণ্যে রোদনতুল্য। এরা আত্মা দিয়ে চিন্তাভাবনা না করে পেট দিয়ে চিন্তাভাবনা করে।
ইসলামী মকতব হেরার নামকরণের প্রস্তাব করেন বিজ্ঞ আলেম মুজাহিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব শাইখ মোহাম্মদ সাঈদ আল আরাফী। তিনি সিরিয়ার দির আলজোর এলাকার একজন আলেম এবং দির আলজোর নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য। দেশে ফরাসী জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। ফরাসীরা তার সমস্ত সহায় সম্পত্তি এমন কি ব্যক্তিগত পাঠাগার পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে। শুধু তাই নয় তাকে দেশ ত্যাগেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং এ অবস্থায় তিনি মিসর চলে এসেছেন এবং কায়রোর আল কেলায়া মহল্লায় খুব সাধারণ একটা ঘর ভাড়া করে সেখানে বসবাস করছেন।
যে কোনভাবে ইখওয়ানের লোকদের সাথে তার পরিচয় হয়ে গেছে। তিনি তাদের মধ্যে ঈমান ও বিশ্বাসের দৃঢ়তা, জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ও বিস্তৃতি, সাহস ও শৌর্যবীর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। ইসমাঈলিয়া এসে তিনি কয়েক দিন ইখওয়ান কর্মীদের সাথে অবস্থান করেন। তিনি জানতে পারলেন ইখওয়ান একটি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে যাচ্ছে এবং আন্দোলনের দাওয়াত সেটাই যেটা কুরআনের দাওয়াত। কুরআন সর্বপ্রথম হেরা গুহায় অবতীর্ণ হয়। অতএব তিনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইসলামী হেরা মকতব প্রস্তাব করেন। সুতরাং শাইখের প্রস্তাব অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়।
শাইখ আরাফী রাতে মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমাতেন এবং ফজরের আগেই উঠে গিয়ে ইখওয়ান কর্মীদের দরজার কড়া নাড়তেন। তাদেরকে ডেকে ডেকে বলতেন, জেগে উঠো, জেগে উঠো... এ জীবন শেষ হলে লম্বা ঘুমের সুযোগ পাবে। আল্লাহর দরবারে সেজদাবনত হয়ে তার কৃতজ্ঞতা আদায় করো। হাসানুল বান্নাকে অনেক সময়ই বলতেন, যে সব মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভীতির অনুভূতি আছে অথচ তাদের ইবাদত বন্দেগীরও আনুগত্যের কিছুটা ত্রুটি বা ঘাটতি আছে, ছোট খাটো গুনাহের ব্যাপারে দুর্বল-তুমি এ জাতীয় লোকদেরকেও আন্দোলনে নিতে পারো।
সংগঠনের প্রতি আনুগত্যশীল, সম্মান ও ভালবাসাপূর্ণ এ জাতীয় দুর্বল লোকগুলো দ্রুত সংশোধন হয়ে যায়। দাওয়াতী সংগঠন একটা আরোগ্য নিকেতন, সেখানে ডাক্তার চিকিৎসা দানের জন্য এবং রোগী আরোগ্য লাভের জন্য আসে। তুমি চিকিৎসক, তাই কোন আধ্যাত্মিক রোগীর জন্য দরজা বন্ধ করবে না। বরং তাদেরকে যে কৌশল প্রয়োগ করে নিজের দিকে টেনে আনা যায় সেটাই প্রয়োগ করবে। অবশ্য দুই ধরনের এমন লোক আছে যাদেরকে কোন অবস্থাতেই আন্দোলন ও সংগঠনে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এদের একটি গোষ্ঠী হচ্ছে নাস্তিক-যাদের কোন প্রকার বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গি নাই, এরা যতই সৎ এবং সত্যবাদী হোক না কেন। এদের সংশোধন হওয়ার কোন আশা নেই। দ্বিতীয় হচ্ছে ঐ সব সাধক ও কৃচ্ছ্তা সাধনকারী যারা সংগঠনের প্রতি আনুগত্য ও সম্মান প্রদর্শন করতে প্রস্তুত নয় এবং আনুগত্যের অর্থ বুঝতেও অক্ষম। দ্বিতীয় ধরনের লোকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভালো হতে পারে। কিন্তু এরা সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হলে সংগঠনের ভিতরে বিভেদ বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের জন্ম দেয়। এই জাতীয় লোকদেরকে দলের অন্তর্ভুক্ত না করে যদি এদের কাছ থেকে উপকার নেয়া যায় তাহলে অবশ্যই নিবে। সাধারণ মানুষ যদি কোন লোককে দল থেকে বের হয়ে যেতে দেখে তাহলে তারা এটা বলবে না যে অমুক ব্যক্তি দল থেকে বের হয়ে গেছে বরং তারা বলবে যে, এই দলটিই ভুল পথে চলছে।
শাইখ আরাফী কখনো কখনো একথাও বলতেন, দৃঢ় ও শক্তিশালী ঈমানের ধারক ব্যক্তি নিজে দুর্বল ও হীনশক্তি হয়েও সফলকাম হয়ে যায়। যাদের ঈমান শক্ত ও মজবুত নয় তারা পূর্ণ শারীরিক ও আর্থিক শক্তি সত্ত্বেও পরাজিত হয়ে থাকে। তিনি আরো বলতেন, নিজের সঙ্গীসাথী ভাই বন্ধুদেরকে তাদের পূর্বপুরুষের পরিচিতি ও উপাধি উল্ল্যেখ করে ডাকবে। কোন সঙ্গীকে বলো যে, তোমার মধ্যে আবু বকর সিদ্দিকের (রাঃ) গুণাবলী আছে। আবার কাউকে বলো যে, তোমার সাথে ওমরের (রাঃ) গুণাবলীর সাদৃশ্য রয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যে তাদের মধ্যে পূর্বসূরীদের আত্মমর্যাদাবোধ ও দৃঢ়তা সৃষ্টি হবে। এতে তারা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত ও আদর্শ চরিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তা অনুসরণে অনুপ্রাণিত হবে। হাসানুল বান্না বলতেন, এ ধরনের কথাবার্তা বললে মানুষ আমাদেরকে তাদের ক্ষুরধার জিহবার লক্ষ্যবস্তু বানাবে। শাইখ বলতেন, মানুষের কথায় তোমার কি আসে যায়। তুমি আল্লাহর সৈনিক হয়ে যাও এবং যে কাজে কল্যাণ আছে তা করে যেতে থাকো।
তিনি বলতেন, আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, প্রত্যেক বিষয়ে পার্থিব সাফল্যও আসে এবং ব্যর্থতাও আসে। যখন সাফল্য বা সৌভাগ্য আসে তখন প্রতিটি বস্তু পায়ের কাছে এসে উপস্থিত হয় এমনকি নিকৃষ্ট ডাকাতও যদি সামনে আসে তাহলে সেও তখন মাথা নত করে। আর যখন ব্যর্থতা ও পতন আসে তখন প্রত্যেক বস্তু মুখ ফিরিয়ে নেয়। এমনকি একান্ত অনুগত বাহনও অবাধ্য হয়ে পড়ে। আমি দু’বার মিসর এসেছি। প্রথমবার যখন এসেছি তখন আমার পরিচয় ছিল মোহাম্মদ সাঈদ আল আরাফী যিনি সিরিয়ার দির আলজোরের নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য। তোমাদের নগরীর সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে এমন স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যর্থনা জানিয়েছেন যাতে আমি মনে মনে লজ্জিত হয়ে ভেবেছি যে, আমার মধ্যে এমনতো কোন গুণাবলী নেই। দ্বিতীয় বার যখন আমি মিসর এসেছি তখনো আমি সেই মোহাম্মদ সাঈদ আল আরাফীই আছি। কিন্তু এখন ফরাসী ঔপনিবেশিক সরকারের পক্ষ থেকে সাঈদ আরাফীকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এখন আমি ধন সম্পদ জায়গা জমি বাড়িঘর সব কিছু থেকে বঞ্চিত ও রিক্তহস্ত। এ সময় আমি এমন একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার অপেক্ষায় স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময়ও আমি ভিন্ন এক ধরনের লজ্জায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি। যা হোক দ্বিতীয় বারই আমি সহমর্মিতা, সমবেদনা ও সহযোগিতার প্রত্যাশী ছিলাম। প্রথম বারের চেয়ে এ বারই বেশী স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যর্থনা আমার প্রাপ্য ছিল। কিন্তু আল্লাহতায়ালা ইখওয়ানুল মুসলেমুনের মাধ্যমেই আমার মনোবেদনা দূর করার ও সাহায্য করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
অধ্যায় ০২ : উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তা চেতনা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
রিসেন্ট ব্লগ পোষ্টস
বিষয়শ্রেণী
রাইটার
প্রিয়-ক্লিক
কিছু বই
- অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা
- অর্থনীতিতে রাসূল (সা) এর দশ দফা
- আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)
- আসহাবে রাসূলের জীবনকথা
- ইসলাম ও জিহাদ
- ইসলাম পরিচিতি
- ইসলামী আন্দোলন : সাফল্যের শর্তাবলী
- ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক
- ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
- ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি
- ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলী
- ইসলামী বিপ্লবের পথ
- ইসলামী রেনেসাঁ আন্দোলন
- ইসলামী সমাজে মজুরের অধিকার
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারণঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
- চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান
- দায়ী’ ইলাল্লাহ - দা’ওয়াত ইলাল্লাহ
- নামাজ কেন আজ ব্যর্থ হচ্ছে
- নামায-রোজার হাকীকত
- মোরা বড় হতে চাই
- যাকাতের হাকীকত
- রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন
- শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী ও তাঁর চিন্তাধারা
- সত্যের সাক্ষ্য
- হেদায়াত
0 comments: